‘রাজশাহীতে পা দিলে তোর লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না’: রাবি ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছাত্রলীগ নেতার রুম দখল ও ‘রাজশাহীতে পা দিলে তার লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না’ এমন হুমকির অভিযোগ উঠেছে বর্তমান কমিটির এক দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। হত্যার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করতে দেখা যায় ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাকে।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা হলেন, তাজবিউল হাসান অপূর্ব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাহ্ মখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী ছিলেন।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন, মো. মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হলের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। মিনহাজুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

এ ঘটনা ছাড়াও মিনহাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তেলাপোকার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ক্যান্টিনে ফ্রিতে খাওয়া, সিট থেকে বৈধ শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দেওয়া এবং চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, আমি দীর্ঘদিন হল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। গত ৩-৪ মাস কিছু কারণে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত আছি। দীর্ঘ সময় রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকলেও নোংরা রাজনীতির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।

আমার মাস্টার্সের পরীক্ষা ২টা হয়েছে, ৩টা পরীক্ষা এখনো বাকি। গতকাল ঢাকাতে এসেছি পারিবারিক সমস্যার কারণে। পরীক্ষা শেষ হলে এমনিতেই চলে যেতাম। পরীক্ষা শেষ না হতেই আমার রুম দখল। আমাকে হত্যার হুমকি দেয় আমি রাজশাহী পরীক্ষা দিতে আসলে আমার লাশ ও খুজে পাওয়া যাবেনা। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক!

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। বর্তমান শাহ্ মখদুম হল ছাত্রলীগের সভাপতি, তারপরও আমার সাথে নবগঠিত ছাত্রলীগ নেতাদের এমন আচারণ আশা করিনি। খুব তাড়াতাড়ি সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করবো। ভালো থাকুক আমার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা অপূর্ব বলেন, “আমার পড়াশোনা শেষ না হতেই মিনহাজের নেতৃত্বে আমার রুমে তালা মারা হয়। এ নিয়ে আমি মিনহাজকে কল দিলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির হয়ে সকল হলের নেতৃত্বে দিচ্ছি, আমি যা চাই তাই করতে পারবে বলে আমাকে জানায় মিনহাজ। আমি এ নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ভাইকে কল দিলে, উনিও উল্টো মিনহাজের হয়ে কথা বলেন এবং বিষয়টি কোন পর্যন্ত যায় তিনি দেখবেন বলে আমাকে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে মিনহাজ আমাকে পরীক্ষা দিতে আসলে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে রাজশাহীতে এসেই সংবাদ সম্মেলন করবো বলে জানান তিনি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার সাথে আমার কোনো রকম সংশ্লিষ্টটা নেই। যদি সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই থাকে তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি অবগত না, তবে কিছুটা শুনেছি। আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। ক্যাম্পাসে গিয়ে বিষয়টি শুনে সমাধান করার চেষ্টা করবো বলে জানান তিনি।”

ডিএনএ দিবস: জেনেটিক সঞ্জার আনলক, ৭০ বছরের জিনতত্ত্ব উদ্ভাবন রহস্য!

আল কাফি, বশেমুরকৃবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিজিই তথা তোফাজ্জল ইসলাম এর উদ্যোগে যথোপযুক্ত ভাবে দিনটি পালিত হয়। সেমিনারটি সবার জন্য মুক্ত ছিল, নিবন্ধন ব্যতিত। সেমিনারে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানভীর হোসাইন, প্লান্ট ব্রিডার, সায়েন্স রাইটার; অধ্যাপক মো: রিয়াজুল ইসলাম পিএইচডি, বিএমবি,ডিইউ; সহযোগী অধ্যাপক ড. মুনিমা হক, বায়োটেকনোলজি প্রগাম, ব্রাক ইউনিভার্সিটি।

মুল আলোচক হিসেবে ছিলেন আইবিজিই এর প্রতিষ্ঠা পরিচালক, অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম, পিএইচডি, ফেলো অফ বিএএস, এপিএস, টিডব্লিউএএস, আইবিজিই। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অনেকেই।

শুরুতে, সহযোগী অধ্যাপক মুনিমা হক, ডিএনএ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদান তুলে ধরেন। ন্যানোমেটেরিয়ালস, হেলথ ফিজিক্স, ক্যান্সার বায়োলজি, বায়ো ন্যানোটেকনোলজি, নিউক্লিয়ার রেডিয়েশন ফিজিক্স, রেডিয়েশন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন।

এরপর, ড. তানভীর হোসাইন এর একটি চমৎকার অডিও ক্লিপ শোনানো হয়, যা ডিএনএ এর গঠন ও তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। এবং ভবিষ্যতে হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ডিনএ তে তথ্য সংরক্ষণের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। টেকনোলজিকাল সিংগুলারিটির ধারণাও ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি আলোচক প্রফেসর রিয়াজুল ইসলাম, এ্যন্টিবায়োটিক আবিষ্কার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তাঁর নতুন আবিষ্কৃত হোমিকরসিন এর আবিষ্কার ও কার্যকরীতা তুলে ধরেন।

মুল আলোচক স্পিকার হিসেবে প্রফেসর তোফাজ্জল ইসলাম ডিএনএ গবেষণার আদ্যপান্ত আলোচনা করেন। বাংলাদেশে এবং তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ব্যাপরে আলোকপাত করেন। বারোমাসি এই কাঁঠালের জীবনরহস্য উন্মোচনের (জিনোম সিকোয়েন্সিং) কাজটির গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমরাই পৃথিবীতে প্রথম বারোমাসি কাঁঠালের একটি জাতের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছি। এই জাতের কাঁঠাল সারা বছর ফল দেয়। ফলন মৌসুমি কাঁঠালের চেয়ে চার গুণ বেশি। ফলটির স্বাদ ও পুষ্টিগুণ খুব ভালো।

এ সময় প্রফেসর বলেন যে, গোল্ডেন রাইস বাজারে আসা এখন সময়ের ব্যাপার। ক্রিসপার কাস জিনোম এডিটিং এর সম্ভাবনার ব্যাপারেও আলোচনা করেন। জিনোম এডিটিং ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত গমের ব্লাস্ট রোগ নির্ণয়ের তাদের উদ্ভাবিত কিটটি আফ্রিকা এশিয়া এবং বিশ্বব্যাপী প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং অনুদানকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

অধ্যাপক মতিউর রহমান খান (ভারত) সহযোগী অধ্যাপক দিপালি রানি গুপ্তা (আইবিজিই), শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রশ্নোত্তর এবং কুইজ সেশনের মাধ্যমে ওয়েবিনারটি শেষ হয়।

মানব কল্যাণে জিনোম এডিটিং: কৃষি থেকে স্বাস্থ্য সেবা পর্যন্ত

গাজীপুরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (আইবিজিই) কর্তৃক “মানব কল্যাণে জিনোম এডিটিং: কৃষি থেকে স্বাস্থ্য সেবা পর্যন্ত” শিরোনাম শীর্ষক একদিনের সেমিনারের আয়োজন হয়।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ এর ফুলব্রাইট স্কলার ও বিজ্ঞানী এবং জিনোম এডিটিং’র বিশেষজ্ঞ ড. কুতুবউদ্দিন মোল্লা। জিনোম এডিটিং গবেষণায় তিনি একজন বিশ্ব নন্দিন তরুণ বিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে প্ল্যান্ট সেল জার্নালের সহকারী বৈশিষ্ট্য সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন তিনি সুনির্দিষ্ট জিনোম ইডিটিং করতে আগ্রহী এবং ফসলের উন্নতির জন্য ক্রিসপার কাস এবং অন্যান্য উন্নত ইডিটিং কৌশল ব্যবহার করেন। এনআরআরআই-তে তার ল্যাব অভিনব জিনোম ইডিটিং সরঞ্জাম তৈরি করেছেন এবং সেটির সুব্যবহার করে চলেছেন।

তিনি কৃষি উৎপাদনে এবং স্বাস্থ্যসেবায় জিনোম এডিটিং এর ব্যবহার ও সফলতা সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। আলোচনার সুচি ছিল ১)ক্রপ ডোমেস্টিকেশন ২)জিনোম ইডিটিং টুলস ৩)এগ্রিকালচারাল হারভেস্ট ইন ফিল্ড এবং ৪)হেলদকেয়ার ল্যাব টু ক্লিনিক। ন্যাচারাল মিউটেশন, কৃত্রিম সেলেক্টশন, জেনেটিক ভেরিয়েশন, ক্রপ ইমপ্রুভমেন্ট, মোবাইল ক্রিস্পার কাস মেথড, প্রাইম ইডিটিং, গাইড আরএনএ, ক্যামিকেল ব্রিডিং, ইত্যাদি বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট তথ্য প্রদান করেন। বিগত ২০ শতাব্দী পর্যন্ত, নিঃস্বার্থ জিনগত পরিবর্তন ছিল একমাত্র উৎস যেখান থেকে মানব জাতি গৃহপালিতকরণ ও প্রজননের জন্য উপযোগী উদ্ভিদ ও প্রাণী নির্বাচনে নতুন জিনগত বৈচিত্র্যের সদ্ব্যবহার করতে পারত। উদ্ভিদ প্রজননে বিরাট অগ্রগতি সাধিত হয় যখন আয়নিকরণ বিকিরণের মাধ্যমে জীবের জিনগত গঠন পরিবর্তন করা যায় বলে প্রমান পাওয়া যায়। ড. মোল্লা জিনোম এডিটিং এর বিভিন্ন পদ্ধতি, দুর্বলতা এবং ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে আধুনিক ও যুগোপযোগী আরো অত্যাধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তিনি বলেন জিনোম এডিটিং, জিন থেরাপি বা জিন প্রযুক্তি নামেও পরিচিত, জীবন্ত কোষের ডিএনএ পরিবর্তন করার একটি ক্ষমতাধর পদ্ধতি। এটি বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট জিনগুলিকে সংশোধন করতে, মুছে ফেলতে অথবা নতুন জিন যোগ করতে দেয়। ফসলকে ভাইরাস, ছত্রাক, পোকামাকড় এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে রক্ষা, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, কীটনাশকের ব্যবহার কম, এইসব কিছুই জিনোম ইডিটিং (ক্রিস্পার কাস) ব্যবহার করে করা হয়।
জিনোম এডিটিং ব্যবহার করে সিস্টিক ফাইব্রোসিস, হান্টিংটন’স ডিজিজ এবং থ্যালাসেমিয়া সহ বিভিন্ন জিনগত রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব ভারত বা বাংলাদেশেই। ক্যান্সার কোষকে লক্ষ্য করে এমন নতুন থেরাপি তৈরি করা যায় যা ক্যান্সার নির্মুল এ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। HIV, ম্যালেরিয়া এবং যক্ষ্মার মতো সংক্রামক রোগের সহজ সাবলীল সমাধান জিনোম ইডিটিং। তিনি একাধিক উদাহরণ দিয়ে জিনোম এডিটিং এর প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা এবং এর প্রভাবগুলি ব্যাখ্যা করেন এবং জেনেটিকালি মডিফাইড অর্গানিজম (জিএমও) এবং জিনোম এডিটেড ফসলের পার্থক্য, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, মেধাস্বত্ব এবং ভবিষ্যতের গবেষণার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। লেকচার শেষে মুগ্ধ অংশগ্রণকারীদের সাথে একটি চমৎকার মিথস্ক্রিয়াপূর্ণ সেশন বিষয়টি আরো গভীরভাবে জানতে বিশেষভাবে সহায়ক ছিল।

সেমিনারের মুল আলোচক হিসেবে আইবিজিই’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর তোফাজ্জল ইসলাম বলেন জিনোম এডিটিং শুধুমাত্র কৃষি ক্ষেত্রেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসেনি বরং রোগ নির্ণয় ও বিশ্বব্যাপী গবেষণার নতুন নতুন দিক উন্মোচন করেছে। তিনি বাংলাদেশকেও এই আধুনিক গবেষণার সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন। সেই সাথে বাংলায় লিখিত তার বাংলাদেশের প্রথম বই “জিনোম ইডিটিং” সর্বস্তরের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে পড়ার জন্য আহবান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন এই বই পড়লে জিনোম ইডিটিং বাংলাদেশের মানুষের কাছে সহজ উপলুব্ধ ও গ্রহণযোগ্যতা পাবে। অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম ড. কুতুবের প্রবন্ধ এবং উপস্থাপন শৈলির ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং উপস্থিত সবাইকে আইবিজিই এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। জিনোম এডিটিং প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জলবায়ু স্মার্ট শস্যের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি ড. কুতুবকে তাঁর গবেষণাদলের সাথে সহযোগীতা আরো জোরদার করার আহবান জানান। সর্বশেষে তিনি ড. কুতুবকে মাতৃভাষা বাংলায় তার রচিত জিনোম এডিটিং বইটি উপহার দেন।

তিনি ড. কুতুবের সাথে গত ৬ বছর যাবত গবেষণা কোলাবোরেশনের সাফল্য এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। জিনোম এডিটিং ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত গমের ব্লাস্ট রোগ নির্ণয়ের তাদের উদ্ভাবিত কিটটি আফ্রিকা এশিয়া এবং বিশ্বব্যাপী প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং অনুদানকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল বাসেত মিয়া; সম্মানীয় অতিথি হিসেবে আইবিজিইর পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ডঃ এ কে এম আমিনুল ইসলাম (জিপিবি); অধ্যাপক ডঃ মোঃ আহসানুল হক স্বপন(ইএনটি); অধ্যাপক ডঃ ফাতেমা খাতুন(ইএনটি); অধ্যাপক ডঃ মোঃ মোরশেদুর রহমান(ডিপিএস); অধ্যাপক ডঃ মোঃ মহিউদ্দিন (সিবিটি); অধ্যাপক ডঃ শাহ মোঃ নাইমুল ইসলাম (আইবিজিই); সহযোগী অধ্যাপক ও প্রধান হায়দার ইকবাল খান(সিবিটি); সহযোগী অধ্যাপক ডিপালি রানী গুপ্তা (আইবিজিই); সহযোগী অধ্যাপক ও প্রধান ডঃ নুরে আলম সিদ্দিকী (বিএমবি); সহযোগী অধ্যাপক ও প্রধান ডঃ আফসানা হোসাইন (পিএলপি) এবং সহকারী অধ্যাপক ডঃ আফজাল শেইখ(বিএমবি) উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, গবেষক , পিএইচডি, মাস্টার্স ও অনার্স শিক্ষার্থীসহ শতাধিক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আব্দুল বাসেত মিয়া ড. কুতুবের বক্তব্যশৈলি এবং বিষয়ের গভীরতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যুগান্তকারী জিনোম এডিটিং প্রযুক্তিটি কম্পিউটার এবং আইটির ন্যায় জীববিজ্ঞানীর সকল বিভাগেই অধ্যয়ন এবং গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। তিনি মনে করেন, জিনোম এডিটিং প্রযুক্তি এবং জীবপ্রযুক্তির অগ্রসরমান বিষয় নিয়ে স্নাতক পর্যায়ে আরও একটি কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী এবং তিনি ডিন হিসেবে কৃষি অনুষদে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন। অধ্যাপক তোফাজ্জলকে এ সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যোগদানের পর থেকেই অধ্যাপক তোফাজ্জল বশেমুরকৃবিতে গবেষণা সংস্কৃতি উন্নয়ন এবং বিকাশে অসাধারন অবদান রেখে আসছেন। তাঁর গবেষণার আইডিয়া নতুন এবং যুগান্তকারী। গবেষণায় বশেমুরকৃবির অবদানের সিংহভাগই অধ্যাপক তোফাজ্জলের গবেষণা দলের। তাঁর স্বপ্নের ফসল আইবিজিই। গবেষণায় তিনি শুধু বশেমরকৃবির শিক্ষকদেরকেই অণুপ্রাণিত করেননি, নিজের দেশের জরুরী সমস্যা সমাধানে বিশ্বের নন্দিত বিজ্ঞানীদের একত্রিত করেছেন। তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য ড. তোফাজ্জল এক রোল মডেল। তিনি একজন ফ্রন্টিয়ার রিচার্সার। তাঁর সাথে আলোচনায় আমি সর্বদাই সমৃদ্ধ হই।

সেমিনার শেষে ডঃ মোল্লা আইবিজিইর ল্যাব ও গবেষণা কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন এবং চলমান গবেষণার ভূয়সী প্রশংসা করেন ও আইবিজিই টিমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি আইবিজিইর অত্যাধুনিক ল্যাবকে বিশ্বমানের এবং পৃথিবীর প্রথম সারির ল্যাবগুলোর একটি বলে মন্তব্য করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সকল কলেজে ক্লাস শুরু রবিবার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে আগামীকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে সব কলেজে ক্লাস যথারীতি চলবে। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সারা দেশের কলেজগুলোতে ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এদিকে আগামীকাল রবিবার খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা শুরু

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জিএসটি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শনিবার। প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) পরীক্ষা। এতে উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। একই দিন আর্কিটেকচারের ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই ভর্তি পরীক্ষা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতি ছিল কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতি ছিল রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে।

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো জিএসটিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট তিনটি ইউনিটে তিনটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের আলাদা তিনটি পরীক্ষা হয়। অর্থাৎ একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়ে তার যোগ্যতা অনুযায়ী এই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো একটি ভর্তি হতে পারছেন।

আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

 

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. বশির উদ্দিন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ বশির উদ্দিন।

বুধবার (১৩ মার্চ) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০২৪ গত ০৫/০৩/২০২৪ একটি সাধারণ সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে (সাধারণ সম্পাদক পদ) উপ-নির্বাচন-২০২৪ নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন গঠন করে। নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র অনুসারে ০৬/০৩/২০২৪ তফসিল ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ থেকে ১২ মার্চ ২০২৪ এ কমিশনের নিকট উক্ত পদে ২টি মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, উল্লেখ্য যে, একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক (৮ এর জ), আর কোন প্রতিযোগী (একাধিক) প্রার্থী না থাকায় নিম্নলিখিত বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার চেতনায় বিশ্বাসী (নীল দলের) প্রার্থীর মনোনয়ন বহাল থাকায় কমিশন তাঁকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করে। উক্ত ধারা অনুযায়ী যেহেতু সাধারন সম্পাদক পদে আর ভোট অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই, ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার চেতনায় বিশ্বাসী (নীল দলের)’ প্রার্থীকে সাধারন সাধারণ পদে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।

এক আবেদনেই মিলবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ সেবা

সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, এডমিট কার্ডসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৯টি সেবা এখন থেকে এক আবেদনেই গ্রহণ করতে পারবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থীকে ফি জমা দিতে ব্যাংকে যেতে হবে না।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তার কাঙ্খিত সেবা পাবে। শুধু তাই নয়, যে বিষয়ে আবেদন করা হবে তা প্রস্তুত হলে অটো এসএমএস চলে যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে ও মেইল আইডিতে।

সভায় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবাগুলো যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এক আবেদনে পেতে পারে সে জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দ্রুত ও স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদানের জন্য নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে সেবা পাবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯টি সেবা একই আবেদনে পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) প্রবেশ করে সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে স্টুডেন্ট লগিনে গিয়ে এক্সামিনেশন সার্ভিস মেন্যুতে যেতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে কমবাইন্ড সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে ডকুমেন্টস কারেকশন মেন্যুতে ক্লিক করে ৬টি সেবা একসঙ্গে গ্রহণ করতে পারবে। এই সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, ট্রান্সক্রিপ্ট (দ্বিতীয় বার)। আর ডুকমেন্টস ডুপলিকেট মেন্যুতে ক্লিক করে ৪টি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট।

একইভাবে ইমপ্রুভমেন্ট মেন্যুতে ক্লিক করে ২টি সেবা নিতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে- মার্কশিট, সার্টিফিকেট। ট্রান্সলেশন মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন ৩টি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট। ফ্রেস কপি মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন ৪টি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, অরজিনাল সার্টিফিকেট। এই সেবাগুলো একজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে নিতে পারবে। আবার আগের মতো আলাদাভাবেও সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে একসঙ্গে আবেদন করলে অর্থ এবং সময় উভয় দিক থেকেই সাশ্রয় হবে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) দফতরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা, ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সেলের সচিব ড. আলী জাফর চৌধুরী।

মাস্টার্সে ১ম, শিক্ষা ক্যাডারে ২য় রাবি শিক্ষার্থী রনি

৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজি বিষয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার রনি।

এর আগে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষায় নন-থিসিস গ্রুপ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন শাহরিয়ার রনি।

শিক্ষা ক্যাডারে দ্বিতীয় হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে শাহরিয়ার রনি বলেন, “মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞ আমি। রোল টা রেজাল্ট শীটে খুঁজে পাওয়ায় ভীষণ খুশি হয়েছিলাম; আর শিক্ষা ক্যাডারের ইংরেজি বিষয়ের মেধাতালিকার প্রথম দিকে নিজের রোলটা দেখতে পাওয়া আরো নতুন মাত্রা যোগ করে।”

ডিপার্টমেন্টে ভালো রেজাল্ট করার পেছনে আগে থেকেই শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছেটা ছিল কি না?—এই প্রশ্নের উত্তরে রনি জানান, “ইংরেজি বিভাগে ভালো করাটা আসলে পরবর্তীতে শিক্ষক হতে সাহায্য করবে তেমন মানসিকতা থেকে হয়নি। আমি মোটামুটি প্রথম থেকেই বিসিএস নিয়ে আগ্রহী ছিলাম; সেই হিসাবে ডিপার্টমেন্টে প্রথম দিকে থাকতেই হবে এমন প্রয়োজন অনুভব করিনি। তবে ডিপার্টমেন্টে ভালো করার প্রধান কারণ: প্রথমত আল্লাহর সাহায্য; দ্বিতীয়ত, সাহিত্যের প্রতি ভালো লাগা আগে থেকেই ছিল, কারণ আমার বড় ভাই নিজেও ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন এবং বর্তমানে একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।”

“রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে আসার পর সসম্মানিত শিক্ষকগণ ও তাদের নির্দেশনা; ডিপার্টমেন্টের
সিনিয়র ও বন্ধুদের মধ্যে বিভিন্ন আইডিয়া, ফিলোসোফি নিয়ে ডিসকাশন সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসাটা আরও বাড়িয়ে দেয়। এজন্যই যতটুকু অর্জন তা সম্ভব হয়েছে।” —যুক্ত করেন শাহরিয়ার রনি।

বিসিএস পরীক্ষার জন্য নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার রনি বলেন, “প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেহেতু লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাছাই পর্ব; তাই প্রিলির ক্ষেত্রে যত মার্কস পেলে রিটেনের জন্য মনোনীত হওয়া সম্ভব, তত মার্কের আশেপাশের টার্গেট নিয়ে প্রস্তুতি নিতাম। রিটেনে সবগুলো বিষয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি, পরীক্ষায় টাইম মেনেজমেন্টের উপর গুরুত্ব দিয়েছি। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসার চেষ্টা করেছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। ভাইভাতে সাবলীল থাকার চেষ্টা করেছি। উত্তর দেবার সময় জড়তা যেন না আসে সেদিকে সতর্ক ছিলাম। ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ থেকে যা যা শিখেছি, সেগুলো এখানে অনেক সহযোগিতা করেছে।”

ইডেন কলেজের নতুন অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম৷ এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন৷

আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-২ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য অবসরে যাওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হলেন অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম৷

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

১। গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরবেন না
২। পড়ার লেখার চেয়ে বন্ধু বান্দবকে প্রাধান্য দেয়া যাবেনা
৩। রুমে নয় লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশুনা করুন, এতে আপনার স্টাডি সার্কেল বড় হবে
৪। সিট নয় বই কিনে পড়ুন
৫। নিজের যা আছে তার চেয়ে বেশি দেখাতে যাবেন না
৬। রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে বেশি হাই হ্যালো না করলেও শত্রুতা রাখবেন না

৭। নিজেকে সবার সেরা মনে করে অন্যকে ছোট করা যাবে না
৮। হলের ক্যান্টিনে বকেয়া রাখবেন না
৯। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে এড়িয়ে যাবেন না
১০। লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়ে পড়ার চেয়ে বেশি আড্ডা দিবেন না
১১। অন্যের কক্ষে গিয়ে বেশিক্ষণ আড্ডা না দেয়াই ভালো

১২। জুনিয়রদের কাজের হুকুম না দিয়ে ভালোবাসুন, দেখবেন এমনিতেই সে আপনার প্রয়োজনে কাজে আসবে
১৩। এক শিক্ষকের বদনাম আরেক শিক্ষকের কাছে বলবেন না
১৪। দোকানে খাওয়া শেষে বিল দিতে না পারলে বলে আসুন পরে দিবেন কিন্তু না বলে আসবেন না
১৫। ধর্ম কর্ম একেবারে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কারণ, দিন শেষে মনের শান্তির জন্য হলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা উচিত
১৬। পরীক্ষার চিন্তায় পড়াশুনা কমিয়ে দিবেন না

১৭। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে রাখবেন না
১৮। একটা কিছু হবেই, এ ভেবে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিবেন না। প্রথম থেকে ক্যারিয়ার ভিত্তিক পড়াশুনা করতে হবে
১৯। শিক্ষকদের তোষামোদি করে ভালোবাসা নয়, মেধা দিয়ে ভালোবাসা অর্জন করুন
২০। ক্যাম্পাসে কাউকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না