২৪ মে খুলছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

 

ডেস্ক রিপোর্ট

সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও ২৪ মে খুলছে না দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এসময় তিনি আরও বলেন, যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তাই ২৩ মে স্কুল–কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা সম্ভব হবে না।

করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের চলাচল ও সার্বিক কাজকর্মে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।

শুধু তা–ই নয়, আরও কিছুদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রথমে তা সবার জন্য খুলবে না। প্রথমে শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষ খোলা হবে। তাদের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে ক্লাস করানোর পর পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এর ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যা পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।

ভিসি ছাড়াই চলছে ৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জুনের মধ্যেই শূন্য হচ্ছে আরো পাঁচ

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ দেশের ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই দীর্ঘদিন। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে কাজ। এছাড়াও আগামী জুনের মধ্যেই শূন্য হচ্ছে আরো পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ।

জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৯ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ৩১ জানুয়ারি হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আর ৪ মার্চ শূন্য হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের মেয়াদ শেষ হয় ৩০ মার্চ। ২৩ মার্চ শূন্য হয় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্যের পদ।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। হাজী মো. দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার। অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ অবসরে যাওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো মশিউর রহমান।

বাউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম বানু অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মত্ হোসনে আরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া চলতি বছরের আগামী ৬ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জুন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ মে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জুন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ১০ জুন মেয়াদ শেষ হবে।

নতুন করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিনিয়র অধ্যাপকদের ১০ শতাংশকে নিয়ে তালিকা করা আছে। উপাচার্য নিয়োগে সেই তালিকা বিবেচনায় আছে। এর বাইরে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কয়েকজন অধ্যাপক আছেন যারা তদবির না করলেও আলোচনায় আছেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমছে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ শিক্ষার মান নিম্নমুখিতার কারণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক বছর ধরে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানের নিম্নমুখিতাই দায়ী। এতে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ছে। গতানুগতিক সিলেবাস, অবকাঠামো ও আবাসন সঙ্কটের কারণে বিদেশিরা আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ চিত্র উল্টো। প্রতি বছর বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুবিধা ও পরিবেশ নিশ্চিত করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহী হচ্ছে তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে,২০১৯ সালে বিদেশ থেকে দেশে পড়তে এসেছিলেন মাত্র ৪৮২ জন শিক্ষার্থী। ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন তারা। ঠিক আগের বছর ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮০৪। অন্যদিকে ১০৫টি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টিতে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৯৪৯ জন। সে তুলনায় দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।

ইউজিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫৯ জন, ২০১১ সালে ২১০ জন, ২০১২ সালে ৫২৫ জন, ২০১৩ সালে ৩২৬ জন, ২০১৪ সালে ৪৩২ জন, ২০১৫ সালে ৫৯৩ জন, ২০১৬ সালে ৩৫৫ জন, ২০১৭ সালে ৪৬২, ২০১৮ সালে বেড়ে তা ৮০৪ জন ভর্তি হয়েছে। তবে এর পরের বছর ২০১৯ সালে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি প্রায় অর্ধেকে নেমে ৪৮২ জনে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, দেশে গত ৫ বছরের হিসাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সব বছর বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। তার মধ্যে ২০১৫ সালে এক হাজার ৫৪৮ জন, ২০১৬ সালে এক হাজার ৯২৭ জন, ২০১৭ সালে এক হাজার ৯৭৭ জন, তবে ২০১৮ সালে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সে বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা তুলনামূলক হারে কমে গিয়ে এক হাজার ৩৮৬ হয়। অবশ্য পরে তা বেড়ে ১ হাজার ৪৬৭ জনে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরো জানা যায়, ২০১৯ সালে ৩৭টি দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করতে আসেন। ২০১৮ সাল থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪টি দেশ। ৯৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন তারা। দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, ইউএসএ, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, সাউথ কোরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে, সিয়েরালিয়েন, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, ফিলিপাইন, বাহরাইন, লাইবেরিয়া, ফিজি, পাপুয়া নিউগিনি, মিয়ানমার, কেনিয়া, সাউথ সুদান, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ক্যামেরুন, ইরান এবং জর্ডান।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা : গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবারও খেতে পারে হোঁচট

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা মহামারীর মধ্যে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হলেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে মহামারীর মধ্যে সেই পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হবে কি-না সেই সংশয়ের পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হবে কিনা এমন সংশয়ে শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা।

তবে আশার কথা এই যে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির চূড়ান্ত মূল্যায়ন ফল ঘোষণা করা হবে, যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।এমনই জানিয়েছেন সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।

এদিকে পরীক্ষা নেয়া হলেও গেলবারের মতো এবারও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া হোঁচট খেতে পারে দেশের প্রধান কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রক্রিয়ায় না যেতে চাওয়ার অনীহার কারণে।

আর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। তারা চাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নিতে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে। এজন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে ১৫ অক্টোবর সভা ডেকেছে ইউজিসি।

দেশে বর্তমানে ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার আসনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। একারণে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি অভিভাবকদের আর্থিক ব্যয় হয়।

গত কয়েক বছর ধরেই সমন্বিত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ প্রধান পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। এরপরও গেলবছর কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও সাধারণ- এই চারটি গুচ্ছের আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় ইউজিসি।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর বলেন, ইউজিসি এখনও মনে করে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া দরকার। কারণ বোর্ডের রেজাল্টের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও আস্থা রাখতে পারেনি। এবার সমস্যাটা হবে যে এত শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে নেয়া হবে। এটা যদিও একদিনের ব্যাপার। করোনার আগে চিন্তা করে রেখেছি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার। গুচ্ছ পদ্ধতির সুবিধাটা অনেক তাই করোনাকালীন সময়েও আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতেই আছি। এখনও এর কোনও বিকল্প চিন্তা করিনি।

উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হলেও দেশে উচ্চশিক্ষা নেয়ার মতো শিক্ষার্থী প্রচুর উল্লেখ করে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজ চৌধুরী বলেন, ‘অনেক দেশেই মেধা, ভর্তি পরীক্ষার ধরন, উচ্চমূল্যের টিউশন ফি প্রভৃতি কারণে উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সবাই উচ্চশিক্ষা নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে খুব কম জিপিএ নিয়েও উচ্চশিক্ষায় যাওয়া যায়। এবার যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী পাস করবে সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট না পড়লেও সবার উচ্চশিক্ষা কতটা দরকার সেটাও ভাবার সময় এসেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সমন্বিত পদ্ধতিতে নিতে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি। তিনি বলেছেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও তিন মাস সময় রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হোক তারপর আমাদের অ্যাডমিশন কমিটি, ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হঠাৎ করে তো আর এই সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। বিজ্ঞানসম্মত বাস্তবতার মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরও পড়ুন

৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে

আর বাস্তবতার নিরিখেই সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাবে নাকি প্রতিবারের মতো নিজেরাই ভর্তি পরীক্ষা নেবে সেবিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।

ক্যাম্পাসে ঢুকতে আলাদা লেন পাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে শিক্ষার্থীরা আলাদা লেন সুবিধা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।

জানা গেছে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে পরিকল্পনার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখল মাস্টার প্ল্যানটি। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করা হয়।

মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা মেনেই এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সহযোগিতায় এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়া হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের ফলে এখন থেকে আমাদের ক্যাম্পাস পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যানের ফলে ক্যাম্পাসে যত্রতত্র কিছু করা যাবে না। এখন থেকে সব কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হবে। পুরো মাস্টার প্ল্যানটি বাস্তবায়ন করতে ৩০ বছরের মতো সময় লাগবে। সেজন্য আমরা এটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি।

আখতারুজ্জামান আরো বলেন, মাস্টারপ্ল্যানে আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা রেখেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরোনো বিল্ডিংগুলো সংস্কার, টিএসসিকে আধুনিক করে গড়া, লাইব্রেরি সংস্কার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সোলারের আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের হাটার জন্য আলাদা লেন করা, সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা লেন করাসহ আরও অনেক কিছু।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, আগে অপরিকল্পিতভাবে বিল্ডিং করায় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। আমরা এখন থেকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ডেভেলপমেন্ট করব। আমরা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য দোয়েল চত্বর এবং শাহবাগ মোড় দিয়ে দুটি লেনের ব্যবস্থা করব।

তিনি জানান, এই লেন ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করতে পারবে। এই লেন দিয়ে অন্য কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মাস্টার প্ল্যানে পরিকল্পিত এবং বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ও নান্দনিক ক্যাম্পাস তৈরির সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও প্রস্তাবনা রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসকে যুগোপযোগী করাসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়ও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক চাহিদা মেটানো, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি সুবিধা প্রদান, পার্কিং সুবিধাসহ যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সবুজায়ন, খেলার মাঠ উন্নয়ন, সোলার এনার্জি স্থাপন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ জলাধার সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট করাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ, মানসম্মত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এই মাস্টার প্ল্যানে।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার অহংকার!

শাফিউল কায়েস


আমরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অহংকার করি। পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমসহ বাস্তবতায়ও একে অপরকে ছোট করে দেখি। পাবলিক-প্রাইভেটে সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়! জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাবলিক-প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ছোট করে দেখে।

প্রকৃত কথা হচ্ছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কিছুই দিতে পারে নি, একটা সার্টিফিকেট দিয়েছে…? অবশ্যই, অস্বীকার করার কিছুই নেই।

একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে, কিভাবে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজনীতি করেন। শিক্ষকরা সকাল ৮ টার ক্লাস ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে বিকেল ৪ কিংবা ৫ টার সময় নেন! উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলাম…কিন্তু দুঃখজনক আমাদের সিলেবাসের পড়ার বাহিরে একটি মানবিক গল্প বা ভালোবাসার গল্প শেখায় নি। আমি বলবো- একটি বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে একটি শিক্ষিত সার্টিফিকেট দিয়েছে কিন্তু সুশিক্ষিত হওয়ার সার্টিফিকেট দেয় নি।

একজন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বলতে দেখেছি- “ক্লাসরুমে বসে ছাঁড়পোকার কামড় আর গণশৌচাগারে বসে হাগাকালীন (টয়লেট করার সময়) পশ্চাদদেশের উপর দিয়ে তেলাপোকা ভ্রমণের মনঃকষ্ট থেকে সমালোচনা করাই যায়!”

এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বলতে শুনেছি- “আরে, ওরা ত পড়ে প্রাইভেট-জাতীয়তে; আর আমরা পড়ি পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে। ওদের থেকে আমরা বেটা। পাবলিকে পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাইতে হয়। আর ওরা ত পড়ে টাকা দিয়ে। পাবলিকে চান্স না পাওয়ারা পড়ে প্রাইভেট-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।”

পাবলিক-প্রাইভেট-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের মূল্য নেই? আছে। তবে তা আমাদের সমাজে যে ধরনের ধারণা-ভাবনা প্রচলিত, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

অপ্রিয় হলেও সত্য, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা সফল মানুষেরা নিজের চেষ্টাতেই সফল হয়েছেন। তাদের সফল হওয়ার কারণগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি যোগসূত্র নেই।

তবে- সার্টিফিকেট, ক্লাসরুম, টয়লেট নয় হল এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ শিক্ষার্থীর সামনে নতুন চিন্তার দুয়ার খুলে দেয়। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তৃতীয় বর্ষে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ার ঠিক করে ফেলে। নিজের আগামীর পথচলার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তবে, হল-ক্যাম্পাসের আড্ডা তাতে সাহায্য করে।

নিজেদের পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তি আমাদের সফলতা দিতে পারে, অন্যথায় না!

যোগ্যতা আপনাকে নিজে তৈরি করতে হবে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় দিবে না। হোক সেটা পবলিক-প্রাইভেট কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেটা করতে জানলে গ্রামাঞ্চলের নাম অজানা ডিগ্রি কলেজ থেকেও করা সম্ভব। শত শত উদাহরণও আছে।

সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আমরা এমন এক যুগে ধীরে ধীরে পদার্পণ করতেছি, যেখানে ‘আপনি কী জানেন ’ এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এখন ‘আপনি কী করতে পারেন’!!!

সবশেষে, আপনি যেখানেই পড়ুন না কেন; যেখান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করুন না কেন; আপনাকে সর্বোপরি ভালো মনের মানুষ হতে হবে, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো কর্তব্য ও দায়িত্ব। বাবা-মায়ের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। নিজের জন্য কাজ করতে হবে।

ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গোটা জাতির আগ্রহ ও জাতীয় দাবি: ইউজিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, “গোটা জাতির আগ্রহ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওপর। এটা এখন জাতীয় দাবি। জাতির স্বার্থেই আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

সোমবার ইউজিসি চেয়ারম্যান ইউজিসিতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যদের সাথে এক আলোচনা সভায় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ও দায়িত্ব নিয়ে উপাচার্য এবং সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবেন এমন প্রত্যাশা করে এসব কথা বলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিদ্ধান্তহীনতার জন্য গোটা জাতির আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকতে পারে না। কারও ‘ইগো’ যেন অন্যদের প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ তৈরির করে স্নাতক ১ম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় নারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য উপাচার্যদেরকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ মনে করেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু ও সান্ধ্য কোর্স বন্ধে উপাচার্য ও সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসলে শিক্ষক সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ আরও বলেন, “যদি কেউ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় না আসে তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা এবার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। এটি চালু হলে আগামীতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।”

সভায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে এবছরের গত ২৩ জানুয়ারি দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি।