স্বাস্থ্যের স্টোর কিপারও কোটিপতি !
![স্বাস্থ্যের স্টোর কিপারও কোটিপতি !](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/07/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-health-ministry-.jpg)
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী থেকে হাসপাতালের সচিব কে নেই কোটিপতির তালিকায়।একদিনের ব্যবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪৫ থেকে বেড়ে ৮৫ অস্বাভাবিক সম্পদশালী ও কোটিপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুদক।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদকের সিনিয়র সচিব বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২১ কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনসহ মোট ৪৩ জনের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, উপরস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই দুর্নীতির সিন্ডিকেট আজ প্রাতিষ্ঠানিক রুপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে ড্রাইভার মালেক গ্রেফতারের পর দুদক কার্যালয়ে এসে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, দুর্নীতিবাজরা অবৈধ সম্পদ রক্ষায় সন্ত্রাসী ও ক্যাডার বাহিনীকে মদদ দিচ্ছে। এদিকে স্বাস্থ্যের ২১ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার পরিজনসহ ৪৩ জনের সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক।
একদিনের ব্যবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪৫ থেকে বেড়ে ৮৫ অস্বাভাবিক সম্পদশালী ও কোটিপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুদক। এ তালিকায় নাম রয়েছে অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ড্রাইভার, অফিস সহকারী থেকে স্টোর কিপার।
আবার সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কোটিপতি বনে গেছেন। প্রত্যেকের নামেই রয়েছে অস্বাভাবিক সম্পদ উপার্জন, বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ।
শত কোটি টাকার মালিক স্বাস্থ্যের ড্রাইভার মালেক গ্রেফতারের পর সামনে আসা দুর্নীতি করে কোটিপতি হওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকাটা বেশ লম্বা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব দিলোওয়ার বখত বলেন, ৪৫ জনের তালিকার বাইরে পরবর্তীতে তিনটা বিষয় এসেছে। একটি হলো মাস্ক, পিপিই ও যন্ত্রপাতি। তারপর এসেছে রিজেন্ট ও জেকেজি এগুলো তদন্ত করতে গিয়ে আরও বিভিন্ন লোকের নাম এসেছে।
এদিকে দুদক কার্যালয়ে এসে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, দুর্নীতি দমনে এক সাথে কাজ করবে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বাস্থ্য খাতে সিন্ডিকেটের জেরেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখানে সিন্ডিকেটরা সুপ্রতিষ্ঠিত। এখন পর্যন্ত যাদেরকে আটক করা হয়েছে; তারা নিম্ন শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদেরকে চিহ্নিত করে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।
স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সনাল বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যে পরিমাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন; তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।রাঘব বোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।