হাল্ট-প্রাইজ ও টিম জিরোর যৌথ উদ্যোগে পথশিশুদের খাবার বিতরণ

তারেক হাসান

রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে হাল্ট-প্রাইজ ফাউন্ডেশন কতৃক আয়োজিত হাল্ট প্রাইজ অন ক্যাম্পাস ২০২০-২১ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি।
বর্তমান বিশ্বের যে কোন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে তরূণ নেতৃত্বের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সাহায্য করাই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।

এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত হাল্ট প্রাইজ কমিটি ও রাজশাহীর অন্যতম একটি সামাজিক সংগঠন টিম জিরো’র যৌথ উদ্যোগে রাজশাহীতে পথশিশুদের হাতে খাবার বিতরণ করা হয়।

গত মঙ্গলবার,রাজশাহীর টি-বাঁধ এলাকায় বিকালের দিকে প্রায় ষাট জন পথশিশুদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়। এই বাচ্চা গুলোকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় বেলুন হাতে বা বাদাম বিক্রি করতে দেখা যাই। খাবারের মেন্যুতে যা রাখা হয়েছিলো
চিকেন বিরিয়ানি,ডিম,সালাদ,একটি জুস।
তাদের জন্য এমন আয়োজন সত্যিই তাদেরকে উৎসাহিত করে, বাচ্চাগুলোর মুখে হাঁসি ফুঁটায়।

প্রোগ্রাম শেষে হাল্ট-প্রাইজ অন ক্যাম্পাস বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ক্যাম্পাস ডিরেক্টর ফাইজাহ সাফওয়াত বলেন,
হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনটি জাতিসংঘের অংশীদারিত্বের কার্যালয়ের সাথে যুক্ত একটি সংস্থা এবং এটি কেবলমাত্র স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের ধারণাগুলি দিয়ে বিশ্বের পরিবর্তনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।

প্রতি বছর বর্তমানকালের একটি বিশিষ্ট সামাজিক সমস্যাকে বিষয় হিসাবে নির্বাচন করে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা উক্ত বিষয়ে ভিত্তিতে নিজ নিজ প্রস্তাব উপস্থাপন করে যার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার এবং একই সাথে সাধারণ জনগণের জন্য অর্থবহ কর্মক্ষেত্র তৈরি করার উপায় তারা তুলে ধরে।

আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিষ্ঠানের অন ক্যাম্পাস পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। অংশগ্রহণ করতে শিক্ষার্থীরা Hult prize at Varendra University এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অথবা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে।

এই উদ্দেশ্যে রেশ ধরেই ছোট শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে, তাদের মুখে হাসি আনার জন্য আমাদের আজকের আয়োজন।
কয়েকজন বন্ধু মিলে তৈরি করা রাজশাহীর আরেক সামাজিক সংগঠন টিম জিরো’র পক্ষ হতে ইসতিয়াক আহম্মেদ বলেন,
অসহায় দুস্থ প্রতিটি মানুষের মুখেই হাসি ফোটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই যাত্রা টিম জিরোর।

লকডাউনের শুরু থেকেই রাজশাহীর অসহায়, সম্বলহীন মানবেতর জীবনযাপন করা মানুষের পাশে এসে দাড়িঁয়েছে আমাদের এই শূন্যদল। তবে প্রথমবারের মতো আমরা কোলাবোরেশন প্রোগ্রাম করলাম বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল্ট টীমের সাথে ।

খুবই ভালো একটা অভিজ্ঞতা টিম জিরোর জন্যে । সত্যি বলতে কি , ভালো কাজ করতে থাকলে ভালো সংঙ্গের অভাব হয়না । দুই পক্ষেরই যখন প্রধান উদ্দেশ্য যখন এক হয়ে যায় তখন কাজ করে প্রশান্তি পাওয়া যায়।

প্রতিবারই আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ভুলে যায় যখন দেখে সেই খাবার হাতে শিশুদের সেই নির্মল হাসিমুখটা। ইনশা আল্লাহ সামনের দিনগুলোতেও হাতে হাত মিলিয়ে একসাথে রাজশাহী শহরের প্রতিটি দুস্থ মানুষ এবং প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর লড়াই চালিয়ে যাবো আমরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ

Leave a Comment