১৮-তে পা রাখলো চুয়েট

১৮-তে পা রাখলো চুয়েট

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

১৮ বছরে পা রাখলো পাহাড়ের কোলঘেষে অবস্থিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। ২০০৩ সালের এইদিনে (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চুয়েটের যাত্রা।

যদিও এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ‘চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই ‘বিআইটি, চট্টগ্রাম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল।

করোনার কারণে আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম দিবস উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষ্যে সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-আনন্দ র‌্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা প্রভৃতি। এসব অনুষ্ঠানে চুয়েটের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।

চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন প্রায় ১৭১ একর জমির উপর মনোমুগ্ধকর নৈসর্গিক পরিবেশে চুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত। বর্তমানে চুয়েটে ৫টি অনুষদ, ১৮টি বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট, ৩টি গবেষণা সেন্টার এবং ৭টি আবাসিক হল (৫টি ছাত্র হল ও ২টি ছাত্রী হল) রয়েছে।

চুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন। এছাড়া ২৮৫ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা ও ৩৫০ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এখানে প্রতিবছর চারটি অনুষদের অধীনে ১২টি বিভাগে মোট ৮৯০ আসনের বিপরীতে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়।

বিভাগসমূহ হচ্ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এছাড়া নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিজেস্টার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পৃথক পোস্ট গ্যাজুয়েট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে, নন-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ হচ্ছে-পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত ও মানবিক বিভাগ। চুয়েটের গবেষণা ইনস্টিটিউটসমূহ হচ্ছে-ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি টেকনোলজি, ইনস্টিটিউট অফ আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি।

গবেষণা সেন্টারসমূহ: সেন্টার ফর রিভার, হারবার, এন্ড ল্যান্ড-স্লাইড রিসার্চ, সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রবলেম্স রিসার্চ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ। পাশাপাশি ব্যুরো অফ রিসার্চ, টেস্টিং এন্ড কনসালটেন্সি (বিআরটিসি) নামে পৃথক একটি সেন্টারের মাধ্যমে সারাদেশে বিবিধ শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *