শেকৃবি: প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ছাত্রলীগ থেকে সাংবাদিককে হুমকি

শেকৃবি: প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ছাত্রলীগ থেকে সাংবাদিককে হুমকি

মাজেদুল ইসলাম
শেকৃবি প্রতিনিধি


গত ৯ ই সেপ্টেম্বর দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার শেকৃবি প্রতিনিধির করা “শেকৃবি ছাত্রলীগ তিন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ ” প্রতিবেদন নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতির মধ্যে চলছে ভার্চুয়ালি কথার ফুলঝুরি।

শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকার শেকৃবি প্রতিনিধি আকাশ বাষ্ফোর কে হলুদ সাংবাদিক বলে তিরস্কার করেন।তিনি মুঠোফোনে ওই সাংবাদিককে আর ও বলেন-ছাত্রলীগ নিয়ে নাড়াচাড়া করলে ভালো হবে না।করলে ১২ টা বাজিয়ে দিবো! সাংবাদিকের দৌড় আমি জানি।

এই বিষয়টির প্রেক্ষিতে শেকৃবি সাংবাদিক সমিতি সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সাংবাদিক সমিতি থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানান ও নিন্দা জ্ঞাপন করে।

দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতা একেএম তমাল আব্দুল্লাহ,আরিফুর রহমান,গোলাম রব্বানী খান (জেনিথ) উক্ত ছাত্রলীগ শাখার উপ মানবউন্নয়ন বিষয়ক উপসম্পাদক হৃদয় হাসান রাসেল এর নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেইটে এক মোটর সাইকেল মেরামতকারী মোঃমিজানুর রহমানের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দোকানদার মিজানুর রহমান করোনার সময়ে তার ইনকাম না হওয়ায় চাঁদা দেওয়ার ব্যর্থতার বিবরণ ক্যাম্পাসে অবস্হানরত দৈনিক যুগান্তর,আমাদের সময়,আমার সংবাদ পত্রিকার শেকৃবি প্রতিনিধির কাছে বিষয়টা তুলে ধরেন।

চাঁদা তোলার বিষয়ে আরও জানা যায়, শেকৃবি শাখার ফাস্ট গেইট ছাত্রলীগ শাখা সভাপতি এবং সেকেন্ড গেইট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ বিষয়ে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু মুঠোফোনে দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, ছাত্রলীগের চাঁদা তোলার এ অভিযোগ মিথ্যা,বানোয়াট ও অবান্তর।ছাত্রলীগের কোন ছেলে চাঁদা তোলার মত জঘন্যতম কাজে জড়িত হতে পারেনা। যদিও কেউ করে তাহলে তা ব্যক্তির দোষ।এর দ্বায়ভার সংগঠন কেন নিবে? আমরা তার সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।

শেকৃবি শাখা সভাপতির কাছ থেকে হলুদ সাংবাদিক খ্যাতি পাওয়া দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি আকাশ বাষ্ফোরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন-আমি তো শুধুমাত্র অভিযোগ শিরোনামে নিউজ করেছি।এটার সত্যতা বিষয়ে লেখা হয়নি।

তিনি আর ও বলেন, শেকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি পুরো নিউজ না পড়ে বা না বুঝে আমাকে ফোন দিয়ে একজন সভাপতি হয়ে অমার্জিত ভাষায় গালি দিতে পারে না।শেকৃবি ছাত্রলীগের মতো এতিহ্যবাহী সংগঠনের গুরুদায়িত্ব যার হাতে তার কাছে এমন ব্যবহার আশা করা যায় না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ নেতার বিচার কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *