হাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ১
হাবিপ্রবি টুডেঃ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে মাহমুদুল হাসান শাকিল নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) ‘ডি’ ইউনিটের ৩য় শিফটের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ড. এম. এ ওয়াজেদ ভবনের ৪০৩নং রুম থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী শাকিলকে আটক করা হয়।
আটককৃত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী শাকিল জবানবন্দীতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং অসদুপায়ে তাকে সহায়তায় আমিনুল ইসলামের নামের একজনের কথা জানান।
আটককৃত পরীক্ষার্থীর নাম পিতা মো. হাবিবুর রহমান, মাতা. মুসলিমা ইয়াসমিন, বাসা. সরিষাবাড়ি, জামালপুর। ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ৪১৯৩৭৯।
ওই ৪০৩ নং কক্ষের ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষার ১০-১৫ মিনিট আগে ফেরোজা কালারের একজন এসে ওই শিক্ষার্থীকে দাগ দেওয়া একটি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে। প্রশ্নপত্রটি পেয়ে ওই শিক্ষার্থী নিজের প্রশ্নপত্রটি ভাঁজ করে পকেটে রেখে দেয় এবং দাগদেয়া প্রশ্নপত্রটি দেখে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পূরণ করতে থাকে। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে সিট পরিবর্তন করে অন্য একটি সিটে দেয়া হলে সেখানেও সে দেখে দেখে দাগ দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, প্রতিবাদ করলেও হলেও কোন স্যার-ম্যামরা এগিয়ে না আসলে আমরা ওএমআর রেখে প্রশ্নপত্র জমা দিতে যাই। তখন স্যার-ম্যামরা সময় শেষ বলে প্রশ্ন ও ওএমআর দুটোই জমা নিয়ে নেয়। অভিযুক্ত ভর্তিচ্ছুর অন্য আরেকটি ভবনে সিট হলেও সে এ ভবনে নিয়ম ভঙ্গ করে বসছিল বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমিনুল ইসলাম নামের ঐ ব্যক্তির মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলে তিনি তা কেটে দেন পরে মেসেজ করে কথা বলতে চাইলেও তাঁর কোন উত্তর তিনি দেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন জানান, ‘আমরা অভিযোগ পেয়ে শাকিল নামের ওই পরীক্ষার্থীকে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে। আপাতত ঐ ছাত্রকে পুলিশি হেফাজতে দেয়া হয়েছে।’
সংবাদ প্রেরক দ্য ক্যাম্পাস টুডের হাবিপ্রবি প্রতিনিধি তানভির আহমেদ।
