বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা : গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবারও খেতে পারে হোঁচট

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা মহামারীর মধ্যে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হলেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে মহামারীর মধ্যে সেই পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হবে কি-না সেই সংশয়ের পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হবে কিনা এমন সংশয়ে শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা।

তবে আশার কথা এই যে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির চূড়ান্ত মূল্যায়ন ফল ঘোষণা করা হবে, যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।এমনই জানিয়েছেন সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।

এদিকে পরীক্ষা নেয়া হলেও গেলবারের মতো এবারও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া হোঁচট খেতে পারে দেশের প্রধান কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রক্রিয়ায় না যেতে চাওয়ার অনীহার কারণে।

আর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। তারা চাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নিতে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে। এজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ১৫ অক্টোবর সভা ডেকেছে ইউজিসি।

দেশে বর্তমানে ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার আসনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। একারণে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি অভিভাবকদের আর্থিক ব্যয় হয়।

গত কয়েক বছর ধরেই সমন্বিত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ প্রধান পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। এরপরও গেলবছর কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও সাধারণ- এই চারটি গুচ্ছের আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় ইউজিসি।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর বলেন, ইউজিসি এখনও মনে করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া দরকার। কারণ বোর্ডের রেজাল্টের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও আস্থা রাখতে পারেনি। এবার সমস্যাটা হবে যে এত শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে নেয়া হবে। এটা যদিও একদিনের ব্যাপার। করোনার আগে চিন্তা করে রেখেছি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার। গুচ্ছ পদ্ধতির সুবিধাটা অনেক তাই করোনাকালীন সময়েও আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতেই আছি। এখনও এর কোনও বিকল্প চিন্তা করিনি।

উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হলেও দেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার মতো শিক্ষার্থী প্রচুর উল্লেখ করে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক দেশেই মেধা, ভর্তি পরীক্ষার ধরন, উচ্চমূল্যের টিউশন ফি প্রভৃতি কারণে উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সবাই উচ্চশিক্ষা নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে খুব কম জিপিএ নিয়েও উচ্চশিক্ষায় যাওয়া যায়। এবার যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী পাস করবে সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট না পড়লেও সবার উচ্চশিক্ষা কতটা দরকার সেটাও ভাবার সময় এসেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সমন্বিত পদ্ধতিতে নিতে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি। তিনি বলেছেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও তিন মাস সময় রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হোক তারপর আমাদের অ্যাডমিশন কমিটি, ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হঠাৎ করে তো আর এই সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। বিজ্ঞানসম্মত বাস্তবতার মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরও পড়ুন

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে

আর বাস্তবতার নিরিখেই সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাবে নাকি প্রতিবারের মতো নিজেরাই ভর্তি পরীক্ষা নেবে সেবিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।

এবার এসএসসি – এইচএসসির নাম্বার ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে শতভাগ শিক্ষার্থীকে পাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, জেএসএসি এবং এসএসসি পরীক্ষার গড় ফলাফলের ভিত্তিতেই এবার এইচএসসির ফলাফল মূল্যায়ন হবে। এর ফলে নতুন পদ্ধতিতে এসএসসি এবং এইচএসসির জিপিএ নম্বর ছাড়াই স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার চিন্তাভাবনা করছে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

আগামী ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নীতিনির্ধারকরা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় বসবে। সেখানে বিস্তারিত আলাপ করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এবার লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।

তাঁর মতে, এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা এসএসসি এবং এইচএসসির ফলাফলের নম্বর বিবেচনা করবো না। ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে পূর্বের দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন না করার এটা সবচেয়ে ভালো সুযোগ। এই বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আমি আলোচনা করবো।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার করণীয় নিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের একটি বৈঠক ডেকেছি। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করা হবে। তবে আমাদের অবস্থান হলো, ভর্তিচ্ছুদের বিগত দুটি পাবলিক পরীক্ষার নম্বর বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদের বের করে নিয়ে আসা।

তাঁর মতে, শিক্ষার্থীদের ভালোর স্বার্থে ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি এবং এইচএসসির নম্বর বাদ দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

সূত্র মতে, চলতি বছর দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই ইউজিসির অধীনে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আলাদাভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্নাতক পরীক্ষা নেবে।

দেশের ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য প্রায় ৬০ হাজার আসন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসিতে নুন্যতম জিপিএ ২.৫০ হওয়ায় প্রতিবছরই অন্তন্ত ১ থেকে ২ লাখ শিক্ষার্থী খারাপ ফলাফল করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আবেদনই করতে পারেন না।

তবে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিকের এই পরীক্ষা বাতিল করে শতভাগ শিক্ষার্থীকে পাশ করার সিদ্ধান্তের ফলে ১৩ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীই পাশ করেছে। পরীক্ষা ছাড়াই শতভাগ পাশের এমন ঘটনা দেশের ইতিহাসে প্রথম। সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রায় শতভাগই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো ইউনিটে ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয় যেখানে ১২০ নম্বরের লিখিত এবং এমসিকিউ পরীক্ষা হলেও ৮০ নম্বর বরাদ্দ থাকে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে।

তথ্য অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, গণিত এবং ইংরেজির ফলাফল বিবেচনা করে। তবে তারা আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেয়। এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় হল- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েত) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

এবার চার ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম তিন ধাপে প্রকৌশল, কৃষি ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

অটোপাস সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী, উচ্চশিক্ষায় সিট ১২ লাখ : বাকীদের কি হবে?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি’২০ পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

অন্যদিকে এবার সাড়ে ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস। এই বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারণ, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির জন্য এত আসন নেই। যদিও ইউজিসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর হিসাবে আসনের এই তথ্য নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের এখন বড় চিন্তার কারণ উচ্চশিক্ষায় ভর্তি ।

এদিকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করবেন।

এখন চাইলে সবাই ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভাল করে ইউজিসি। সংস্থাটির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান শনিবার দেশের এক প্রথম সারির দৈনিককে বলেন, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলো মিলিয়ে উচ্চশিক্ষায় ভর্তিযোগ্য আসন আছে সোয়া ৮ লাখের মতো।

এদিকে ইউজিসির হিসাবে অনুযায়ী, ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে ৬০ হাজারের মতো। বাকি আসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে অনুমোদন পাওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৭টি। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ আছে।

ইউজিসির হিসাবে অনুযায়ী, ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে ৬০ হাজারের মতো। বাকি আসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে অনুমোদন পাওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৭টি। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ আছে।

এদিকে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের সঙ্গে সভা আছে।

 

এইচএসসি তে সব শিক্ষার্থী পাশের সিদ্ধান্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের সীমাহীন খুশি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাইকে পাস করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে খুবই খুশী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশি খুশী।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্র্রী ভর্তি করতে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নানা বৈধ-অবৈধ পন্থার অবলম্বন করতে হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সীমিত থাকায় আগের তুলনায় এবার দ্বিগুণ শিক্ষার্থী বাড়বে বলে আশা তাদের। যেসব পরীক্ষার্থী ফেল করার হওয়ার ভয়ে ছিল তাদের বেশিরভাগই নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেছে নেবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আর ভর্তির জন্য এসব শিক্ষার্থীকেই টার্গেট করেছে নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সীমিত হওয়ায় এবং ভালোমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা থাকায় এবারে বিনা পরীক্ষায় এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়া দুর্বল শিক্ষার্থীরা সহজ লক্ষ্য হিসেবে নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই বেছে নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেভাবেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়নের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সব শিক্ষার্থীই পাস করার ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বাড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ইউজিসির হিসেব অনুযায়ী, ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন আছে ৬০ হাজারের মতো। বাকি আসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে অনুমোদন পাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৭টি। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির সুযোগ আছে।

অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই সনদ বিক্রি, নিম্নমানের পাঠদান, খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে চালানো, শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

মালিকদের চাপে সংবাদমাধ্যমে কথাও বলতে পারেননা অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামী ভিসি, স্ত্রী প্রোভিসি, ছেলে কোষাধ্যক্ষ ও মেয়ের জামাই রেজিষ্ট্রার। এগুলো পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এরাই টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচুর বিজ্ঞাপন দেয়া । ফলে সাংবাদিকরা নিম্নমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে না।

সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোয় সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির মুখে সেই ছাত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর পর সামাজিক মাধ্যমে বিদ্রূপ আর হয়রানির মুখে পড়েছেন একজন ছাত্রী।

শতাব্দী রায় নামের ওই শিক্ষার্থী বলছিলেন, ”প্রথমদিন সারাদিন আমি কান্না করেছি। কোন কিছু খেতে পারিনি। মানুষ এতোটা খারাপ হয় কি করে?”

গত ৮ই অক্টোবর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শতাব্দী রায়ের পক্ষে বাংলাদেশে সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশের ব্যাপারে শিক্ষার্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, আমরা নোটিশে বলেছি যে, জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলে ভিত্তিতে গড় ফলাফলের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা যুক্তি সঙ্গত নয়। কারণ অনেকে আগে খারাপ ফলাফল থাকলেও এখন তারা হয়তো ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন। আবার অনেকের আগে ভালো রেজাল্ট থাকলেও এবার হয়তো তাদের প্রস্তুতি ভালো নয়।

বাংলাদেশে এই বছর প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। তবে গত সাতই অক্টোবর বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না, বরং জেএসসি এবং এসএসসি’র ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের এইচএসসি’র ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন।

” এই সিদ্ধান্তের পেছনে যথাযথ চিন্তাভাবনার অভাব আছে, বিশ্লেষণ কম হয়েছে, কিন্তু এর ফলে নোটিশদাতার মতো প্রতিভাবান, কঠোর পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখোমুখি হবে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় এই শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখোমুখি হবে।” বলছেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

”আমরা পরামর্শ দিয়ে বলেছি, করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া না গেলে অন্তত টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে যেন মূল্যায়ন করা হয়।”

১৬ বছরেও বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখতে পাইনি শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

রাজশাহীর বাঘার তেঁথুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষা দেন মুস্তারী জাহান। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার দাবিতে মামলা করেন তিনি। খাতা না দেখাতে শিক্ষা বোর্ড মামলাটি হাইকোর্টে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মামলাটি আবার নিম্ন আদালতে আসে।

১৬ বছর চলছে সেই মামলা। আগামী ১ নভেম্বর মামলাটি ১৭ বছরে পড়বে। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।

মুস্তারী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রামের মুনসুর রহমানের মেয়ে। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে তেঁথুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন মুস্তারী। এতে তাঁকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। সে সময় নাবালিকা থাকায় তাঁর পক্ষে আদালতে মামলা করেন বাবা মুনসুর।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসির ফল প্রকাশিত হয় ২৬ জুন। মুস্তারী খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেন। তাতেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে ১ নভেম্বর রাজশাহীর আদালতে মামলা করা হয়। এতে বলা হয়, মুস্তারী বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেন। ওপরের কভার ঠিক রেখে উত্তরপত্র বদল করার কারণে তাঁর ফলাফল অকৃতকার্য এসেছে।

এই আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান, যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবনে এ অভিশাপ না নেমে আসে।

মুস্তারীর বাবা মুনসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, “মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত উত্তরপত্র হাজির করার নির্দেশ দেন। আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উত্তরপত্র নষ্ট না করার ব্যাপারেও আদেশ দেন। এ জন্য তিনি আদালতের নির্দেশে ট্রাংক ও তালাচাবি কেনার জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ড হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন করে। সেখানেও নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখা হয়। পরে শিক্ষা বোর্ড আপিল বিভাগে যায়। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রেখে উত্তরপত্র হাজির করার নির্দেশ দেন।”

মামলার ৭ বছর পর ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা বোর্ড আদালতকে জানায়, ছয় মাসের বেশি শিক্ষা বোর্ডে উত্তরপত্র সংরক্ষণ করা হয় না। তবে এ শিক্ষার্থীর খাতার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না বলায় ২০১১ সালের ২১ জুন আদালত বোর্ডের চেয়ারম্যানকে পরবর্তী ধার্য দিনে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান সশরীরে হাজির হতে পাঁচ বছর সময় নেন। তারপরও খাতা দেখানো হয়নি। বর্তমানে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মামলাটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বাদীপক্ষ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

জানা যায়, মুস্তারী জাহান চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মামলা করার পরের বছর ওই কেন্দ্রের শিক্ষক দিয়ে তাঁকে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়া হয়। কোনো উপায় না দেখে রসায়ন পরীক্ষার আগে বিষয়টি ইউএনওকে জানান তিনি। ইউএনও তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রের বারান্দায় একা একটি বেঞ্চে বসিয়ে আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ইউএনও পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বারান্দার নিচে বসেছিলেন।

মুস্তারী দাবি করেন, খারাপ শিক্ষার্থী প্রমাণ করার জন্য পরেরবারও তাঁর উত্তরপত্র পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। ফলে তাঁর ফলাফল আবার খারাপ হয়। তিনি কোনোমতে পাস করেন। হতাশ হয়ে উচ্চমাধ্যমিকে মানবিক বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে এ গ্রেড পেয়ে পাস করেন।

এসএসসির ফল খারাপ হওয়ার কারণে তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনই করতে পারেননি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়েছে। তবে তিনি এই আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান, যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবনে এ অভিশাপ না নেমে আসে।

জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন জানান, এটা অনেক আগের কথা। তিনি কিছুই জানেন না।

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি’২০ পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

অন্যদিকে এবার সাড়ে ১৩ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর সবাই পাস। এই বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে বর্তমানে ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ‘গুচ্ছ ভিত্তিতে’ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সিদ্ধান্ত নিলেও, এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) নিজেদের মতো করে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

ইউজিসি বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের সিদ্ধান্ত হলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যদের সঙ্গে সভা আছে।

এদিকে, এমনিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাধারণত অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার স্বাভাবিকভাবেই তা পেছাবে।

ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা না হওয়ার সম্ভাবনা!

ডেস্ক রিপোর্ট


শীতকালজুড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রকোপ চলমান থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এজন্য দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। আর এতে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সূত্র মতে,সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা দেশের অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি চরম ক্ষতি করেছে শিক্ষা খাতের। প্রায় এক বছর নষ্ট হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে সরকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস, টেলিভিশন পাঠদান চলমান রাখলেও সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ। সামনে করোনার দ্বিতীয ঢেউ আসলে পাঠদানের ক্ষতির পাশাপাশি এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সংশয় তৈরি হবে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। সরাসরি পরীক্ষা বা ক্লাস টেস্ট নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

এইচএসসি: ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ না ‘অটোপাস’, সার্টিফিকেটে লেখা থাকবে কোনটা?

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনার কারণে এইচএসসি’২০ পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি। পরীক্ষা নিতে না পেরে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের ফল প্রকাশে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল-কলেজগুলো পন্থা নিয়েছিল সেটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তাতে ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ উল্লেখ থাকবে।

কিন্তু এবারের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ডিসেম্বরে যে ফল দিতে যাচ্ছে তা ‘প্রেডিকটেড’ লেখা যাবে না। অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্টে কী লেখা হবে ‘আরোপিত’ বা ‘অটোপাস’। যে পন্থা নেয়া হয়েছে সেটা বৈজ্ঞানিক নয় বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা।

দেশে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশই যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাডেক্সেল’-এর শিক্ষার্থী। সংস্থাটির বাংলাদেশের প্রধান আবদুল্লাহ লিটন সাংবাদিকদের বলেন, মে-জুন সেশনের ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেল পরীক্ষার্থীদের ফল তৈরির ক্ষেত্রে বেশকিছু নীতি অনুসরণ করা হয়।

প্রথমত, শিক্ষার্থীদের নেয়া ‘মক টেস্ট’র (বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুতি পরীক্ষা) ফল বিবেচনা করা হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে এই টেস্ট না নিতে পারলে ‘ক্লাস টেস্ট’ (বছরব্যাপী) বিবেচনা করা হয়। যদি এই টেস্টের ফলও কোথাও না পাওয়া গেছে সেখানে শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীর সম্ভাব্য প্রাপ্ত গ্রেড নেয়া হয়েছে। যেহেতু শিক্ষার্থীকে শিক্ষকই যথার্থভাবে মূল্যায়ন করতে পারে। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের পরীক্ষা বোর্ড এমন আরও কিছু গাইডলাইন দিয়েছিল। সেটার আলোকে গোটা বিশ্বেই এই নীতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীর ফল তৈরি করা হয়। এটাকেই ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ বলা হয়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, আগের দুই পরীক্ষার ফলের গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল নির্ধারণে আরও বেশকিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলে এসএসসি ও এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বরের একটি অংশের গড় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ শতাংশ এবং এসএসসির ৪০ শতাংশ নেয়া হয়েছে। কোথাও এইচএসসির ৩০ বা ২৫ শতাংশ আর এসএসসির যথাক্রমে ১০ ও ১৫ শতাংশ নেয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে বুয়েটসহ ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিদ্যার বিষয়ে গ্রেড নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

স্নাতকে সম্মান পড়তে বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করা হয়। এসএসসির তুলনায় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি স্তরে উল্লিখিত বিষয়ে বেশ গুরুত্ব দেন। কিন্তু সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, গড় নম্বর বা গ্রেড দেয়া হলে কেউ অতি মূল্যায়িত হবেন আবার কেউ অবমূল্যায়িত হবেন। এতে কেউ কেউ বঞ্চিত হতে পারে।

জেএসসি-এসএসসি ফল অনুযায়ী রেজাল্ট দেওয়া হবে এমন সিদ্ধান্তে দেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেউ কেউ সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা পরীক্ষায় বসতে চাচ্ছেন। সেটা সম্ভব না হলে ইংরেজি মাধ্যমের মতো ‘প্রেডিকটেড রেজাল্ট’ (সম্ভাব্য ফল) চেয়েছেন তারা।

এবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে তৈরি হতে পারে যেসব জটিলতা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলতি বছর জেএসসি ও এসএসসি’র ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল নির্ধারণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় যে কোনো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা আছে কি না। আর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলও নির্ভর করে এই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।

পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে পড়তে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিতের মত কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ন্যুনতম গ্রেড প্রয়োজন হয়।

তাই পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি’র ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি’র ফলাফল দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা থাকে। খবর বিবিসির।

যে ধরণের জটিলতা তৈরি হতে পারে
বর্তমান নিয়মে বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া মোট নম্বরের ৪০ ভাগ এসএসসি ও এইচএসসি’র ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই এই নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেন শিক্ষা গবেষক ছিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, “এসএসসি’র ১০%, এইচএসসি’র ৩০% ও ভর্তি পরীক্ষার ৬০% নিয়ে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় ঐ ৩০% আর থাকছে না, কাজেই ভর্তি পরীক্ষার ওপর জোর বেশি দিতে হবে।”

এইচএসসি’র ফল এসএসসি ও জেএসসি’র ফলের গড়ের মাধ্যমে হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি’র ফল গণনা করা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মনে করেন রহমান।

জেএসসি পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের একই বিষয় পড়তে হয়। এসএসসি’তে বিভাগ আলাদা হওয়ার পাশাপাশি আলাদা আলাদা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় বলে এইচএসসি’র সব বিষয়ের ফল এই দুই পরীক্ষার গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।

ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, “যেই বয়সে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষা দেয়, সেই বয়সে তাদের মানসিক পরিপক্কতা আসে না। ঐ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি’র ফল নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গত বা বিজ্ঞানসম্মত নয়।”

তবে যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি থেকে এইচএসসি’তে বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের ফল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন মি. রহমান।
“কেউ হয়তো এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল, কিন্তু এইচএসসির সময় পরিবর্তন করে মানবিক বিভাগ নিয়েছে। ঐ বিভাগের নম্বরের ভিত্তিতে বর্তমান বিভাগে ফলাফল দেয়া হলে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত হবে না।”

আর এই জটিলতার ফলে সরকারি প্রকৌশল এবং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন মি. রহমান।

এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষার পর যেসব শিক্ষার্থী দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিদ্দিকুর রহমান।

“পরীক্ষা না নিয়েই মূল্যায়ন করার ফলে বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়তো এই শিক্ষার্থীদের নিতে চাইবে না। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতির উপর নির্ভর করে।”

পরামর্শক কমিটি কী বলছে?
গত ৭ই অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন জেএসসি ও এসএসসি’র ফলের ভিত্তিতে কীভাবে এইচএসসি’র ফল ঠিক করা হবে, তা নির্ধারণ করবে এই বিষয় সংক্রান্ত একটি পরামর্শক কমিটি।
এই পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক জানান, ঠিক কোন নীতি অনুসরণ করে ফলাফল নির্ধারিত হবে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ করা হচ্ছে।

মি. হক বলেন, “কীভাবে জেএসসি পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো যুক্ত করে এইচএসসি’র বিষয়গুলোর সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল কমিটিও কাজ করছে।”

তিনি জানান, এসএসসি থেকে এইচএসসি’তে যেসব শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে কমিটি।
“শুধু বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় নয়, কারিগরি শিক্ষা বা মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। আবার প্রাইভেট, মান উন্নয়ন শিক্ষার্থীও আছে। এই প্রতিটি ক্ষেত্রই আমরা শনাক্ত করেছি এবং একটার সাথে আরেকটাকে সম্পৃক্ত করতে যা করা দরকার তা নিয়ে কাজ করছি।”

তবে এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়া হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই শিক্ষার্থীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে না বলে মনে করেন জিয়াউল হক।
“আমাদের দেশ থেকে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময় তারা শুধু দেখে যে শিক্ষার্থী টুয়েলভ গ্রেড পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে কিনা। এরপর শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিই অবলম্বন করে।”

“আর সারা পৃথিবীতে অনেক জায়গাতেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পাবলিক পরীক্ষা বা এক্সিট এক্সামগুলো নেয়া সম্ভব হয়নি। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে যাচাই করা হবে বলে আমার মনে হয় না।”