সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রীর রহস্যজনক ‘মৃত্যু’

সুনামগঞ্জে কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক- মৌসুমি দাস (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি দিরাই সরকারি কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাইয় উপজেলার পজেলার করিমপুর ইউনিয়নের টুকদিরাই গ্রামের নিজ বাড়িতে ওই কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মৌসুমি। তবে এ নিয়ে প্রতিবেশি ও স্বজনরা বলছেন ভিন্ন ভিন্ন কথা । আর এসব নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, নিহত মৌসুমির বাবা রনদা প্রসাদ দাসের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আন্দাবাজ গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরালয় টুকদিরাই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।

গত শুক্রবার মৌসুমি ও তার বাবাকে রেখে তার মা শাল্লা উপজেলার শাশখাইগ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পাশের ঘরেই থাকেন মৌসুমির দুই মামা অম্লান দাস ও অমিত দাস। মা বাড়িতে না থাকায় মামাদের ঘরেই খাবার খেতে হচ্ছে বাবা ও মেয়েকে।

নিহত মৌসুমির বাবা রনদা প্রসাদ দাস বলেন, ‘ আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে মেয়েকে বাড়িতে রেখে ডিম নিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে যাই। ১১টার দিকে ফিরে এসে দেখি আমার শ্যালক অমিতসহ অনেকেই মৌসুমির চোখে-মুখে পানি ঢেলে তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছেন। এসময় অমিত বলে, মৌসুমি অসুস্থ হয়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌসুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, ‘মৌসুমির বাবা আমাদের জানিয়েছেন, তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে আমি হাসপাতালে এসেছি।’

এ ব্যাপারে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নজরুল বলেন, ‘আমরা গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় কোনো লাশ দেখিনি। তাই এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারছি না। লাশটি হাসপাতালে নিয়ে এসে নিহতের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে খবর দেয়। এখন ময়নাতদন্তে মৌসুমির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে প্রেরণ করা হচ্ছে।’

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment