৫০ বছর মেয়াদী ‘মেগা-প্ল্যান’র মডেল উন্মোচন করল রাবি

৫০ বছর মেয়াদী ‘মেগা-প্ল্যান’র মডেল উন্মোচন করল রাবি

রাবি প্রতিনিধি: শিক্ষার গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধন ও সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পঞ্চাশ বছর মেয়াদী একটি মেগা-প্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে লবিতে স্থাপিত এই মাস্টার প্ল্যানের একটি ত্রি-মাত্রিক মডেল উন্মোচন করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। এসময় মাস্টার প্ল্যানের গ্রন্থিত কপিটিরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মোড়ক উন্মোচনকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুস সোবহান বলেন, উন্নয়নের এই মহাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুনগতমানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই মেগা-প্ল্যানটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। মেগা প্ল্যানটি দেশের অন্যতম প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অত্যাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত করবে বলেও জানান তিনি। এসময় মেগা-প্ল্যানের প্রণয়ন কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আজিজুর রহমান, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, ইন্সটিটিউট পরিচালকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫০১তম সভায় এই মাস্টার প্ল্যানটি অনুমোদিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এই মেগা প্ল্যানটি প্রণয়ন করেন। যেটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রায় ৭৫০ একর এলাকাকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করেছে। যেখানে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে মূল তিনটি বিষয়কে। যার মধ্যে রয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কৌশলগত এবং স্থানিক পরিকল্পনা। যেখানে প্রথম পর্যায় ১০ বছর মেয়াদী (২০২০-২০৩০), দ্বিতীয় পর্যায় ২০ বছর মেয়াদী (২০৩১-২০৫০) এবং সর্বশেষ আরেকটি তৃতীয় পর্যায়ে ২০ বছর মেয়াদী (২০৫১-২০৭০) মাস্টার প্ল্যানটি বাস্তবায়িত হবে।

গুণগত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই মাস্টার প্ল্যানে যে সকল পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- একাডেমিক ও প্রশাসনিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, গ্রন্থাগার আধুনিকীকরণ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাট ও উন্মুক্ত স্থানের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, আধুনিক জিমনেশিয়াম স্থাপন, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ড্রেনেজ, বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *