দ্য ক্যাম্পাস টুডের নতুন সম্পাদক সোলাইমান হোসাইন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বাংলাদেশের ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক তথা শিক্ষা ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’এর নতুন প্রধান সম্পাদক মোঃ সোলাইমান হোসাইন। আজ রবিবার (০৪ জুলাই) তিনি প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাউন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তিনি ।

সম্পাদক মোঃ সোলাইমান হোসাইন বলেন, সর্বদা সত্য ও সঠিক সংবাদ প্রকাশে ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’ কাজ করে যাবে। ‘দ্য ক্যাম্পস টুডে’ আগামী দিনগুলোতে পাঠকদের নতুন কিছু উপহার দিবে এই প্রত্যাশা।

এর আগে ‘দ্য ক্যাম্পাস টুডে’র প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বশেমুরবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন। তিনি বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত ইবাদতের তালিকা

সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত ইবাদতের তালিকা । প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যে সকল ইবাদত আমরা করি তার তালিকা নিম্নরূপঃ

ইবাদত আরবি শব্দ । যার অর্থ দাসত্ব বা আনুগত্য। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলার নামই ইবাদত। ইবাদত আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তার ইবাদত করার জন্য।

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর আমি জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি”- সূরা আয-যারিয়াত( আয়াত ৫৬)। আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য এই মহাবিশ্বকে কত সুন্দর করে সাজিয়েছেন।

কোরআন মাজিদ অবতীর্ণের সময় আল্লাহ তাআলা বলেন, “ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেন নাই”- সূরা আল কাহাফ (আয়াত ১)।

ইবাদত কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

  • ইবাদতে বাদানি বা শারীরিক ইবাদত
  • ইবাদাতে মালি বা আর্থিক ইবাদত
  • ইবাদতে মালি ও বাদানি শরীর অর্থ উভয়ের সংমিশ্রণে ইবাদত মালি ও বাদানি শরীর অর্থ উভয়ের সংমিশ্রণে ইবাদত।

উপরোক্ত এবাদতগুলোর বেশিরভাগই প্রত্যহ করা এবাদত যা আমরা প্রতিদিন করি। আমরা প্রতিদিন সালাত আদায় করি। কারণ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা আমাদের জন্য ফরজ।

আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন মজীদের ঘোষণা করেন, “ নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে” (সূরা আল আনকাবুত, আয়াত- ৪৫)।

১) নামাজের মাধ্যমে মুমিনের গুনাহ মাফ হয়। মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করে। স্বেচ্ছায় নামাজ ত্যাগ করা কুফর। সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে এবং পরকালে শান্তির জন্য আমাদের প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা উচিত।
২) আমরা খেতে বসলে বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করব। এটা একটা ইবাদত। এর ফলে যতক্ষণ খাওয়ার মধ্যে থাকবো ততক্ষন আল্লাহর রহমত পেতে থাকবো।
৩) পড়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে পড়া শুরু করবো। ফলে যতক্ষন পড়াশোনা করবো ততক্ষণ তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।

আরও দেখুনঃ

৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের ইংরেজি এসাইনমেন্ট ২০২১ | Class 7 English Assignment 6th Week

৪) স্কুলে যাবার সময় বিসমিল্লাহ বলে যাত্রা শুরু করব। তখন রাস্তায় সকল বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন। এটিও একটি ইবাদত।
৫) একজন অন্ধ লোক রাস্তা পার হতে পারছে না, তাকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিলেও তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।
৬) খাওয়া শেষে “ আলহামদুলিল্লাহ” বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করাও একটা ইবাদত।

৭) সকল কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলে তা আল্লাহ ইবাদত হিসেবে গণ্য করেন।
৮) সকল ইবাদত সমূহ আমাদের পবিত্র শরীরে করতে হবে। প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদির মাধ্যমে শরীর অপবিত্র হয়। যা নাজাসাতে হাকিকি ( অপবিত্রতা)। আর যেসব অপবিত্রতা দেখা যায় না তা নাজাসাতে হুকমি, যেমন- ওজু ভঙ্গ হওয়া, গোসলের প্রযোজন হওয়া। অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক না হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই আমাদের শরীর পবিত্র রাখতে হবে।

ওযু গোসলের মাধ্যমে আমরা পবিত্র হতে পারি। ইবাদতের জন্য পবিত্র থাকা একান্ত আবশ্যক।
আল্লাহ বলেন,” আর উত্তমরুপে পবিত্রতা সম্পাদনকারীদের আল্লাহ ভালবাসেন” ( সুরা আত তাওবা, আয়াতঃ ১০৮)।

পবিত্রতা ২ ধরণের। শিরক, আকিদাহ, রিয়া, গিবত ইত্যাদি থেকে মুক্ত থাকা হলো অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা, আর ওযু- গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্রতা হলো বাহ্যিক পবিত্রতা।

আমাদের ভালোভাবে ইবাদত করার জন্য পবিত্র হতে হবে। ওজু করার মাধ্যমে আমরা পবিত্র হতে পারি। ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি ওজু করে। ওজুর গুরুত্ব সম্পর্কে কুরআনে বলা আছে।

রাসুল (সাঃ) বলেন, “ ওজুর ফলে উম্মতের মুখমণ্ডল ও হাত পা ঝকঝক করে”।

সুতরাং, পবিত্র থাকতে হলে আমাদের যথাযথ নিয়মে ওজু করতে হবে। আর যাতে ওজু ভঙ্গ না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
ওজু গোসলের পরিবর্তে পবিত্র হতে আমরা তায়াম্মুম করি। যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির সরবরাহ থাকে না তখন তায়াম্মুমের মাধ্যমে আমরা পবিত্রতা অর্জন করি।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ আর তোমরা যদি পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করবে”।

তাই পানি না থাকলে আমারে তায়াম্মুম করে পবিত্র হতে হবে, এবং তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণগুলো থেকে দুরে থাকতে হবে।

আমরা গোসলের মাধ্যমেও নিজেদের পবিত্র করতে পারি। গোসল করার নিয়মগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে আমাদের গোসল করতে হবে, তাতে আমাদের শরীরের ময়লাও দুরীভুত হবে এবং আমরা পবিত্রও হবো।

বেকার সময়ে মৌসুমী ফল বিক্রিতে ঝুঁকেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

ছবির বা দিক থেকে রুমি, শাহীন, মিশকাত


ইমানুল সোহান

সময়টা জ্যৈষ্ঠ মাস। গাছজুড়ো তাই শোভা পাচ্ছে বাহারী রঙ্গের ফলের। এসময় অঞ্চলজুড়ে আম ও লিচুর জনপ্রিয়তার তারতম্য রয়ে যায়। অঞ্চলভিত্তিক জনপ্রিয় ফলগুলো জেলা শহরগুলোতে পৌছানোর মাধ্যম হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম; যা করোনা মহামারিকালে আরো বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অনেকেই বাড়তি আয়ের জন্য অনলাইনে বিক্রি করছেন ফল। শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা যুক্ত হচ্ছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়। অনেকেই নিজেদের বাগান থেকেই এসব ফল অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে পৌছে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। অনলাইন ফল ব্যবসায় সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন ফল হচ্ছে আম ও লিচু।

এসব ফল বিক্রির সঙ্গে যেসব তরুণ-তরুণীরা যুক্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই দিনাজপুর, খুলনা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের। কেউ কেউ পড়াশোনা শেষ করে পূর্ণাঙ্গভাবে মৌসুমি ফল ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী করোনার এই বেকার সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়।

এতে যেমন তাদের অলস সময় পার হচ্ছে, সঙ্গে হাতখরচ চালানোর মতো কিছু টাকাও রোজগার করতে পারছেন। এরকম তিনজন তরুণ ফল বিক্রেতা উদ্যেক্তার গল্প শুনবো আমরা। যারা অনলাইন প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আম ও লিচু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করছেন।

মৌসুমী ফলের রাজা আম। করোনার এই অলস সময়ে পড়াশুনার পাশাপাশি আম ও লিচুর ব্যবসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপার্জনের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। সেই সুযোগটা আমিও গ্রহণ করেছি। হ্যালো রাজশাহী ম্যাংগো পেজ খুলে আমি আমের প্রচারনা করে থাকি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। অনলাইনে গ্রাহকের কাছে আম পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়।

গাছ থেকে খুব যত্নসহকারে পাকা আম নামাতে না পারলে ডেলিভারি দিতে দিতে সে আমের মুখ কালো হয়ে যায় অথবা টক হয়ে যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর অনলাইন আম ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে ফলে লাভের সম্ভাবনা কম তবে ধৈর্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে ভালো কিছু হবে আশা করা যায়।

রাজশাহীর জনপ্রিয় গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরূপালী আম আমি বিক্রি করে থাকি। এবছর আম বিক্রিতে কুরিয়ার চার্য একটু বেশি। তাই লাভ একটু কমই হচ্ছে। তবে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে এটাই আমার কাছে বেশ ভালো লাগার।

শাহীন আলম
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদালয়।

করোনা মহামারি নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। আমার বাসা হাড়িভাঙ্গা আমের উৎপত্তিস্থল দিনাজপুরে। নিজের বাগান থাকায় আমি খুব সহজে পাইকারি দামে উন্নতমানের আম সরবরাহ করতে পারি।

অতি অল্প সময়ের মাঝেই আমি ব্যাপক ক্রেতার কাছে আম পৌঁছাতে পেরেছি। হাড়িহাঙ্গা আমের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় লালমাটিতে রোপন করা গাছ থেকে। আমাদের সবকয়টি বাগান লালমাটির।

প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজারের অধিক মণ আম আমাদের পারিবারিক বাগান থেকে উৎপাদিত হয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে। পক্ষান্তরে প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গেলে শুরুতেই বলতে হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থার কথা।

সেই সাথে রংপুর থেকে যদি রাজশাহীর মতো ট্রেন যোগাযোগ সরকার চালু করতো তবে আমার মতো অনলাইনে যারা পাইকারি দামে আম সরবরাহ করে তাদের জন্য বিজনেস করা অনেক সুবিধা হতো। উত্তরের আমঘর ফেসবুক পেজে আমের বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দিয়ে থাকি। সবমিলে বেকার সময়টা আম বিক্রির ব্যস্ততাই কাটছে।

মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত
শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

অনলাইনে আমরা ফেসবুক চালিয়ে অযথা সময় নষ্ট করে থাকি। সেই সময়টা অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে মৌসুমী ফল বিক্রি শুরু করেছি আমি। গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রায় ২০ মণের উপর আম বিক্রি করেছি। তবে অনলাইনে আম বিক্রিতে ডেলিভারিতে সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে।

কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে। এতে আমরা গ্রাহক হারিয়ে ফেলি। এছাড়াও আমের পরিবহণ খরচ অনেক বেশি। আম পরিবহণের যে ট্রেন রয়েছে, এটা শুধু উত্তরবঙ্গ থেকেই আসে। সব স্থানে বা পোস্ট অফিসে এ ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থা সুলভ মূল্যে করা গেলে ভালো হতো।

রুমি নোমান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

 

চতুর্থ দফা সময় বৃদ্ধি হলেও করোনা টিকা নিতে অনাগ্রহী ইবি শিক্ষার্থীরা

 

ইবি প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আবেদন করেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেল সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৫ হাজার ৩৮৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে করোনা টিকা নিতে আবেদন করেছেন ৬ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থী। যা মোট শিক্ষার্থীর ৪৩ শতাংশ। এছাড়া শিক্ষক ১২৭ জন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৫২ জনসহ মোট আবেদন করেছে ৬ হাজার ৭৮৬ জন।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত করতে তালিকা চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে গত ১৪ই মার্চ আবাসিক ও অনাবাসিক সকলের তালিকা চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে আবেদন কম হওয়ায় তৃতীয় বার ২৫ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। পরে সর্বশেষ চতুর্থ বারের মতো ৩০ মে পর্যন্ত আবেদনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

মায়েদের সম্মানে আজকের দিন, বিশ্ব মা দিবস আজ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

সব মানুষের জীবদ্দশায় একমাত্র ভরসার জায়গা হলো মা। আর মায়ের সম্মানে একটি বিশেষ দিন পালন করা হয়, তাই হলো মা দিবস। ‘মা’ ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু তার পরিধি অসীম।

আজ বিশ্ব মা দিবস। আধুনিক বিশ্বে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটিকে ‘মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়, যার শুরু ১৯০৮ সালের ৮ মে। সঙ্গে উপহার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা কারনেশন ফুল।

এক সমীক্ষা থেকে পাওয়া যায়, পৃথিবীতে বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন অনেক বেশি মানুষ নিজের মাকে ফোন করেন, মায়ের জন্য ফুল কেনেন, উপহার দেন বিভিন্ন সামগ্রী।

শুরুর দিকে এই বিশেষ দিনটিতে শুধুমাত্র মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হতো। তবে পরবর্তীতে মাতৃসম যেকোনো নারীকে কুর্নিশ জানানোর চল দেখা যায়। বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশ ওই উৎসব পালন করে থাকে।

পৃথিবীর সব ধর্মে সবার উঁচুতে স্থান দেওয়া হয়েছে মায়ের অবস্থান। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’। খ্রিষ্টধর্মেও রয়েছে ‘মাদার মেরির’ বিশেষ তাত্পর্য। উপনিষদে আছে, ‘মাতৃ দেব ভব’। অর্থাত্ মা দেবী স্বরূপিনী, জীবন্ত ঈশ্বরী। তাছাড়া হিন্দুধর্মে মহাশক্তি, আদিশক্তি, রক্ষাকর্ত্রীর ভূমিকায় যাদের দেখা যায়, তারা মাতৃরূপেই পরিচিত।

 

আমাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকাটা আনন্দের

 

চৌধুরী মাসাবি:গেল বছরের ১৬ মার্চ, দেশে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া করোনার সংক্রমণ রোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তড়িঘড়ি করেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ত্যাগ করলেন। বাকি যারা ছিলেন তারাও আস্তে আস্তে চলে যেতে লাগলেন।

এরপর একে একে কাঁঠাল তলা, বাবুই চত্বর, মুক্ত মঞ্চ, শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ হারিয়ে ফেললো তাদের চিরচেনা রূপ। সময়টা এমন ছিলো যেন শহীদ মিনারের বেদীতে কত হাজার হাজার বছর ক্যাম্পাসের জুটিগুলো গল্প করতে আসে নাই। কেন্দ্রীয় মাঠটা যেন কোনো কাল ঘুমে ঘুমোচ্ছিল। বিষাদময় শূন্যতা ছড়িয়ে গেল গোটা ক্যাম্পাসে।

এভাবে কেটে যায় দীর্ঘ নয় মাস। তারপর ডিসেম্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেওয়া শুরু করলে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবার মুখর হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। এতে কিছুটা হলেও আগের রূপ ফিরে পায় কুবি। আড্ডা জমে উঠে মুক্ত মঞ্চ, কাঁঠাল তলা, আর ক্যাম্পাসের আশেপাশের টংগুলোতে। সকলে যেন এক রুদ্ধশ্বাসে কাটানো সময় থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচল।

তবে এই উচ্ছ্বাস বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাস দুয়েক না যেতেই আবারও নির্দেশ আসে মহামারীর দ্বিতীয় থাবা থেকে বাঁচতে বন্ধ করতে হবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান পরীক্ষা। ঠিক সেই মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তবে তারুণ্য আর মহামারী যেন একে অপরকে মানতে নারাজ। ক্যাম্পাস খোলা আর পরীক্ষা চলমান রাখার দাবিতে আন্দোলন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানববন্ধন আর মৌন মিছিল পালন করলেও শেষমেষ করোনার কাছে হার মানতে হয় শিক্ষার্থীদের। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাম্পাস। আবারও নিস্তব্ধতার চাদরে ঢেকে যায় কুবি।

কিন্তু কিছু মানুষ ছিলেন যারা বাড়ি যেতে পারেননি। যাদের কোনো ছুটি হয়নি। বৃক্ষের মত ছায়া হয়ে নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে রেখেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে। জনমানবশূন্য এই পরিবেশ তাদের কাছেই বা কেমন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অভিজিৎ চৌধুরী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ক্যাম্পাস খোলা থাকলে আমাদের কাজের চাপ বেশি থাকে। এখন শিথিল আছে তবে আমার কাছে ঐ সময়টাই ভালো লাগে। সারাক্ষণ ছেলেমেয়েদের চলাচল থাকে। সময়ও কাটে দেখতে দেখতে। আমরাও চাই ক্যাম্পাস আবার আগের মত হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুপার ভাইজার মুনির মুন্সির সাথে এ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাটা আমাদের জন্যেও কষ্টের। খোলা থাকলেই আমরা খুশি।

অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করে তিনি জানালেন, ক্যাম্পাস বন্ধ। শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র সবাই ছুটিতে কিন্তু আমরা কর্মচারী যারা আছি তাদের ছুটি নাই। সামনে একটা ঈদ। ঐটাই বাড়ি যাব, তাও ছুটি নাই।

জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনায় এমন দায়িত্ব পালন করছি। একটা টাকা ঝুঁকি ভাতা জোটেনি। তবে এত কিছুর পরেও চাই, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক অতি শীঘ্রই। আমাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকাটা আনন্দের।

বলা হয়ে থাকে, নীরবতা আর শূন্যতা শব্দ দুটো একে অপরের হাত ধরে চলে। আর এই নীরবতা প্রায় বিষাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যদি সেখানে শূন্যতার দায় থাকে।

নিরাপত্তা কর্মীদের নির্ঘুম রাত আর একাকী দুপুর লালমাটির ক্যাম্পাসটাকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রেখেছে।

কেউ থাকুক আর না থাকুক তারা সর্বদা জাগ্রত। তারা বলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভালো নেই পৃথিবীর ন্যায়। মহামারী কাটিয়ে আবারও কোলাহলপূর্ণ হবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, লাল- নীল বাসগুলো আবারও আগের মত দাপিয়ে বেড়াবে তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে, ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আবারও জমবে আড্ডা এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

স্থাপত্য শৈলিতে অনন্য ঝিনাইদহের মিয়ার দালান

হৃদয় পালঃ ঝিনাইদহ জেলা ইতিহাস,ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও শিক্ষার এক আলোকিত নগর।ঝিনাইদহ জেলার প্রাণ আরাপপুর নামক জায়গা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মিয়াপাড়াতে অবস্থিত নন্দিত ‘মিয়ার দালান’ নামক পুরাতন ভবনটি। বাড়িটির সম্মুখের ভগ্নপ্রায় প্রাচীর থেকে জানা যায়, এর নির্মাণের কাজ ১২২৯ সালে শুরু হয় এবং ১২৩৬ সালে সমাপ্ত হয়।

মাথাভাঙ্গা নদীর একটি শাখানদী নবগঙ্গার তীরঘেষে বাড়িটি অবস্থিত।বাড়িটি ঝিনাইদহের অন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান। ভবনটির নির্মাতা চমৎকারভাবে দেয়ালের গায়ে খোদায় করে নানানরকম কারুকার্য ফুটিয়ে তুলেছেন। যা অতি চমকপ্রদ।

তাছাড়া পুরাতন প্রথা অনুযায়ী ভবনটির গায়ে ছন্দাকারে লেখা রয়েছে- “শ্রী শ্রী রাম মুরারীদহ গ্রাম ধাম,বিবি আশরাফুন্নেসা নাম,কি কহিব হুরির বাখান।ইন্দ্রের আরামপুর নবগঙ্গার উত্তর ধার,৭৫০০০ টাকায় করিলাম নির্মাণ। এদেশে কাহার সাধ্য বাধিয়া জলমাঝে কমল সমান। কলিকাতার রাজ চন্দ্র রাজ,১২২৯ সালে শুরুম্ন করি কাজ,১২৩৬ সালে সমাপ্ত করি কাজ।”

মুরারীদহ গ্রামের স্থানীয়দের ভাষ্যমতে যে জমিদার ভবনটি নির্মাণ করেন তিনি ১৯৪৭ সালে বাড়িটি সেলিম চৌধুরী নামক ব্যাক্তির নিকট বিক্রি করে দেন। এজন্য অনেকের কাছে ভবনটি সেলিম চৌধুরীর বাড়ি নামেও পরিচিত। সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাড়িটির বেশিরভাগ অংশই এখন ভগ্নপ্রায়। সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ এখনো চিহ্নিত করা যায়।

নদীতে বাঁধ দিয়ে ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল, এভাবে তৈরি আর কোনো পুরোনো ইমারত ঝিনাইদহ শহরে বর্তমানে নেই। বাড়িটি পূর্বে পরিচিতি লাভ করেছিলো একটি বিশেষ খেজুরগাছের কারণে। যে গাছটিতে একাধিক মাথা ছিল এবং প্রতিটি মাথা থেকেই রস সংগ্রহ করা যেত। এখন আর খেজুরগাছটির অস্তিত্ব নেই। বাড়িটিতে মোট ১৬ টি কক্ষ রয়েছে। এর ছাদে রয়েছে একটি চিলেকোঠা;ধারণা করা হয় এ কক্ষটি নামাজঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

এছাড়া নবগঙ্গা নদীতে বছরের বেশিরভাগ সময়ে খুব অল্প পরিমাণ পানি থাকে, এজন্য দেখা যায় নদীর ওপর সালতি নামক ছোট নৌকা নিয়ে কিছু লোক মাছ ধরছে। নদীর অগভীর পানিতে সাদা কচুরিপানার ঝোপ নদীর সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। বিকেলের সূর্য যখন অস্ত যায় মিয়ার দালানের পাশে নদীর পাড়ে সবুজ ঘাসের ওপর বসে অস্তমিত সূর্যের আলোয় প্রকৃতির অনাবিল রূপের মাঝে বেশ খানিকটা সময় ভালোভাবেই কাটিয়ে দেয়া যায়।মিয়ার দালান সংলগ্ন একটি বাঁধানো নদীরঘাটও রয়েছে সেখানে।

প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যমণি বাড়িটি ভ্রমণকারীদের নিকট অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে;যদি এটাকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়। ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে অটো,রিক্সা অথবা ভ্যান সহযোগে দালানটিতে যাওয়া যায়। তবে আরাপপুর থেকে কাঁঠালবাগান নামক স্থানটি পার হলেই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ।

মহামারী করোনা ভাইরাস এর কারণে সপ্তাহের ছয়টি দিনই ভবনটি তালাবদ্ধ থাকে,তবে শুক্রবার ভবনটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।ঐতিহ্যপিপাসু লোকের কাছে ভবনটি হতে পারে অতিব নৈসর্গিক একটি স্থান।

লেখকঃ শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।

E-Passport: ই-পাসপোর্ট কি? ই-পাসপোর্ট যেভাবে পাবেন

ই-পাসপোর্ট কি? What is E-Passport

বর্তমানে এমআরপি (Machine Readable Passport) বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের / E-Passport বইও একই রকমের থাকবে। তবে এমআরপি (Machine Readable Passport) পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে / E-Passport তা থাকবে না।

ই-পাসপোর্টে / E-Passport বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে এক পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। সংরক্ষিত ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর ৩ ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। এই কারণে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই পাসপোর্টধারীর / ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।

এমআরপি (Machine Readable Passport) আর ই-পাসপোর্টের / E-Passport পার্থক্য

এমআরপি আর ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্যকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন।

তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন । কিন্তু ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন।

ই-পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন হবে?

আপাতত ৫ ও ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বাংলাদেশ সরকার। বয়স ভেদে পাসপোর্টের এই মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে।

ই-পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ফি কত?

৫ বছর মেয়াদী ও ৪৮ পাতা

পাসপোর্ট স্বাভাবিক সময়ে অর্থাৎ ২১ কার্যদিবসে পেতে হলে জমা দিতে হবে ৪,০২৫ টাকা।
একই পাসপোর্ট এক্সপ্রেস ডেলিভারি অর্থাৎ ১০ কর্মদিবসে পেতে লাগবে ৬,৩২৫ টাকা।
দুই কর্ম দিবসে পেতে হলে ৮,৬২৫ টাকা জমা দিতে হবে।

১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতা

পাসপোর্ট ২১ কর্ম দিবসে পেতে হলে ৫,৭৫০ টাকা।
১০ কর্মদিবসে পেতে ৮,০৫০ টাকা।
দুই কর্মদিবসে পেতে ১০,৩৫০ টাকা জমা দিতে হবে।

৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতা

পাসপোর্ট ২১ দিনে পেতে ৬৩২৫ টাকা।
১০ কর্মদিবসে পেতে ৮৬২৫ টাকা।
দুই কর্মদিবসে পেতে ১২,০৭৫ টাকা ফি জমা দিতে হবে।

১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পাতা

পাসপোর্ট ২১ কর্ম দিবসে পেতে ৮,০৫০ টাকা।
১০ কর্মদিবসে পেতে ১০,৩৫০টাকা ।
এছাড়া সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির মাধ্যমে মাত্র দুই কর্মদিবসে পেতে হলে ফি দিতে হবে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী

১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে অথবা PDF ফরমেটে ডাউনলোড করেও এ ফরমটি পূরণ করা যাবে।
২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।

৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারি যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ নম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ।
(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ
(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ গ্রহণযোগ্য হবে।

৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।

১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদশন করতে হবে।
২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে। নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি, জিডি কপিসহ আবেদন দাখিল করতে হবে ।

তথ্য সূত্রঃ বহিরাগমন শাখা ১ , সুরক্ষা সেবা বিভাগ , স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় / স্মারক নং ৫৮.০০.০০০০.০৪০.০১.০০৩.১৬-১২৩৪


ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন

https://www.epassport.gov.bd/landing

তবে কি আবারো বড় কোন আন্দোলনের দিকে এগোচ্ছে শিক্ষার্থীরা

 

চৌধুরী মাসাবি

গত সোমবার (২২ফেব্রুয়ারী) সকল‌ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ড.দিপু মনির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে অনেক লম্বা সময়ের জন্য পিছিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিক্ষা নেওয়া শুরু করলে ঠিক তখনই ঘোষণা আসে সকল‌‌ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৪ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান পরিক্ষা।

হাটবাজার সিনেমা হল মাঠ ঘাট সবকিছু ঠিকঠাক খোলামেলা ভাবে চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এমন‌ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। তাই গত দুইদিন অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে আসছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল ও আজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের পাদদেশে আন্দোলন করেন। তাদের একটাই দাবি পরিক্ষা চলমান রাখতে হবে। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে তারা আন্দোলন করতে থাকেন।

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন শহীদ মিনার এলাকায় এবং পরে তারা অবস্থান‌ নেয় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে।

আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন , পরীক্ষা শুরুর আগে দুবার অঙ্গীকারনামায় সাইন দিয়েছি। আমরা নিজেরাই আমাদের নিজেদের সব দায়িত্ব নিয়েছি। আর মাত্র ৩টি পরীক্ষা বাকি আছে। এ সময় পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।

এদিকে ময়মনসিংহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল,কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে প্রশাসনিক ভবন তালা মেরে দেন।

তারা বলেন ” আমাদের পরিক্ষার কথা বলে ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। কিন্তু এখন আবার বলছে ক্যাম্পাস ২৪ মে পর্যন্ত বন্ধ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে হল ছাড়লেও পহেলা মার্চের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানবন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে লেখা পড়ায় আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ছি। ঠিক সময়ে লেখাপড়া শেষ করতে না পারলে চাকরি জীবনে অনেক জটিলতা পোহাতে হচ্ছে আমাদের।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) পরিক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামে। এছাড়া ঢাকা, বরিশাল, মাদারীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

তারা অভিযোগ করেন ঢাকায় আন্দোলন চলাকালে পুলিশ তাদের ১৫ জনকে আটক করেন। আন্দোলনের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ হুসাইন বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রোববার সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় আন্দোলন চলাকালে যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

 

 

‘উচ্চশিক্ষা, গবেষণায় মাতৃভাষার প্রয়োগে উন্নয়ন সম্ভব’

 

সুপর্না রহমান
গবি প্রতিনিধি


‘মাতৃভাষা একটি জাতির সংস্কৃতি তুলে ধরে এবং এটি শেখার মাধ্যমে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। শুধু মাত্র ইতিহাস জেনে একটা বিশেষ দিনকে স্মরণ করলে চলবে না। উচ্চ শিক্ষা, গবেষণার ক্ষেত্রে মাতৃভাষার প্রয়োগ করতে পারলে নিজেদের উন্নয়ন সম্ভব। কিছু সুবিধাবাদী ভদ্রলোক হীনমন্যতার কারণে ভাবেন, ইংরেজি না শিখলে শিক্ষিত হওয়া যায় না। অনেক দেশ মাতৃভাষায় জ্ঞান চর্চা এবং এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন নয়?’

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে মাতৃভাষার ব্যবহার’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস) এ সভার আয়োজন করে।

গবিসাসের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান মনির সঞ্চালনায় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রাহমান চৌধুরী এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক আফরোজা সিদ্দিকা।

বক্তারা আরও বলেন, ‘মাতৃভাষার বিসর্জন আমাদেরকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিছু সুবিধাভোগী ভদ্রলোকদের হীনমন্যতার কারণেই আমরা বাংলা ভাষাকে সংকুচিত করে রেখেছি। যাদের মনে গোলামীর ভাব তারা কিভাবে বাহিরে আজাদ হবে! তারা পিছিয়ে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বরকতরা ফুল চাননি, তারা বাংলা ভাষার প্রচলন চেয়েছেন।’ ‘

ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষার বিকৃতি, অবহেলিত রুপ নিয়ে আলোকপাত করেন এবং ভাষার মর্যাদা রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। এ সময় আলোচ্য বিষয়ে শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।