নেপালে দ্রুত করোনা বিস্তারের জন্য দায়ী ভারত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


নেপালে দ্রুত হারে বেড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর এ জন্য ভারতকে দায়ী করছে নেপাল। এ কারণে নেপালের পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে ভারতীয়দের নেপালে প্রবেশ করতে হলে এখন থেকে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।

এ নিয়ে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিচয়পত্র দেখালে তা নেপালের সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকবে। প্রয়োজনেওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে বা রেকর্ড হিসেবে রাখা যেতে পারে।

ভারত ও নেপালের মধ্যে একের পর এক সংঘাত চলতেই আছে। কিছুদিন আগে নেপালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য ভারতের দিকেই অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তিনি বলেছিলেন, ভারতীয়রাই নেপালে ঢুকে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছেন। যদিও নেপাল প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানায়নি নয়াদিল্লি।

অক্সফোর্ডের করোনা ভাক্সিন মানবদেহে সফল!

ডেস্ক রিপোর্ট


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের মানবদেহে পরীক্ষার প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে কোনো ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ এটি।

সোমবার (২০ জুলাই) প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন চ্যাডক্স-১ এনকোভ-১৯ এর প্রথম ধাপের ফল এটি।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৭৭ জনের দেহে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট প্রয়োগ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে পরীক্ষার ৫৬ দিন পর্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি উৎপাদন ও টি-সেল রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর এই ফল আরও বেশি হতে পারে।

এর আগে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, তারা ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে ৮০ শতাংশ আশাবাদী। যদি সফল হয় তাহলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু করা যেতে পারে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড।

করোনায় ঢাবি শিক্ষকদের ব্যতিক্রমী আয়োজন

সানজিদ আরা সরকার বিথী


করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সকলেই নিজনিজ গন্তব্যে অবস্থান করছে। যে ক্যাম্পাসে সকাল হলেই চায়ের গন্ধে মুহুমুহু করে, মানুষের পদচারণায় এক ভিন্নতর রূপ ধারণ করে, সেই ক্যাম্পাস আজ জনশূন্য।

এই করোনাকালীন ঢাবির অনেক শিক্ষকরাই বিভিন্ন গেস্টদের আমন্ত্রিত করে ফেসবুক লাইভে আসছেন যাতে করে শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ পায় এবং সেভাবে নিজেদেের প্রস্তুত করতে পারে।যেমন অনেকের বিদেশে পড়ার স্বপ্ন কিন্তু সঠিক পরামর্শের অভাবে স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।

ঢাবির অনেক শিক্ষকরাই ফেসবুক লাইভের বিভিন্ন পর্বে সফল মানুষদের আনছেন যারা নিজ নিজ জায়গায় সফল। যেমন কেউ চাকরি করতে চায় (সরকারি, বেসরকারি), কেউবা চায় বিদেশে পড়ালেখা করতে আবার কারো ইচ্ছা উদ্যোক্তা হওয়ার।

তাদের জন্য , কি করতে হবে, কিভাবে প্রস্তুত হতে হবে সকল তথ্য একেক পর্বে একেক ফিল্ডের অতিথিদের আমন্ত্রন জানিয়ে নিজে এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা আলোচনা করছেন।

কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থী দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে তাদের মতামত জানিয়েছেন:-

ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে স্যারদের এই ফেসবুক লাইভ যেন গতি হারা তরীতে পাল দেয়ার মত।আমি আমার বিভাগের শ্রদ্ধেয় নাজমুল স্যারের লাইভ দেখে সেদিন থেকেই চাকরির পড়া শুরু করে দিয়েছি।

আরেকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আমি নিজের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পারছিলাম না। আমার বিভাগের একজন শিক্ষকের ক্যারিয়ার বিষয়ক লাইভ দেখে সেদিনই নিজের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছি।

এই করোনাকালে শিক্ষকদের এমন উদ্যোগে খুবই উপকৃত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

করোনা নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন আসছে, লকডাউনের আর দরকার নেই: ফাউসি

প্রথম আলো, অনলাইন ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর বিস্তৃত লকডাউন প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষ সরকারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফাউসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, তিনি আশাবাদী যে শিগগিরই বিশ্ব একটি ভ্যাকসিন পাবে, যা মহামারির অবসান ঘটাবে। ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক।

ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের মতো এলাকায় যেখানে সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেখানে লকডাউন লকডাউনের প্রয়োজন আছে কি না, সে প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালক ফাউসি বলেন, ‘আমি মনে করি না, আমরা লকডাউনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আর কথা বলব।’

আমেরিকা সংক্রমণের নিশ্চিত সংখ্যা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে। সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। করোনাভাইরাস ছড়ানোর মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠা নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি যেখানে তাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, সেখানে ২০টি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

স্কুল কখন আবার চালু করা উচিত? এ প্রশ্নের জবাবে এ বিশেষজ্ঞ দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় স্থানীয়করণ পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নেই, সেখানে স্কুল খুলে দিতে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ এখনো চলছে, সেখানে অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি। কিছু এলাকায় বিকল্প কিছু পন্থা নেওয়া যেতে পারে। যেমন প্রতিদিন স্কুল খোলার পরিবর্তে এক দিন বাদে এক দিন স্কুল চালু করা, সকাল বা বিকেল শিফট করা, মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা প্রভৃতি নিয়ম মানা যেতে পারে।

দেশের সীমান্ত কবে নাগাদ খোলা হতে পারে—এমন প্রশ্নে সতর্ক মন্তব্য করেছেন তিনি। ফাউসি বলেন, ‘স্পষ্টতই অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের কিছুটা স্বাভাবিকতার ফিরে আসার আগ্রহ রয়েছে। প্রতিদিনই বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা বলা যাচ্ছে না।’

বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টাকে ‘মুনশট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের যুক্তি করোনাভাইরাসটির জন্য সফল টিকা কখনো তৈরি হয়নি। এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রচেষ্টার পরও এইচআইভির কোনো টিকা পাওয়া যায়নি। তবে ফাউসি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকার সঙ্গে এইচআইভির টিকার তুলনা করা যাবে না। করোনাভাইরাস টিকার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী, কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধী ক্ষমতা ভাইরাসটিকে পরাস্ত করতে পেরেছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতি আপনাকে এটি দূর করা সম্ভব, সে প্রমাণ দেয়।’

যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তিরা সেরে ওঠার পর তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, বিজ্ঞানীরা আত্মবিশ্বাসী যে এই অ্যান্টিবডি মানবসৃষ্ট অ্যান্টিজেন দ্বারাও তৈরি হতে পারে। ফাউসি বলেন, মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে পশুর ওপর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের প্রাথমিক গবেষণা সম্পর্কে তিনি সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেন। মানব গবেষণাতেও প্রাথমিক ফলাফল এটি উত্সাহজনক ফল দেখিয়েছে।

মডার্নার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের তৈরি ভ্যাকসিন সাময়িকভাবে এগিয়ে গেলেও এটি চূড়ান্তভাবে সফল হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ওষুধ নিয়ে ফাউসি বলেন, যুক্তরাজ্যে স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসনের পরীক্ষার ফলাফলে তিনি মুগ্ধ। ওষুধটি পরীক্ষায় ভেন্টিলেশনে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি এক–তৃতীয়াংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ওষুধ রোগীর সংক্রমণের পরপরই না দিতে পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষজ্ঞ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন, সেই রোগীদের জীবন বাঁচাতে ডেক্সামেথাসন অত্যন্ত কার্যকর বলে দেখা গেছে। এটা এক ধরনের স্টেরয়েড। তবে মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই গবেষণা চালিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার করোনা রোগীর দেহে ডেক্সামেথাসন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে কমে আসে। আর যেসব রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হয়, তাদের মৃত্যুঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে কমে আসে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসন খুব একটা কার্যকর নয়। অর্থাৎ, যেসব করোনারোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় না, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসন প্রয়োজন নেই। এ বিষয় নিয়েই সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রোগ গবেষক।

করোনা কেড়ে নিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

ইসরাত জাহান


একটি দেশের প্রাণশক্তি হলো তরুণ জনগোষ্ঠী। তারুণ্যের শক্তি বা কর্মদক্ষতার ওপর ভর করে একটি দেশ উন্নতি লাভ করে। দুঃখের বিষয় হল বর্তমানে তরুণদের মাঝে কাজ করছে হতাশা। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে মর্মপীড়া কাজ করছে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ১৮-৩০ বছর। গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর। গড় আয়ু যখন ৫০ পার হলো তখন প্রবেশের বয়স হলো ৩০ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ বছর হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ এর উর্ধ্বে আজও করা হয়নি।

একাডেমিক পড়া শেষ করে চাকরির পড়া শুরু করার স্বল্প সময়ের মধ্যে বয়স ৩০ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। ফলে চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হওয়ার কারণে হাজার হাজার তরুণ আর চাকরিতে আবেদন করতে পারছে না।সদ্য চাকরির বয়স পার হওয়া তরুণদের প্রাণ গুমরে গুমরে কাঁদছে!

উপরন্তু, এখন এসে পড়েছে কোভিড-১৯ এর ভয়াল দৃষ্টি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বিস্তারের কারণে ইতিমধ্যে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই, লাখ লাখ তরুণ সত্যিই আজ হতাশাগ্রস্ত।ফলে পড়াশোনা শেষ করে যেসব তরুণরা চাকরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের অনেকেই চাকরিতে প্রবেশের ন্যূনতম বয়স শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে পড়েছেন শঙ্কায়।

২৬ মার্চ থেকে দেশে চাকরির আবেদনের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে যেমন তাদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে পারিবারিক -মানসিক চাপের কারণে তারা হীনমন্যতায় ভুগছে।

৬ বছর বয়সে কোনো শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হলে স্কুল শেষ করতে করতে তার বয়স হবে ১৬ বছর। কলেজ শেষ করবে ১৮ বছর বয়সে। তারপর অনার্স – মাস্টার্স করতে করতে প্রায় ২৫-২৬ বছর লেগে যাচ্ছে। তার উপরে আবার সেশনজট। সবমিলিয়ে একজন শিক্ষার্থী একাডেমিক সকল পড়াশোনা শেষ করে একটি ভালো চাকরিতে প্রবেশের প্রত্যাশা করতে পারছে না। আমাদের দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগে স্নাতক( সম্মান) ছিল তিন বছরের কোর্স, এখন চার বছরের।

আগে স্নাতকোত্তর শেষ করতে প্রয়োজন হতো চার বছর, এখন পাঁচ বছর। স্কুলিং একবছর করে বাড়লেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি।বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ পর্যায়ে স্নাতক(সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল আছে, যারা পাঠক্রম (সিলেবাস) ভালোভাবে পড়ে।একাডেমিক ফল ভালো করার প্রত্যাশায় দিন -রাত পাঠক্রম রপ্ত করতে থাকে।লক্ষ্য তাদের প্রথম শ্রেণির চাকরি অর্জন।যারা সাধারণত পাঠক্রম-কেন্দ্রিক পাঠে মনোনিবেশ করে, তারা চাকরির প্রস্তুতি ভালো ভাবে নিতে পারে না। তাদের প্রস্তুতি নিতে হয় পাঠক্রমের পরীক্ষা শেষ করার পর।

ফলে তারা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেক কম পায়। চাকরিতে প্রবেশের প্রস্তুতি দ্রুত নেওয়ার আশায় পড়ে থাকায় অনেকেই তাদের বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা কমিয়ে শুধু বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির জন্য প্রস্তুতি নেয়। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাঠক্রমে মনোযোগ দেওয়ার বেলায় নিরুৎসাহিত হন।

তাছাড়া বর্তমানে শিক্ষিতদের হার বেড়েই চলেছে এবং প্রত্যেক বছর আগের বছরের চেয়ে আরও বেশি চাকরি প্রত্যাশী চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে।কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রও পদসংখ্যা সীমিত হওয়ায় চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাস করে চাকরি পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ২৭ লাখ কর্মক্ষম তরুণ -তরুণী বেকার। সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান ও ৩০ বছরের উর্ধ্বে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে না। এত সব বাধা – বিপত্তি অতিক্রম করে কেউ যদি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করেও, তারপর লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে চাকরি হতে হতে ৩/৪ বছর কেটে যায়।

গত বছরের ২৭ নভেম্বর, ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করে এখন ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষাই নিতে পারেনি পিএসসি। করোনা ভাইরাসের সংকটের কারণে সকল নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগের বিজ্ঞপ্তির পদগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও সময় লাগবে।

অন্যদিকে,চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় তরুণ জনগোষ্ঠীরা বর্তমানে এক বিপত্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। একদিকে সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি,অন্যদিকে এই মহামারী কেড়ে নিল চাকরির বয়সসীমা। এ যেন বর্তমানে তরুণদের জন্য শাঁখের করাতের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর মানে তা চাকরি দেওয়া নয়। বরং একটি সম্ভাবনাময় শেষ হওয়া জীবন গাড়ির চাকা নতুন করে সচল করা। বিভিন্ন রাষ্ট্রে বেকার তরুণদের জন্য বেকার ভাতা চালু থাকলেও আমাদের দেশে নেই সেরকম কোনো ব্যবস্থা।বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিকালীন সময়ে চাকরি প্রত্যাশী এই তরুণদের জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার মধ্যদিয়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।


লেখকঃ শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রশাসনিক প্রয়োজনে খোলা রাখা যাবে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ প্রশাসনিক প্রয়োজনে খোলা রাখা যাবে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজ সোমবার (০১) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস শুধুমাত্র প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে।

তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তানসম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

এদিকে রবিবার (৩১মে) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। সোমবার থেকে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।

চীনে ৯ দিনে ৬৫ লাখ করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনা তাণ্ডবে স্থবির সারাবিশ্ব। চীনের উহান শহরে ৯ দিনে ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় বিশ্বে দ্বিতীয় ধাপে করোনা ভাইরাসের উৎসস্থলে ব্যাপকভাবে এই পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং।

এ বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ১৫ থেকে ২৩শে মে পর্যন্ত উহানে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৬৫ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শহরজুড়ে ফের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উহানের এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার সবার নমুনা ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রায় তিন মাস কঠোর লকডাউনে ছিল উহান। এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৮ই এপ্রিল লকডাউন তুলে নেয়া হয়। চলতি মাসের ৯ ও ১০ তারিখে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে নতুন করে ছয় ব্যক্তির করোন ভাইরাস ধরা পড়লে কর্তৃপক্ষ শহরের সব মানুষের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়।

শতাধিক শিক্ষার্থীকে নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সহযোগিতা

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বিপর্যস্ত দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কথা ভুলে যাননি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ।

এই দুর্যোগে বিকাশ/রকেট/নগদের মাধ্যমে নোবিপ্রবির অসচ্ছল শতাধিক শিক্ষার্থীকে আর্থিক উপহার তুলে দেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (২৩ মে) এক টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ড.মোঃ মফিজুল ইসলাম।

এই সময় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় টেলি কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মোঃদিদার-উল আলম,কোষাধ্যক্ষ ড.মোঃ ফারুক উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির তিন বার নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ড. আবদুল্লাহ আল মামুনসহ সংগঠনের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ,নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সবুজ, কোষাধ্যক্ষ মাইনুদ্দিন পাঠনসহ অন্যান্যরা।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সভাপতি ড. মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমরা অনেকেই নিজ নিজ এলাকার অসচ্ছল মানুষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এই দুর্যোগকালে নোবিপ্রবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ দেশরত্ন শেখ হাসিনার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করোনা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের মাঝে এই উপহার তুলে দিচ্ছে । ‘করোনা মোকাবেলায় নোবিপ্রবিয়ানের পাশে নোবিপ্রবিয়ান’ এর সদস্যবৃন্দ শিক্ষকদের হয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই উপহার পৌছে দিচ্ছে। আমরা তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, মুঠোফোনে মাধ্যমে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে নোয়াখালী-৪ আসনের সম্মানিত সংসদ সদস্য জনাব একরামুল করিম চৌধুরী মহোদয় এর প্রশংসা করেন। তিনি এসময় সংগঠনের সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে তিনি এই সংগঠনটির সকল শুভ উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. ফারুক উদ্দিন মুঠোফোনে সংগঠনটির কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, সংগঠন হিসেবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সদা-সর্বদার জন্য জাতির পিতার চেতনা যে লালন করে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: দিদার-উল-আলম বলেন, “জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ বরাবরই মানবতার পক্ষে কাজ করে চলেছে। আজকের এই মহৎ উদ্যোগের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদকে আবারও ধন্যবাদ জানাই।”

যবিপ্রবি ছাত্রলীগ: আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

যবিপ্রবি টুডেঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অসহায় ও হতদরিদ্র দুইশত পরিবারের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।

আজ শুক্রবার (২২ মে) সকালে খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় (ওয়াজেদনগর, ছাচিবুনিয়া, হাসনাবাদ, চড়া, রাঙ্গামাটি বটিয়াঘাটা) এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

যবিপ্রবি পেট্রোলিয়াম এ্যান্ড মাইনিং ইন্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক খন্দকার জানান, “দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী সব জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম দেশব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আর্তমানবতার সেবায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শহীদ মসিয়ূুর রহমান হল সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত দার নেতৃত্বে সকল ধরনের জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছি। করোনা সংকটে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে পড়েছে।

এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্র দুইশত পরিবারের মাঝে শহীদ মসিয়ূুর রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত দার নির্দেশমতো ঈদ উপহার বিতরণ করি,প্রতিটি প্যাকেটে চাল,ডাল,আলু, মিষ্টি কুমড়া, পিয়াজ, সেমাই ও চিনি দেওয়া হয়- যোগ করেন আশিক খন্দকার।

আশিক খন্দকার আরও জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী শহীদ মশিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত দাদার নেতৃত্বে সচেতনতা লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণ, ধারাবাহিক কর্মসূচীর মাধ্যমে অসহায় ও হতদরিদ্র দের মাঝে বারবার খাদ্যসামগ্রী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ, শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া এবং সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ও আসন্ন ঈদ সামনে রেখে অসহায় ও সংকটাপন্ন মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করি আমরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

করোনা উপসর্গ নিয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু

মাইনুদ্দিন পাঠান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর বাবামারা গেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা এলজিইডি মিনিস্ট্রির একাউন্টেন্ট ছিলেন। শিক্ষার্থীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায়। তিনি নোবিপ্রবির শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু মামুনুর রশীদ হিমেল জানান, তার বাবা বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। মাঝে একটু সুস্থ হয়েছিলেন শেষের দিকে এসে গত সোম-মঙ্গলবারের দিকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল কাশি এবং শ্বাসকষ্ট অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় বিকালে হাসপাতালে নেয়ার জন্য এম্বুলেন্স কল করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে এম্বুলেন্সেই মৃত্যু বরণ করেন।