হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রহরীর মামলা
![হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রহরীর মামলা](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/07/JPEG_20200728_224134_436022975391974454.jpg)
যবিপ্রবি প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেকশন অফিসার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে গত সোমবার যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সিনিয়র নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদল। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন পিবিআইকে।
মামলার নালিশের বিবরণীতে বাদী বদিউজ্জামান বাদল জানান, গত ১৯ জুলাই রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদের আপগ্রেডেশনের জন্য রেজিষ্ট্রারের নিকট আবেদনপত্র জমা দেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০ জুলাই সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনায় বসেন। আবেদনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আলোচনার ফলাফল সেকশন অফিসার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বাদলকে উপর্যুপরি কিল ঘুষি মেরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং গলা চেপে ধরেন। বাদলের পকেটে থাকা অসুস্থ গাড়িচালক জাহাঙ্গীর হোসেনের চিকিৎসার জন্য রক্ষিত ১০৫০০ টাকা ঘটনাস্থলে পড়ে গেলেও পরে আর পাননি বলেও অভিযোগ করেন। এ সময় কর্মকর্তা কামরুল হাসান তাকে খুন-জখমের হুমকি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ আছে।
উল্লেখ্য যে, সেকশন অফিসার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের কক্ষ ভাঙচুর ও তাঁকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গত ২১ জুলাই মঙ্গলবার তিনি ছয় জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এসময় নিরাপত্তা প্রহরী বদিউজ্জামান বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, সদস্য কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী পিইঞ্জ ও সদস্য-সচিব কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম সাজেদুর রহমান জুয়েল। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর জমা দিতে বলা হয়েছে।