বশেমুরবিপ্রবি: কম্পিউটার চুরির ঘটনায় ‘মূল হোতা’ বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলােচিত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি মামলার মূল হোতা পলাশ শরীফকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারিপুরের টেকেরহাটে একটি গাড়ি তল্লাশির মাধ্যমে আটক করা হয়েছে।

আজ (সোমবার) গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার চুরির মূল হোতা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন,রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারিপুরের টেকেরহাটে একটি গাড়ি তল্লাশির মাধ্যমে পলাশ শরীফকে আটক করা হয়েছে।এ নিয়ে চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ শিক্ষার্থীসহ সর্বমোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পলাশ শরীফ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তবে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২০২০ সালের ১৪ আগস্ট রাতে তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

 

প্রসঙ্গত,গত বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয় এবং ১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীর হোটেল ক্রিস্টাল ইন থেকে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।

জাতির পিতার কর্ম ও আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে : বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২১ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ৫০১নং কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব।

 

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, আমাদের প্রকৃত নববর্ষ শুরু হয় ১০ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে। এই দিনেই বাংলাদেশ প্রকৃত বিজয় অর্জন করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে উন্নতি করতে হলে জাতির পিতার কর্ম ও আদর্শকে ধারণ করতে হবে।

প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা মূলত তাঁর কর্ম ও জীবন আদর্শ।

ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি তাপস বালা বলেন, দেশে আজও অনেক দালাল, রাজাকার আল বদর রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মত ঘটনা ঘটছে।

ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবীবুর রহমান বলেন, বাঙ্গালী জাতির যতটুকু অর্জন তার পুরোটায় বঙ্গবন্ধুর অবদান।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, যতদিন বাংলায় নদীর স্রোতধারা বয়ে চলবে, পাখিরা গান গাইবে ততদিন বঙ্গবন্ধু এদেশের চেতনায় বেঁচে থাকবেন।

বাংলা বিভাগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতি প্রকৃত বিজয়ের পুর্ণতা পায়।

 

আইন অনুষদের ডিন মোঃ আবদুল কুদ্দুস মিয়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যদি আমাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করি তবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার জাতির পিতার নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ বিনির্মাণে তরুন শিক্ষকদের কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান।

অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বশেমুরবিপ্রবি: প্রশাসনিক ভবনে আইসিটি ইন্সটিটিউটের অবস্থান কর্মসূচি

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সিএসই এবং ইইই বিভাগের সাথে একীভূত হওয়ার দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে প্রায় দুই ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলায় এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সেতু’র কাছে কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগ পরিবর্তন হয়ে যদি ইইই’তে রুপান্তরিত হতে পারে তাহলে আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই এবং ইইই বিভাগের সঙ্গে একীভূতকরণ হতে পারবো না কেন!”

এ বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা প্রতারণার শিকার। সাবেক উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতারণার মাধ্যমে আমাদেরকে আইসিটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। শুধু প্রতারণা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সম্পূর্ণ করানো হয় এবং পরীক্ষাসহ অন্যান্য কোন জায়গায় ইনস্টিটিউটের নাম উল্লেখ ছিল না। তাহলে কিভাবে আমরা আলাদা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্ত হই! এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হয়েও ল্যাব সহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বৈষম্যর শিকার।”

তিনি আরো বলেন, “ এ নিয়ে আমরা পূর্বে একবার আন্দোলনে যাওয়ায় প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো যে ইন্সটিটিউট বন্ধ করে আমাদের স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে সংযুক্ত করানো হবে। কিন্তু উপাচার্য স্যার এর কাছে যাওয়ায় ওনি বলেন এটা সম্ভব না। অথচ ইন্সটিটিউটের তিনটি বিভাগের মধ্যে একটিকর শুরুতেই সংযুক্ত করে ফেলেছে।”

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অদূরদর্শীতায় মাদারিপুরের শিবচরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয় শেখ হাসিনা আইসিটি ইনিস্টিটিউট। যেখানে ইইই এবং সিএসই বিভাগে মোট ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়।

জাতির পিতার জন্মভূমির বিশ্ববিদ্যালয় নানান সমস্যায় জর্জরিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ জাতির পিতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষকদের পদোন্নতি, দুটি বিভাগের একীভূতকরণ ও একটি বিভাগের অনুমোদনগত সমস্যা চলছে।

আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকেরা শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অবস্থানরত শিক্ষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ১৫০ জনেরও অধিক শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে আছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেওয়া হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

এদিকে একইদিনে ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে একীভূতকরণের বিপক্ষে মানববন্ধন করেছে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নোটিসে জানতে পেরেছি ইটিই বিভাগকে পরোক্ষভাবে ইইই বিভাগে একীভূত করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। যদি ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগে একীভূত করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।

জানা যায়, ইটিই বিভাগকে ইইই করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ইটিই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ইটিই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইটিই বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত এক সেমিস্টার এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুই সেমিস্টার পিছনে এসে ইইই বিভাগে ক্লাস করতে হবে। এই শর্তে সম্মতি জানায় ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত বিভাগটির অনুমোদন এবং নিজস্ব শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। একটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের দিয়ে বর্তমানে বিভাগটির ক্লাস চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বিভাগটির অনুমোদন না দিয়ে বিভাগটিতে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন শেষ করার অনুমতি দেয়। এরপরেই আন্দোলনে নামে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হলে তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। মুঠোফোনে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দাবি আদায়ের বিষয়ে অনড়। ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এসকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।

বাড়িওয়ালা কর্তৃক নির্যাতনের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রথম বর্ষের দুইজন ছাত্রীকে মেস মালিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নবীনবাগ এলাকার খন্দকার মোফাজ্জল হোসেনের বাসায় থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যায় বাসা পরিবর্তন করতে গেলে মেস মালিক নাসরিন খন্দকার ও তার কলেজে পড়ুয়া মেয়ে রেশমীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের এক বছরের বাসা ভাড়ার চুক্তি ছিলো এবং চুক্তি অনুযায়ী আর একমাস বাকি ছিলো। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা ৯ মাস পর এসে চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট এক মাসের ভাড়া পরিশোধ করে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু বাসা ছেড়ে আসার সময় আমরা বাড়িওয়ালার সাথে শেয়ার করে কেনা জিনিসের অংশের টাকা ফেরত চাইলে বাড়ির মালিকের স্ত্রী নাসরিন খন্দকার গায়ে হাত তোলেন। এ সময় তার মেয়েও আমাদের পিতামাতা ও পরিবার নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করে যা একজন বাড়িওয়ালার কোনোভাবে অধিকার নেই।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা নাসরিন খন্দকার নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করেন এবং সেখানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যান ড্রাইভার শাহিন বলেন, উভয় পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাড়িওয়ালা একজন মেয়ের গায়ে ধাক্কা প্রদান করে।

এই ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ইতোমধ্যে বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলেছি। বাড়িওয়ালা শারীরিক নির্যাতনের ব্যাপারে অস্বীকার করেছে, আমরা পরবর্তীতে ঘটনা স্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।”

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে একটি স্বপ্ন, বাঁচাতে প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মাসুদ রানা সুমন লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়ে যুদ্ধ করে চলেছে।

সুমনের বাড়ি রাজশাহী। গত এক মাসে আগে হঠাৎ লিভারজনিত রোগের জন্য অসুস্থতা দেখা দিলে প্রথমে তার নিজ জেলা রাজশাহী ও পরে ঢাকার কয়েকটা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও অবস্থার উন্নত হয়নি সুমনের। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন জন্য প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। যা এই নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পরামর্শ দেন।

মাসুদ রানা সুমনের বোন জানান, আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের পক্ষে এত টাকা বহন করা সম্ভব না। আত্মীয়স্বজন যারা আছে তারা অনেকেই সাহায্য করছে। এরপরও আমাদের অনেক টাকা প্রয়োজন।

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র উপদেষ্টা ড.শারাফাত আলী বলেন, বিষয়টা নিয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারের সাথে এবং ঐ শিক্ষার্থীর বোনের সাথে কথা হয়েছে। আমরা ঐ শিক্ষার্থী থেকে এ বিষয়ে দরখাস্ত পেয়েছি। পরবর্তীতে আমারা এসিসট্যান্ট কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা করে ভিসি স্যারের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নিবো।

সুমনকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা

বিকাশ,রকেট-০১৭০৪৭৩০৬৬৫(সুমনের পরিবার)
নগদ-০১৭২৭২৫৮৪১১(সুমনের পরিবার)

অর্থ মন্ত্রণালয় ও অগ্রণী ব্যাংকের সাথে বশেমুরবিপ্রবি ও জবি’র মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ, ২০১৯-এর আওতায় গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ (২০ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাংলাদেশ সচিবালয়ের অর্থ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও বশেমুরবিপ্রবি’র পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ।

উল্লেখ্য, এই ঋণ চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ীভাবে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ গৃহ নির্মাণের জন্য স্বল্প হারে ঋণ সুবিধা লাভ করবেন।

বশেমুরবিপ্রবিতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ “চেতনায় দীপ্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” উপস্থাপন করেন প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান ।

এসময় আলোচনা সভায় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ ছাত্তার, আইন অনুষদের ডিন মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, সামাজিক অনুষদের ডিন প্রফেসর রফিকুন্নেসা আলী, মানবিক অনুষদের ডিন আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুর রউফ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান, অফিসার্স এসোসিয়শনের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম হিরা প্রমুখ তাদের বক্তব্য প্রদান করেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদশ প্রতিষ্ঠায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদর অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার আহবান জানান এবং সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এসময় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ১০টায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর জয়বাংলা পুকুর পাড়ে শহিদ স্মতিস্তম্ভে এবং সকাল ১০.৩০ টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এছাড়া শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

বশেমুরবিপ্রবি পেল নতুন রেজিস্ট্রার

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার খান মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক নিয়োগ আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নিয়োগ আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী মো. আব্দুর রউফকে বশেমুরবিপ্রবির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। প্রাথমিকভাবে এ চুক্তির মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। তবে দাপ্তরিক কাজকর্ম সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে এ মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা হবে। নতুন রেজিস্ট্রারকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট যোগদানপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে অনশন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত

প্রসঙ্গত, এর আগে বশেমুরবিপ্রবির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য অব্যাহতি চাইলে তার স্থলে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হয়।

অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে অনশন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর প্রায় ৮ মাস পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির দাবীতে অনশনকে অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হওয়ায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ (রবিবার) বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত ২৭/১০/২০১০ইং তারিখে ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তি হবার দাবী নিয়ে পূজার সরকারি ছুটি চলাকালিন সময়ে ৭/৮ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে অনশন শুরু করে। তৎপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশনকারিদের ভর্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ০১/১১/২০২০ইং তারিখে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অত্র তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষনে প্রতীয়মান হয় যে, ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হয়েছে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করেছে বিধায় পুনরায় শিক্ষার্থী ভর্তির আর কোন সুযােগ নেই। এছাড়া, ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘােষণার ৮/৯ মাস অর্থাৎ ক্লাস শুরুর হবার ৭/৮ মাস পরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোন নজির নেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেও দেখা যায় যে, ক্লাস শুরুর বেশিদিন পর শিক্ষার্থী ভর্তি করলে পরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ ক্লাসে তাল মেলাতে পারে না এবং পরবর্তীতে খারাপ ফলাফল করে ও হতাশায় ভােগে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও সমাপনের পরে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ করার কার্যক্রমে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে যা ক্ৰমান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও স্বার্থের পরিপন্থী।”

এধরনের দাবি স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের চক্রান্ত উল্লেখ করে এবং চক্রান্তকারীদের কাছ থেকে সকলকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির জন্য এমন দাবী ও অনশনের বিষয়টি নজিরবিহীন ও দুঃখজনক একটি ঘটনা যা ক্রমান্তরে প্রমাণিত যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। এই ষড়যন্ত্রকারিরা বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিতে তাঁরই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে ভর্তি বাণিজ্যের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের থেকে সংশ্লিষ্টদের সাবধান থাকার আহবান জানানাে হলাে।”