শুধু ডাটা, স্মার্টফোন নয় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দেওয়া হবে : ঢাবি উপাচার্য

শুধু ডাটা, স্মার্টফোন নয় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দেওয়া হবে : ঢাবি উপাচার্য

কাম্পাস টুডে ডেস্ক


এ মাসের শুরুর দিকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন কেনায় অসমর্থ শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ওই সময় সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর এ সংক্রান্ত এটি চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। চিঠিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে যে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কেনায় আর্থিক সক্ষমতা নেই, তাদের নির্ভুল তালিকা ২৫ আগস্টের মধ্যে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছিল।

এরপর দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকা তৈরির কাজ শুরু করলেও ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের তালিকা তৈরি হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউজিসির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানো বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে শুধু স্মার্টফোন নয়, শিক্ষার্থীদের যা প্রয়োজন তার একটি অর্থবহ সার্ভে হবে এবং সে অনুসারে তা বিতরণ করা হবে। এ সময় তিনি বলেন‘একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সমীক্ষা করে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো’।

করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুবিধা ভোগ করতে পারে, সেজন্য বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ ও স্মার্টফোন সুবিধা দিতে মতামত দেন সংশ্লিষ্টরা।

গত ২৫ জুন ইউজিসি ও উপাচার্যদের একটি অনলাইন সভায় এ মতামত উঠে আসে। এ প্রেক্ষিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে স্মার্টফোন কেনায় অসমর্থ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

এ প্রসঙ্গে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, মোবাইল ডিভাইস দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানো বিষয়ে আমাদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে আমরা অনেক আগে থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু মোবাইল ডিভাইস কেন! এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যা প্রয়োজন তার একটি অর্থবহ সার্ভে করবো এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুসারে আমরা তা বিতরণ করবো।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যতকে সামনে রেখে এ কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপচার্যকে (শিক্ষা) নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবেদন তৈরির কাজও প্রায় চূড়ান্ত। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে ইনক্লুসিভ ইকুয়েটবল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনশেকৃবিতে চলছে ভিসি পদে আসীনের বুদ্ধিদীপ্ত লড়াই

আরও বলেন, অনলাইনে ক্লাস শুরু করার একদম প্রথমদিক থেকে আমাদের এ প্রয়াস আছে এবং তা চলমান। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট তাদের কি প্রয়োজন তার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ সমীক্ষা করে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করবোকবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, এ বিষয়ে কাজ চলছে।হুটহাট করে কোন কাজ তো ফলপ্রসূ ভাবে করা যায় না। হুটহাট করে কোন কাজ করলে কাজের যে মৌলিক দর্শন রয়েছে তা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই আমরা চটকদারিতা দেখানোর জন্য সুপারফিশিয়াল কোন সিদ্ধান্ত নিবো না। আমরা আমাদের সকল কার্যক্রমকে অর্থবহ করে তুলতে চাই। কমিটির সকল অফিসয়াল কার্যক্রম শেষ হলে শিগগিরই কতৃপক্ষ কাজ শুরু করবে।

আরও পড়ুনবাকৃবিতে চালু হলো বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন কোর্স

তবে স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে কাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বা কারা এ সুযোগ সুবিধা পাবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী যাদের প্রয়োজন তাদেরকে আমরা সহায়তা করবো। যাদের ডাটা প্যাকেজ প্রয়োজন তাদেরকে তাই দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাদের স্মার্টফোন/মোবাইল ডিভাইস/ল্যাপটপ প্রয়োজন তাদের তাই দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *