ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিনের উকিল নোটিশ

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ ফেসবুকে মন্তব্য করার জেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী মোহাম্মদ মাহাবুবের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান।

গত ৩ মে অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের পক্ষে গোপালগঞ্জ জর্জ কোর্টের উকিল আলহাজ্ব এম. জুলকদর রহমান এ নোটিশ দেন।

উকিল নোটিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গাজী মোহাম্মদ মাহাবুব বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির ফেসবুক পেজে এক শিক্ষকের দেওয়া পোস্টে মন্তব্য করার জন্য এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, গাজী মোহাম্মদ মাহাবুবের মন্তব্যের কারণে ডিনস কমিটির সম্মানহানি হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান না করা হলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ প্রচলিত আইনে মামলার বিষয়টিও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিসের বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক গাজী মোহাম্মদ মাহাবুব বলেন, শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে নিয়ম বহির্ভূত শর্ত যুক্ত করার জন্য জবাবদিহি করার কথা লিখেছি। তাছাড়া শিক্ষকদের ফেসবুক পেজে ডিনদের যুক্ত করার কথা বলেছি। প্রয়োজনে তাদের প্রযুক্তি শিক্ষা দিয়ে যুক্ত করার কথা বলেছি। সামান্য এরকম লেখার কারণেই উকিল নোটিশ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে জানার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, কেউ যদি কোনো শিক্ষককে সম্মানহানির মতো মন্তব্য করে সেবিষয়ে ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন। বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে এবিষয়ে কাজ করা হবে।

বশেমুরবিপ্রবি: প্রক্টরের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়েছেন ১৭ সহকারী প্রক্টর

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ জন সহকারী প্রক্টরের মধ্যে ১৭ লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড .এ. কিউ. এম. মাহবুব ।এসময় তিনি আরও বলেন, গতকাল অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রক্টর ড রাজিউর রহমানের পদ অবৈধ। শুধু তিনি নয় চলতি দায়িত্বে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড.মো:শাহাজাহান এর সময় নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রক্টর পদও অবৈধ।

এসময় তারা বলেন, প্রফেসর ড .মোঃ শাহাজাহান উপাচার্য ( চলতি দায়িত্বে) থাকাকালীন সময়ে তিনি নিয়োগ পায় প্রক্টর পদে। কিন্তু যা চলতি দায়িত্বে থাকা উপাচার্যের ক্ষমতার বাহিরে। এছাড়া ওই অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, উপাচার্যের চলতি দায়িত্বে থাকাকালীন একজন স্থায়ী উপাচার্যের গাড়ি,অফিস ব্যবহার সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু প্রফেসর ড .মোঃ শাহাজাহান এগুলো অবৈধ ভাবে ব্যবহার করেছেন।

প্রক্টরের প্রতি অনাস্থার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন সহকারী প্রক্টর বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া কয়েকটি বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মহোদয়দের কে অবহিত না করা এবং সমন্বয়হীনতার প্রতি এই অনাস্থা তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয় তার প্রক্টর পদ অবৈধ। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন কোন সিদ্ধান্ত নিলেও সেই পদ অবৈধ হবে।

এবিষয়ে প্রক্টর ড রাজিউর রহমান বলেন, অফিসিয়ালি তিনি এ বিষয়ে এখনো অবগত নন।

তবে চলতি দায়িত্বে থাকা সাবেক উপাচার্য ড. মোঃ শাহাজাহান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষকদের তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে “Introduction to Quality Assurance in Tertiary Education Sector of Bangladesh” শীর্ষক ০৩ দিনব্যাপী কর্মশালা ১১ মার্চ ২০২১ইং সকাল ৯.৩০টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১নং কক্ষে শুরু হয়েছে।

অত্র বিশ^বিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব এবং কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন প্রফেসর ড. মোঃ মোজাহার আলী।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ে একটি বিভাগ খুলতে হলে তার ভিশন ও মিশন থাকতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রোডাক্ট হলো গ্রাজুয়েট সম্পন্ন শিক্ষার্থী। তাই গ্রাজুয়েটদের কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ^মানের করে গড়ে তুলতে হবে।

০৩ দিনব্যাপী এ কর্মশালা ১১, ১৪ ও ১৫ই মার্চ ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মশালায় অত্র বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৮৪ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করছেন। #প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অগ্নি দগ্ধ হয়ে ঢামেকে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রয়ী দাস নামে এক শিক্ষার্থী অগ্নি দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আজ সকাল ১১ ঘটিকায় মারা গেছেন। ত্রয়ী বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি(বিএমবি) ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান লুতফুল কবির। তিনি ব’লেন, তিনি একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। এভাবে তার চলে যাওয়া কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন , তার সহপাঠীদের মাধ্যমে জানতে পারি দুই দিন আগে ৬ ই মার্চ সন্ধ্যা পূজা দিতে গিয়ে মোমের আগুন থেকে ত্রয়ীর সারা শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়,পরবর্তীতে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আইসিইউতে তে নেওয়া হয়। এবং সর্বশেষ সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে আজ সকালে তার মৃত্যু হয় বলে জানতে পারি। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, ত্রয়ীর বাবার মাধ্যমে জানা গেছে তার মৃত দেহ সত্কারের জন্য কুমিল্লায় শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং সেখানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

 

জানা গেছে,তার এক বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এবং তার স্বামী ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মরত রয়েছেন।

এদিকে ত্রয়ীর মৃত্যুর খবরে তার বন্ধু বান্ধব সহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বশেমুরবিপ্রবি, পিরোজপুর

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে

জাতীয় সংসদে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ পাসের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সম্প্রতি পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, আইন ২০২০ পাস হয়।

তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে সময় নামে কিছুটা পরিবর্তন এনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ করতে দেখা যায়।

তবে এ মাসের (ফেব্রুয়ারি) বহুল পঠিত ম্যাগাজিন ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স’ এর তথ্যে দেখা যায় পুরোপুরি মিলে গিয়েছে পিরোজপুরে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে বশেমুরবিপ্রবি গোপালগঞ্জের সাথে।

এছাড়া নতুন সরকারি তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই সাদৃশ্য রয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে।

 

বশেমুরবিপ্রবিডিএসের ফান্ড রাইজিং ডিবেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সিইউডিএস

 

বশেমুরবিপ্রবি টুডে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবিডিএস) ডিবেটিং সোসাইটির ফান্ড রাইজিং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (সিইউডিএস) এবং রানারআপ হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সংঘ। এছাড়া ডিবেটার অফ দ্যা ফাইনাল হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দল সিইউডিএস এর অর্জন ত্রিপুরা এবং ডিবেটার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হয়েছেন কুয়েট অদ্বৈত দলের মো. ফয়সাল।

চারদিনব্যাপী অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়া এ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগীতা শুরু হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী এবং শেষ হয় ২১শে ফেব্রুয়ারী। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের মোট ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে।

সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নিয়াজ মাহমুদ এর উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন শিক্ষকের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। আয়োজনে প্রধান বিচারক ছিলেন সাইফুদ্দিন মুন্না। এছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক সীমান্ত, কেডিএসের সাবেক সভাপতি তানবিবুর রহমান তুনান ও এসইউডিএসের সাবেক সভাপতি মাশফিক আহসান এতে সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ইজাজ রহমান বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যুক্তি চর্চার মাধ্যমে বিতার্কিকেরা অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। এতে মানুষ সহিষ্ণু হয়। বিতর্ক একটি শিল্প। এর মাধ্যমে অনেক কিছু উঠে আসে। এইরকম একটি মহৎ উদ্যোগকে সামনে রেখে এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও চেষ্টা করেছি একটি ভালো টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। প্রথমবারের মত আমাদের এমন একটি আয়োজনে বিতার্কিকদের বিপুল সাড়া ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এটিকে মহিমান্বিত করেছে। আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।

ববি শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা ৭১ এর ২৫শে মার্চ কালো রাতের মতো

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন পালন করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “শিক্ষার্থীরা হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে দেশের উন্নতিতে কাজ করতে। কিন্তু সেই শিক্ষার্থীকে যদি শিক্ষার পরিবেশ দেয়া না হয়, তাকে যদি নিরাপত্তা দেয়া না হয় তাহলে সে কিভাবে তার মেধার বিকাশ ঘটাবে!

তারা আরও বলেন,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর এই বর্বর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের কালো রাতের মতো অনেকটাই।” এহেন নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বরিশাল প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায়।

আরও পড়ুন৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামে অবরোধ স্থগিত করেছে ববি শিক্ষার্থীরা

প্রসঙ্গত, গত বুধবার মধ্যরাতে মেসে ঢুকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। রাত দেড়টার দিকে বরিশাল রুপাতলী হাউজিংয়ের আবাসিক এলাকার ১৯, ২২ ও ২৩ নং রোডে অবস্থিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

অঞ্চলভিত্তিক কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপরের জন্য ২০ শতাংশ আঞ্চলভিত্তিক কোটার প্রস্তাব প্রত্যাহার নিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আবু সালেহ স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি প্রেরণ করেন শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল এর ২১ তম সভায় বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% ভর্তি কোটা সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাবটি শিক্ষক সমিতির নজরে আসে, যা সমিতিকে হতবাক করে। আমরা মনে করি, এই ধরনের মনগড়া ও অন্যায্য প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী, যা উচ্চ শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করবে। একইসাথে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতার সুযােগ বিনষ্ট করার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে শিক্ষক সমিতি ১৭/০২/২০২১ তারিখ দুপুরে উপাচার্য মহােদয়ের সাথে জরুরী বৈঠক করে এবং প্রস্তাবিত ২০% কোটা বাতিলের জোর দাবি জানায়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়,উপাচার্য মহাদয়েয় বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির কাছে বিস্তারিত জানতে চান। আমরা ন্যায্যতার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন, ও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণে কোটা না রাখার জন্য আমাদের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরি। উপাচার্য মহােদয় ২০% কোটা বাতিলের যােক্তিক আপত্তির সাথে একমত পােষণ করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্য মহােদয় কোটা সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।আমরা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সর্বদা ন্যায্যতার পক্ষে কাজ করব।

প্রসঙ্গত,গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য ২০ শতাংশ কোটা প্রস্তাব করা হয়।

বশেমুরবিপ্রবিতে ২০% আঞ্চলিক কোটা : সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক


গত ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য ২০ শতাংশ কোটা প্রস্তাব করা হয়েছে। আর ২০% কোটার এই প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে খোন্দকার নিয়াজ মাহমুদ নামের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৯৭% শিক্ষার্থী এধরণের আঞ্চলিক কোটার বিপক্ষে।

ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, ২০১৯ সালে আমরা যখন সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করেছিলাম তখন ভিসি কোটার বিষয়টা ছিলো অন্যতম। আমরা মূলত চেয়েছিলাম বৈষম্য বিহীন ক্যাম্পাস। কিন্তু ২০ % কোটা আমাদের সেই বৈষম্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাছাড়া যাঁরা বৃহত্তর ফরিদপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের জন্যও এটা লজ্জাজনক। কারণ তারা যখন মেধাতালিকার মাধ্যমে ভর্তি হবে অনেকে তাদের কোটা হিসেবে বিবেচনা করবে, যেটি তাদের জন্য কষ্টকর হবে। তাই আমরা আশা করি মাননীয় উপাচার্য একজন শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য হিসেবে বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল বাশার কৌশিক বলেন, অযৌক্তিক কোটা সংস্কৃতির মাধ্যমে তৈরি বৈষম্য সর্বদাই মেধাবীদের সাফল্যের পথে এক বড় বাধা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি অঞ্চলের জন্য ২০ শতাংশ কোটা রাখা হলে এর মাধ্যমে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মানই নিম্নগামী হবে না বরং বৈষম্যের নতুন সংস্কৃতির উত্থান হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং জাতীয় স্বার্থে এমন অযৌক্তিক প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি এধরণের কোটা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান বৃদ্ধিতে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আরা বলেন, যখনই কোনো জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় তখন তাদেরকে সকলে পৃথক সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচনা করে এমনকি তারা নিজেরাও নিজেদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা বিবেচনা করে। আর এর ফলে একসময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটিই এমন একটি শব্দ যেটি থেকে বোঝা যায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য নয় এবং এখানে সকলের অধিকার সমান৷ কিন্তু যখনই একটি অঞ্চলের জন্য কোটা রাখা হবে তখনই বৈষম্য তৈরি হবে। তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে আমি মনে করি এই ২০% কোটা না রাখাই ভালো হবে।

এমনকি এই কোটার বিরুদ্ধে রয়েছেন বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও। লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ফরিদপুর জেলার সাদমান সাকিব রক্তিম বলেন, এধরণের কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্তির ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার পাওয়া উচিত এখানে কোনো অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য কাম্য নয়।

আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত মাদারীপুর জেলার শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য ২০% কোটা অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি বৈষম্যমূলক,এই কোটা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাণিজ্যও হালাল রুপ পাবে বলে আমি মনে করি।

এদিকে, শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরাই নয় এই কোটার বিপরীতে অবস্থান জানিয়েছেন শিক্ষকরাও। মানবিক অনুষদের ডিন আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, “অঞ্চলভিত্তিকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে মেধার ভিত্তিতে, এলাকার ভিত্তিতে নয়। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে পাই ৬৪ জেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। আর এই বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বঙ্গবন্ধুর নামে আমরা আশা করি এটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এখানে ৬৪ জেলার শিক্ষার্থীরাই পড়ালেখার সমান সুযোগ পাবে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০ শতাংশ কোটা থাকবে এমনটি আমি আশা করি না।”

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক এবং শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “২০ শতাংশ কোটার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী এবং অনৈতিক একটি সিদ্ধান্ত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তথা সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।”

এছাড়া এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটি কি সেটি সকলের বোঝা উচিত এবং এই ধারণা অক্ষুন্ন রাখাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করা উচিত।

প্রসঙ্গত, একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে বশেমুরবিপ্রবি ব্যতিত অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কোটার প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছে, তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি এরপরে প্রথমে রিজেন্ট বোর্ড এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকারের নিকট পাঠানো হবে। আর তাদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০% কোটা রাখার প্রস্তাব

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিভাগসমূহকে হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি ও বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, “কোনো বর্ষের শিক্ষার্থীরা যদি অনলাইনে ক্লাস শেষ করার পর পরীক্ষা দিতে চায় তাহলে তারা বিভাগের সাথে আলোচনা করে পরীক্ষা দিতে পারবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। আর আবাসিক হলসমূহ খোলার পরে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পন্ন করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন ,বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাবটি এরপরে রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হবে এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিকট ও সরকারের নিকট যাবে।”

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাথে একীভূত করার প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাচ্ছি না তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছিলো বশেমুরবিপ্রবির চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা।