কোভিড-১৯ কী? আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলেছে ?

বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। কোভিড-১৯ আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলেছে তা আলোচনা কর। (ক) কোভিড-১৯ কী? (খ) কোভিড ১৯ আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলেছে ?

প্রশ্নঃ কোভিড-১৯ কী?

উত্তরঃ কোভিড-১৯ অতি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হওয়া একটি মহামারী ভাইরাস। করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত রোগের নাম কোভিড-১৯। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত এই নতুন ভাইরাস এবং রোগটি অজানা ছিল।

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস হচ্ছে মানুষের দেহে অসুস্থতার কারণ হতে পারে এমন ভাইরাস গুলির একটি বৃহৎ পরিবার । কোভিড-১৯ মানুষের দেহের সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে মারাত্মক শ্বাসতন্ত্রের রোগ তৈরি করতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে- মধ্যপ্রাচ্যের রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম (এম আর এস) এবং গুরুতর শ্বাসতন্ত্র সিন্ড্রোম (এস আর এস) এর মত আরও মারাত্মক রোগ থেকে শুরু করে শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ ঘটায় বলে জানা যায়।

প্রশ্নঃ কোভিড ১৯ আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কি প্রভাব ফেলেছে?

উত্তরঃ কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা পৃথিবী। পৃথিবীর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গোটা বিশ্ব করোনা বা কোভিড ১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস আদালত ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে তারা বাধ্য হচ্ছে।

করোনার কারণে অনলাইনে পড়াশোনা ও কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য ঘরে বসে করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এ প্রসঙ্গে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিলিয়নিয়ার বিল গেটস বলেছিলেন, দূরবর্তী শিক্ষার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় দুর্বল আইটি পরিকাঠামো ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেসব বড় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- ১. দুর্বল বা বিঘ্ন ঘটায় এমন ইন্টারনেট সংযোগ; ২. নিম্নমানের ডিভাইস; ৩. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের মূল্য পরিশোধের অতিরিক্ত বোঝা বহন।

স্নাতক ডিগ্রি, ডিপ্লোমা এবং পেশাদার ডিগ্রিপ্রাপ্ত যুবকরা কোভিড ১৯ এর কারণে বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দিকে, ফলে চাকরির বাজারে প্রবেশের জন্য লড়াই করছে। একটি বৈরী চাকরির বাজার শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিঘ্ন ঘটেছে তার সঙ্গে মিলিত হয়েছে, যা ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করেছে।

কোভিড ১৯ এর কারণে শিক্ষিত তরুণদের সম্ভাবনার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে। কোভিড-১৯ প্রথম চাকরিপ্রাপ্ত যুবকদের চাকরিতে উন্নতি করার আশা ব্যর্থ করে দিয়েছে। আস্তে আস্তে এসব সমস্যা একটি বড় সামাজিক অশান্তির রূপ নিতে পারে।

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায়, শিক্ষা পদ্ধতিতে এবং ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে।

আমরা এখন এইচএসসি দিতে ইচ্ছুক নই: মানববন্ধনে পরীক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন করেছে উপজেলার বিভিন্ন কলেজর শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসার প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী মুখে মাস্ক পরে অংশ নেয়।

জানা গেছে, মানববন্ধনে ঢাকার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী জয়ন্ত দেব, চট্টগ্রাম জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী সামিউল সাফায়েত, নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ দেব, ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন, শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে। আর শীতের প্রভাব এখনই পড়তে শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না। পরীক্ষায় অংশ নিলে তাদের পরিবারও করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বে।

মানববন্ধনে আরও বলেন, “আমরা পরীক্ষা দিতে চাই। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হবে এবং পরীক্ষার ৩০ দিন আগে রুটিন দিতে হবে।”

করোনা কালে রাবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহায়তার হাত

উম্মে কুলসুম রিমা


করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ বিশ্বে আজ এক আতঙ্কের নাম৷ করোনার বিষাক্ততায় পুরো বিশ্ব আজ যেন বিষাক্ত। গত ডিসেম্বরে চীনের ‘উহান’ শহরে ধরা পড়া এ ভাইরাসটি ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার দরুন এর ছড়িয়ে পরার হার যেন একটু বেশিই।

করোনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে বিশ্বের উন্নত – অনুন্নত সকল দেশ। মৃতের সংখ্যা আজ হাজার থেকে লাখে ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়ায় এ সংখ্যা দিন দিন আরও বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্বের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলোই যখন মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছে তখন বাংলাদেশের মত নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের পক্ষে এ ধাক্কা সামলে উঠা যেন এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সরকারের পাশাপাশি দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসে তাহলে সরকারের পক্ষে এ সংকট কাটিয়ে উঠা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের এ সংকটকালে অন্যান্য বিভাগের মত নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবির) নৃবিজ্ঞান বিভাগ। ছাত্র-শিক্ষক সকলের প্রচেষ্টায় একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছে যেখানে বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী সহ শিক্ষকরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফান্ড থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রথমত বিভাগের গরীব ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে।

রাবি নৃবিজ্ঞান ২১ তম ব্যাচের পক্ষ থেকে একটি ফান্ড তৈরি করেছে যেখানে ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি জানায়। প্রতি মাসের ২৫ তারিখ এর ভিতর তারা তাদের টাকা বিকাশ বা রকেট যোগে পাঠিয়ে থাকেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি ব্যাচের দুই জন শিক্ষার্থী ‘আদর’ ও ‘অর্পা’ অর্থ সংগ্রহের এ বিষয়টির দায়িত্ব নেন।

এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিভাগের ২১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ‘শাহানা আক্তার আইরিন’ বলেন, “দেশের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা উচিত। আমাদের এমন অনকে বন্ধু আছে যারা অর্থকষ্টে ভুগছে কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে হয়তো বলতেও পারছে না, ব্যাচের সকলের তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসাটা আমি একপ্রকার দায়িত্ব বলে মনে করি “। তাই, সবকিছু বিবেচনা করে আমরা এ মহতী উদ্যোগে সকলে এগিয়ে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মাঝেই যেন প্রকৃত সুখ। সরকারের পাশাপাশি আমরা সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসি তাহলে এ যাত্রা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে৷

“নিপাত যাক করোনা, শুদ্ধ হোক ধরণী”


লেখক- শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

পরিবারে করোনার তাণ্ডব, উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে মহাপরিচালক

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। মহাপরিচালক নিজেই এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে তার নমুনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বর্তমানে করোনা ভাইরাসের উপসর্গনিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।

ইতিমধ্যেই তার পরিবারের একজন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার ফলে পজিটিভ এসেছে বলেও জানিয়েছেন মহাপরিচালক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে চার গুণ বেড়েছে করোনা রোগী

আবু সাঈদ আল জিহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ল্যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৯ জন করোনা পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একদিনেই চার গুণ বেড়ে গেলো। ফলে এখন এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে।

আগে রাজশাহী বিভাগে সকল জেলায় করোনার প্রভাব বিস্তার করলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলা ছিল অনেকটায় ভিন্ন। এ দুটি জেলাতে দুইজন করে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল।

তবে গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জে আরও একজনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়ার পরে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয়জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুড়ে করোনা আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। এরই মধ্যে নাচোলের এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তিনি আত্মগোপন করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে রাজশাহী বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬২ জনে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল ১৫৩ জন। তবে বগুড়া ল্যাবের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া জেলা গুলোর মধ্যে করোনার হটজনে পরিণত হওয়া নওগাঁ, জয়পুরহাটের রোগীদের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে এই জিনোম সেন্টারে। এছাড়াও সিরাজগঞ্জের নমুনাও পরীক্ষা হচ্ছে বগুড়াতে। এই চারটি জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ বাদে অন্য তিনটি জেলা বেশি ঝুকিপূর্ণ।

কাল থেকে মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায় করা যাবে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার জোহর থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে শর্ত দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামীকাল জোহরের নামাজ থেকে মসজিদে সব ধরণের নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লীরা। শর্ত সাপেক্ষে তারাবিসহ সব নামাজ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার জোহর থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে শর্ত দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাকা রাখতে হবে।

আজকের মধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ঈদে খুলবে না যমুনা ফিউচার পার্ক

জাতীয় টুডেঃ দেশের এমন পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমল আগামী ১০মে থেকে সীমিত আকারে খোলার অনুমতি দিলেও করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে যমুনা ফিইচার পার্ক বন্ধ থাকবে।আজ বুধবার যমুনা ফিউচার পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের চলমান পরিস্থিতি উন্নতি না হলে জনস্বাস্থ্যে কথা বিবেচনায় যমুনা ফিউচার পার্ক খোলা হবে না। এর আগে, করোনা বিস্তার রোধে বসুন্ধরা শপিংমল খুলবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

বসুন্ধরা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, করোনা বিস্তার রোধে মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে ঈদ বাজারে খুলবে না বসুন্ধরা শপিংমল।

এদিকে, রমজান ও ঈদ সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে আগামী ১০ মে থেকে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়, সারাদেশের দোকানপাট, শপিংমলগুলো আগামী ১০ মে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।

“রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।”

দেশে সুস্থ হওয়াদের সংখ্যা ১৭৭ থেকে একলাফে বেড়ে ১০৬৩

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশে করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার সংখ্যা ১৭৭ থেকে একলাফে ১০৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজন রংপুরের বাসিন্দা, আরেকজন নারায়নগঞ্জের। এনিয়ে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৭।

এদিকে, দেশে একদিনে অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৬৫ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটাই এপর্যন্ত সবোর্চ্চ সংখ্যক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪৫৫ জনে।

কীভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি রোগী সুস্থ হলো তার কারণ হিসেবে আইইডিসিআর জানিয়েছে, কাদেরকে সুস্থ বলা হবে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দেয়া একটি নতুন গাইডলাইন অনুসরন করা হয়েছে।-খবর বিবিসি|

বর্তমানে দেশের ৩১টি ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে পহেলা মে’র নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়।

দেশে করোনায় নতুন আক্রান্ত ৪১৪, মোট মৃত্যু ১২৭

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশে একদিনে অর্থাৎ গত ২৪ ঘন্টায় ৪১৪ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৪১৮৬ জন। একদিনে মৃতের সংখ্যা ৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই সব তথ্য জানান।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ৮ই মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। বাংলাদেশে গত ১৮ই মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যু হয়।