স্ত্রীর বুদ্ধিতে চালিত প্রাণী গাড়ল!

স্ত্রীর বুদ্ধিতে চালিত প্রাণী গাড়ল!

সাগর দে


গালিবিশেষ স্ত্রী বা অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত ব্যক্তিকে গাড়ল বলা হয়। আবার মূর্খ বা নির্বোধ লোকটি নতুন শহরে আসা ব্যক্তিদের মতো গাড়ল নয়। এভাবেও এই শব্দ ব্যাবহার করা হয়।

তবে গালিবিশেষ বা প্রবাদ বাক্য ছাড়া প্রকৃত অর্থে গাড়ল পাওয়া যায়! হা গাড়ল মেষ, ভেড়া, গড্ডল এর মতো একটি প্রাণী।

এই গাড়ল পালন করেছেন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সাইফুল শেখ। তিনি জানান শখের বসে মেহেরপুর জেলা থেকে তিনি এই গাড়ল ক্রয় করেন। এবং গাড়লের মাংস ভেড়ার মাংসের মতো সুস্বাদু, পালনে সুবিধা ও পালনে লাভজনক বলে তিনি এই গাড়ল পালন করেছেন।

জানা যায়, গাড়ল রাজশাহী অঞ্চলের একটি ভেড়ার জাত। দেখতে সাধারণত ভেড়ার মতোই লাগে কিন্তু ভেড়া নয়, আকারেও ভেড়ার চেয়ে কিছুটা বড়। এরা লোনা পানি এলাকায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে।

এগুলো আসলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগপুর অঞ্চলের ছোটনাগপুরি জাতের ভেড়ার সঙ্গে আমাদের দেশি ভেড়ার ক্রস ব্রিড। এই ক্রস ব্রিডের নামকরণ করা হয় ‘গাড়ল’ (গাড়ল এবং ভেড়ার সমন্বয়ে জন্ম নেওয়াকে ক্রস ব্রিড বলা হয়েছে)। এরা সাধারণত ৭-৮ মাস পর পর একটি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।

জানা যায়, বাণিজ্যিকভাবে দেশে বেশি বেশি গাড়লের খামার গড়ে উঠলে মাংসের চাহদিা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব হবে। গরু, মহিষ, ছাগল- এই প্রাণীগুলোর মাংসের তুলনায় ভেড়া ও গাড়লের মাংস বেশি স্বাস্থ্যসম্মত বলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত।

গাড়লের খাদ্য সম্পর্কে শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, গাড়ল সাধারণত ভেড়ার মতো কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার খাবার, চিটাগুড়, পানিসহ নানা ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। অন্যান্য গৃহপালিত পশু থেকে গাড়ল খাদ্য খুব কম নষ্ট করে।

গাড়ল সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের অভিমত, বাণিজ্যিকভাবে দেশে বেশি বেশি গাড়লের খামার গড়ে উঠলে মাংসের চাহদিা পূরণ করে বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব হবে। গরু, মহিষ, ছাগল- এই প্রাণীগুলোর মাংসের তুলনায় ভেড়া ও গাড়লের মাংস বেশি স্বাস্থ্যসম্মত বলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত। গাড়ল সাধারণত কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার খাবার, চিটাগুড়, পানিসহ নানা ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। অন্যান্য গৃহপালিত পশু থেকে গাড়ল খাদ্য খুব কম নষ্ট করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *