শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে বিদায়ী বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। দেশের সরকার বিদায়ী বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘অনেকে বলছেন অটোপাস দিলে মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা ঠিক নয়। কারণ একজন শিক্ষার্থী এইচএসসিতে হঠাৎ ভালো ফলাফল করবেন তা বলা যাবে না। বরং অতীতে দেখা গেছে, এইচএসসির তুলনায় এসএসসিতে তুলনামূলক ভালো ফলাফল হয়। সুতরাং শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এইচএসসি ও সমমানের অটোপাস সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি জানান, করোনা পরিস্তিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরীক্ষার্থীরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। একেবারে আগ মুহূর্তে পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। এটি হঠাৎ করে করা হয়নি, চিন্তাভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বার বার বিষয়টি দেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আগের পরীক্ষাগুলোতে মেধাবীরা মেধার স্বাক্ষর রেখেই এসেছেন। আমরা জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সুতরাং এতে কারোরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।

আর কত বিড়ম্বনা সইতে হবে এইচএসসি-২০২০ কে?

আতিকুর রহমান আতিক: বর্তমান এইচএসসি ব্যাচ-২০২০ জন্মলগ্ন থেকেই বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আসছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নতুন নিয়ম। তারপর জেএসসি পরীক্ষায় হরতালের কারণে পরীক্ষা বিকালে দিতে হল। এসএসসি পরীক্ষায় ৭ টা সৃজনশীল শুরু হল। সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষায় আঘাত হানল প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের নামের সাথে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে অটোপাশের ট্যাগ।

সেই সাথে চলছে মাননীয় শিক্ষাবিদদের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর খেলা। এইচ এস সি পরীক্ষা নিয়ে কত নাটক চলল তাতো সবাই উপভোগ করেছেই। দুদিন পরপর এভাবে সিদ্ধান্ত পাল্টানো ১৩ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন ও ক্যারিয়ারের ছন্দপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। এখন চলছে এডমিশন টেস্ট নিয়ে বিড়ম্বনা।

দেশে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা চালু হয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ভোগান্তি কম হবে ও অর্থ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি করোনা মহামারির সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা সহজতর হবে।তবে যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ও বিজ্ঞান থেকে বিভাগ পরিবর্তনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য যে নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে তা পাল্টানো নাহয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। নয়তো ২০০৩ এইচ এস সি ব্যাচের মত ২০২০ ব্যাচও তাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নীতিনির্ধারকগণের করা ভুলের মাশুল গুণতে বাধ্য হবে কড়ায়গণ্ডায়।

কোনো দেশে যখন শিক্ষানীতি নতুন করে প্রণয়ন করা হয় তখন তার বিস্তারিত কয়েক বছর আগেই জানিয়ে ‍দিতে হয়। যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এটার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে অনায়াসে। যেমনটা আমরা দেখেছি কিছুদিন আগে দেশে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে যা কয়েক বছর আগেই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনের এই নতুন নিয়মের কথাও আগেই জানিয়ে দেয়া উচিত ছিল।তাছাড়া ‍যদি প্রতি বিভাগের মানবন্টনের কথা যদি এইচ এস সি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণার পরপর জানিয়ে দেয়া হত তাহলেও শিক্ষার্থীরা তাদের লেখা-পড়া কভার করতে পারত।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে বেশী বিষয় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে অন্যান্য গ্রুপের তুলনায়। যেখানে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদেরও এত বিষয়ে পড়তে হয় না। তাও আবার শেষ মূহুর্তে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে এতগুলো বিষয় চাপিয়ে দেয়াটা বেমানান।

তাছাড়া এখন হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ‍বিভাগ পরিবর্তন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে কোচিং করছে। তাদের মধ্যে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কম নয়। তাছাড়া করোনার ভয়ানক ছোবলে অনেক মধ্যবিত্ত/উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক অবস্থাও শোচনীয় পর্যায়ে। অনেকের এই মূহুর্তে নতুন করে বিজ্ঞান বিভাগের কোচিং এ ভর্তি হওয়ার পর্যাপ্ত অর্থ নেই। তাই এরকম হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নকে অনিশ্চয়তার বেড়াজালে আবদ্ধ করা কি অনুচিত নয়?

১০ দিনের মধ্যেই এইচএসসির ফল প্রকাশ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে, আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

আজ রবিবার (২০ ডিসেম্বর) এমন তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম।

শিক্ষামন্ত্রী ড দীপু মনি এর আগে ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে জানান, করোনা মহামারির মধ্যে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর মতো এবার এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে না । অষ্টম শ্রেণির সমাপনী ও এসএসসির ফলাফলের গড় করে এবারের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই ফল ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে ফল ঘোষিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তা স্থগিত করা হয়। চলতি বছরের গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় সেই বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, যা এখনও চলমান । কওমি- মাদ্রাসা ছাড়া অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়

তানিয়াল হোসেন


২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন JSC & SSC গড়ে HSC এবং SSC ই GPA এর মূল্যায়ন যেন না করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবার আসা যাক কেন এমনটার জোর দাবি জানাচ্ছি -তবে এর আগে আমার এক বন্ধুর কথা শুরুতেই বলে নিচ্ছি -আমার বন্ধু JSC তে GPA=3.00 এবং SSC তে GPA=3.75 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনার মাধ্যমে HSC তে GPA=5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। কেন শুরুতেই এমনটি বললাম তার উত্তর নিচের কথাগুলোর মাধ্যমে পাবেন বলে আশা করি।

আজ শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা এই মুহূর্তের জন্য কল্যাণকর না অকল্যাণকর সেটা আপনারা সবাই জানেন এবং ভাল বোঝেন।আমি শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছি না।তবে আমার দাবি হলো ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।

যারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে।আর,সেই পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কেননা, আমার এই বন্ধুর মত অনেক পরীক্ষার্থী এবারও ছিল।যারা JSC & SSC তে ভাল রেজাল্ট করে নি।কিন্তু,HSC তে ভাল করার মনোবল ছিল।আজ শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা তাদের স্বপ্নগুলোকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে।

তারা ভাবছে তার স্বপ্ন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হবে না।আমি দু জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। ১ম যার সাথে আমি কথা বললাম সে ত কান্নার কারণে কথাই বলতে পারছিল না।তার কথা হল ভাই আমার ত JSC & SSC ই রেজাল্ট খুব বাজে।আমার ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।আজ সব শেষ হয়ে গেল।আমি আর পড়াশুনা করব না।

২য় জন।সেও প্রায় একই কথা ২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।
২০২০-২০২১ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন JSC & SSC গড়ে HSC এবং SSC ই GPA এর মূল্যায়ন যেন না করা হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি। এবার আসা যাক কেন এমনটার জোর দাবি জানাচ্ছি – তবে এর আগে আমার এক বন্ধুর কথা শুরুতেই বলে নিচ্ছি – আমার বন্ধু JSC তে GPA=3.00 এবং SSC তে GPA=3.75 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনার মাধ্যমে HSC তে GPA=5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। কেন শুরুতেই এমনটি বললাম তার উত্তর নিচের কথাগুলোর মাধ্যমে পাবেন বলে আশা করি।

আজ শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা এই মুহূর্ত্যের জন্য কল্যাণকর না অকল্যাণকর সেটা আপনারা সবাই জানেন এবং ভাল বোঝেন।আমি শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করছি না।তবে আমার দাবি হলো ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।

যারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে। আর, সেই পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। কেননা, আমার এই বন্ধুর মত অনেক পরীক্ষার্থী এবারও ছিল।

যারা JSC & SSC তে ভাল রেজাল্ট করে নি।কিন্তু,HSC তে ভাল করার মনোবল ছিল।আজ শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে তারা তাদের স্বপ্নগুলোকে ডুবিয়ে দিতে বসেছে।তারা ভাবছে তার স্বপ্ন অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হবে না।আমি দু জন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেছি। ১ম যার সাথে আমি কথা বললাম সে ত কান্নার কারণে কথাই বলতে পারছিল না।তার কথা হল ভাই আমার ত JSC & SSC ই রেজাল্ট খুব বাজে।আমার ত স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।আজ সব শেষ হয়ে গেল।আমি আর পড়াশুনা করব না।

২য় জন।সেও প্রায় একই কথা বলছিল।তার কথা হল ভাই এইচএসসিতে GPA টা ভাল করব বিধায় অনেক পড়াশুনা করেছিলাম।আমার সব ইচ্ছা ইচ্ছায় থেকে গেল।আমার JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না।আমি হয়ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না।

তারপর আমি আমার এলাকার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললাম – তিনি বললেন “দেখো আমরা ত হাওর অঞ্চলের মানুষ।আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সচেতন না।তারা বিশ্ববিদ্যালয় কি তা কলেজে ভর্তি হয়ে তারপর জানে।

তখন তাদের মধ্যে অনেকেই খুব পড়াশুনা করে এবং প্রতিবছর JSC & SSC তে ভাল ফলাফল না করেও HSC তে অনেক ভাল করে।তারপর এখান থেকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।কিন্তু আজ তারা তাদের সেই স্বপ্ন হারাতে বসেছে।তারা ভাবছে তারা হয়ত আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।কারণ তাদের JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না। এমনটি হয়ত সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভাবছে।

তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।আর,এমনটি যেন এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের উদ্দশ্যে বলে দেওয়া হয়। বলছিল।তার কথা হল ভাই ইন্টারে GPA টা ভাল করব বিধায় অনেক পড়াশুনা করেছিলাম।আমার সব ইচ্ছা ইচ্ছায় থেকে গেল।আমার JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না।আমি হয়ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না।

তারপর আমি আমার এলাকার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললাম – তিনি বললেন “দেখো আমরা ত হাওর অঞ্চলের মানুষ।আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি সচেতন না।তারা বিশ্ববিদ্যালয় কি তা কলেজে ভর্তি হয়ে তারপর জানে।তখন তাদের মধ্যে অনেকেই খুব পড়াশুনা করে এবং প্রতিবছর JSC & SSC তে ভাল ফলাফল না করেও HSC তে অনেক ভাল করে।তারপর এখান থেকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়।কিন্তু আজ তারা তাদের সেই স্বপ্ন হারাতে বসেছে।তারা ভাবছে তারা হয়ত আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।কারণ তাদের JSC & SSC রেজাল্ট খুব একটা ভাল না। এমনটি হয়ত সারা বাংলাদেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভাবছে।

তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রাণলয়ের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যেন GPA এর মূল্যায়ন করা না হয়।আর,এমনটি যেন এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের উদ্দশ্যে বলে দেওয়া হয়।তাহলে সেসব শিক্ষার্থী তারা তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করে যাবে।আবার তারা ঘুরে দাঁড়াবে।

লেখক: তানিয়াল হোসেন
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ।

জেএসসি-এসএসসিতে ৫ থাকলে এইচএসসি রেজাল্টেও জিপিএ-৫

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ওপর মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বরে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড দিপু মনি।

জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ দেয়া হবে। তবে এ দুটির একটিতে খারাপ হলেও তা যোগ করে তার অর্ধেক দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের কোন পদ্ধতিতে গড় নম্বর দেয়া হবে সেটি নির্ণয় করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরীক্ষা ছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

একাধিক শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে তার অর্ধেক নম্বর এইচএসসিতে দেয়া হতে পারে। এ দুটি পরীক্ষার মধ্যে কারও একটি স্তরের মোট নম্বর কম হলেও তাদের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। তবে যাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ রয়েছে তাদের এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ দেয়া হবে।

অন্যদিকে যারা এক অথবা দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের অটোপাস দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ থাকবে এইচএসসিতেও তাদের জিপিএ-৫ দেয়া হতে পারে। এক ও দুই বিষয়ে ফেল করে পুনরায় নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে পাস করিয়ে মোট জিপিএ দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, নিচের স্তরের উভয় পরীক্ষায় কম জিপিএ নম্বর অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করবে সেই সম্ভাবনা অনেক থাকে। এ কারণে তাদের পাস করিয়ে দেয়া হলেও জিপিএ নম্বর কম থাকবে। তবে সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে।

উল্লেখ্য, এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা ছিল। তাদের মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন।

এইচএসসি-২০২০ পরীক্ষা এবং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে একটি প্রস্তাবনা

ডঃ শেখ মাহাতাবউদ্দিন


বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর ধাপ হল এস এস সি এবং এইচ এস সি পরীক্ষা। এই দুইয়ের তুলনাতে আবার এইচ এস সি কেই বেশী গুরুত্বপূর্ণ বলতে হবে। অনেকই দ্বিমত করতে পারেন কিন্তু আমেরিকা জাপান ঘুরে এসেও এই এইচ এস সি এর ফলাফল নিয়ে আমাদের যে পরিস্থিতির শিকার হতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা থেকে এইচ এস সি কে ছোট করে দেখা মানে বাংলাদেশের বাস্তবতা সম্পর্কে স্বল্প জানা সমার্থক শব্দই হবে।

তাই এই পরীক্ষা সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের খুব সাবধানে নিতে হবে। তা না হলে আমরা ২০০১ এস এস সি এবং ২০০৩ এইচ এস সি ব্যাচ যেভাবে বিনা দোষে আজও অপরাধবোধের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে পথ চলছি তেমনি এইচ এস সি ২০২০ ব্যচও তাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নীতিনির্ধারকগণের করা ভুলের মাশুল গুণতে বাধ্য হবে।

২০০১ সালে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার হলে গিয়ে জানতে পারি যে আমাদের ফলাফল গ্রেডিং সিস্টেমে হবে। উহা কি বা কিভাবে ভালো গ্রেড পাওয়া যাবে তা তো অলীক কল্পনার বিষয় ছিল, এমনকি আমাদের শিক্ষকগণও গ্রেডসিট দেখে ফলাফল ঘোষণা করতে হিমসিম খেয়েছিলেন! যে পেয়েছে “এফ”গ্রেড তাকেও দেখেছি“এ+” পেয়েছে মর্মে ঘোষণা শুনে মিষ্টি বিলানোর পরেই জানতে পারল যে সে আসলে দুই বিষয়ে ফেল করেছে! একটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের পদ্ধতি বদলের পূর্বে আমাদের কত পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছিল এই ঘটনা থেকেই প্রতীয়মান হয়!

সে যাই হোক, আমরা ২০০১ সালে সারা বাংলাদেশে ৭৬ জন এ+ এবং ২০০৩ এইচ এস সি তে মাত্র ২০ জন এ+ প্রাপ্ত ব্যাচ। যে ব্যাচে বরিশাল বোর্ডে কেউই এ+ তো পায় নাই বরং যতদূর মনে পরে ৩.০০ পর্যন্ত পেয়েছিল মাত্র ৪৮৫ জনের মত! অথচ একটা বোর্ডে এরে চেয়ে বেশী স্টার মার্কস ও পেত নাম্বার সিস্টেমে!

ফলাফল যা হবার তাই হল, ২০০৭/০৮ সালের দিকে দেখি সবাই ৫.০০ স্কেলে ৪/৪.৫ কে প্রথম শ্রেণী বলে চাকুরির বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করল। আমাদের ঢাকা কলেজের বন্ধুরা শুরু করল আন্দোলন কারণ এই ৪.০০/৪.৫০ স্কেল থাকলে আমাদের ব্যাচের ৯০% শিক্ষার্থী কোন চাকুরিতে আবেদন করতেই পারবে না! আন্দোলনের দিনই আমাদের ঢাবি এর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন এ বাংলাদেশের প্রাইমারী, সেকেন্ডারি এবং টারসিয়ারি লেভেলে রসায়ন শিক্ষা নিয়ে আয়োজন করা ওয়ার্কশপ ছিল।

সেখানে তৎকালীন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেব কোনভাবে জানতে পারলেন আমরা ২০০১ ব্যাচ এবং আমাদের দুই তিনজনকে জিজ্ঞেস করলেন আমাদের দাবী কি এবং এর যৌক্তিকতা কি? আমরা সব বুঝিয়ে বলার পর উনি কথা দিলেন উনি এই বিষয়টি গুরুত্ব সহ দেখবেন। উনি উনার কথা রেখেছিলেন এবং আমাদের ও আমাদের পরের ব্যাচের জন্য ৩.০০ কে প্রথম বিভাগ ফলাফলের মর্যাদা দেয়া হয়। পরিতাপের বিষয় ঐ প্রজ্ঞাপন কেবল সরকারী কাগজ হিসেবেই রয়ে গেছে অদ্য পর্যন্ত, কোথাও এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিজ্ঞাপন হয় না কেবল বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত!

সুতরাং, একটি ব্যাচের পাবলিক পরীক্ষা বা এই সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তনের পূর্বে আমাদের যথেষ্ট সচেতন হওয়া একান্ত কর্তব্য। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম পরিস্থিতি খারাপ হলে এইচ এস সি পরীক্ষা বাতিলও হতে পারে। আবার দীপ্ত টিবির লাইভে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বললেন ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী কম হয়াতে ওদের পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। খুবই যৌক্তিক কাজ এবং পরীক্ষা বাদে গ্রেডিং করার মত অভিশাপের হাত থেকে বাঁচতে এর চেয়ে ভালো কোন মাধ্যম নেই। অর্থাৎ এইচ এস সি পরীক্ষাও নিতেই হবে এবং সেটা কার্যকর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হতে হবে।

আমি নীতিনির্ধারকগণের কেউ নই। এর পরেও নিজের ৪ বছর সক্রিয় স্কুল কলেজের শিক্ষকতা এবং ৭ বছরের অধিক বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের শিক্ষা এবং গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে একটি কার্যকর পদ্ধতি প্রস্তাব করতে চাচ্ছি। যা অন্তত ২০২০ ব্যাচকে আমাদের মত সারাজীবন ব্যাপী এক অপরিপক্ব সিদ্ধান্তের বলী হওয়া থেকে রক্ষা করতে সহযোগিতা করবে বলেই বিশ্বাস করি।

যে যুক্তিতে বা যে বিষয়ের উপর ভরসা করে আমরা এ এবং ও লেভেলের পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছি সেই যুক্তিকেই যদি কাজে লাগাই তবেই যৌক্তিক সমাধান সম্ভব হবে। আমরা সকলেই জানি আমাদের প্রায় সকল কলেজ গুলো সুসংগঠিত। প্রতিটি কলেজে অন্তত প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকছে। সুতরাং এই অবকাঠামো ব্যবহার করেই আমরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা নিয়ে নিতে পারি এবং তা শীত আসার পূর্বেই। পরীক্ষা নিতে আমাদের নিচের বিষয় গুলো নিশ্চিত করতে হবে-

১। সামাজিক দূরত্ব এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা: যেই কলেজের শিক্ষার্থী সেই কলেজেই পরীক্ষা দিবে ফলে এক বেঞ্চে একজন বা নিরাপদে ৪ ফিটের মত দূরত্ব রেখে বসতে পারবে। কোন অভিভাবক পরীক্ষার হলে আসবেন না, ভীর কমে যাবে।

২। প্রশ্নপত্রের বৈষম্য এবং সহজলভ্যতাঃ প্রতি বোর্ডের জন্য পূর্বের নিয়মেই প্রশ্ন তৈরি হবে। এর মধ্যে কোন সেটে পরীক্ষা হবে তা কেবল পরীক্ষার দিন সকালেই বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় দৈবচয়ন ভিত্তিতে ঠিক করবেন এবং পরীক্ষা শুরুর ৩ ঘণ্টা পূর্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউ এন ও সাহেব কে জানিয়ে দিবেন। উনার দেয়া তথ্যে পূর্বে পাসওয়ার্ড প্রটেক্ট করা ফাইলের পাসওয়ার্ড থাকবে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঐ পাসওয়ার্ড দিয়ে ফাইল খুলে প্রশ্নের প্রতিটি কপি নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পূর্বে প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষের নিকট হস্তান্তর করবেন।

৩। একই কলেজে পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার বিষয়ঃ যদিও এমন একটি পয়েন্ট লিখতে নিজে শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। এরপরেও বাস্তবতা অস্বীকার করে চলা যাবে না, যেহেতু আমাদের এই পেশাতে ইদানিং নৈতিকতার ঘাটতি দিনের আলোর মত পরিস্কার সেহেতু পরীক্ষা নিজ নিজ কলেজে হলেও গার্ড হবেন অন্য কলেজের শিক্ষকগণ।

এর পরেও আরও কোন ব্যাবস্থা থাকলে আমরা নিতে পারি এবং নিজের অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব। পরিশেষে বলব যেকোনো মুল্যেই এই পরীক্ষা হোক এবং আমাদের ব্যচের মত ২০২০ ব্যচকেও বলিদান থেকে বিরত থাকুক আমাদের সমাজ।

লেখকঃ সহযোগী অধ্যাপক, ফুড এন্ড নিউট্রেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

আমরা এখন এইচএসসি দিতে ইচ্ছুক নই: মানববন্ধনে পরীক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন করেছে উপজেলার বিভিন্ন কলেজর শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসার প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী মুখে মাস্ক পরে অংশ নেয়।

জানা গেছে, মানববন্ধনে ঢাকার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জয়ন্ত দেব, চট্টগ্রাম জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সামিউল সাফায়েত, নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ দেব, ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন, শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে। আর শীতের প্রভাব এখনই পড়তে শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। পরীক্ষায় অংশ নিলে তাদের পরিবারও করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বে।

মানববন্ধনে আরও বলেন, “আমরা পরীক্ষা দিতে চাই। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হবে এবং পরীক্ষার ৩০ দিন আগে রুটিন দিতে হবে।”

‘এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নিতে বোর্ডগুলোকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করা হবে। আমাদেরকে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে- সে সম্পর্কে কোনো অলোচনা হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধাপক মো. আব্দুল আলীম।

অধাপক মো. আব্দুল আলীম বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্বের মতো পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ নেই। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রতি বেঞ্চে একজন অথবা দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এইচএসসি পরীক্ষা নিতে সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোন পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রস্তুত রয়েছে। সরকার পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে আমরা পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে পরীক্ষা নিতে পারবো।

এদিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের সভা শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, মূল্যায়ন পরীক্ষা ছাড়া অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ নেই। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ১৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস, সংসদ টিভির ক্লাসকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে অটো প্রমোশন হবে না, যে কোনো পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন হবে। এছাড়া পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়ে মাউশি থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

জিয়াউল হক বলেন, অটো প্রোমোশন বলতে কিছু নেই। মূল্যায়নের মাধ্যমেই পরবর্তী ক্লাসে উঠতে হবে। সবকিছুই মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে। তবে কী পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে- সে বিষয়টি এখনও ঠিক হয়নি। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে ক্লাসেই পরীক্ষা হবে। যদি সেই অবস্থা তৈরি না হয়, তবে অনলাইনে মূল্যায়ন হতে পারে। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখন অনলাইনে ক্লাস চলছে।

‘এইচএসসি’ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত ২৪শে সেপ্টেম্বর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসছেন। ওইদিন দুপুর ২টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার রুটিন কবে ঘোষণা করা হতে পারে, জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, নতুন সময়সূচি প্রকাশের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিজস্ব চিন্তা আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার পর নতুন সময়সূচি ঘোষণা করার। কবে প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে সেটি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ওপর নির্ভর করছে। এজন্য সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও সার্বিক বিষয়ে উচ্চ পর্যায় থেকে ক্লিয়ারেন্স দরকার, তা এখনও আসেনি।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা, একাদশের ভর্তি ও ক্লাস শুরুর বিষয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর বোর্ড চেয়ারম্যানরা বৈঠকে বসবেন। সেখানে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব তৈরি করা হবে। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ই নেবে।

এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়েছিল, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে গত সাড়ে পাঁচ মাসেও পরীক্ষা আয়োজনের মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েক দফায় ১৭ মার্চ থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

একাদশে ভর্তিচ্ছু অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি দেবে বিদ্যানন্দ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ইচ্ছুক অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের আবেদন ও ভর্তি ফি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে সহায়তা পেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রবিবার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঠানো এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লেখিত লিঙ্কে গিয়ে তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করলে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ করে ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারাদেশে বহু পরিবারের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। চাকরি হারিয়েছে বহু মানুষ। থমকে গেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন। এ বাস্তবতায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন রবিবার থেকে শুরু হওয়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফি প্রদান করার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন পাভেল বলেন, অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পারলে তা হবে খুব দুঃখজনক। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তির জন্য ফি প্রদান করা হবে।

এ কর্মসূচি এগিয়ে নিতে সমাজের বিত্তবান, দানশীল ও ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আবেদন করার জন্য এই ঠিকানায় https//forms.gle/S6q1UD5FemWAgfTd8গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।