আবারও পিছিয়ে যেতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।গত বছরের মতো এবার ও পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবি তুলেছেন। তবে এবার অটোপাস দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জুন-জুলাইয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনার প্রকোপে তা এক-দুমাস পিছিয়ে যেতে পারে। কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সে বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ আছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর পার হয়েছে প্রায় ১৪ মাস। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ প্রসঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছি আমরা। জুন-জুলাইয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সেটি হয়তো দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা অন্যায়। কারণ তারা পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস হলেও এবার তাদের পরীক্ষায় বসতেই হবে।’

এর আগে ৬০ দিন ক্লাস শেষে এসএসসি এবং ৮০ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু করোনার কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি। এ পরিস্থিতিতে এসএসএসি পরীক্ষার্থীদের একাংশ অটোপাসের দাবি তুলেছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছে করোনার কারণে ১৪ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় তারা পড়ালেখা করতে পারেনি। তাই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করলেও শেষ করা যাবে না।

তবে সরকারের দায়িত্বশীলরা বলছেন, যারা অটোপাস পেয়েছে, তারা প্রস্তুতি নিতে পেরেছিল। সব ক্লাস করেছিল। টেস্ট পরীক্ষাও দিতে পেরেছিল তারা। কিন্তু এ বছর পরীক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করতে পারেনি। সে জন্য অটোপাস তাদেরই ক্ষতির কারণ হবে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই চলতি বছর অটোপাস দেওয়া হবে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পরীক্ষা নেওয়া না নেওয়া করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। তবে এ বছর অটোপাস দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা কোনো ক্লাস করতে পারেনি। এবার পরীক্ষা তাদের দিতেই হবে।

বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

চলতি বছর থেকে নতুন ভর্তিও বন্ধ হতে পারে বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স। এসব কোর্স বন্ধ করতে ২০১৯ সাল থেকে নতুন কলেজে এসব কোর্সের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না।

এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি মঙ্গলবার প্রথম বৈঠক করেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের কাজ শুরু করেছি৷ এখনো নিশ্চিত নয় যে, সব বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করা হবে কিনা।’’

জানা গেছে, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতেই মূলত যেসব বেরসকারি কলেজে শিক্ষক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই সেখান থেকে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বেসরকারি কলেজ শিক্ষক মিল্টন মন্ডল বলেন, ‘‘সরকার কী কারণে বেসরকারি কলেজে অনার্স- মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করছে তা তারাই ভালো বলতে পারবে। তবে যদি মানের কথা বলেন, তাহলে বলবো, আমরা যারা শিক্ষক, তাদের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক হবে না। আমরা প্রায় সবাই ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি। নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন!

চবি টুডে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আবেদনের সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। ৭ মে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শেষ হওয়ার আগেই আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী। যেখানে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আবেদনের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭০ জন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইসিটি সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, সার্ভারজনিত ত্রুটির কারণে প্রথম দিকে কিছু অসুবিধা হলেও এখন সব ঠিক আছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

১২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ এপ্রিল। তবে করোনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভারজনিত ত্রুটির জন্য এ সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে ৭ মে রাত ১২টায়। তবে ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

পরীক্ষা কেন্দ্র

ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসে ২২ হাজার শিক্ষার্থী বসার মতো আসন রয়েছে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা বিবেচনায় ১৫ হাজার করে পরীক্ষা কয়েক শিফটে নেওয়া হবে।

পরীক্ষার সময়সূচি

২২ ও ২৩ জুন ‘বি’ ইউনিট, ২৪ ও ২৫ জুন ‘ডি’ ইউনিট, ২৮ ও ২৯ জুন ‘এ’ ইউনিট ও ৩০ জুন ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ১ জুলাই উপ-ইউনিট ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://admission.cu.ac.bd) পাওয়া যাবে।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি আবেদন শুরু আজ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন আজ (২ মে) থেকে শুরু হয়েছে। আবেদন করার যাবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন যোগ্যতা

এ বছর শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ বিষয় ব্যতিত সর্বনিম্ন ৩.৫ এবং সর্বমোট ন্যূনতম ৮.০০ জিপিএ থাকতে হবে।

আবেদন ফি

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০০০ টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ না পেলে ‘হ্যান্ডেলিং কস্ট’ ৩০০ টাকা রেখে ৭০০ টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া হবে।

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন

১০০ মার্কের এমসিকিউ প্রশ্নের পরীক্ষা হবে। এবং ১০০ মার্কের সঙ্গে এসএসসি ও এইসএসসি উভয় পরীক্ষার প্রাপ্ত মানকে ২৫ করে মোট ১৫০ মার্কের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিত বিষয় থাকা শিক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবে।

মোট আসন সংখ্যা

সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ গুচ্ছ পদ্ধতিতে মোট আসন ৩৪১৯টি। এবং আসনের প্রেক্ষিতে ৩৪১৯০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনে আবারও তালা!

বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক আসন সংখ্যা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি , সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি।

পরীক্ষার সময়সূচি

পরীক্ষা হবে আগামী ৩১ জুলাই। এবং ফল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৫ আগস্ট। ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা, প্রথম অপেক্ষমান, দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তি কার্যক্রম ২২ আগস্ট থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।

বাংলাদেশিরা বিনা মূল্যে এমবিএ পড়ার সুযোগ পাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইচ্ছা করলেই পড়তে পারবেন যে কেউ। এ জন্য পকেট থেকে খসবে না এক কানাকড়িও। কারণ, আছে অনলাইন কোর্স। এ ছাড়া আছে বৃত্তির সুযোগ।

বিশ্বের অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। উক্ত বৃত্তির নাম বোস্তানি ফাউন্ডেশন বৃত্তি। ২০২১ সালে এ বৃত্তির আওতায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে পড়তে পারবেন যে কেউ।

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল প্রতি দুই বছরে একবার বোস্তানি এমবিএ হার্ভার্ড বৃত্তি দিয়ে থাকে। এ বৃত্তি দুই বছরের কোর্সের জন্য। চলমান বছরের ৩১ মে পর্যন্ত আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বোস্তানি ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালে। নাবিল বোস্তানি ও তাঁর ছেলে ফাদির হাত ধরে এ ফাউন্ডেশনের পথচলা শুরু।

আবেদন ও বৃত্তির বিস্তারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। http://online.hbs.edu

৮ মে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শেষ, পরীক্ষা ১২ জুন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক, দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলমান রয়েছে চলমান শিক্ষাবর্ষে।

গত ২৪ এপ্রিল (শনিবার) থেকে চলা আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৮ মে (শনিবার) পর্যন্ত।

একযোগে এ গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন।

ভর্তিচ্ছুরাhttps://www.admissionckruet.ac.bd/ লিংকের মাধ্যমে প্রকৌশল গুচ্ছ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে উপবৃত্তির তথ্য সংশোধনের সময়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক,

২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এবং ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা তথ্যে ভুল থাকায় তাদের উপবৃত্তির টাকা পাঠাতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি।

এসব শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে আগামী ৭ মে পর্যন্ত উপবৃত্তির তথ্য সংশোধনের সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

এসব শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে আগামী ৭ মে পর্যন্ত উপবৃত্তির তথ্য সংশোধনের সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

তথ্য সংশোধনের পদ্ধতি:

প্রথমে সার্ভারে প্রবেশ মেনুবার অনুসরণ করে ‘উপবৃত্তি প্রাপ্য শিক্ষার্থী’ বাটনে ক্লিক করতে হবে৷ এরপর ‘শিক্ষার্থীর তথ্য আপডেট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

‘শ্রেণি’ অপশনে ক্লিক করে শ্রেণি সিলেক্ট করতে হবে। এবার ‘শিক্ষার্থীর অবস্থা’ অপশনে ক্লিক করে “ভুল পেমেন্ট তথ্য’ সিলেক্ট করে ‘খুজুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এবার শিক্ষার্থীর নামের তালিকায় ‘কলম’ সদৃশ এডিট বাটনে ক্লিক করে শিক্ষার্থীর ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে৷ এবার ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে৷

করোনায় কারিগরি শিক্ষার বেহাল অবস্থা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক, কারিগরি শিক্ষায় তত্ত্বীয় ক্লাসের চেয়ে ব্যাবহারিকের গুরুত্বই বেশি। কারিগরি শিক্ষায় কমপক্ষে ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাবহারিক শিক্ষা নিতে হয়। ফলে করোনাকালে ঝুঁকিতে পড়েছে ব্যাবহারিকনির্ভর কারিগরি শিক্ষা।

জানাগেছে, সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিগরি শিক্ষার চলতি বছরের এসএসসির (ভোকেশনাল) জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির (ভোকেশনাল) জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ডিপ্লোমা পর্যায়েও কোর্স ছোট করা হয়েছে। অথচ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৬৫ শতাংশ এবং ভোকেশনালে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাবহারিক রয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পক্ষে যথাযথ ব্যাবহারিক করা সম্ভব হবে না। এতে তাদের দক্ষতা অর্জনও দুরূহ হয়ে পড়বে।

করোনাকালে এক বছর বন্ধ থাকার পর ফেব্রুয়ারি থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়। প্রতিটি বিষয়ের মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হয় ৫০ নম্বরের। আর তিন ঘণ্টার পরীক্ষা দুই ঘণ্টা এবং দুই ঘণ্টার পরীক্ষা দিতে হয় এক ঘণ্টা ৩০ মিনিটে। এসব শিক্ষার্থীর গত বছরের মার্চের আগে ৮০ শতাংশ ক্লাস ও ব্যাবহারিক শেষ হয়েছিল, কিন্তু পরীক্ষা আটকে ছিল। তাই তাদেরই শুধু পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে কোনোভাবেই মেলানোর সুযোগ নেই। অনলাইনে তত্ত্বীয় ক্লাস নেওয়া গেলেও ব্যাবহারিক নেওয়া যায় না। তাই করোনায় কারিগরির শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আগামীতে তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।’

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির সাথে পোশাক কেনার টাকা পাবে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী পোশাক কেনার জন্য টাকা পেতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২০২০-২১ অর্থবছরে তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির উপবৃত্তির টাকার সঙ্গে পোশাক কেনা বাবদ ১ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক আদেশে জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির উপবৃত্তির টাকা যথাসময়ে বিতরণের জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক আগামী ৯ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত পিইএসপি পোর্টালে প্রয়োজনীয় তথ্য (কিট অ্যালাউন্সের কিস্তিভিত্তিক চাহিদা) এন্ট্রি করণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হলো। নগদ কর্তৃপক্ষ আগামী ৯ মের আগেই পিইএসপি পোর্টাল উন্মুক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

জানাগেছে, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও অনুমোদন পেয়েছে ‘প্রাথমিক উপবৃত্তি’ প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব। এর ফলে গত বছরের অক্টোবর শেষ হয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়লো।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির (জুলাই-২০ থেকে ডিসেম্বর-২০) উপবৃত্তির টাকা বিতরণের লক্ষ্যে সুবিধাভোগী ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের তথ্য এবং চাহিদাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পিইএসপি পোর্টালে এন্ট্রির কাজ শেষ হয়েছে। অচিরেই সুবিধাভোগী অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি প্রাপ্য প্রত্যেক শিক্ষার্থী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের জন্য অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের তৃতীয় কিস্তিতে উপবৃত্তির টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা হারে কিট অ্যালাউন্স পাবে। কিট অ্যালাউন্স দিয়ে শিক্ষার্থীরা জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনবে।

মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২২ মে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আগামী ২২ মে থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হচ্ছে।

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ আগামী ২২ মে থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হচ্ছে। আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এছাড়া পহেলা আগস্ট থেকে এমবিবিএস কোর্সের ক্লাস শুরু হবে।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়ামী ২২ মে থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি শুরু হবে। ২২ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সরকারি মেডিকেলে দেশীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে।

আরও বলা হয়েছে, সরকারি মেডিকেলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আড়ামী ২২ মে থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি শুরু হবে। ২২ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সরকারি মেডিকেলে দেশীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে।

আরও বলা হয়েছে, সরকারি মেডিকেলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন।