১১ বছরেও সমাধান হয় নি আবাসন সংকটের

১১ বছরেও সমাধান হয় নি আবাসন সংকটের

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) আইনের ৪১নং ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় বিধান দ্বারা নির্ধারিত স্থান ও শর্তাধীনে বসবাস করার নিয়ম রয়েছে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১১ বছর পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সুবিধা সুনিশ্চিত করতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ১২,০০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৩ টি ছাত্র হল এবং ২ টি ছাত্রী হলে মাত্র ২০০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৬ শতাংশ।

এছাড়া, ইউজিসির ২০১৯ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১০৯৮৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ১৯৪৭ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তক আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। অর্থাৎ এই প্রতিবেদন অনুযায়ী মাত্র ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতাভুক্ত। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদন ২০১৩ অনুযায়ী বশেমুরবিপ্রবিতে ৩৬.৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতায় ছিলো। অর্থাৎ গত আট বছরে বশেমুরবিপ্রবিতে আবসন সুবিধা কমেছে প্রায় ১৮.৭৩ শতাংশ।

ইউজিসি কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৩ সালের প্রতিবেদন এবং ২০১৯ সালের প্রতিবেদন তুলনা করলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ৩১.৫০ শতাংশ ছাত্র আবাসন সুবিধা পেতো যা ক্রমান্বয়ে কমে ২০১৯ সালে হয় ১৪.৩৬ শতাংশ। এছাড়া ২০১৩ সালে ৪৯.৭২ শতাংশ ছাত্রী আবাসন সুবিধা পেতো যা ক্রমান্বয়ে কমে ২০১৯ সালে হয় ২৬.১৫ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলেই ক্রমান্বয়ে আবাসন সংকট প্রকট হয়েছে। ইউজিসি কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বশেমুরবিপ্রবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা ছিলো ৬৭০টি; যা মাত্র ৭ বছরেই প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে। বশেমুরবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে স্নাতক প্রথম বর্ষে আসন সংখ্যা রয়েছে ২ হাজার ৯৯২টি।

আবাসন সঙ্কট নিরসনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, হল না পেলে এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। নতুন হলের জন্য ইউজিসির কাছে আমরা এপ্লাই করবো। এজন্য আমাদের মাস্টার প্ল্যান আছে।এই প্ল্যানের মধ্যে নতুন হল, একাডেমিক বিল্ডিং সহ অনেক কিছু হবে। হল বাড়ালেই অনেকাংশে আবাসন সংকট নিরসন হবে। আর নতুন যে হল হবে তা আগের মতো পাঁচতলা বা ছয় তলা হবে না। দশ তলা বিশিষ্ট হল হবে এবং এতে লিফ্ট থাকবে। তবে এটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এজন্য বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *