শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

মধুমাসের আগমনী সুর বেজেছে হাবিপ্রবিতে

  • আপডেট টাইম বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০, ৫.১৯ পিএম

তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবি


ষড়ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশ। দুটি মাস নিয়ে প্রতিটি ঋতুর ঘটে আগমন। তারই ধারাবাহিকতায় শীতের আমেজ কাটিয়ে কোকিলডাকা বসন্তের প্রাক্কালে গাছে গাছে ফুটেছে নানান ফুল। ঝড়ে পড়া গাছে গজিয়েছে নতুন পাতা।

গুনগুনিয়ে এক ফুল থেকে অপর ফুলে ছুটে চলেছে মৌমাছিদের দল। প্রকৃতি সেজেছে এক অপরুপ সাজে। প্রকৃতির এ প্রেমে মজে রচিত হয়েছে অসংখ্য গান, হাজারো কবিতা। বাংলার এই রুপে মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই বাংলার মাটি বাংলার জল তাই সকল বাঙালির হৃদয়ে গাথা।

প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বিলম্ব করেনি কৃষকনেতা হাজী দানেশের নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মধুমাসের আগমনী বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমগাছগুলো মুকুলদিয়ে নিজেকে সাজিয়েছে বধুরুপে। আম, জাম, লিচুসহ প্রতিটি ফলজ ও বনজ বৃক্ষে তাই নতুন মুকুলে ছেয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ। মুকুলের রঙ আর গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে প্রজাপতি আর মৌমাছিরা ডানা মেলে ছুটছে তার পানে।

ড. এম. ওয়াজেদ ভবনের পাশে, টিএসসি হতে আইভি রহমান হল, সুফিয়া কামাল হতে ডিভিএম মসজিদ, ভিসি বাসভবন থেকে সেন্ট্রাল মসজিদ। , ছাত্র হলগুলোর পাশে সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেনো সবুজ আর হলুদের সোনামাখা মিশ্রণ। মুকুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি ডালপালা। আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে তবে দেখা মিলবে চোখ ধাধানো আম, জাম আর লিচুর থোকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আমরুপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি সহ দেশি প্রজাতির আমের গাছ। সংখ্যা বেশি হওয়াই অপরিপক্ক অবস্থাতেই ইতি ঘটে এসব ফলের। তাই মামার বাড়িতে না গেলেও পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার মতো আম কুড়ানোর সুখ কেউ মিস করতে চায় না এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা।

বেশিরভাগ সময় ফল পাকার মুহুর্তে সেমিস্টারের বিরতিতে বন্ধ হয় ক্যাম্পাস, শুরু হয় নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা, তাই আর ভাগ্যে জোটেনা ক্যাম্পাসের আম-লিচুর স্বাদ নেওয়া। এ নিয়ে মধুর আক্ষেপও শোনা যায় কারো কারো মুখে।

The Campus Today YouTube Channel

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_creativenews_II7
All rights reserved © 2019-20 The Campus Today