শিক্ষকের কথার সাথে দ্বিমত, ১৫ শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ
![শিক্ষকের কথার সাথে দ্বিমত, ১৫ শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2019/12/images-47.jpeg)
বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সাবেক সভাপতি আক্কাছ আলী বিরুদ্ধে মতবিরোধের জেরে অনৈতিকভাবে পরীক্ষায় ফেল করানোসহ নাম্বার কম দেয়া হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস প্রতিনিধি (সিআর) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ হওয়ায় ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ১৫ জন শিক্ষার্থীকে ফেল করানোসহ ১৭ জনকে অনৈতিকভাবে নাম্বার কম দিয়েছিলেন আক্কাছ আলী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন জানান, “২০১৭ সালের শেষের দিকে আমাদের ক্লাসের ক্লাস প্রতিনিধি (সিআর) পরিবর্তন করি। যে সিআরকে পরিবর্তন করা হয় সে শিক্ষক আক্কাছ আলীর অত্যন্ত প্রিয় ও কাছের হওয়ায় ওই শিক্ষক (আক্কাছ আলী) আমাদের ওপর রেগে যান এবং বলেন আমরা এভাবে সিআর পরিবর্তন করতে পারিনা। পরিবর্তিতে আমরা ১৭ জন সিআর পরিবর্তনের যৌক্তিকতা বুঝাতে শিক্ষক আক্কাছ আলীর সাথে কথা বলি। এসময় তিনি আমাদের সকল যুক্তি অগ্রাহ্য করে আমাদের পাস করে বের হতে দিবে না বলে হুমকি দেন। এর কিছুদিন পরই আমাদের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল দেয় এবং আমরা ১৭ জনের সকলেই খুবই খারাপ ফলাফল করি। তিনি ওই সময় পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন। আমরা পরীক্ষা ভালো দিলেও তার কোর্সসহ খণ্ডকালীন তিনজন শিক্ষকের কোর্সে খারাপ ফলাফল করি।”
এতদিন পরে অভিযোগ এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত জানান, “আক্কাছ আলীর বিভিন্ন হুমকি এবং তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সাথে তার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক থাকায় আমরা ওইসময় প্রতিবাদ করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা এই ঘটনার বিচার চাই যাতে ভবিষ্যতে এধরণের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়”
এছাড়া ওই ১৭ শিক্ষার্থীর পূর্বের ৬ টি সেমিস্টারের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা তাদের অধিকাংশেরই পূর্বের সেমিস্টারগুলোতে সিজিপিএ ৩.২৫ এর ওপরে ছিলো।
খণ্ডকালীন ওই তিন শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, তারা সকলেই পারফরম্যান্স অনুযায়ী নাম্বার দিয়েছিলেন কিন্তু তাদের প্রদত্ত গ্রেড পরিবর্তিতে পরিবর্তন করা হয়েছিলো কিনা এটি তারা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ব্যাপারে তৎকালীন পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
অভিযোগের ব্যাপারে আক্কাছ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি কিছু করিনি, এ বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য দিতে চাচ্ছিনা”
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এ বছরের গত ১৯ এপ্রিল সিএসই বিভাগের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কারসহ আক্কাছ আলীকে চার বছরের জন্য সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।