জুনের তৃতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা দিতে চান ইবি শিক্ষার্থীরা

ইবি প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যখন পরীক্ষার পদ্ধতি (অনলাইন বা সশরীর) ও দিনক্ষণ নির্ধারণে ব্যস্ত ঠিক তখনই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অনেকটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। কবে শুরু হবে তাদের পরীক্ষা! কবে শেষ হবে শিক্ষাজীবন!

জানা যায়, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি অনলাইন অথবা সশরীরে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল ও আটকে থাকা পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে পদ্ধতিতেই পরীক্ষা গ্রহণ করুক না কেন তা অবশ্যই সিনেট অথবা একাডেমিক কাউন্সিলে (এসি) পাস হতে হবে।

সে অনুযায়ী ইবি প্রশাসন অনুষদসমূহে বিভাগগুলোর পরামর্শ জানতে চিঠি পাঠায়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো একাডেমিক মিটিং সম্পন্ন করেছে। অধিকাংশ বিভাগ শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার এবং দ্রুত পরীক্ষা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের দিকে সশরীরে কিংবা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত আসতে পারে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা থেকে। এদিকে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা শুরু করলে ঈদের আগেই তা শেষ হবে। আর জুলাইতে শুরু করলে পরীক্ষাগুলো ঈদের পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আমরা জুনের তৃতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা দিতে চাই। আমরা যখন পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে ব্যস্ত।

পরীক্ষার বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আকখার হোসেন আজাদ বলেন, ‘ সময় যত গড়াবে করোনার অযুহাত তত বাড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আর জুলাইতে তো ঈদের অযুহাত রয়েছেই।’

পরিসংখ্যান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহাদত রাজিন বলেন, ‘ জুনের তৃতীয় সপ্তাহে সশীরে পরীক্ষা দিতে চাই। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখছি না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত সেখানে ইবি এখনো তারিখে দিতে পারেনি। বিষয়টি দুঃখজনুক।’

লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম মোর্শেদ হিমু বলেন, ‘ জুনে পরীক্ষা শুর হলে আমরা বিসিএস আবেদনটি করতে পারবো। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পরীক্ষাগুলো গ্রহণের ব্যবস্থা করুন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান বলেন, ‘ আগামী ১৯ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ এ মাসের ১৯ তারিখে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আশা করছি জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

Scroll to Top