ডিএনএ দিবস: জেনেটিক সঞ্জার আনলক, ৭০ বছরের জিনতত্ত্ব উদ্ভাবন রহস্য!

ডিএনএ দিবস: জেনেটিক সঞ্জার আনলক, ৭০ বছরের জিনতত্ত্ব উদ্ভাবন রহস্য!

আল কাফি, বশেমুরকৃবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিজিই তথা তোফাজ্জল ইসলাম এর উদ্যোগে যথোপযুক্ত ভাবে দিনটি পালিত হয়। সেমিনারটি সবার জন্য মুক্ত ছিল, নিবন্ধন ব্যতিত। সেমিনারে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানভীর হোসাইন, প্লান্ট ব্রিডার, সায়েন্স রাইটার; অধ্যাপক মো: রিয়াজুল ইসলাম পিএইচডি, বিএমবি,ডিইউ; সহযোগী অধ্যাপক ড. মুনিমা হক, বায়োটেকনোলজি প্রগাম, ব্রাক ইউনিভার্সিটি।

মুল আলোচক হিসেবে ছিলেন আইবিজিই এর প্রতিষ্ঠা পরিচালক, অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম, পিএইচডি, ফেলো অফ বিএএস, এপিএস, টিডব্লিউএএস, আইবিজিই। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অনেকেই।

শুরুতে, সহযোগী অধ্যাপক মুনিমা হক, ডিএনএ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদান তুলে ধরেন। ন্যানোমেটেরিয়ালস, হেলথ ফিজিক্স, ক্যান্সার বায়োলজি, বায়ো ন্যানোটেকনোলজি, নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন ফিজিক্স, রেডিয়েশন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন।

এরপর, ড. তানভীর হোসাইন এর একটি চমৎকার অডিও ক্লিপ শোনানো হয়, যা ডিএনএ এর গঠন ও তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। এবং ভবিষ্যতে হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ডিনএ তে তথ্য সংরক্ষণের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। টেকনোলজিকাল সিংগুলারিটির ধারণাও ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি আলোচক প্রফেসর রিয়াজুল ইসলাম, এ্যন্টিবায়োটিক আবিষ্কার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তাঁর নতুন আবিষ্কৃত হোমিকরসিন এর আবিষ্কার ও কার্যকরীতা তুলে ধরেন।

মুল আলোচক স্পিকার হিসেবে প্রফেসর তোফাজ্জল ইসলাম ডিএনএ গবেষণার আদ্যপান্ত আলোচনা করেন। বাংলাদেশে এবং তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ব্যাপরে আলোকপাত করেন। বারোমাসি এই কাঁঠালের জীবনরহস্য উন্মোচনের (জিনোম সিকোয়েন্সিং) কাজটির গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমরাই পৃথিবীতে প্রথম বারোমাসি কাঁঠালের একটি জাতের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি। এই জাতের কাঁঠাল সারা বছর ফল দেয়। ফলন মৌসুমি কাঁঠালের চেয়ে চার গুণ বেশি। ফলটির স্বাদ ও পুষ্টিগুণ খুব ভালো।

এ সময় প্রফেসর বলেন যে, গোল্ডেন রাইস বাজারে আসা এখন সময়ের ব্যাপার। ক্রিসপার কাস জিনোম এডিটিং এর সম্ভাবনার ব্যাপারেও আলোচনা করেন। জিনোম এডিটিং ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত গমের ব্লাস্ট রোগ নির্ণয়ের তাদের উদ্ভাবিত কিটটি আফ্রিকা এশিয়া এবং বিশ্বব্যাপী প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং অনুদানকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক মতিউর রহমান খান (ভারত) সহযোগী অধ্যাপক দিপালি রানি গুপ্তা (আইবিজিই), শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রশ্নোত্তর এবং কুইজ সেশনের মাধ্যমে ওয়েবিনারটি শেষ হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *