ঢাবিতে অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতি, নির্দেশিকা প্রকাশ

ঢাবি টুডেঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সশরীরে পরীক্ষার নিয়মেই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, টেবুলেশন শিট তৈরি, পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় প্রদান প্রভৃতি স্বাভাবিক সময়ের অনুরূপ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা ইতোমধ্যে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরী করে, তা সংশ্লিষ্ট অনুষদ এবং বিভাগগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে নির্দেশনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সাড়ে ৩ লাখ প্রাথমিক আবেদন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা স্থগিত

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষা কমিটি জানায়, করোনা পরিস্থিতির ফের অবনতি ঘটায় পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে। এ জন্য নির্দেশিকা তৈরি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা, প্রশিক্ষণের জন্য দুইটি ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হবে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। এ সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চাই না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনলাইনে চলবে।’

ঢাবি উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, এরই মধ্যে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের নীতিমালা চূড়ান্ত এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইনস্টিটিউশনাল ই-মেইল আইডি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এখন পরিস্থিতি বুঝে বিভাগ, ইনস্টিটিউটগুলো শিক্ষার্থীদের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

এদিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া হবে কি-না, তা আজ জানা যাবে।

অনলাইন পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

ক) প্রস্তুতি পর্ব

১। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুতকরণ:

অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার জন্য গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করতে হবে। প্রতি সেমিস্টার/বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্লাসরুম খোলা হবে। সংশ্লিষ্ট সেমিস্টার/বর্ষের পরীক্ষা কমিটি গুগল ক্লাসরুম খুলবে এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল আইডি ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজ নিজ সেমিস্টার/বর্ষের জন্য তৈরি করা গুগল ক্লাসরুম এ পরীক্ষা শুরুর অন্তত তিন দিন আগে জয়েন করতে হবে। সকল পরীক্ষার্থী নির্ধারিত ক্লাসরুমে জয়েন করতে পেরেছে কি-না বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সেমিস্টার/বর্ষের পরীক্ষা কমিটি নিশ্চিত করবে।

প্রতিটি পরীক্ষার জন্য আলাদা অ্যাসাইনমেন্ট খোলা হবে। প্রদত্ত অ্যাসাইনমেন্ট-এ নির্ধারিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংযুক্তি হিসেবে থাকবে, যা পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট পূর্বে গুগল ক্লাসরুমে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার্থীরা সংযুক্ত প্রশ্নপত্রটি নিজ কম্পিউটার/মোবাইলে ডাউনলোড করতে পারবে।

প্রত্যবেক্ষণের জন্য অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুম ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই BdREN থেকে দেওয়া জুমের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে।

২। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন সংক্রান্ত

i) পরীক্ষার নম্বর ও সময়

প্রচলিত পদ্ধতির অর্ধেক সময়ে এবং ফাইনাল পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত নম্বরের অর্ধেক নম্বরে পরীক্ষা নিতে হবে। ফল বিন্যাসের সময় নম্বর দ্বিগুণ করে পূর্ণ নম্বরে রূপান্তরিত হবে।

*দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় পাবে।

ii) প্রশ্নের ধরন সংক্রান্ত

প্রচলিত পদ্ধতিতে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য যে ধরনের প্রশ্ন করা হয় (যেমন বর্ণনামূলক, বহুনির্বাচনী, সংক্ষিপ্ত ইত্যাদি) এক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রশ্নই করা হবে। তবে বিভাগের একাডেমিক কমিটি চাইলে এর পরিবর্তন করতে পারবে। উভয় ক্ষেত্রেই বিভাগ থেকে সকল পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে ।

৪। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে করণীয়

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীগণ নিজ দায়িত্বে তার চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন একজন শ্রুতিলেখক নির্বাচন করতে পারবে। শ্রুতিলেখকের শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত প্রমাণপত্র, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ছবি ও ফোন নম্বর পরীক্ষা শুরুর অন্তত সাত দিন আগে বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এর চেয়ারম্যান/পরিচালক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ইমেইল-এ পাঠিয়ে দিতে হবে।

খ) পরীক্ষা অনুষ্ঠান

১। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার সংক্রান্ত

জুমে জয়েন করার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই নামের পরিবর্তে কেবলমাত্র পরীক্ষার রোল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী এর ব্যত্যয় ঘটায় সেক্ষেত্রে প্রত্যবেক্ষকদের একজন তাকে রিনেম করে দিবেন। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে জুমে জয়েন করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কমিটি গুগল ক্লাসরুমের স্ট্রিমে জুম-এর আইডি পাসওয়ার্ড এবং জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য অন্তত তিনটি মোবাইল নম্বর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করবেন

পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই ভিডিও সচল রেখে দৃশ্যমান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

২। উত্তরপত্র সংক্রান্ত

অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত উত্তরপত্র ব্যবহারের সুযোগ নেই বিধায় উত্তরপত্রের কাভার পৃষ্ঠার এডিটেবল সফটকপি পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা শুরুর অন্তত একদিন আগে গুগল ক্লাসরুমের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। পরীক্ষা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত পরীক্ষার খাতার অনুকরণে এই কাভার পৃষ্ঠা। প্রস্তুত করবেন। পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই প্রয়োজনীয় তথ্য উক্ত সফটকপিতে পূরণ করে প্রিন্ট করবেন অথবা সেটি প্রিন্ট নিয়ে হাতে পুরণ করবেন অথবা প্রিন্টার না থাকলে A4 সাইজের সাদা কাগজে তার অনুলিপি প্রস্তুত করে রাখবেন। উত্তরপত্র স্ক্যান করার সময় এই পাতাটিকে প্রথম পাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা A4 সাইজ কাগজে নিজ হাতে প্রশ্নের উত্তর লিখবে এবং উত্তরপত্রের প্রতি পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠা নম্বর এবং পরীক্ষার রোল নম্বর লিখতে হবে।

৫। উত্তরপত্র জমা দেওয়া সংক্রান্ত

পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদেরকে তাদের উত্তরপত্র স্ক্যান করে/ছবি তুলে একটি সিঙ্গেল PDF ফাইল আকারে গুগল ক্লাসরুমের যে অ্যাসাইনমেন্ট-এর মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল সেই একই অ্যাসাইনমেন্ট-এর বিপরীতে অ্যাটাচমেন্ট আকারে (কাভার পৃষ্ঠাসহ) পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার ১০ থেকে ৩০ মিনিট (বিভাগ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত) সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। একজন পরীক্ষার্থী একটির বেশি ফাইল আপলোড করতে পারবে না। আপলোডকৃত ফাইলের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই একটি কমন ফরম্যাট ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে সকল ফাইল ডাউনলোড করে কোনো ফোল্ডারে সংরক্ষণ করার পর কোন পরীক্ষার্থী কোন ফাইল আপলোড করেছে তা নির্ণয় করা দুরূহ হয়ে পড়বে। ফাইলের নামের ফরম্যাট হতে হবে *কোর্স কোড_পরীক্ষার রোল নম্বর’। এই বিষয়টি অবশ্যই আগে থেকে পরীক্ষার্থীদের অবহিত করতে হবে (গুগল ক্লাসরুমের স্ট্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে) এবং পরীক্ষা শুরুর আগে প্রত্যবেক্ষকগণ পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে আবার অবহিত করবেন।

উত্তরপত্রের স্ক্যানকৃত PDF ফাইলটি অ্যাসাইনমেন্ট-এর বিপরীতে অ্যাটাচ করা হয়ে গেলে অ্যাসাইনমেন্টটি টার্ন ইন’ করার বিষয়ে প্রত্যবেক্ষকগণ বারবার সতর্ক করবেন। উত্তরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর প্রত্যবেক্ষকগণ সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র জমা দেয়া এবং টার্ন-ইন করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এটি নিশ্চিত হওয়ার পরই একজন পরীক্ষার্থী জুম-মিটিং ত্যাগ করতে পারবেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গুগল ক্লাসরুমে উত্তরপত্র জমা না নিয়ে পরীক্ষা কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত কোনো একটি ইনস্টিটিউশনাল ইমেইল আইডিতেও পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র ইমেইলে অ্যাটাচমেন্ট আকারে প্রেরণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা কমিটির উপস্থিত সদস্যের অনুমতির প্রয়োজন হবে।

৬। মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত

মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে জুম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নেওয়া যাবে ।

৭। ব্যবহারিক পরীক্ষা সংক্রান্ত

যেসব বিভাগ/ইনস্টিটিউট-এ ব্যবহারিক কোর্স রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সশরীর উপস্থিতি আবশ্যক না হলে

অনলাইনে ব্যবহারিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে।

১। যান্ত্রিক ত্রুটির ক্ষেত্রে করণীয়

বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জুম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে অথবা উত্তরপত্র নির্ধারিত সময়ে আপলোড করতে ব্যর্থ হলে তাকে অনধিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রত্যবেক্ষককে অবহিত করতে হবে।

২। পুনঃপরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত

বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে প্রত্যবেক্ষকের সুপারিশসহ পরীক্ষার্থীর লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পুনঃপরীক্ষা নেওয়া হবে।

কোনো পরীক্ষার্থী যদি অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

৩। অনলাইন কর্মশালা আয়োজন সংক্রান্ত

পরীক্ষা নেওয়া সংক্রান্ত উপরিউক্ত যাবতীয় কার্যক্রম গুগল ক্লাসরুম এবং জুমের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা কমিটির সদস্য প্রত্যবেক্ষক এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে কর্মশালা আয়োজন বাঞ্ছনীয়। এই কর্মশালা বিভাগ/ইনস্টিটিউট অথবা অনুষদ পর্যায়ে হতে পারে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গুগল ক্লাসরুমে পরীক্ষা দেওয়া ও নেওয়ার কর্মকৌশল সংক্রান্ত দুটি ভিডিও টিউটোরিয়াল অচিরেই প্রকাশ করা হবে।

এই নির্দেশিকায় বলা নেই এমন কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে পরীক্ষা কমিটি তার সমাধান দিতে পারবে।

ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ ঢাবির আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো আগামী ৪ জুন। কিন্ত দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ও চলমান লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিত হয় যাওয়া আইবিএর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷ পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ও প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।

‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেই ক্যাম্পাস খোলা হবে’

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ টিকার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিশ্চিত করে দ্রুত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে চায় ঢাবি। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার (অনুরোধ পত্র) পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (২৩ মে) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের অফিসিয়াল লেটার প্যাডে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বরাবর এই অনুরোধ পত্র পাঠানো হয়।

করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনেও নেয়া হচ্ছে না কোনো ক্লাস পরীক্ষা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও অনেক শিক্ষার্থীর আপত্তি থাকায় সেটি বাস্তবায়ন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

এখনো ঢাবির প্রায় এক হাজার শিক্ষক করোনা ভ্যাকসিন পায়নি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাদেরও টিকা নিশ্চিত করতে চায় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চলছে সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ক্যাম্পাস খুলতেই হবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে সেটি অনিশ্চিত।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেই ক্যাম্পাস খোলা হবে।

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে যে টিকার চালান দেশে আসবে সেখানে যেন আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয় চিঠিতে আমরা সেটিই অনুরোধ করেছি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ (রবিবার) থেকে ক্যাম্পাস খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ২৯ মের পর ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ার আভাস পাওয়া গেছে।

বেঁচে থাকলে পড়াশোনা হবে, এখন ধৈর্য ধরা উচিত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বেশি জরুরি। জীবনে বেঁচে থাকলে পড়াশোনা করা যাবে, সবকিছু করা যাবে। শিক্ষার্থীদের এখন ধৈর্য ধরা উচিত। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।’

করোনায় গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রসঙ্গে শনিবার (২২ মে) দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নজরে আনার জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের কড়াভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের কীভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও বাড়তি কথা বলার সুযোগ আছে কি?

দেশের এমন পরিস্থিতিতে টিকার বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য জানান, সামনে যে টিকা আসবে, সেটাতে সরকার যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়, সে আবেদন করব। তারপর যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে অগ্রসর হতে সক্ষম হব।

এদিকে, দীর্ঘদিন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে আগামী ২৪ মে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

ডিজিটালি বেতন-ফি জমা দিতে পারবে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


শিক্ষার্থীদের বেতন ও ফি নেওয়ার প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ডিজিটালাইজড রসিদ সংগ্রহের মাধ্যমে বেতন-ফির যাবতীয় লেনদেন জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় করতে পারবেন। এছাড়াও যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (বিকাশ, রকেট, নগদ, শিওরক্যাশ ইত্যাদি) ব্যবহার করেও কাজগুলো করা যাবে।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘হিসাব অটোমেশন’ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ পরিচালিত ‘ডিইউ-এআইএস প্রজেক্টের’ মাধ্যমে ১৫টি সফটওয়্যার মডিউলের সমন্বয়ে অটোমেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আসবে এবং সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। প্রশাসনের সব স্তরে এ সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তব রূপ লাভ করায় আমরা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই অটোমেশনের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ডিজিটালাইজড রসিদ সংগ্রহের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে জমার তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে নির্ভুলভাবে সন্নিবেশিত হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খাতের আয়-ব্যয়, বিভিন্ন খাতের আর্থিক বিবরণী ও অর্থবছরের বাজেট দ্রুততম সময়ে তৈরি করা সম্ভব হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, পেনশন, আয়কর, ইনস্যুরেন্স, ব্যাংক লোন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনিভোলেন্ট ফান্ড, শিক্ষকদের পরীক্ষাসংক্রান্ত বিল, বিভিন্ন ট্রাস্ট ফান্ডের হিসাব ইত্যাদি এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী দ্রুততম সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

ঢাবির কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান, হিসাব কম্পিউটারাইজেশন কমিটির আহ্বায়ক শান্তি নারায়ণ ঘোষ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ঢাবি : টিএসসি এলাকায় ইভটিজারকে কলার ধরে পিটিয়ে পুলিশে দিলেন তরুণী

ডেস্ক রিপোর্ট


সারাদেশে যখন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চচ সাজা, প্রতিবাদ, মানববন্ধনের দাবিতে উত্তাল তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইভ টিজিংয়ের ঘটনা ঘটল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আজ দুপুরে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি মেয়েকে ইভ টিজিং করেন চা বিক্রেতা রুক্ক মিয়া। ইভ টিজিংয়ের
একপর্যায়ে মেয়েটি তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন এবং মেয়েটি জোরগলায় ওই ইভটিজারকে বলেন যে আপনি বাজে মন্তব্য করেছেন।
লোকটি তখন অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে মেয়েটি তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনা শুনে তারাও তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। ঘটনাস্থলের একটু দূরে টিএসসির সামনে থাকা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

পরে রুক্ক মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন‌। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন তিনি শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
জানা যায়, ইভটিজার রুক্ক মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই থানার মুড়িয়াক গ্রামে।

ঢাবিতে এমফিলে ভর্তির আবেদন শুরু ১৮ অক্টোবর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Dhaka University ) ০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করে তার অধীনে এবং মাধ্যমে এমফিল গবেষণার আবেদন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ১৮/১০/২০২০ থেকে ১৮/১১/২০২০ পর্যন্ত আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফি বাবদ জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় ৫০০ টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে আগামী ২২/১১/২০২০-এর মধ্যে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রের সাথে টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার নম্বরপত্রের ১ (এক) টি করে ফটোকপি ও সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে এবং গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

প্রার্থীকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর অধিকারী হতে হবে অথবা ২ বছর মেয়াদি স্নাতক ও দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং স্নাতক পর্যায়ে ১ বছরের শিক্ষকতা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১ বছরের চাকরি অথবা স্বীকৃত মানের জার্নালে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ থাকতে হবে। ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা তাদের ডিগ্রির সাথে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রার্থীদের সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে। সিজিপিএ নিয়মে মাধ্যমিক/সমমান থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৩.৫ অথবা সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

ঢাবি: ১০০ বছর উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনার, উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দেশের প্রাচীনতম এবং শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০০ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছরের ১ জুলাই । শতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে নানান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আগামী ২১-২৪ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী এক আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে ৫টি ওয়েবিনার সিরিজেরও আয়োজন করা হবে।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা’ র্শীষক এই আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরে থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়াও, ৫টি থিম নিয়ে ওয়েবিনার সিরিজেরও আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এসব সিরিজগুলো হচ্ছে- বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং জৈব-বিজ্ঞান (ফেব্রুয়ারী ২০২১); শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি (মার্চ ২০২১); ব্যবসা (এপ্রিল ২০২১); সামাজিক বিজ্ঞান (মে ২০২১); এবং উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যত (জুন ২০২১)। এসব আয়োজনের আহবায়ক হিসেবে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

এর আগে গত অগাস্ট মাসে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সবচেয়ে বড়মাপের একটি কর্মসূচি ছিল, যেটি লন্ডন ও ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা আর সম্ভব হবে না।

উপাচার্য বলেন, তবে আপনাদের শুনে ভালো লাগেবে যে, আমরা আগামী জানুয়ারি থেকে ৬টি বড় মাপের ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক ই-কনফারেন্স আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

স্বল্পমূল্যে ডাটা পাচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা, ব্যবহার করা যাবে না সোশ্যাল মিডিয়া

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের করোনাকালে চলছে অনলাইনে ক্লাস। এদিকে এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ।

অললাইন শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে কলা অনুষদ। কলা অনুষদের প্রতিটি বিভাগে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ ঢাবি শিক্ষার্থী রাসেলকে কুপিয়ে জখম, অবস্থা আশঙ্কাজনক

জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দের এক সভায় গ্রামীণফোন ও কলা অনুষদের মধ্যে এক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক বিভাগে গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট ডাটা প্যাক ক্রয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তালিকা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ডিন অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রামীণফোন তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ৩০ জিবি ডাটা দেবে। যার মূল্য নির্ধারণ করেছে ২২৫ টাকা। এই ডাটা দিয়ে ফেসবুক-টুইটারের মতো কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নেটফ্লিক্স, এডাল্ট সাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

অনুষদটির ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামীণফোনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি মোটামুটি ফাইনাল স্টেজে আছে। শিক্ষার্থীরা চাইলে হবে।

 

ঢাবি অবকাঠামো উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবকাঠামো উন্নয়নে তৈরি করা মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর কাজ চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসাটার প্ল্যানের কাজটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর আগে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গতকাল শনিবার (৩ অক্টোবর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাবি প্রশাসনের একটি ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

রবিবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মেনে আমাদের এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এটির কাজ শেষ হয়ে গেছে। তবে কিছু সংশোধনী এসেছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কিছু সংশোধনী এসেছে। এটি ফাইনালাইজ করে আমরা মাস্টার প্ল্যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়। এটিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান।

এই মাস্টার প্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসকে যুগোপযোগী করাসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক চাহিদা মেটানো, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান, পার্কিং সুবিধাসহ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ জলাধার সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ, মানসম্মত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাস্টার প্ল্যানে।