১৭৫ একর যেন সবুজের স্বর্গভূমি

১৭৫ একর যেন সবুজের স্বর্গভূমি

ইমানুল সোহান, ইবি: ফাল্গুনের দিন ফুরিয়ে চৈত্র এসেছে প্রকৃতিতে। ঝরা পাতার মরমর শব্দ ফুরিয়ে প্রকৃতি সেজেছে সবুজের আবহে। এইতো কয়েকদিন আগেও প্রকৃতি ছিলো নিঃপ্রাণ। ঋতু বদলের সাথে গাছগুলো রূগ্নতা থেকে হয়েছে সজীব।

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুচক্রের খেলায় শীতকালের পরেই আসে বসন্তকাল। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গুন-চৈত্র এই দুই মাস সময় হলো বসন্তকাল।

পাতাঝরা গাছের ডালে ডালে নতুন পাতার সমাগমে, ফুল গাছের শত ফুল ফোটার মাধ্যমে এবং কোকিলের সুমধুর ডাকে বসন্তকাল প্রকৃতির নিজস্ব ধারাবাহিকতায় আবির্ভূত হয়। বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে বসন্তকালে প্রকৃতি হয়ে ওঠে সুন্দরের এক অপরূপ ভাণ্ডার।

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীরও ব্যাপক পরিবর্তন হতে থাকে। প্রকৃতি আবার সবুজ শ্যামল হয়ে ওঠে; বাতাসের অবস্থারও ব্যাপক পরিবর্তন হয়। প্রকৃতি যেন আবার তার পূর্ণতা ফিরে পায়।

ফাল্গুন মাসের শুরু থেকে চৈত্র মাসের শেষ অবধি পর্যন্ত কোকিলের কুহুতান, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার প্রাণখোলা হাসি আর প্রকৃতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা যেন এক স্বর্গীয় পরিবেশের সৃষ্টি করে তোলে।

সেই স্বর্গীয় রূপে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একর সেজেছে। ক্যাম্পাসের মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুলসহ কয়েক প্রজাতির গাছগুলো রূগ্নতা থেকে নৈসর্গিক রূপে ফিরেছে। যে দিকেই তাকাবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। কচি পাতায় ভর করে গাছগুলো মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বহুগুনো।

ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর, ঝালমুড়ি চত্বর, প্যারিস রোড, ভিসি বাংলোর রাস্তা, জিয়া মোড় রাস্তা, হল সংলগ্ন রাস্তাগুলো সেজেছে নতুন রূপে। জিয়া মোড় সংলগ্ন রাস্তাটির দু’পাশে দাড়িয়ে থাকা মেহগনি গাছগুলো মুদ্ধতা ছড়াচ্ছে বেশি। কচি লালচে আবরনে পাতাগুলো দেখে সবাই মুগ্ধ হচ্ছেন। ক্যামেরা ক্লিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফ্রেমবন্দি করছেন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ বসন্তের আগমন এর সাথে সাথেই সবুজ কচি পাতায় সজ্জিত হতে দেখা যাচ্ছে গাছগুলোকে। এ যেন প্রকৃতির নিয়মিত আয়োজন। স্নিগ্ধ প্রকৃতিতে হরেক রকম পাখির কলতান যুক্ত করেছে মনোরম আবেশ। বিকেল হলেই ক্যাম্পাস যেন নৈসর্গিক রূপ ধারণ করে।’

তবে করোনাকালীন সময়ে বন্ধ ক্যাম্পাসে প্রকৃতি যেন নিরবে হাজির হয়েছে। শিক্ষার্থী ছাড়া শূণ্য ক্যাম্পাসে প্রকৃতির রূপ যেন অধরাই থেকে যাচ্ছে। রাস্তাগুলো পড়ে থাকছে নিরবেই।

সড়কের দুই পাশে সারি সারি গাছের পাতারা প্রাণের উল্লাসে শুধু নিজেরাই গাইছে, প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে মোরে আরও আরও আরও দাও প্রাণ।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *