‘খালেদা জিয়া কারাগারে নজিরবিহীন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন’: শেখ হাসিনা

জাতীয় টুডেঃ “বিএনপি নেত্রী অন্যান্য বন্দীদের চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করছেন। বেগম জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী একজন গৃহপরিচারিকা কারাগারে তার সঙ্গে রাখা হয়েছে।” জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় হিলটন হোটেলে আজারবাইজানে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

এক প্রবাসীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”কারাগারের ইতিহাসে বা কোনো দেশে এমন নজির নেই, কোনো নিরপরাধী গৃহপরিচারিকা একজন বন্দীর সঙ্গে কারাগারে অবস্থান করে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই সুবিধা ভোগ করছেন।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিগত কেয়ারটেকার সরকারের আমলে দায়ের করা মামলায় সাজা হয়। আরও মামলা চলমান রয়েছে। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে মানি লন্ডারিং, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে।”

বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতিপ্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের পাঁচ বছরের দুঃশাসনে দেশে দুর্নীতির কোনো সীমা ছিল না।”

অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে পুনরায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। আমরা অপরাধীদের অপরাধীর দৃষ্টিতেই দেখবো এবং আমরা সেটাই দেখার চেষ্টা করছি।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন “শিশুদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যাওয়াই স্বপ্ন”

জাতীয় টুডেঃ- “বাংলাদেশের শিশুরাই ভবিষ্যতে আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে। শিশুদের জন্য সুন্দর একটি বাংলাদেশ রেখে যাওয়াই আমাদের স্বপ্ন।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা বলেছেন।শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ফার্মগেটের আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “আজকে আমার সামনে যারা বসে রয়েছে, তারা সবাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তারাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের ভবিষ্যৎ কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই চেষ্টাই আমরা করে যাচ্ছি। এই শিশুরাই আমাদের গর্ব ও ভবিষ্যৎ।”

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, শুধু আমরাই নয়, পুরো বিশ্ব বিস্মিত হয়ে গেছে। কীভাবে সম্ভব হলো বাংলাদেশকে এত দ্রুততার সঙ্গে এমন উচ্চতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আজকের আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে বাসবে ভালো’। আমাদের শিশুরা অবশ্যই আলোকিত ও শান্তির বিশ্ব গড়ে তুলবে। আমরা সেই দৃশ্য দেখতে চাই। আমরা কোনো হানাহানির দৃশ্য দেখতে চাই না। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে দেখতে চাই।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আইডিয়াল কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. এম এ হালিম পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রয়েল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল হক তালুকদারসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

মন্ত্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আসলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তারপর তিনি বেলুন উড়িয়ে এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধন করেন।

আগামীকাল শেরে বাংলা ফজলুল হকের জন্মবার্ষিকী

জাতীয় টুডেঃ- আগামীকাল ২৬ অক্টোবর শনিবার জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম (একে) ফজলুল হকের ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী ।বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ।

১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতেএ কে ফজলুক হক জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ সাইদুন্নেসা খাতুনের একমাত্র পুত্র। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘শেরে বাংলা’ (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন।১৯৩৫ সালে তিনি কলকাতার মেয়র, ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন।

১৯৫৪ সালের ১৫ মে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ২৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার তাকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করে। এরপরই তিনি তার ৪৬ বছরের বৈচিত্রময় রাজনৈতিক জীবন থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল একে ফজলুক হক ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

কর্মসূচিঃ-

বরিশাল বিভাগ সমিতি শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শেরে বাংলার মাজার প্রাঙ্গণে এক আলোচন সভার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান । এছাড়াও সমিতির সভাপতি ও সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দীন আহমেদ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করবেন।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন অলে জানা গেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন

জাতীয় টুডেঃ- সৌদি আরবের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশের সরকার, দেশের জনগণ ও তার নিজের পক্ষ থেকে নতুন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদকে পাঠানো বার্তায় জনাব মোমেন অভিনন্দন জানান। বার্তায় উল্লেখ করেন যে, “প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সে দেশের জনগণ এবং দুটি পবিত্র মসজিদেও খাদেম- সৌদি বাদশাহর প্রতি তার বিশ্বাস ও আস্থারই প্রতিফলন।”

মোমেন আরো বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের গভীর সম্পর্কের কথা , কয়েক দশক ধরে ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যেকার চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

দুটি দেশের এই চমৎকার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক আগামীতে আরও গভীর ও বহুমুখী হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তারপর মোমেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, কল্যাণ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন ।সেই সাথে ভ্রাতৃপ্রতিম সৌদি জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন

জাতীয় টুডেঃ- রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। তিনি জাপান ও সিঙ্গাপুরে আট দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন।সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান চেঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) অবতরণ করে।

মো. মোস্তাফিজুর রহমান (সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।তিনি সিঙ্গাপুরে দুইদিনের যাত্রা বিরতি করবেন। এ সময় তিনি ইয়র্ক হোটেল সিঙ্গাপুরে অবস্থান করবেন।এর আগে রাষ্ট্রপতি সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) জাপানের রাজধানী টোকিওর হানিদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। রাষ্টপতি ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জাপান সফরকালে সেইডেন স্টেট হলে জাপানের ১২৬তম সম্রাট নারুহিতোর সিংহাসনে আরোহণের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ১৭৪টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার নেতা ও প্রতিনিধি যোগ দেন।

মূল অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সহধর্মিণী এবং জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।রাষ্ট্রপতি তার জাপান সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সে দেশের হ্যাকোনি লেক পরিদর্শন করেন। তিনি বিকেলে সুদৃশ্য পর্বত ঘেরা এই লেকে নৌবিহার উপভোগ করেন।

 

নুসরাতের পরিবারকে আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে হুমকি

জাতীয় টুডেঃ- আদালত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান কে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ জন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। রায়ের পর আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন আসামিরা । এ বলে অভিযোগ করেছেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এ হুমকির কথা সাংবাদিকদের জানান নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা ২৪ অক্টোবর আদালত চত্বরে নুসরাত হত্যায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর । এ সময় উপস্থিত ছিলেন নুসরাতের আইনজীবী শাহজাহান সাজু ও নুসরাতের বাবা মওলানা একেএম মুসা মানিক।মাহমুদুল হাসান নোমান (নুসরাতের বড় ভাই) বলেছেন, আসামিরা আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে আমাদের হুমকি দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। সে কারণে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি বলেন, “আমরা আশা করবো রায় কার্যকর হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নিরাপত্তা দেবেন।”

২৪ অক্টোবর বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন ও তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা নুসরাতের পরিবারকে প্রদান করতে হবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, দুই নম্বর আসামি ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন, তিন নম্বর আসামি মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, চার নম্বর আসামি পৌর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, পাঁচ নম্বর আসামি ছাত্রলীগকর্মী ও মাদ্রাসার ফাজিল বিভাগের ছাত্র মো. জোবায়ের, ছয় নম্বর আসামি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী জাবেদ হোসেন, সাত নম্বর আসামি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফেজ আবদুল কাদের, আট নম্বর আসামি মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফছার উদ্দিন, মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষ ও ফেনী পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রলীগকর্মী মো. শামীম, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলন সদস্য ও ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এমরান হোসেন মামুন, মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ইফতেখার উদ্দিন রানা, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রদলকর্মী হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন শাকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী উম্মে সুলতানা পপি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী কামরুন নাহার মণি।

গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ প্রেক্ষিতে নুসরাতের মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে। তারপর মামলা তুলে নিতে নুসরাতের পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু নুসরাতের পরিবার ওই মামলা তুলে নেয়নি।

গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত। ওই সময় কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে তাকে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা। পরে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। তারপর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলার তদন্তকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বিষয়টি বুঝতে পেরে সদর দপ্তর থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে । দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৯ মে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১০ জুন ফেনীতে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। ২০ জুন অভিযুক্ত করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ২৭ ও ৩০ জুন বাদী নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসানকে জেরার মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ হত্যা মামলার শুনানি শেষ হয়। তারপর রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানালেন জাস্টিন ট্রুডোকে

জাতীয় টুডেঃ- দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি।কানাডার ৪৩তম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সদ্য সমাপ্ত ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ বিজয়ে জাস্টিন ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২২ অক্টোবর মঙ্গলবার ট্রুডোকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বার্তায় শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, “আমার বিশ্বাস, আপনার এই বিজয় বিশ্ব নেতৃত্ব হিসেবে সত্যিকারের স্বীকৃতি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, “কানাডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময় গুরুত্ব দেয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনার পিতা ও কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো এর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তখন থেকেই আমরা আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান উদারনৈতিক আদর্শ ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের মধ্য দিয়ে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ হতে থাকি। এই সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় যায় ২০১৫ সালে যখন আপনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।”

ট্রুডো বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আপনার সক্রিয়তা ও ধারাবাহিক সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমার বিশ্বাস আগামী দিনগুলোতে আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যকার উষ্ণ ও মজবুত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।”

২০১৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি জো ক্লার্কের পর কানাডার দ্বিতীয় কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও স্নাতক শেষের পরে ট্রুডো ভ্যানকুভারের ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাস্টিন ট্রুডো কানাডার রাজধানী অটোয়াতে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি জিন-দ্যে-ব্রেবুফ কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৯৪ সালে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালইয় এবং ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে স্নাতক করেন।ট্রুডো তার পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে একটি বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে সবার নজরে আসেন।

জাস্টিন ট্রুডো তার বাবার মৃত্যুর আট বছর পর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৮ সালের ফেডারেল নির্বাচনে তিনি হাউজ অফ কমন্স থেকে কানাডার পাপিনিয়ায় বিভাগের সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের এপ্রিলে তিনি লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব পান। ১৮৪টি আসন পেয়ে ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে তার দল লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করে।এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি।

বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাস করে বাংলাদেশ , বললেন নৌ প্রতিমন্ত্রী

জাতীয় টুডেঃ- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন,আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ ।

তিনি বলেন, ‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া পররাষ্ট্রনীতিই হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। আমরা আন্তর্জাতিক সব আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।’স্পেনের মালাগায় প্রতিমন্ত্রী গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা (আইএমও) আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ কথা বলেন।

মালাগা শহরের ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল তরমালিনোতে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন সোমবার শুরু হয়।১৭৬টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ২০১২ সালের কেপটাউন ঘোষণায় গৃহিত পদক্ষেপসমূহকে অনুসরণ করা।আইএমও প্রণীত তরমালিনো কনভেনশনের অনুসমর্থনে ভূমিকা রাখা। কিটাক লিন (আইএমও সভাপতি) এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সাগর বিষয়ক উপদেষ্টা পিটার টমসন উপস্থিত ছিলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেফ ফিশিং ডিক্লারেশন-২০১২ (নিরাপদ মৎস্য আহরণ ঘোষণা) বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর অনেক বিষয়গুলো খুবই ব্যয়বহুল। উপকূলে নিরাপদ মৎস্য আহরণের পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সব দেশের একটি দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ মনে করে এ সম্মেলন থেকে সবাই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সব আইন অনুসরণ করে। প্রত্যাশা বিশ্বের সবাই আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি মেনে চলবে। না হলে সফল হওয়া যাবে না।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, আইএমও’তে বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রতিনিধি ড. শাহনেওয়াজ এবং স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রেদওয়ান আহমেদ।

সম্মেলন শেষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তরমালিনো ঘোষণায় নিরাপদ ও বৈধ মৎস্য আহরণের জন্য কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন: শিক্ষিত মানুষ কেন ট্রাফিক আইন মানেন না?

জাতীয় টুডেঃ দেশের শিক্ষিত মানুষগুলোও কেন ট্রাফিক আইন মানেন না এবার এমন প্রশ্নই তুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলার দায়িত্ব শুধু চালক বা সরকারের নয়, সাধারণ মানুষেরও।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

রাস্তা পারাপারে পথচারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “চলাফেরায় সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। দুর্ঘটনা ঘটলে দেখতে হবে আসলে দোষ কার। পথচারীদের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি যারা চালান তাদেরও দায়িত্ব আছে। পেছন দেখে চলতে হবে। দায়িত্ব নিজের। এটা সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথের ক্ষেত্রেও। রেলপথে আরও সতর্ক হতে হবে ক্রসিংয়ে গেলে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সাধারণ মানুষ হয়ত যারা অশিক্ষিত বা যারা জানে না, তাদের কথা আমরা ছেড়েই দিলাম। আমাদের দেশের শিক্ষিতজন, তারা কেন ট্রাফিক আইন মানবে না? এই প্রশ্নটাই আমি রেখে যাচ্ছি। তাদেরকে ট্রাফিক আইন মানতে হবে। এটা হল সবথেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “এটাতো একটা যান্ত্রিক বিষয়। ট্রেন চলে আসলো, সামনে ক্রসিং লক্ষ্য রেখে যেতে হবে। না হলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা দরকার। আবারও বলছি, সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। শুধু চালককে দুষলে হবে না। আমরাও সড়ক উন্নয়ন করছি। দুর্ঘটনা কমে এসেছে। সচেতন হলে একেবারেই কমে আসবে।”

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।

আগামিকাল এমপিও ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

জাতীয় টুডেঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপিও ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের।

শিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় প্রতি বছরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রবিবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা।এ দিকে যোগ্য-অযোগ্য বিবেচনা না করে গড়পড়তা এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ননএমপিও শিক্ষকদের একাংশ।

চলমান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ায় নীতিমালার আলোকে যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারবে না, তাদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।

দ্য ক্যাম্পাস টুডে।