ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

ভার্সিটি জীবনে যে ২০ টি ভুল করবেন না

১। গার্লফ্রেন্ডকে/ বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরবেন না
২। পড়ার লেখার চেয়ে বন্ধু বান্দবকে প্রাধান্য দেয়া যাবেনা
৩। রুমে নয় লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশুনা করুন, এতে আপনার স্টাডি সার্কেল বড় হবে
৪। সিট নয় বই কিনে পড়ুন
৫। নিজের যা আছে তার চেয়ে বেশি দেখাতে যাবেন না
৬। রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে বেশি হাই হ্যালো না করলেও শত্রুতা রাখবেন না

৭। নিজেকে সবার সেরা মনে করে অন্যকে ছোট করা যাবে না
৮। হলের ক্যান্টিনে বকেয়া রাখবেন না
৯। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে দেখা হলে এড়িয়ে যাবেন না
১০। লাইব্রেরিতে পড়তে গিয়ে পড়ার চেয়ে বেশি আড্ডা দিবেন না
১১। অন্যের কক্ষে গিয়ে বেশিক্ষণ আড্ডা না দেয়াই ভালো

১২। জুনিয়রদের কাজের হুকুম না দিয়ে ভালোবাসুন, দেখবেন এমনিতেই সে আপনার প্রয়োজনে কাজে আসবে
১৩। এক শিক্ষকের বদনাম আরেক শিক্ষকের কাছে বলবেন না
১৪। দোকানে খাওয়া শেষে বিল দিতে না পারলে বলে আসুন পরে দিবেন কিন্তু না বলে আসবেন না
১৫। ধর্ম কর্ম একেবারে ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কারণ, দিন শেষে মনের শান্তির জন্য হলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা উচিত
১৬। পরীক্ষার চিন্তায় পড়াশুনা কমিয়ে দিবেন না

১৭। পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমিয়ে রাখবেন না
১৮। একটা কিছু হবেই, এ ভেবে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করা বাদ দিবেন না। প্রথম থেকে ক্যারিয়ার ভিত্তিক পড়াশুনা করতে হবে
১৯। শিক্ষকদের তোষামোদি করে ভালোবাসা নয়, মেধা দিয়ে ভালোবাসা অর্জন করুন
২০। ক্যাম্পাসে কাউকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন না

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার স্ট্যাটাস দেওয়া সেই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার

 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ মিনাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ, পিতা- আমিনুর রহমান মিনা, আইডি নং- ১৮ পিএস১৪৫, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় কিন্তু সে ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার ও ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে তার পুন ঃ ভর্তি হওয়ায় কথা থাকলেও সে ভর্তি হয়নি।

অফিস আদেশে আরো বলা হয়, গত ২৩/০৬/২০২১ তারিখে তার ফেসবুক আইডি হতে সে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত স্ট্যাটাস দেয়, যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে। তার এহেন রাষ্ট্রবিরােধী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তাকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় হতে এত্বারা সাময়িক বহিষ্কার করা হলাে।

প্রসঙ্গত, ফয়সাল আহম্মেদ মীনা (২৫) ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গুলি করে হত্যার স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেফতার হয়েছে।
এ ঘটনায় গত বুধবার সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. মাসুদ রানা বাদী হয়ে ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৪২, তাং ২৩/০৬/২০২১)।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

দেশে করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ এক বছর দুই মাস অতিবাহিত হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের।তবুও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেনা।করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় আনতে না পারার কারণে কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় এটিও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।

টিকার আওতায় আনতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে সরকারের কাছে শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠালেও শিক্ষার্থীদের এই টিকাদান কার্যক্রম আর এগোয়নি। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস যেনতেনভাবে চললেও পরীক্ষা না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ছে এই অনলাইন ক্লাসগুলোও।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বর্তমানে টিকার স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে যেভাবে ভেবেছিলাম তা নিয়ে সন্তোষজনক কোনো পর্যায়ে যেতে পারিনি আমরা।

এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকাও পাঠিয়েছি। কিন্তু সন্তোষজনক কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার সবাইকে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে বিবেচনা করে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের কাছে দাবি জানাই। তাছাড়া তো বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারব না।

গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৭ মে থেকে হলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন । তবে এর আগে আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

কিন্তু সেই ঘোষণার প্রায় তিন মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত টিকা পাননি শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে টিকার সংকটে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত কয়েক কোটি শিক্ষার্থী বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে।

করোনা টিকাদান কার্যক্রমকে বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ আরও পেছাতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে এর মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

একই সঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব কাজ শেষ হলে করোনা পরিস্থিতির অবস্থা দেখে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা জানান। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া গেলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি আবাসিক হলের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকায় বড় ধরনের সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অনলাইন ক্লাস চললেও পরীক্ষা না থাকায় অনেকটাই গতি হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকা, ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণেও অনেকেই ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন পরীক্ষা সুফল বয়ে আনবে না: উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন পরীক্ষা সুফল বয়ে আনবে না।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারেনি, তা সম্ভবও ছিল না। তিনি আরো জানান, আমরা জুলাই কিংবা করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশে নেমে এলে হল খুলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করব।’

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন (জাককানইবি) উপাচার্য।

ঈদের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে নিরাপদে বিশ্ববিদ্যালয় এ অংশগ্রহণ করতে পারে তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় না খোলার ইঙ্গিত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ফেব্রুয়ারিতে আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৭ মে থেকে হলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এর আগেই আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু ঘোষণার দুই মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এরই মধ্যে টিকার সংকটে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ দেশে এখন প্রত্যাহিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ফেব্রুয়ারির চেয়ে অনেক বেশি। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার তারিখ পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।

আজ বুধবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভর্তিসংক্রান্ত বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টিও আলোচনা করা হবে।

বর্তমানে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকেন মোট এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষক আছেন প্রায় ১৫ হাজার। যাঁদের ২৪ মের আগে টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছেন টা কারোরই জানা নেই।

শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন আমাদের জানান, ‘আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়েছে, তাদের অনেকেই টিকা নিয়েছে বলে জেনেছি। আগামী আরো এক সপ্তাহ আমরা পরিস্থিতি দেখব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সাবজেক্ট যুক্ত হচ্ছে ‘বাঁশি’

ডেস্ক রিপোর্ট


বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদের সংগীত বিভাগগুলোতে বাঁশিকে একটি সাবজেক্ট (বিষয়) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নুর ই আলম সাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

উপসচিব সাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ললিত কলা অনুষদের সংগীত বিভাগে বাঁশিকে সাবজেক্ট (বিষয়) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে বিবেচনাপূর্বক বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুনদেশের সব হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের মান নিশ্চিতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ
এর আগে একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তি উত্তম কুমার চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত বাঁশি ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনে বলা হয়, বাঙালির নিজস্ব ছয়শ রকমের বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে বাঁশি অন্যতম। এই উপমহাদেশে যা বাঁশরি নামে খ্যাত। আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেন।

এরই প্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ললিত কলা অনুষদে বাঁশি বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইবিতে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পরীক্ষা: পরিবহন সুবিধা থাকলেও হল বন্ধ

ইবি প্রতিনিধিঃ করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক সুবিধা ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে অনুষ্ঠিত ১১৯তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে পরিবহন সুবিধা থাকলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

সভায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতিসহ শিক্ষক ও বিভিন্ন অফিস প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

পরীক্ষা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি বিভাগের হাতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ। পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবহন সুবিধা দিলেও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা চলাকালে কোন শিক্ষার্থীদের করোনা হলে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় যেন হাটবাজারে পরিণত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই থাকে, এগুলো যেন হাটবাজারে পরিণত না হয়।তনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি বেশি গবেষণা পরিচালনা ও গবেষণা প্রকাশের ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক গবেষণা হতে হবে। সেসব গবেষণা বেশি বেশি প্রকাশের ব্যবস্থাও নিতে হবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের একটি প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবে অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবির নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। তাই এখানকার মানসম্মত শিক্ষার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

গবেষণায় অর্থ সংকট সমস্যা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা হোক। এজন্য অর্থ কোনো সমস্যা নয়। প্রয়োজনের আমি নিজেই টাকার ব্যবস্থা করব। তবে এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, গবেষণার বরাদ্দ থাকে, কিন্তু ব্যয় হয় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বাড়াতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে ‘ বেতার বিদ্যাসাগর ‘

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


বিদ্যাসাগরের জন্মদিবসেই পথ চলা শুরু করতে চলেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কমিউনিটি রেডিয়ো স্টেশন। নাম ‘বেতার বিদ্যাসাগর’।আগামী শনিবার বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই রেডিয়ো স্টেশনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী।এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ। উপাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কমিউনিটি রেডিয়ো স্টেশন চালু হতে চলেছে। সেটি চালুর ফলে মেদিনীপুরের এই অঞ্চলের স্থানীয় মানুষেরা উপকৃত হবেন।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এই এফএম রেডিয়ো স্টেশন (৯০.৮ এফএম) থেকে নানা শিক্ষামূলক ও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। শিক্ষকদের থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাবেন পড়ুয়ারা। জনস্বার্থমূলক সচেতনতা প্রচারও হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘কমিউনিটি রেডিয়ো ব্যাপারটা এলাকার নিজস্ব। নিশ্চিতভাবে এখানকার মানুষের কথা ভেবেই অনুষ্ঠান হবে।’’

তাঁর সংযোজন, ‘‘জনস্বার্থমূলক এবং সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কাজে লাগে এমন বিষয়েও এই কমিউনিটি রেডিয়োর বিশেষ ভূমিকা থাকবে।’’ আপাতত, সপ্তাহে তিনদিন অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে। এক মাস পরে পুরোদস্তুর অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়ে যাওয়ার আগে। কমিউনিটি রেডিয়ো স্টেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটও তৈরি করা হবে। ফলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের শ্রোতারা এই রেডিয়ো স্টেশনের অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় নানা উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালন করে চলেছে। করোনা আবহে যাবতীয় বিধি মেনেই আগামী শনিবার তার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রকাশনা বিভাগ চালু হয়েছে। সেই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে বিদ্যাসাগর রচনা সমগ্র প্রকাশ দিয়ে।

পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত অধ্যাপক পদ সৃষ্টি হয়েছে। উপাচার্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘২০১৭ সালে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখি। আমি লিখি, বিদ্যাসাগরের দু’শো বছর আমাদের খুব যত্ন করে পালন করা উচিত।

অনেকগুলি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তার মধ্যে একটি ছিল, বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করা। এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করেছেন।’’

পদটি সৃষ্টির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ চালু হয়েছে। বিশিষ্ট বিদ্যাসাগর-গবেষকদের নিয়ে হয়েছে আলোচনাসভা।

বিশ্ববিদ্যালয় আগেই বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উদ্‌যাপন কমিটি গড়েছে। এই কমিটির উদ্যোগেও বিদ্যাসাগর স্মরণে একের পর এক কর্মসূচি হয়েছে। আগামী দিনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্রও গড়ে ওঠার কথা।

গত বছর ঘাটালের বীরসিংহে বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর সূচনা অনুষ্ঠানে এসে ওই গবেষণাকেন্দ্র গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানিয়েছিলেন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্র হবে। নিজস্ব কমিউনিটি রেডিয়ো স্টেশন চালু করতেও উদ্যোগী হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার সেটা চালু হতে চলেছে। শনিবারের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বলে সূত্রের খবর।

অক্টোবরেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা নেই!

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত পৃথিবীতে থমকে আছে শিক্ষাজীবনও। জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিথর হয়ে আছে। অদম্য প্রাণচাঞ্চল্য থাকা স্থাপনাগুলো হয়ে পড়েছে প্রাণহীন। শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর থাকা ক্লাস রুম, করিডোরগুলোও আজ নিস্তব্ধ। চলমান এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা।

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা ধরণের ঘোষণা আসলেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট আর কোন নির্দেশনা নেই। ফলে সেশনজটসহ শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আবাসিক হলসহ শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। আর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানালেন ইউজিসি।

এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা লম্বা সময় আমাদের শিক্ষা জীবন থেকে চলে গেছে। আমরা ক্লাস করতে পারিনি, পরীক্ষাগুলো দিতে পারিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য আমরা যখন ভাবব তখন অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রেখে তারপর আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিক সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, যদি কোন সময় কোন কিছু করতে হয় যতটুকু পারব আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেটা করব।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৯১টি যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখের বেশি।

সূত্র: সময় টিভি