‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু

মুহাম্মদ ইকবাল মুনাওয়ার, কুবি টুডেঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৭ম ব্যাচের কাজী মহিউদ্দিন নামে এক ছাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।



মহিউদ্দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েকুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।



শনিবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে কুমল্লিা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করালেও তার রিপোর্ট দেয়ার আগেই তিনি মারা যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার বন্ধুদের জানান, হৃৎপিন্ডের একটি অংশ বড় হয়ে যাওয়ায় তিনি মারা যান।

মহিউদ্দিনের সহপাঠী আখি আলম রকি বলেন, ‘পরশু(শনিবার) বিকেলে তার অসুস্থতার কথা শুনে আমাদের সিআর(ক্লাস প্রতিনিধি) রেজাউল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। গতকাল(রবিবার) তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা সবাই ছুটে যাই। কিন্তু তার সাথে আমাদের আর কথা বলার সুযোগ হলো না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘মহিউদ্দিন আমার বিভাগেরই শিক্ষার্থী। অসম্ভব মেধাবী একটা ছেলে। এতো অনটনে চলতো তবুও মুখ ফুটে কিছু বলতোনা। তার পরিবারের অবস্থাও ভালো নয়। আমরা পূজার ছুটির পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তার বাড়িতে মিলাদের আয়োজন করবো। এছাড়া সবার সহযোগীতায় একটা ফান্ড করার চেষ্টা করবো। যাতে ১০-১২ লাখ টাকা উঠলে একটা ফিক্রড ডিপোজিট করে রাখলে প্রতিমাসে অন্তত একটা অংশ তারা ব্যাবহার করতে পারবে।’

উল্লেখ্য, মহিউদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্সে। পরিবারে মা আর বোন ছাড়া কেউ নেই। ২০১২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যামিক পাশ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৭তম হন তিনি। সিএসই, আইসিটি পেলেও আর্থিক অবস্থা চিন্তা করে ভর্তি হন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে মহিউদ্দিন বরাবরই প্রথম ছিলেন তার ব্যাচে। টিউশন করে সংসার চালাতেন। তার একমাত্র বোনও নানান মানসিক চাপে প্রায় এক বছর ধরে অসুস্থ। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে পাইলস রোগে আক্রান্ত ছিলেন মহিউদ্দিন। সহপাঠীদের সহায়তায় কিছু চিকিৎসা করিয়েছেন। মেধাবী মহিউদ্দিন বরাবরই তার ব্যাচে প্রথম ছিলেন। স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার। অনেকটা তার দ্বারপ্রান্তেই ছিলেন। কিন্তু হৃদরোগের কাছে হার মানলো তার স্বপ্নের, তার পরিবারের স্বপ্নের।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

ব্রেকিং নিউজ: বশেমুরবিপ্রবির চলতি উপাচার্য ড.শাহজাহান

বশেমুরবিপ্রবি টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চলতি (ভারপ্রাপ্ত) উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. শাহজাহান । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সভাপতি।



চলতি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক ড. শাহজাহান



মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ড. শাহজাহান বলেন, “আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের চলতি (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে এখনো চিঠি হাতে পাইনি।”

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।

 

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

বুয়েট ছাত্র ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ (২১) মানে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের এই তথ্য দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এ প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।


এদিকে ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।


রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। এটি যে হত্যাকাণ্ড সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলের শিক্ষার্থী। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

ফাহাদ হত্যার ঘটনায়, বুয়েট ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির (বুয়েট) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে চকবাজার থানা পুলিশ আটক করে বলে জানা গেছে।



ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিন ফুয়াদ এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে আটক করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।



ফাহাদ হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রকে হত্যার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে হল অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।



“এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই”



এদিকে ওই সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া একাধিক শিক্ষার্থী মোবাইলে ভিডিও করার কথা শোনা গেলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, “ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। আমরা দেখছি কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এটি যে হত্যাকাণ্ড, এতে সন্দেহ নেই।”

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, “কয়েকটি সিটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিচার বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, যে জড়িত থাকবে তাকেই তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

এদিকে ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দু‘জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ।

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব, হল অফিস ঘিরে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সহপাঠিরা ও পরিবার।



রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। অতপর জানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য।



এমন মর্মান্তিক ঘটানায় সকাল থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধারের দাবিতে প্রভোস্টের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সিসিটিভির ফুুটেজ চেক করতে গিয়ে দেখা যায় রাত ২টা ৬ মিনিটের পর থেকে আর কোন সিসিটিভি’র ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে ফুটেজ উদ্ধারে সাত ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। অতপর জানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা!

উল্লেখ্য, রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

নিহত বুয়েট ছাত্রের শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই: ছাত্রলীগ নেতা

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

নিহত বুয়েট ছাত্রের শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই: ছাত্রলীগ নেতা

বুয়েট টুডেঃ শেরে বাংলা হল থেকে উদ্ধার করা নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের (২১) ‘বিতর্কিত’ ফেইসবুক পেজে লাইক দেয়া এবং তার শিবির সম্পৃক্ততার ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ।



ফেইসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেওয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই।”_____ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম



পিটিয়ে হত্যা হওয়া ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই কক্ষে উপস্থিত থাকা বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু এমন দাবি করেছেন।

ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, “ফাহাদকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়। সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার চেক করি। ফেইসবুকে বিতর্কিত কিছু পেজে তার লাইক দেওয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তার শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই।”

বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরও বলেন, “ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।”

এ বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা বলেন, “প্রমাণ পাওয়ার পরে চতুর্থ বর্ষের ভাইদের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার সেখানে আসেন। একপর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। পরব হয়তো ওরা মারধর করেন । পরে রাত ৩টার দিকে শুনি আবরার ফাহাদ মারা গেছেন।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাহাদের পরিচিত একজন বুয়েট শিক্ষার্থী বলেন, “টিউশনি শেষে ফিরে জানতে পারি তাকে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে গেছে। পরে রাত আড়াইটার দিকে সিঁড়ি রুমের দিকে গিয়ে তোশকের ওপরে ফাহাদ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে।”

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে ফাহাদ বাড়ি থেকে রবিবারই হলে ফেরেন।

 

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

নিহত বুয়েট ছাত্র ফাহাদ শেষ ফেসবুক পোস্টে কি লিখেছিলেন?

বুয়েট টুডেঃ রাজধানীর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদ গতকাল রবিবার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন, আর মধ্যরাতে শেরে বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝিতে মেলে তার লাশ।



ফাহাদ শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার মরদেহময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।



এদিকে রবিবার (০৬ অক্টোবর) আবরার সর্বশেষ বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শিবিরকর্মী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

ফাহাদ শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফাহাদের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে তিনটি পয়েন্টে ভারত সর্ম্পকে লিখেছিলেন


প্রথমঃ ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।


দ্বিতীয়ঃ কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।


তৃতীয়ঃ কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।


হয়তো এ সুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।”

এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আরেকটি পোস্ট করেছিলেন-


কে বলে হিন্দুস্তান আমাদের কোন প্রতিদান দেয়না। এই যে ৫০০ টন ইলিশ পাওয়া মাত্র ফারাক্কা খুলে দিছে। এখন আমরা মনের সুখে পানি খাবো আর বেশি বেশি ইলিশ পালবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছর এক্কেবারে ১০০১ টন ইলিশ পাঠাবো।


দ্য ক্যাম্পাস টুডে

বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা!

বুয়েট টুডেঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।



শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।



রবিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ভেতর ওই ছাত্রের লাশ পাওয়া যায়। ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে ছিল। এছাড়া তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুক এলাহী বলেন, “রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ২টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

এ ঘটনার ব্যাপারে চকবাজার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, “রাত ২টার দিকে আবরার ফাহাদের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় হলে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সহপাঠীরাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তার বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে

‘শিক্ষকতা অর্থ উপার্জনের পেশা নয়’: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি)চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, “শিক্ষকতা দ্রুত অর্থোপার্জন ও ধনী হওয়ার পেশা নয়, এটি জাতি গঠনে একটি মহৎ পেশা।



“যারা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরকে নৈতিকতা, ত্যাগ এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এটি সহজাত হওয়া উচিত। অর্থোপার্জনের জন্য এ পেশায় না আসাই ভালো। মেধাবীদেরকে এ পেশায় নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।”


আজ রবিবার (০৬ অক্টোবর) ইউজিসিতে আয়োজিত কলেজ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইডিপি) অগ্রগতি সম্পর্কিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান এবং বলেন অযোগ্য ও অদক্ষদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে জাতি কাঙ্ক্ষিত ফল ভোগ করতে পারবে না।

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, “দেশের শিক্ষার মান নিয়ে ইউজিসি উদ্বিগ্ন। মানসম্মত শিক্ষা জাতি গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।”

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, “দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও যোগ্য শিক্ষকের কারণে তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতার ঘাঠতি থাকছে এবং চাকরীতে এর প্রভাব পড়ছে। শিক্ষকদেরকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে পারলে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।”

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বাংলাদেশে স্নাতকদের অর্জিত ফলাফল এবং প্রকৃত জ্ঞানে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছ। “আগে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম দেখে জ্ঞানের বিচার করা যেতো। সে মোতাবেক তাদেরকে নির্বাচন করা হতো। বর্তমানে অর্জিত গ্রেড পয়েন্টের সাথে প্রকৃত জ্ঞানের পার্থক্য রয়েছে। তাদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা সন্তোষজনক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া ছেলেমেয়েরা ব্যর্থ হচ্ছে। এতে সমাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।”

উক্ত সভায় ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান, সিইডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. একেএম মুখলেছুর রহমান এবং বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ড. মোখলেসুর রহমানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে