অগ্রিম ২ লাখ টাকা না দিতে পারায় বিনাচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

অগ্রিম ২ লাখ টাকা না দিতে পারায় বিনাচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অগ্রিম দুই লাখ টাকা না দিতে পারায় বিনাচিকিৎসায় লায়লা বিবি নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।গত সোমবার রাতে ডিসান নামে বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে পড়ে রইলেন কোভিড আক্রান্ত লায়লা বিবি। মায়ের চিকিৎসার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ছেলে।

কিন্তু আরও দুই লাখ টাকা না দেয়ায় হাসপাতালের দোরগোড়ায় মরণাপন্ন রোগীকে ফেলে রাখা হয়। ছেলে নাজিম খানের দাবি, হাসপাতালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুই লাখ টাকা জমা পড়ার প্রমাণ পাওয়ার পরই তমলুকের বাসিন্দা বছর ষাটের লায়লা বিবিকে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। ততক্ষণে সব শেষ। এ ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কার্যকলাপ নিয়ে আরারও প্রশ্ন উঠেছে।

ভারতের স্বাস্থ্য কমিশনের একের পর এক অ্যাডভাইজ়রির পরও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এ উদাসীনতা। শনিবারই কমিশন অ্যাডভাইজ়রিতে জানিয়েছিল, কোভিড আক্রান্ত রোগীর পরিজনের কাছে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বা আনুমানিক চিকিৎসা খরচের ২০ শতাংশের বেশি টাকা নেয়া যাবে না (এত টাকাই বা জমা দিতে হবে কেন, সে প্রশ্নও উঠেছে তখনই)।

তবে পরিবারের কাছে টাকা না থাকলে আক্রান্তকে ভর্তি করে ১২ ঘণ্টা সময় দেয়ার কথাও অ্যাডভাইজ়রিতে উল্লেখ রয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগও একটি অ্যাডভাইজ়রিতে রোগীকে স্থিতিশীল করে স্থানান্তর করার জন্য নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালকে বলেছিল।

হাসপাতাল থেকে কোভিড রোগীকে ফেরানো যাবে না বলে তারও আগে হুশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু আনন্দপুর থানায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে ছেলে নাজিম খান ঘটনাক্রমের যে বিবরণ দিয়েছেন, তা এসব পদক্ষেপকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপারসন অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫০ হাজার টাকার বেশি অগ্রিম চাওয়া হলে অন্যায় কাজ করেছে। হাসপাতাল না কি রোগীর স্বজন- কে সত্যি কথা বলছেন তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে স্পষ্ট হবে।

পরিবার অভিযোগ করলে কমিশন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানান। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী যখন এসেছিলেন, তখন কিছু করার ছিল না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *