স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর মৃত ভেবে পুকুরে নিক্ষেপ, আটক ২

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর মৃত ভেবে পুকুরে নিক্ষেপ, আটক ২

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে দেয় ধর্ষণকারীরা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে দিনাজপুরের সদর উপজেলার সুন্দরা মংলা প্রাইমারী স্কুলের মাঠ থেকে এজাহারভুক্ত আসামিসহ দুই জনকে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, ধর্ষণের পর মৃত ভেবে স্কুলছাত্রীকে পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

আটককৃত দুই জন হলো- সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকসেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও সুন্দরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে রানা (২৪)।

এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরা জুলকাপাড়া গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোকছেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করা হয়।

জানা গেছে, বিজয় দিবস অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে দেয় স্কুলছাত্রীকে। পরে জ্ঞান ফিরলে কোনও রকমে ওই ছাত্রী বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে এবং মারধরে গুরুতর আহত হওয়ায় পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে র‌্যাব জানিয়েছে, এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মোকসেদুল ইসলাম টুকলু। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ রানা ওরফে রানাও সংঘবদ্দ ধর্ষণে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে জানানো হবে। র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে,বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিলো দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এসময় মঙ্গলার বাজার এলাকায় আলতাফ নামে এক ব্যক্তির সারের দোকানের সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছালে তিনজন তাকে জোর করে ধরে চ্যাঙদোলা করে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। পুকুরটি রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ গজ উত্তরে পাথারিয়া এলাকায়। সেখানে ওড়না দিয়ে ভিকটিমের মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। এক ওই স্কুলছাত্রী জ্ঞান হারালে ধর্ষণকারীরা তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মৃত ভেবে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *