সামাজিক সচেতনতা বোধই হতে পারে ধর্ষণ রোধের একমাত্র উপায়

সামাজিক সচেতনতা বোধই হতে পারে ধর্ষণ রোধের একমাত্র উপায়

সবাই দেখছি নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করছে,
রক্ত মাংসে গড়া মানুষ হিসেবে আমারও তো তাহলে একটা প্রতিবাদ করা দরকার??
এই নৃশংস ন্যাককারজনক বর্বরতার বিরুদ্ধে একটা প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার???

কিন্তু প্রশ্ন হলো আমি কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব??
ধর্ষক নাকি ধর্ষিতার??
পরিবার নাকি পিতামাতার??
সমাজ নাকি দেশমাতৃকার??
আচ্ছা প্রতিবাদ না হয় করলাম কিন্তু প্রতিরোধ?? কে সঙ্গ দিবে আমায়??
ধর্ষক নাকি ধর্ষিতা??
পরিবার নাকি পিতামাতা??
সমাজ নাকি দেশমাতৃকা??

আমি কনফিউসড!!!
কেউ কি দিতে পারবে আমায় এইসব অদ্ভুত প্রশ্নের সঠিক উত্তর??
জানি পারবে না।
কারণ,আমরা প্রত্যেকেই একেকটা ধর্ষক
আর মনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষিতা ।

তাই বলি কি,
শুধু শুধু মিথ্যে প্রতিবাদ না দেখিয়ে
সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সচেতন হোন ।
আগে নিজেকে সচেতন করুন,
সচেতন করুন নিজের পরিবারকে
সচেতন করুন নিজের আশপাশকে
সচেতন করুন নিজের বন্ধুদেরকে
যারা মেয়ে দেখলেই অশ্লীল কথা বলে।
সচেতন করুন নিজের বন্ধুদেরকে
তারা যেন সঠিক পরিমার্জনায় চলে ।

আমি জানি আপনাদের এই সচেতনতাকে কেন্দ্র করে আরও কিছু উগ্র সচেতনতাবিদ তৈরি হবে।
কিন্তু তবুও একমাত্র সচেতনতাই পারে,
আমাদের সমাজ,দেশ,পৃথিবীর এই নির্মম অবস্থার পরিবর্তন করতে ।
অরাজকতার সাম্রাজ্যকে তিল তিল করে বিনাশ করতে ।

যদি এমনটা না হয় তবে কখনোই হয়ত,
আমাদের পিতামাতা আমাদের চলার শুরুতে
আমাদের তর্জনী শক্ত করে ধরে চলতে শিখতেন না ।
ছুঁড়ে ফেলে দিতেন করিডোর কিংবা বারান্দায়
পরে শিখে নিতাম আমরা স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় ।

যাই হোক দিনশেষে আমিও আপনাদের মতোই
সকল প্রকার অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা চাই ।
যারা অপরাধ করেছে।
যারা অপরাধ চোখ বুঝে দেখেছে।
যারা অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
যারা অপরাধে সঙ্গ দিয়েছে।
যারা অপরাধ করতে শিখিয়েছে।
যারা অপরাধ ভোগ করেছে ।

[ধর্ষককে তোমরা কেউ দিও নাকো ফাঁসি,
ধর্ষক আছে বলেই তো আমি ও আমার দেশ একসাথে হাসি।]

লেখক
আবুবকর সিদ্দিক শিবলী

শিক্ষার্থী, বশেফমুবিপ্রবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *