যশোরে জেএমবি সদস্যের ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত
সারাদেশ টুডে: যশোরের বহুল আলোচিত অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় জেএমবির শিশু সদস্য শহিদুল্লাহকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুটি মামলার চারটি ধারায় তাকে যথাক্রমে ১০, ৭, ৩ ও ২ বছর করে মোট ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
আজ বৃহস্পতিবার যশোরের শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুন আলাদা রায়ে এ সাজা ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৩ সালে ৯ মার্র্চ ঝিকরগাছার বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও মোক্তার হোসেন সমন ডিউটিতে মাটিকুমড়া গ্রামের দিকে যান। এ সময় তারা মোটরসাইকেলসহ জাহিদুল ইসলাম সুমন ও শহিদুল্লাহকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে দুই দেশী পিস্তল, ৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৬৫টি গুলির খোসা, ১৭টি পিস্তলের গুলির সীসা, ৭টি সুইচ লাগানো তাজা বোমাসহ বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বোমায় ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৩ সালে ৯ মার্চ ঝিকরগাছার বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও মোক্তার হোসেন সমন ডিউটিতে মাটিকুমড়া গ্রামের দিকে যান। এ সময় তারা মোটরসাইকেলসহ জাহিদুল ইসলাম সুমন ও শহিদুল্লাহকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে দুই দেশী পিস্তল, ৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৬৫টি গুলির খোসা, ১৭টি পিস্তলের গুলির সীসা, ৭টি সুইচ লাগানো তাজা বোমাসহ বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বোমায় ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।অভিযুক্ত শহিদুল্লাহ (১৬) শিশু হওয়ায় নথি বিভাজন করে তার বিচার আলাদা করা হয়। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অস্ত্র মামলায় ১৯ এর ‘এ’ ধারায় ১০ বছর ও ‘এফ’ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং বিস্ফোরক মামলায় ৪ (বি) ধারায় ৩ বছর ও ৫ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত শহিদুল্লাহ বর্তমানে কারাগারে আছেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী। রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিশু হিসেবে আটক হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচার হয়েছে। এ হিসাবে একটি ধারায় সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। রায়ে চারটি ধারায় তার মোট ২২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
দ্য ক্যাম্পাস টুডে