শহর ছাড়ছে মানুষ: গ্রামীণ অর্থনীতি কি আরও বেগবান হবে?
![শহর ছাড়ছে মানুষ: গ্রামীণ অর্থনীতি কি আরও বেগবান হবে?](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/07/resize1593593679195.jpg)
সুপ্তি সাহা
প্রথমেই বলি শহর নিয়ে, জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, আনন্দ-আয়েশ, ভোগবিলাস শহরে বেশি। ঘর-দুয়ার, রাস্তাঘাট শহরে ভালো।
খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার মান শহরে উন্নত।তারপরও শহর কেন ছাড়ছে মানুষ…অভাবে শহর ছাড়ছে মানুষ, যা মুলত প্রধান কারণ।
করোনার প্রভাবে ব্যবস্যা-বাণিজ্যে মন্দা ও চাকরি হারানোয় ঢাকা চট্টগ্রাম এসমস্ত শহরগুলো ছাড়ছে মানুষ।করোনাকালীন অনেকে চাকরি হারিয়েছে, অনেকের আয় সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। আবার অনেকে আয়ের সাথে ব্যয়ের সমন্বয় করতে নিজে থাকলেও পরিবার-পরিজনকে গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
এখন আসি গ্রামীণ অর্থনীতি নিয়ে, যার চাহিদা বাড়ালে গতিশীল হবে অর্থনীতি।
গতিশীলতা বলতে গ্রামীণ অর্থনীতি, কৃষি ও কুটির শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, সংস্কৃতি ও পরিবেশ- সবকিছুরই উন্নয়ন বোঝায়। শহর থেকে মানুষ গ্রামের দিকে যাওয়া মানুষ তার নিজ প্রয়োজনের তাগিদেই গ্রামের অর্থনীতির উন্নয়নে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। এর ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসবে।
গ্রামের মানুষ শহরের মানুষের চেয়ে আয় করে কম। কিন্তু এখন মানুষ আবার গ্রাম মুখী হওয়ায় গ্রামের জনপ্রতি মানুষের আয় আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে। উচ্চশিক্ষিত লোকের হার বৃদ্ধি পাবে গ্রামে। কৃষি খাতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে। কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ সম্প্রসারিত হবে। শিক্ষা ও চিকিৎসার সম্প্রসারণ ঘটবে।
তাছাড়া অকৃষি খাতের বিকাশ ও আর্থিক সেবা খাতের বিস্তার ঘটবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি সম্ভব হবে। গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ঘটবে।
পরিশেষে বলতে পারি, গ্রামবাংলার প্রকৃত, রূপ, গ্রামের নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-ডোবা, গাছপালা, বনবীথি, ক্ষেতখামার আর দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ যথাযথভাবে অক্ষুণ্ণ রেখেই প্রণয়ন করতে হবে সব উন্নয়ন পরিকল্পনা।
যার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে শহর পরিবেশ থেকে যাওয়া মানুষদের, এতে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন সুষম হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।