নুরের একাত্তর টেলিভিশন বয়কটের ডাক, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ডিইউজের

ডেস্ক রিপোর্ট


ধর্ষণকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের একাত্তর টেলিভিশন বয়কটের ডাক দেয়ায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

আজ (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ডিইউজের দুই নেতা বলেন, কোনো টেলিভিশনের টকশো-র আমন্ত্রণ তিনি প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। কিন্তু সেই টেলিভিশনকে বয়কট করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে নুর যেভাবে নোংরা তৎপরতা চালিয়েছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও বলেন, একাত্তর টিভির ফোন নম্বর ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি গর্হিত অপরাধ করেছেন। সেই নম্বরে প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী চক্র ক্রমাগতভাবে অশ্লীল বক্তব্য ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নুর এ ঘটনায় স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন।

ডিইউজে নেতারা বলেন, একাত্তর টেলিভিশনের বিরুদ্ধে নুরুল হক নুরের আহ্বান থেকে সরে এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে তাকে গণমাধ্যমের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

ডেস্ক রিপোর্ট


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার শুভ জ্যোতি মন্ডল (২২) নামেএক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর আদাবর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান।

আজ (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ পেয়ে আদাবর মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর রোডের ১৪১ নম্বর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান জানান, শুভ জ্যোতি ঢাবির চারুকলার ছাত্র ছিলেন। আদাবরে ওই বাসায় বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
তিনি আরও জানান, শুভ জ্যোতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাবির ওই ছাত্রের লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাবি : টিএসসি এলাকায় ইভটিজারকে কলার ধরে পিটিয়ে পুলিশে দিলেন তরুণী

ডেস্ক রিপোর্ট


সারাদেশে যখন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চচ সাজা, প্রতিবাদ, মানববন্ধনের দাবিতে উত্তাল তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আজ দুপুরে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি মেয়েকে ইভ টিজিং করেন চা বিক্রেতা রুক্ক মিয়া। ইভ টিজিংয়ের
একপর্যায়ে মেয়েটি তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন এবং মেয়েটি জোরগলায় ওই ইভটিজারকে বলেন যে আপনি বাজে মন্তব্য করেছেন।
লোকটি তখন অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনা শুনে তারাও তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। ঘটনাস্থলের একটু দূরে টিএসসির সামনে থাকা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

পরে রুক্ক মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন‌। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন তিনি শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
জানা যায়, ইভটিজার রুক্ক মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই থানার মুড়িয়াক গ্রামে।

ঢাবিতে এমফিলে ভর্তির আবেদন শুরু ১৮ অক্টোবর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Dhaka University ) ০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করে তার অধীনে এবং মাধ্যমে এমফিল গবেষণার আবেদন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ১৮/১০/২০২০ থেকে ১৮/১১/২০২০ পর্যন্ত আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফি বাবদ জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় ৫০০ টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে আগামী ২২/১১/২০২০-এর মধ্যে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রের সাথে টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার নম্বরপত্রের ১ (এক) টি করে ফটোকপি ও সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে এবং গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

প্রার্থীকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর অধিকারী হতে হবে অথবা ২ বছর মেয়াদি স্নাতক ও দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং স্নাতক পর্যায়ে ১ বছরের শিক্ষকতা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১ বছরের চাকরি অথবা স্বীকৃত মানের জার্নালে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ থাকতে হবে। ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা তাদের ডিগ্রির সাথে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রার্থীদের সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে। সিজিপিএ নিয়মে মাধ্যমিক/সমমান থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৩.৫ অথবা সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

যে আমার সম্মানহানি, প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তার চরিত্র নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে পারি: নুর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


 

ধর্ষণ মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফতেমাকে ফেইসবুক লাইভে এসে ‘দুশ্চরিত্রাহীন’ বলেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।

ফেইসবুক লাইভে এসে এসব বলার কারণ জানতে চাইলে নূর সোমবার রাতে বলেন, “যেই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না, সেই ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে যে আমার সম্মানহানি, আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, অবশ্যই তার ব্যক্তিত্ব, তার উদ্দেশ্য ও চরিত্র নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে পারি। তাছাড়া এতগুলো মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের পরিবারকে হয়রানি। এটা কোনো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের কাজ হতে পারে না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রী আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে অনশন করছেন। অসুস্থ হয়ে এরমধ্যে একবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে।

এই প্রেক্ষাপটে রোববার রাতে রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুর থেকে মামলার দুই আসামি সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের এই দুই নেতা দীর্ঘ দিন নূরের রাজনৈতিক সহকর্মী, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগের ওই মামলায় নূরও আসামি।

রাতে পুলিশের ওই অভিযান চলার মধ্যে ফেইসবুক লাইভে এসে ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট কথা বলেন নূর, যিনি বেশ কিছু দিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে আসছেন।

মেয়েটির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে নূর বলেন, “ভিক্টিমের পরিচয় তো ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের না কি ছাত্রী…। তার ভাই বলেছিল, নাজমুল হাসান সোহাগ তাদের বাসায় যাওয়া-আসা করত। তাদের সাথে বিয়ের কথাবার্তাও পাকাপোক্ত হয়েছিল।

“নাজমুল সোহাগের সাথে যে একটা ছবি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে আপনারা দেখেছেন, লঞ্চের কেবিনে হাসিখুশিভাবে। যে লঞ্চের কেবিনে মেয়েটি ধর্ষণের অভিযোগটি এনেছিল, সেই লঞ্চের কেবিনে। একেবারেই হাস্যরসাত্মক, ছিঃ! আমরা ধিক্কার জানাই যে, এত নাটক করছে, যেই দুশ্চরিত্রাহীন। যে ধর্ষণের নাটক করছে। স্বেচ্ছায় একজন ছেলের সাথে বিছানায় গিয়ে, লঞ্চে হাসিখুশিভাবে।”

নিজের এই অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে পটুয়াখালীর ছেলে নূর বলেন, “লঞ্চে পাশাপাশি কেবিন। লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণ করা সম্ভব? একটা চিল্লানি দিলে তো আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তারপর ধর্ষণ করে তারা নিচে নামে নাই? সেখানে মানুষের কাছে বলতে পারত না? ভাই সোহাগ আমাকে ধর্ষণ করেছে, তাকে ধরেন।”

মেয়েটির অভিযোগ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী হওয়ায় এই পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ হয়। সেই সম্পর্কের জের ধরে ৩ জানুয়ারি লালবাগের বাসায় নিয়ে তাকে ‘ধর্ষণ করেন’ মামুন। তখন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ তার পাশে দাঁড়ান। চিকিৎসায় সহায়তা করার পর মামুনকে খুঁজে পেতে সাহায্যের কথা বলে চাঁদপুরে নিয়ে ফেরার পথে নাজমুল সোহাগও লঞ্চের মধ্যে তাকে ‘ধর্ষণ করেন’। পরে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি নূরসহ তাদের অপর সহকর্মীদের কাছে গেলে প্রথমে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও পরে ‘বাড়াবাড়ি করলে চরিত্রহননের’ ভয় দেখান।

তার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নুরুল হক নূর বলেন, “ধর্ষণ করেছে জানুয়ারি মাসে। এতদিন মামলা করতে পারে নাই? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে পারে নাই? প্রক্টরের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিতে পারে নাই? থানায় একটা মামলা করতে পারে নাই? এগুলো অনেক বিষয় আছে।

“বেগম জিয়ার মতো নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তাকে দুই কোটি টাকা না ছয় কোটি টাকার জন্য মিথ্যা মামলায় জেলে নিয়েছে।কাজেই সেখানে আমাদের কেউ হলে তো আর যুক্তি দিয়ে টিকবে না। যাই হোক, দেখা যাক।

“তবে আমাদের সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, ডাকসুর ভিপি নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ হিল বাকি এবং নাজমুল হুদা- এই চারজনের ঘটনার সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই।”

অপর দুই আসামির মধ্যে হাসান আল মামুন মেয়েটিকে চিনতেন বলে স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

নিজের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের বিষয়ে নূর বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দুটি অভিযোগ তো প্রধান; তাকে আমি পতিতা বলে হুমকি দিয়েছি। যদি প্রমাণ করতে পারে, সেচ্ছায় ফাঁসি নেব। যদি প্রমাণ করতে পারে, তার সাথে আমার নীলক্ষেতে দেখা হয়েছিল বা মীমাংসার জন্য তার সাথে নীলক্ষেতে বসেছিলাম। এই দুটা অভিযোগের একটা যদি প্রমাণ করতে পারে, স্বেচ্ছায় ফাঁসি নেব। লাইভে এসে বললাম।”

হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগের বিষয়ে ভিডিওতে নুরুল হক নূর বলেন, “আমরা বার বার বলছি, আবারও বলছি, হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগের দায়ভার আমরা নেব না। কারণ হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানি না। হাসান আল মামুন বলেছে, তারা একই বিভাগের ছাত্র, তার সাথে তার পরিচয় ছিল।কিন্তু ধর্ষণ বা শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। আমাদের কাছে কিছু বলেওনি। যেহেতু তার সাথে পরিচয় ছিল, সেখানে কিছু হতে পারে, সেটা একেবারেই উড়িয়ে দেব না।”

আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গত পাঁচ দিন ধরে অনশন চালিয়ে আসছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

তার অনশন নিয়ে নূর বলেন, “পৃথিবীর কোনো দেশে এমন অনশন দেখেছেন? ফ্যান চলে, স্যালাইন চলে, নাস্তার প্যাকেট, খাবার এবং সেখানে ছাত্রলীগ নেত্রীরা। ছাত্রলীগ ছাড়া কেউ নেই তার পাশে। ছাত্রলীগ তাকে দিয়ে এগুলো করাচ্ছে। কাজেই তার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি। কোনো প্রমাণ ছাড়া আমার চরিত্রহনন করার চেষ্টা করছে, আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কালিমা লেপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই দিক থেকে আমি যা বলেছি তা যথাযথ, অবান্তর কিছু নয়।”

সাইফুল ও নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ জানালেও নূর বলেছেন, তাদের সংগঠনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনসহ তিনজনের খোঁজ ‘পাচ্ছেন না’।

“দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ হিল বাকি, তিনজনেরই কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছি না। তারা যদি নিরাপদে থাকত তাহলে একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে হলেও জানাত। আমার মনে হয়, তাদের গুম করা হয়েছে। কারণ গতকালও ওই দুজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পরদিন গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।”

এদিকে আসামিদের দুজন গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

সোমবার রাতে অনশনস্থল থেকে বলেন, “আজকে পঞ্চম দিনের মতো এখানে অনশন করছি। দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং দুজনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত। শুরুতে হতাশ হলেও এখন আমি কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।

“তবে ছয়জন আসামির প্রত্যেককে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমি এই রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন আসামি বাইরে আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এখানে অবস্থান করব।”

এখন অনশন না কি অবস্থান কর্মসূচি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শুরুতে ২৭ ঘণ্টা টানা অনশন করেছিলাম। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাইমারি ট্রিটমেন্ট ও স্যালাইন দেওয়ায় হয়। এখন খাবার না খেলেও স্যালাইন চলছে। ফলে কিছুটা সুস্থ আছি।”

সূত্র :bdnews24

ঢাবি: ১০০ বছর উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনার, উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দেশের প্রাচীনতম এবং শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০০ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছরের ১ জুলাই । শতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে নানান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আগামী ২১-২৪ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী এক আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে ৫টি ওয়েবিনার সিরিজেরও আয়োজন করা হবে।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা’ র্শীষক এই আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরে থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়াও, ৫টি থিম নিয়ে ওয়েবিনার সিরিজেরও আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এসব সিরিজগুলো হচ্ছে- বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং জৈব-বিজ্ঞান (ফেব্রুয়ারী ২০২১); শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি (মার্চ ২০২১); ব্যবসা (এপ্রিল ২০২১); সামাজিক বিজ্ঞান (মে ২০২১); এবং উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যত (জুন ২০২১)। এসব আয়োজনের আহবায়ক হিসেবে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

এর আগে গত অগাস্ট মাসে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সবচেয়ে বড়মাপের একটি কর্মসূচি ছিল, যেটি লন্ডন ও ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা আর সম্ভব হবে না।

উপাচার্য বলেন, তবে আপনাদের শুনে ভালো লাগেবে যে, আমরা আগামী জানুয়ারি থেকে ৬টি বড় মাপের ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক ই-কনফারেন্স আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

ছিনতাইয়ে হারানোর পর রিকশা উপহার পেলেন ঢাবি ছাত্রের বাবা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে আয়ের একমাত্র উৎস রিকশা হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন আলাউদ্দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধাবী ছাত্র রফিকুলের বাবা আলাউদ্দিন মিস্ত্রি নামেই অধিক পরিচিত।

এ ঢাবি শিক্ষার্থীর বাবাকে রিকশা উপহার দিয়ে আবার তার আয়ের উৎসের যোগান করে দিল ‘উই আর বাংলাদেশ (ওয়াব)’।

জানা যায়, রাজধানীতে রিকশা চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন আলাউদ্দিন। ঢাবির ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম রিকশা ছিনতাই হলে বেশ বিপদে পড়ে আলাউদ্দিনের পরিবার। এ রিকশা চালিয়েই ছেলের পড়াশুনার খরচ মেটাতেন আলাউদ্দিন। তবে একরাতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে হারিয়ে ফেলেন রিকশাটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে ফেসবুক ভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপ ওয়াব এর। এর সূত্র ধরে গ্রুপের সদস্যদের অর্থায়নে আলাউদ্দিন মিস্ত্রিকে একটি নতুন রিকশা উপহার হিসেবে দিয়েছে ওয়াব।

ওয়াব এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, রোববার (১১ অক্টোবর) বিকেলে কাফরুল থানা চত্বরে আলাউদ্দিন মিস্ত্রির হাতে রিকশার চাবি তুলে দেওয়া হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম আলাউদ্দিনের কাছে রিকশার চাবি হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উই আর বাংলাদেশের অ্যাডমিন আলামিন ভুঁইয়া, খালিদ সাইফুল্লাহ্, কাওসার আহমেদ, জান্নাত সাথী প্রমুখ।

এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে যে ভালো কিছু করা সম্ভব তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ওয়াব। এগিয়ে যাক ওয়াব। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থী রফিকুলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা কামনা করেন।

ওয়াবের অ্যাডমিন খালিদ সাইফুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, ফেসবুকে কোনো ইস্যু দেখে শুধুমাত্র শেয়ার করেই থেমে থাকা উচিত নয়। উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে। যেটি করছে ওয়াব। আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতার মাঝেও এ ধরনের সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতে চাই। আমরা চাই অন্যান্যরাও এগিয়ে আসুক।

ওয়াবের প্রতিষ্ঠাতা এস এম আকবর বলেন, আমরা পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়া মানবিক ও সামাজিক কাজের জন্য দারুণ একটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে সেটাই আমরা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিচ্ছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নেতিবাচক কিছু আছে এবং থাকতে পারে। কিন্তু ভালোটা খুঁজে নিয়ে সেটার প্র্যাকটিস করাটাই আমাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের একে অপরের পাশে সাহায্যে দাঁড়ানো উচিত।

স্বল্পমূল্যে ডাটা পাচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা, ব্যবহার করা যাবে না সোশ্যাল মিডিয়া

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের করোনাকালে চলছে অনলাইনে ক্লাস। এদিকে এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ।

অললাইন শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে কলা অনুষদ। কলা অনুষদের প্রতিটি বিভাগে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ ঢাবি শিক্ষার্থী রাসেলকে কুপিয়ে জখম, অবস্থা আশঙ্কাজনক

জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দের এক সভায় গ্রামীণফোন ও কলা অনুষদের মধ্যে এক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক বিভাগে গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট ডাটা প্যাক ক্রয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তালিকা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ডিন অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রামীণফোন তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ৩০ জিবি ডাটা দেবে। যার মূল্য নির্ধারণ করেছে ২২৫ টাকা। এই ডাটা দিয়ে ফেসবুক-টুইটারের মতো কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নেটফ্লিক্স, এডাল্ট সাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

অনুষদটির ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামীণফোনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি মোটামুটি ফাইনাল স্টেজে আছে। শিক্ষার্থীরা চাইলে হবে।

 

ঢাবি শিক্ষার্থী রাসেলকে কুপিয়ে জখম, অবস্থা আশঙ্কাজনক

 

ঢাবি টুডে


কক্সবাজার সদরের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী রাসেল রহমান (২১) হামলার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, তিনি ঢাবির জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।রাসেল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত রবিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর দু’টার দিকে ঝিলংজার ৯ নং ওয়ার্ডের খরুলিয়া মুন্সিপাড়ার নিজ বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। তিনি একই এলাকার প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমানের ছেলে।
রাসেলের মা জাহানারা বেগম জানান, তাদের বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মৃত মকবুল মিস্ত্রির পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। রবিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে সামান্য কথা কাটাকাটি হলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মকবুলের ছেলে মোঃ ইউনুস, মোঃ কবির ও মোঃ শফি তারা সহোদর তিন ভাইসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়ির ভেতরে ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

এসময় তাদেরকে বাধা দিলে ধারালো চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে বাড়ীতে থাকা ঢাবি শিক্ষার্থী রাসেলকে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় মকবুল মিস্ত্রির ৭ ছেলে এলাকার মানুষের ওপর প্রতিনিয়তই অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, আহত ওই শিক্ষার্থী অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে। তার বাবা একজন প্রতিবন্ধী। গ্রামবাসীর দেয়া চাঁদার টাকায় ছেলেটি পড়ালেখা করে। তার উপর হামলা ও পরিবারটির সাথে এমন নিষ্ঠুর ঘটনাটি মেনে নেওয়া যায়না। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াস বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাবি ছাত্রীকে নুর-মামুনেরা কেউ ধর্ষণ করেনি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদমের (ডাকসু) সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী করা ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক গঠিক তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন সেই ছাত্রীকে ধর্ষণের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কমিটি জানায়, ঢাবির সেই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোন ঘটনার তদন্ত কমিটি প্রমাণ পায়নি। এছাড়া ওই অভিযোগকারীও এ কমিটির কাছে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।

রবিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের তদন্ত কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. বিন ইয়ামীন মোল্লা এবং সদস্য তারেক রহমান ও রাজিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীকে (ছাত্রী) বিভিন্ন মিডিয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী বলে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া সাংগঠনিক পরিচয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে। আদতে অভিযোগকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী নন। কখনো তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

আরও বলা হয়, অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। তবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ওই মামলায় অভিযোগকারী এজহারে বলা আছে, গত ২৪ জুন নুরুল হক নুরের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নীলক্ষেত দেখা করার কথা উল্লেখ করলেও অভিযোগকারীর সঙ্গে নুরের সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। তবে আনুমানিক মাস তিনেক আগে অভিযোগকারী একবার নুরুল হক নুরের কাছে ফোন করে ঢাকায় এসে দেখা করবেন বলে জানালেও আর দেখা করেননি।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন ঢাবির ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ওই ছাত্রী। এতে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

পরদিন ওই ছাত্রী রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তবে ১৭ দিন পার হলেও কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন তিনি।