নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি
চলমান পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত ১৭ মে থেকে হল এবং ২৪ মে থেকে ক্যাম্পাস খোলা হবে কিনা এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) কর্তৃপক্ষ।
দেশব্যাপি করোনা মহামারি বেড়ে যাওয়ায় এবং আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত না হওয়ায় এখনই হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীদের দাবি জট নিরসনে নতুন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।কুইজ টেস্ট,এসাইনম্যান্ট,অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে ফেলার দাবি শিক্ষার্থীদের।
এবিষয়ে চবি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড.এস এম মনিরুল হাসান বলেন, “সরকার থেকে ছাত্রদের টিকা দেওয়ার কথা ছিল।টিকা না দিয়ে ছাত্রদের হলে দেওয়া এই পরিস্থিতিতে কোন বিবেচনাপ্রসূত কাজ হবে না।আমরা দেখি ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের কি নির্দেশনা দেয়।আমদের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।এখন কিছু বলা যাচ্ছে না ।’’
গত ২২ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয় ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে এবং ১৭ মে থেকে হল খুলে দেয়া হবে।হল খোলার আগে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা নিশ্চিত করা হবে।এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরই সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা নিতে হবে।এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়ে চলামান ও অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা স্থগিত করে চবি কর্তৃপক্ষ।জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তঅনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।এছাড়াও,টিকা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়।