র‍্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না’: উপাচার্য

র‍্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না’: উপাচার্য

তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র‌্যাগিং বিরোধী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. এস এম হারুন উর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত র‌্যাগিং বিরোধী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. নাজিম উদ্দিন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. কুতুব উদ্দিন, ফিসারিজ অনুষদের অধ্যাপক ড.এ কে এম রহুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড.মো.সাজ্জাত হোসেন সরকার, সোস্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. নওশের ওয়ান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন সহযোগী অধ্যাপক ড.মো.মাহাবুব হোসেন প্রমুখ।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, র‍্যাগিং নামক অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে । ম্যানার শেখানোর নাম করে কাউকে মানসিক বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হলে তা মেনে নেয়া হবে না।

এ ব্যাপারে খুব দ্রুত একটি এন্টি র‍্যাগিং টিম গঠণ করা হবে । কারো বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে । কোন ধরনের সুপারিশ বা অজুহাত সহ্য করা হবে না । বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইদের সাথে যে ধরনের আচরন করা দরকার তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। র‍্যাগিংয়ের নাম করে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া যাবে না ।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সকল শিক্ষককে নিজ নিজ দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে এবং কে ক্লাসে আসলো আর কে আসলো না সে ব্যাপারেও খোজ রাখতে হবে । কারো বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসন বাধ্য হবে । আমি মনে করি, একজন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাই তার নৈতিক দায়িত্ব।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, মেস মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *