ঢাবির মতো স্বল্পমূল্যে খাবার পাবে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা: ভিসি

সাগর দে


বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত খাবার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বল্প মূল্য স্বাস্থ্য সম্মত খাবার এর জন্য একটা ভাল টিম গঠন করে ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।

আজ রবিবার বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।

 

বশেমুরবিপ্রবির বেহাল দশার কারণ জানালেন নবনিযুক্ত ভিসি

সাগর দে


একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আগে একাডেমিক বিল্ডিং, হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের পর শিক্ষার্থী ভর্তি হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তার উল্টো। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে’ এমন মন্তব্য করেছেন বশেমুরবিপ্রবি নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব।

আজ রবিবার বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে নিয়োগ পাওয়ার পর দেখলাম নিয়ম নীতি ছাড়াই ৩৪ ডিপার্টমেন্ট, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে যেখানে শিক্ষক ১ থেকে ২ জন বা সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ জন যা একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

এসময় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভিসি কোটা নামে ছাত্র ভর্তি এটা আমি বিশ্বাস করি না, আশা করি পরবর্তী থেকে ভর্তি পরীক্ষার সময় সব কিছু সংশোধন করা হবে।

শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট নিয়ে তিনি বলেন, একটা ইনস্টিটিউট গবেষণা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু সাবেক ভিসি নাসিরউদ্দিন স্যার এটাকে শিবচরে অনার্স কোর্স চালু করেছে যা মোটেই কাম্য নয়। ছাত্রদের মাধ্যমে জানতে পারি ১০০ কিমি দুর থেকে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রা ক্লাস নিতেন তাহলে তাদের অবস্থা কি হতে পারে? এ বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে যে এবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আনা হবে, এ বিষয়ে তিনি সহমত প্রকাশ করেছেন।

 

বশেমুরবিপ্রবি এখন গবাদিপশুদের রাজ্য

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় গবাদি পশুর অবাধ চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে গবাদিপশুর অবাধ চলাচল এবং গাছপালা নষ্ট করার দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। সেই সাথে গবাদিপশু অবাধ চলাচলের কারণে যেখানে সেখানে গোবর পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাদিদ হাসান বলেন,’বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন যাবৎ অবস্থান করার ফলে ক্যাম্পাসের গবাদিপশুর অবাধ চলাচল দেখতে পাচ্ছি। ক্যাম্পাসের ভিতরে ছোট-ছোট ফুল ও ফল গাছ খেয়ে ফেলার কারণে ও যেখানে সেখানে গোবর, মল-মূত্র থাকার কারণে নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশও।

গণিত বিভাগের রিফাত আহমেদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন কিংবা ক্যাম্পাস রক্ষকদের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভিসি স্যারের বাংলোর পিছনে খালের জায়গাটা অরক্ষিত থাকার কারণে স্থানীয় কিছু গ্রামবাসী ঐ স্থান দিয়ে টানা কয়েকদিন যাবৎ গরু নিয়ে প্রবেশ করে যাচ্ছে।তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে বাঁধা দিলেও অনেকেই তা মানছেন না।’

নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরও বলেন, “এ বিষয়ে গ্রামবাসীকে সচেতন করার জন্য আমরা মাইকিং ব্যবস্থা করবো যাতে কেউ গরু নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করে এবং এটা নিয়ে খুব দ্রুতই আমি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলে স্যারের নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

শেকৃবি রেজিস্ট্রারকে উপাচার্য যা স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী: বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি

গোপালগঞ্জ টুডে

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের (শেকৃবি) রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়াকে শিক্ষকদের জন্য অবমাননাকর ও স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী বলে মনে করছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

গত বুধবার রাতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তথ্য জানা যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিপত্রে শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে উপাচার্যের চলতি দায়িত্বের আদেশ জারি করা হয়েছে। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে উপাচার্যের মতো মর্যাদাসম্পন্ন পদের দায়িত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক ধারণা, চেতনা এবং স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থী।

ইতোপূর্বে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ শূন্য হয়ে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু শেকৃবির ক্ষেত্রে এটির ব্যতিক্রম ঘটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সঠিক দিকনির্দেশনা চেয়েছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ শূন্য পদগুলোতে অতিসত্বর যোগ্য ও বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গদের নিয়োগ দিয়ে আসন্ন সংকট উত্তরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি তৎপর হওয়ার অনুরোধ করেছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।

প্রসঙ্গত, শেকৃবির রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়ায় ইতোমধ্যে শেকৃবি শিক্ষক সমিতি, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, বাকৃবি শিক্ষক সমিতিসহ অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ভিসি আউট আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার হয়নি এক বছরেও

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়দের কর্তৃক ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। সেই সময় শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের আন্দোলন বন্ধ করতেই তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের নির্দেশে ওই হামলা করা হয়েছিলো।

এ ঘটনায় ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কোনো মামলা দায়ের না করায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাদী হয়ে এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে এক বছর পার হয়ে গেলেও হামলার জড়িত পাঁচ শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কার এবং এক শিক্ষার্থীর দুই বছরের বহিষ্কারাদেশ ব্যতীত এ ঘটনার আর কোনও বিচার পাননি শিক্ষার্থীরা।

মামলার একজন বাদী প্রিয়তা দে বলেন, “মূলত আন্দোলন বন্ধ করতেই আমাদের ওপর হামলা করানো হয়েছিলো। হামলার পর বিচার নিশ্চিত করতে মামলা করাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হলেও তারা ওই সময়ে মামলা না করায় আমরা ৭-৮ জন শিক্ষার্থী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে মামলা করেছিলাম। পরবর্তীতে আমরা হামলাকারীদের ছবিসহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রদান করেছিলাম। কিন্তু এক বছর পার হলেও হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়নি এবং কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।”

এদিকে, দীর্ঘ এক বছরেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা। কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মাশুকুর রহমান বলেন, “আমি সামনে থেকে খুব খারাপভাবে হামলার শিকার হওয়া একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে পারি, এতগুলো উর্বর বিবেকের উপর এমন হামলা, একজন মানুষের পক্ষে কল্পনাও করা সম্ভব নয়। সাবেক উপাচার্যের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে আমি সহ আমার ভাই-বোনের উপর নির্বিচারে যে হামলা করা হয়েছিলো তার বিচার আমরা আজ অবধি পাইনি। নবনিযুক্ত নতুন ভিসি মহোদয় এবং প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে,যে বা যারা এই জঘন্যতম হামলার সাথে জড়িত ছিলো সকলকে বিচারের আওতায় এনে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করার। যাতে পরবর্তীতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজ করার সাহস না পায়। আমি আমার কিংবা আমাদের উপর নির্মম আঘাতে শরীর বয়ে ঝড়ে পড়া প্রতিটি ফোটা রক্তের সুষ্ঠ বিচার চাই।”

হামলার শিকার আরেক শিক্ষার্থী মানোস তালুকদার বলেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর এর আগেও হামলা হয়েছে কিন্তু কখনও বিচার হয় নি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন কিন্তু সামগ্রিক অবস্থা দেখে এখন আর বিচারের বিষয়ে আশাবাদী হতে পারছি না। আমার মনে হয় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে জড়িতদের বিচারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ প্রত্যেককেই দায়িত্বশীল হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।”

মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল সেলের কর্মকর্তা সাজিদুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ায় এবং করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকায় সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত নই”

এই মামলাটির বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু জানাতে রাজি হননি এবং এ বিষয়ে আদালত থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর বারবার এধরনের হামলা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, “হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ছিল আমরা সেটা করেছি। যেসকল শিক্ষার্থীরা হামলার সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়া বর্তমানেও কোন সমস্যা তৈরি হলে সেগুলো সমাধান করছি এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।”

বশেমুরবিপ্রবি কম্পিউটার চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


 

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ এবং শিক্ষকদের হুমকি প্রদাণের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শেখ তারেক, বাবুল শিকদার বাবু এবং ফাহাদ সার্জিল বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা শিক্ষকদের হুমকি প্রদানের বিচার দাবি করেন এবং প্রকৃত কম্পিউটার চোরকে শনাক্ত করার দাবি জানান।

এছাড়া চুরির ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশের আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, “চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৬ সেপ্টেম্বর তাদের প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিলেও এখনও সেটি উপাচার্যের নিকট হস্তান্তর করা হয় নি এবং কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি। আমরা এই বিলম্বের কারণ জানতে চাই এবং দ্রুত দোষীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।”

এছাড়া তারা মানববন্ধন শেষে বিচার দাবি করে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন। স্মারকলিপিতে তারা চুরির ঘটনায় আটককৃত শিক্ষার্থী পনির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ নজরুল ইসলাম হিরার যোগসাজেশের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন এবং নজরুল ইসলাম হিরা কর্তক শিক্ষকসহ তদন্ত কমিটির সদস্যদের হুমকি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া স্মারকলিপিতে চুরির ঘটনায় করা মামলাটি র‍্যাবের নিকট হস্তান্তরের জন্য ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এ. কিউ. এম মাহাবুব বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিলো এবং আমি তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে মামলা চলমান তাই এখানে আমার তেমন কিছুই করার সুযোগ নেই। আমি সর্বোচ্চ বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডের মিটিংয়ে তুলতে পারি।”

এর আগে , ঈদুল আজহার ছুটিতে বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির সদস্য মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থী পনির সাথে সুসম্পর্কের অভিযোগ ওঠায় তাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল ইসলাম তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন করেন, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া তিনজন শিক্ষকসহ তদন্ত কমিটির পাঁচ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরার বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রার বরাবর হুমকির অভিযোগ জানিয়েছেন।

সকল শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে: বশেমুরবিপ্রবি ভিসি

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


২০০১ সালের ৮ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম।

পরবর্তীতে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর এবং পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরুর পর ১০ বছর অতিক্রান্ত হলেও শিক্ষার্থীদের কপালে জোটেনি প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল একাউন্ট। যার ফলে ই-লার্নিং, শিক্ষাবৃত্তি ও বিশেষ করে গবেষণার কাজে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থী তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেইল একাউন্ট দেওয়ার জন্য নোটিশ দিচ্ছে, আমাদের কি হবে, আমরাই বা পিছিয়ে থাকবো কেন?’

সারাবিশ্বের স্বনামধন্য জার্নাল হতে অনলাইনে গবেষণা প্রবন্ধ পড়া, গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা, গবেষণা অনুদান প্রাপ্তি ও শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদনসহ নানা কাজে প্রয়োজন হয় প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আদৌ বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলশ্রুতিতে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানা জটিলতায়। অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন নানামুখী গবেষণায়।

মহামারির এই দুঃসময়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে একাডেমিক, ব্যবহারিক এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক অনেক দক্ষতা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এছাড়াও আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ ব্যবহার, বিভিন্ন লার্নিং এণ্ড ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারের ফ্রি এক্সেসসহ আরও অনেক সুবিধা গ্রহণে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। স্নাতক শেষে দেশের বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে গিয়েও বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে অনেকে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুবল কান্তি দে বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল আইডির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণা, স্কলারশিপ, রিসার্চ পেপার পাবলিশ, সহজে ফান্ডিংসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পায়, ছাত্ররা দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করে, সেখানে এই প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল আইডেন্টিটির মতো কাজ করে। আমাদের দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেওয়ার ব্যবস্থা চালু আছে। আমরা চাই বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের প্রধান প্রোগ্রামার বি.এম. আরিফুল ইসলামের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “বিদেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণার জন্য যারা আগ্রহী ছিলো এর আগে তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বল্পসংখ্যক প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান করা হয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোর্স ও অন্যান্য প্রোগ্রাম সমূহে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নিলে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান করা সম্ভব, সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”

প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সকল শিক্ষার্থীদের জন্যই প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। দেশ-বিদেশে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নিশ্চিতে ও আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য খুব দ্রুতই এবিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী সনেট দাস আর নেই

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


কিডনিজনিত সমস্যার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সনেট দাস নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সালমান রহমান।

জানা গেছে, বৃহঃস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তার বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছেনা তুই নেই। দূর থেকে একটা হাসি দিয়ে বন্ধু বলে আর ডাক দিবিনা তুই। এভাবে চলে যাবি ভাবতে খুবই খারাপ লাগছে।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আশিকুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, একসাথে এক বাসায় থেকেছি, আপনার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র অভিযোগ নাই। এত তাড়াতাড়ি হাড়িয়ে যাবেন কখনো কল্পনা করতে পারিনি সনেট দাদা।

এদিকে সনেট দাসের মৃত্যুতে বশেমুরবিপ্রবিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ তার সহপাঠী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন অকাল মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বশেমুরবিপ্রবি: ৪৯ কম্পিউটার চুরির তদন্ত শেষ না হতেই ফের কম্পিউটার চুরি

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ঈদুল আযহার ছুটিতে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির পর আবারো ঘটেছে নতুন করে কম্পিউটার চুরির ঘটনা। তবে এবারে চুরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২টি কম্পিউটার।

চুরির বিষয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের
সভাপতি তসলিম আহম্মদ বলেন, চুরির ঘটনাটি ঠিক কবে বা কীভাবে ঘটেছে এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তবে রেজাল্ট সংক্রান্ত কাজে গতকাল (১৫সেপ্টেম্বর) বিভাগ খুললে ছাউনি ভাঙাসহ ২টি কম্পিউটার নিখোঁজ পাই এবং তাৎক্ষণিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিভাগটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকে অবস্থিত তাছাড়া ঝোপঝাড় হবার কারণে অনেকবার সাপের উপদ্রব এবং স্বাস্থ্য সমস্যা লক্ষ করেছি। পূর্বে নিরাপত্তা সমস্যাজনিত বিষয় নিয়ে ৩মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদনপত্র প্রদান করি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, কম্পিউটার চুরির এই বিষয়ে তারা এখনো অবগত নয়। তাছাড়া সকল বিভাগ তালাবদ্ধই লক্ষ করেছেন।

এর আগে ঈদুল আযহার ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়। পরবর্তীতে ১৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকার ক্রিস্টাল ইন রেস্তোরায় গোপালগঞ্জ ও ঢাকার বানানী থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করে এবং শিক্ষার্থীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন।

তবে চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন জমা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।এছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে ৪৭ টি এবং ২০১৭ সালে ৫০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

নয়া উপাচার্য আসলেন, ২ দফা দাবিতে তাঁরা ফের বসলেন

বশেমুরবিপ্রবি টুডে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) সাম্প্রতিক নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিন থেকেই ফের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি বাস্তবায়নে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা।

আজ বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।

চাকরি স্থায়ীকরণ আন্দোলনকারী কর্মচারীদের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে আমরা ৩ দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। তবে স্থায়ী নিয়োগ এবং নীতিমালা অনেকটা একই দাবি হওয়ায় বর্তমানে অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ, এই ২টি দাবি আদায়ে কাজ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অস্থায়ী চাকরি হবে সেটা মেনে নেয়া যায় না। কর্মচারীদের চাকরি অস্থায়ী হওয়ার ব্যাপারে আমি জ্ঞাত ছিলাম না ৷ তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২-৩ বছরের অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মচারীদের নিয়োগ করা হবে।

তিনি বলেন, কর্মচারীদের বেতন ইউজিসি থেকে পাঠানো হয় ৷ সেক্ষেত্রে ইউজিসি যদি বেতন পাঠায় তাহলে কর্মচারীদের বেতন অবশ্যই পরিশোধ করা হবে। তবে তার আগে রেজিস্ট্রার এবং ডিনদের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৩ মাস যাবৎ অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি নিয়ে তারা ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন