জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে অনলাইনেই

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সেশনজট কমানোর লক্ষ্যে অনলাইনেই একাডেমিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা অনুমোদন করা হয়েছে। শুধু করোনাকালীন নয়, ভবিষ্যতের যেকোনো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যই অনুমোদন করা হয়েছে এই অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা।

তিনটি ধাপে নেওয়া হবে অনলাইন পরীক্ষা। এর মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট, ওপেন বুক এক্সাম ও ভাইভা। অ্যাসাইনমেন্টে ১০ নম্বর, ওপেন বুক এক্সামে ১০ নম্বর এবং ভাইভায় ৩০ নম্বরে রাখা হয়েছে। এই ৫০ নম্বরকে আবার ৭০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে। পাশাপাশি ক্লাস অনুশীলন পরীক্ষার ২০ নম্বর এবং ক্লাসে উপস্থিতির ১০ নম্বর এই ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

পবিপ্রবি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীর সুইসাইড এটেম্পটের হুমকি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ চলতি মাসের মধ্য যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডিভিএম ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া ও অতিদ্রুত ডিগ্রী শেষ করার সুযোগ না দেয় তাহলে তারা আত্নহত্যা করতে বাধ্য হবেন বলে গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছেন উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের করা পোস্ট টি হুবহু তুলে ধরা হলো –
“আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশন এর একজন শিক্ষার্থী। পৃথিবীতে যে হারে মহামারী দেখা দিয়েছে তাতে আমরা সবাই স্তব্ধ এবং দেড় বছর থেকে স্তব্ধ অবস্থায় আছি। কিন্তু এই স্তব্ধতা আরো এক বছর বা দেড় বছর অপেক্ষা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা পাঁচ বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স এ ভর্তি হয়েছি। অন্যান্যদের থেকে এমনিতেই এক বছর বেশি তার মধ্যে আবার করোনার কারণে দেড় বছর লেগেছে টোটালি আড়াই বছর আমাদের জীবন থেকে চলে গিয়েছে। আর কিছুদিন গেলে আমাদের পড়ালেখা বা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার কোনো দাম বা মানেই হয়না। যেখানেই পড়ালেখার কোন দাম বা মানে নাই সারাজীবন সারাজীবন পড়াশোনা করে শেষ জীবনে বুড়া হয়ে পড়ার ইচ্ছা নাই। শুধুমাত্র আমরা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার কারণে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারছিনা। মাননীয় ভিসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনি কি চাইলে শুধুমাত্র ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্টের ফাইনাল এক্সাম কমপ্লিট করে আমাদেরকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার সুযোগ দিতে পারেন না??? এভাবে বাসায় বসে থেকে নানান মানুষের কথা শোনার থেকে আর এভাবে বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়া টা অনেক ভাল মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে। কারণ যেখানে শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষার কারণে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে পারছিনা সেখানে আর কিছু বলার নাই। আর তাছাড়াও অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি তা করতে পারে তাহলে আমরা কেন তা পারি না। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় শপিংমলে হাজার হাজার লোক বাজারে হাজার হাজার লোক সবখানে লোকে লোকারণ্য। অথচ আমাদের ব্যাচে শুধু মাত্র ৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার মানসিকতা টুকু আপনাদের নেই। যেখানে দেশে হাজার হাজার লোক জন চলাফেরা করছে সেখানে ৫৬ জন ছাত্র পরীক্ষাটা খুবই কষ্টের। বরং আমি তো মনে করি ৫৬ জনকে পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যাবে। মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মাসের মধ্যেই যদি আমাদের পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা না হয় তাহলে আমরা সকলেই সুইসাইড করতে বাধ্য হব এবং এর জন্য আপনারা সকলেই দায়ী থাকবেন।”

এবিষয়ে পবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক স্বদেশ বলেন, শিক্ষার্থীদের বর্তমান অবস্থা আমরা খুব ভালো ভাবেই অনুধাবন করতে পারছি। ডিভিএম ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত এ বিষয়টি ইউজিসি কে অবগত করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। অফলাইনে সম্ভব না হলেও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

ক্যাম্পাস ও হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ডাক

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণের কারণে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার।এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান আগের মতই চলছে।এবার অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হল খোলা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করবেন বলে জানা গেছে।

মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো ১৫-২০ দিনের সময় দিয়ে নিয়ে নেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণী কার্যক্রম চালুসহ আরও বেশ কিছু দাবি পেশ করবেন তারা।

আন্দোলনের ডাক দেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা ও শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হোক। যে সময় নষ্ট হচ্ছে এর জন্য তো চাকরির বয়সও বাড়বে না। আমাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কোন সফলতা নেই বলে দাবি তুলেছেন আন্দোলনের ডাক দেওয়া শিক্ষার্থীরা।

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরুর তারিখ প্রকাশ করলো জাবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২০ জুন থেকে এবং চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

স্বস্তির খবর হল এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।

২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্টার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির ৭ম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া ২০ জুন শুরু হয়ে চলবে ৩১ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদন ফরমের মূল্য আগের মতোই থাকবে। শিক্ষার্থীরা ইউনিট ভেদে ৬০০ ও ৪০০ টাকা করে ফি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিফট ভিত্তিক পরীক্ষা নেয়া হবে।’

পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে আবু হাসান বলেন, ‘পরীক্ষার তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।’

ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নয়টি ইউনিটের জন্য আলাদা ফরম পূরণ করতে হবে। ইউনিটগুলো হলো-‘এ’ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ), ‘বি’ ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ), ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক অনুষদ), ‘সি-১’ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগ), ‘ডি’ ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ), ‘ই’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ), ‘এফ’ ইউনিট (আইন অনুষদ), ‘জি’ ইউনিট (ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ‘এইচ’ ইউনিট (ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) এবং ‘আই’ ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউট)।

অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিবে শাবিপ্রবি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে সে জন্য ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সে কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২৭ মে পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩১ মার্চ থেকে অনলাইনে ক্লাস করে দুটি সেমিস্টার শেষ করেছেন শিক্ষার্থীরা। করোনাকালে সরাসরি স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলেও তা শেষ করা সম্ভব হয়নি।

করোনা পরিস্থিতিতে তাই দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে শেষ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কাউন্সিলে সে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।

দেশে করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ এক বছর দুই মাস অতিবাহিত হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের।তবুও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেনা।করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় আনতে না পারার কারণে কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় এটিও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।

টিকার আওতায় আনতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে সরকারের কাছে শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠালেও শিক্ষার্থীদের এই টিকাদান কার্যক্রম আর এগোয়নি। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস যেনতেনভাবে চললেও পরীক্ষা না হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ছে এই অনলাইন ক্লাসগুলোও।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বর্তমানে টিকার স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে যেভাবে ভেবেছিলাম তা নিয়ে সন্তোষজনক কোনো পর্যায়ে যেতে পারিনি আমরা।

এটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকাও পাঠিয়েছি। কিন্তু সন্তোষজনক কোনো অগ্রগতি হয়নি।

তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার সবাইকে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে বিবেচনা করে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের কাছে দাবি জানাই। তাছাড়া তো বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারব না।

গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৭ মে থেকে হলগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন । তবে এর আগে আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

কিন্তু সেই ঘোষণার প্রায় তিন মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত টিকা পাননি শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে টিকার সংকটে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত কয়েক কোটি শিক্ষার্থী বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে।

করোনা টিকাদান কার্যক্রমকে বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ আরও পেছাতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে এর মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

একই সঙ্গে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব কাজ শেষ হলে করোনা পরিস্থিতির অবস্থা দেখে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা জানান। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া গেলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি আবাসিক হলের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকায় বড় ধরনের সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অনলাইন ক্লাস চললেও পরীক্ষা না থাকায় অনেকটাই গতি হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকা, ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণেও অনেকেই ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না।

রেজাল্টের অপেক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা কান্নাকাটি করছে: শাবিপ্রবি উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘গত বছর ৫ এপ্রিল থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্লাস শেষ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো বিভাগের হয়তো টিউটোরিয়াল বা মৌখিক পরীক্ষা বাকি ছিল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব পরীক্ষাও বন্ধ করতে হয়েছে। এ সময় আমরা মৌখিক পরীক্ষাও নিতে পারিনি। কেউ কেউ পরীক্ষা শেষ করে শুধু রেজাল্টের অপেক্ষায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কান্নাকাটি করছে। তাদের অনেকের পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সংসারের হাল ধরতে হবে।’ আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও জানা যায় উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল। কিন্তু টিকার কিছুটা সংকট রয়েছে। টিকা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে এটি নিশ্চিত করে বলা যায়। টিকা দেওয়ার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের হলে এনেও রাখতে পারব না।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার (আজ) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষে এরপর আবার শুরু হবে অনলাইনে ক্লাস। যত দিন সরাসরি ক্লাস নেওয়া যাবে না তত দিন অনলাইনেই চালিয়ে নিতে হবে।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কেউ কম মেধাবী কেউ বেশি। একটা স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে নিতে হবে অনলাইনে পরীক্ষা। অনলাইন পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কেউ যেন অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে এ বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

শ্বাসকষ্টে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যু

 

বেরোবি টুডে

ঈদের দিন (শুক্রবার) দুপুরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আকতারুল ইসলাম মারা গেছেন। তিনি নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা তৌফিকুল ইসলাম।

তার বাবা বলেন, গতকাল তরমুজ খেয়ে হঠাৎ পেটের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার দেখিয়ে তিনি ওষুধ খেয়ে একটু সুস্থ হন। এরপর শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে আবার অসুস্থ বোধ করেন। হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতেই নিজ বাড়িতে মারা যান।

জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামে। দুইটি ছোট সন্তান (একটি ছেলে একটি মেয়ে) রয়েছে। এছাড়াও তিনি অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শুক্রবার বাদ মাগরিব পীরগঞ্জ ভেলাতৈড় জামতলী স্কুল মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয় গোরস্থান যোদ্দপীরে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।

এদিকে আকতারুল ইসলামের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রথম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের অকাল মৃত্যু হলো। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীরভাবে ব্যথিত। এসময় তিনি শোক সন্তত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন ।

তার হঠাৎ মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

‘ইসলামিক আইকন’ প্রতিযোগিতায় বুয়েটিয়ানদের চমকপ্রদ সাফল্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ প্রকৌশল বিদ্যার পাশাপাশি ইসলামিক জ্ঞানার্জনেও পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এবছর রমাদান মাসব্যাপী জিটিভিতে আয়োজিত ব্যতিক্রধর্মী ইসলামিক রিয়েলিটি শো ‘বিএম এলপি গ্যাস ইসলামিক আইকন ২০২১’ সিজন ওয়ানে তুমুল প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার পেয়েছেন চারজন।

চারজনের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, একজন ঢাকার গেন্ডারিয়ার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদের শিক্ষার্থী ও বাকি দুইজন বুয়েটের শিক্ষার্থী।

প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছেন, বুয়েটের এমএমই ডিপার্টমেন্টের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহান উদ্দিন, তিনি পবিত্র কুরআন এর হাফেজ।

দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান।

অবশ্য মেহেদী নতুন নয়, এর আগে ২০১৯ সালে ইসলামি জ্ঞানের মেগা রিয়েলিটি শো ‘আলোকিত জ্ঞানী’তে চ্যাম্পিয়ন হন।

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া বিজয়ীরা পেয়েছেন যথাক্রমে তিন, দুই ও এক লক্ষ টাকা নগদ অর্থ, পবিত্র উমরাহর টিকেট ও বিদেশে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ। চতুর্থজন পেয়েছেন উমরাহর টিকেট, ট্যাব ও বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন মাওলানা কামালুদ্দীন আবদুল্লাহ জাফরী, প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, শায়খ আহমাদুল্লাহ, প্রফেসর মোখতার আহমদসহ দেশবরেন্য স্কলারগণ।

এদিকে ফারহান উদ্দিন ও মেহেদি হাসানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। ইঞ্জিনিয়ার হয়েও যে ইসলামি জ্ঞান অর্জনে এগিয়ে থাকা যায় তা প্রমাণ করলেন এই দুইজন।

বেরোবি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে নীতিগত সুপারিশ

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ বেগম রোকিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে নীতিগত সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৩০তম সভায় এ সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন সাপেক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সব সেশনের পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া যাবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ১০টায় সশরীরে এবং জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ইউজিসির নির্দেশনা অনুসারে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যপারে নীতিগত সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভার অনুমোদন সাপেক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সব সেশনের পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া যাবে।

সভায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. নাজমুল হক, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. আতিউর রহমান, রেজিস্ট্রার কর্ণেল আবু হেনা মুস্তাফা কামালসহ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় প্রধানরা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা অংশ নেন।