বশেমুরবিপ্রবির চুরি হওয়া ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার, আটক ২

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে চুরি হওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি উদ্ধার করেছে রাজধানীর বনানী থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বনানী এলাকার হোটেল ক্রিস্টাল ইন থেকে এসব কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

এসময় হোটেল ক্রিস্টাল ইন এর ম্যানেজার (হোটেলটির ৩ জন মালিকের মধ্যে একজন) দুলাল মিয়া এবং হোটেল বয় হুমায়ুন কবিরকে আটক করা হয়েছে এবং চুরির সাথে সম্পৃক্ত হোটেলের আরেকজন মালিক গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফসহ বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হোটেল মালিক দুলাল মিয়া বলেন, তিনি কম্পিউটার গুলো পলাতক পলাশ শরিফের কাছ থেকে নিলামে ক্রয় করে এবং হোটেলের একটি কক্ষে সেগুলি রেখে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোটেলটিতে অভিযান চালানো হলে সেখান থেকে কম্পিউটারগুলো উদ্ধার করা হয় এবং হোটেলের ম্যানেজার সহ হোটেলবয় কে হেফাজতে আনা হয়। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত কম্পিউটার এবং আটককৃত ব্যক্তিদেরকে রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মিজান বলেন, ‘আটককৃতদের আমরা হেফাজতে নিয়েছি, আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।

বশেমুরবিপ্রবি: চুরি হওয়া ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে চুরি হওয়া ৪৯ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মহাখালী-বনানী এলাকার একটি হোটেল থেকে কম্পিউটারগুলো উদ্ধার করা হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইদ-উল-আযহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আইন অনুষদের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. নাছিরুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ (সদস্য সচিব)।

ওই তদন্ত কমিটিকে চুরির ঘটনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের অনুনোমোদিত ছুটিতে থাকার বিষয়টিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে চুরির ঘটনায় ১৯ প্রহরীকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। গোপালগঞ্জ থানায় চুরির ঘটনায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

বশেমুরবিপ্রবিতে জাতীয় ‘শোক’ দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সীমিত পরিসরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ পালন উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বশেমুরবিপ্রবিতে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগস্ট মাসব্যাপী কালো ব্যাচ ধারণ।

আগামী ১৫ আগস্ট শনিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, একইদিন সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও পবিত্র সূরা ফাতেহা পাঠ, বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।

বশেমুরবিপ্রবি: স্বাস্থ্য বিধি মেনে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাঅষ্টমী পালিত

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাঅষ্টমী পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে সকাল ১১ টায় পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে তিনি ব্রতী ছিলেন।

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বশেমুরবিপ্রবিতে এ বছর জন্মাষ্টমী সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে। হয়নি জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা, মিছিল ও সমাবেশ।

তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির প্রাঙ্গণে কৃষ্ণপূজাসহ অন্য সব আচারবিধি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মালম্বীর শিক্ষার্থীরা। এ সময় মন্দির প্রাঙ্গণে গীতাযজ্ঞ, কীর্তন, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা প্রভৃতি হয়েছে।

বশেমুরবিপ্রবি সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রীতিষ বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকাল ১১ টায় পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর জন্মতিথি উপলক্ষে আমাদের প্রার্থনা ছিলো পৃথিবীর সকল মানুষ বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে সকলে মুক্ত হোক,আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সনাতন সংঘের সভপতি শ্রী ড.নিশীথ কুমার পাল স্যার এবং সাবেক সভপতি শ্রী তাপস বালা স্যার। সাধারণ সম্পাদক প্রীতিশ বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে ব্রতী নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে অবতার রূপে আবির্ভাব হয় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের।

ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তার আবির্ভাব উপলক্ষে কৃষ্ণ ভক্তরা এই দিনে ব্রতী পালন করে পূজা করেন।

কম্পিউটার চুরি: দায়িত্ব অবহেলার জন্য ১৯ প্রহরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা ১৯ জন প্রহরীকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্ত প্রহরীরা হলেন, শেখ মােজাহিদুর রহমান, লিয়াকত হােসেন, সুলতান ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আকমান হােসেন, হাবিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মুকিত শেখ, নয়ন দাড়িয়া হাসান, মাহবুব আল হাসান, এমরান হােসেন, নাসির উদ্দিন মােল্লা, রবিউল ইসলাম, শাহ আলম, আকরাম আলী শেখ, মানস কুমার সিরালী, এমারত পাটোয়ারী, নিয়ামুল ইসলাম এবং রাজু আহমেদ।

নোটিশে বলা হয়েছে, অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঈদ-উল-আযহার ছুটিকালিন এবং পূর্বাপর সময়ে সকল নিরাপত্তা প্রহরীর নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের সূচি থাকলেও নিরাপত্তা প্রহরীদের অনেকেই অনুনােমােদিতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন যা চাকুরী বিধি পরিপন্থী, দায়িত্বে অবহেলার সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ঈদ-উল-আযহার ছুটিকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ চুরি গেছে। আপনারা স্ব-স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে হয়তাে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটত না।

নোটিশে আরও বলা হয়, এছাড়াওমেইন গেইটে আগত ব্যক্তিদের সাথে অনেকেই সঠিক আচরণ করেন না। সুতরাং চাকরিবিধি পরিপন্থী কাজ এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য আপনার বিরুদ্ধে প্রসাশনিক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তা অত্র পত্র জারির ০৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট লিখিতভাবে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলাে।

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিনামূল্যে ডাটা ও স্মার্টফোন নিশ্চিতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে কর্তৃপক্ষ

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে বৈষম্য সৃষ্টি নিরসনে ডিভাইস ও ডাটা ক্রয়ের জন্য অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দিয়েছে।

সেই অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সকল বিভাগ, ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষার্থীর ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিক সক্ষমতা নেই তাদেরকে বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং সফট লোন/ গ্রান্টসের আওতায় স্মার্ট ফোন সুবিধা নিশ্চয়তার বিধানের জন্য সে সকল শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট হার্ড কপি এবং প্রদত্ত ই-মেইল নম্বরে mohossain_adib@yahoo.com সফট কপি আগামী ২০/৮/২০২০ তারিখের মধ্যে প্রেরণের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ (সোমবার) বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ সাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আইন অনুষদের ডিন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী এস এম এস্কান্দার আলী, প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরীয়ান মোঃ নাছিরুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ (সদস্য সচিব)।

তদন্ত কমিটিকে চুরির ঘটনার পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ডদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের অনুনোমোদিত ছুটিতে থাকার বিষয়টিও তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে উক্ত তদন্ত কমিটিকে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে।

বশেমুরবিপ্রবি: গ্রন্থাগার থেকে ৯১টি কম্পিউটার চুরি

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


করোনাকাল যেন চোরদের জন্য এক প্রকারের আশীর্বাদ। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থাকায় সম্প্রতি গোপালগঞ্জের বিভিন্ন মেসে দফায় দফায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।

চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিআ বিশ্ববিদ্যালয়েও (বশেমুরবিপ্রবি) চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বশেমুরবিপ্রবির একুশে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগার (কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার) থেকে ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

রবিবার রাতে রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঈদের ছুটি শেষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এসময় দেখা যায়, গ্রন্থাগারের পেছনের দিকের জানালা ভেঙে কম্পিউটারগুলো চুরি করা হয়।

চুরির বিষয়ে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোট ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, চুরির বিষয়ে জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ঘটা, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। আর এর আগে ২০ তারিখ উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) মহোদয় গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেছিলেন। তখনও সকল কম্পিউটার যথাস্থানে ছিলো। তাই আমরা ধারণা করছি ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন ২৩ তারিখ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন, তাই নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি অবশিষ্ট গার্ড ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’