২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক স্কুলই ডিজিটাল একাডেমি গড়ে তোলার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
![২০৩০ সালের মধ্যে সব মাধ্যমিক স্কুলই ডিজিটাল একাডেমি গড়ে তোলার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর](https://thecampustoday.com/wp-content/uploads/2020/06/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-hasina.jpg)
ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক
৪র্থ শিল্প বিপ্লবে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি অ্যান্ড সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থাটির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল কো-অপারেশন : অ্যাকশন টুডে ফর ফিউচার জেনারেশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রচারিত ভিডিও বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল সেবার শক্তি প্রকাশের পাশাপাশি বিশ্বে ডিজিটাল বৈষম্যের স্বরূপও উন্মোচন করেছে। বিশ্বের অর্ধেক মানুষেরই মৌলিক ইন্টারনেট সেবায় প্রবেশাধিকার নেই। আমাদের অবশ্যই এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকারের উদ্যোগের ফলে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণের দিক দিয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৩৪ লাখের ওপরে।আমাদের ডিজিটাইজেশন আমাদের জনগণকে ‘চেঞ্জ-মেকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় তা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এটা এসডিজি বাস্তবায়ন এবং কভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়েও সহায়তা করছে।
সেই জায়গা থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি অ্যান্ড সেন্টার অব এক্সিলেন্স গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হলিন ঝাও-এর যৌথ আমন্ত্রণে এই ইভেন্টে যোগ দেন।