শেকৃবিতে কৃষি দিবসে ছাত্রলীগ সভাপতি দাওয়াত না পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু ছবি ভাঙচুর

শেকৃবিতে কৃষি দিবসে ছাত্রলীগ সভাপতি দাওয়াত না পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু ছবি ভাঙচুর

শেকৃবি টুডে: কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসবের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তাণ্ডব চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাসুদুর রহমান মিঠু। এর ফলে পণ্ড হয় ঐতিহ্যের ধারক অনুষ্ঠানটি। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।

কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবার আগে হঠাৎ শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির বাধায় পণ্ড হয় অনুষ্ঠানটি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব উদযাপনে শুক্রবার বিকাল থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর চলছিল আলোচনা সভা। এমন সময় ছাত্রলীগের স্টলে তাদের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাসুদুর রহমান মিঠুর অনুসারীরা নবান্ন উৎসবের ছাত্রলীগের স্টল ভাঙচুর করে। এসময় স্টলে থাকা বন্ধুবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবি ভেঙে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আসে।

বক্তব্য শেষে উপাচার্য নবান্ন উৎসবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষ হতে না হতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মেলা চত্বরে হাজির হন ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মাসুদুর রহমান মিঠু। এসময় মিঠু ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো.মিজানুর রহমানের ওপর চড়াও হন এবং জানতে চান তাকে না জানিয়ে এবং তার অনুপস্থিতিতে কেন অনুষ্ঠান করার হলো। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ত্রিমুখী উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় অনুষ্ঠানে চেয়ার ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন শিক্ষক আহত হন। ফলে তৎক্ষণাৎ অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এবিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাকে অফিসিয়ালি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করে বৃহঃস্পতিবার রাতেও তাকে জানিয়েছি। এরপরও এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান বলেন, এটি ছাত্রলীগের দু’পক্ষের কোন ঝামেলা না। সভাপতির সাথে প্রশাসনের ভুলবুঝাবুঝির কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে। তবে ছাত্রলীগের স্টল সহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

এব্যপারে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকেঁ পাওয়া যায়নি।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *