শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্য বিবাহের শিকার শিক্ষার্থীরা!

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ প্রায় এক বছরেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একদিকে ছাত্রীরা দেদারছে বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে, অপরদিকে শিক্ষার্থীরা তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

পাশাপাশি শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান না থাকায় তাদেরও বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে অনলাইন ক্লাসে। এ অবস্থায় অনলাইন ক্লাসে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকসহ সচেতনমহল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, এ উপজেলায় শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকার কথা। সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় অপরিকল্পিতভাবে ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫২টি মাদ্রাসা ও ১১টি কলেজ গড়ে উঠেছে।

ফলে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সঙ্কট রয়েছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ২৮৮ জন, মাদ্রাসায় ৭ হাজার ৫৮৭ জন ও কলেজে ৪ হাজার ৭৪৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

অনেক গরীব পরিবারের মেয়েরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্রীরা সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হবার পর বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে। আবার অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে সংসারের প্রয়োজনে অনেক শিক্ষার্থী শিশু শ্রমের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

শিক্ষকদের ইউনিফরম ও বেতন ফ্রির ঘোষণার পরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে মাদ্রাসাগুলোতে চরম শিক্ষার্থী সঙ্কট রয়েছে।

উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের মুনছুর রহমান জানান, তার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় তার ছেলে বিপথগামী হয়ে যাচ্ছিলো। এখন তার ছেলে মৎস্য ঘেরে শ্রম দিচ্ছে। সে এখন প্রতিদিন দু’শ টাকা আয় করে থাকে।

কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, আমার স্কুলের অনেক ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে।

দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে অ্যাসাইনমেন্ট জমা হচ্ছে না। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় স্কুলসহ শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের কোন যোগাযোগ নেই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা কঠিন হয়ে পড়বে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ এক বছরের অধিক সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সপ্তাহে অন্তত একদিন শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে অভ্যস্ত হবে। এছাড়া, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতার ঘাটতি পূরণে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরত আনতে হবে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে’

দ্যা ক্যাম্পাস টুডেঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেছেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত আসুক। একই সঙ্গে এটি করতে গিয়ে যেন করোনা পরিস্থিতি আরও নাজুক না হয় তাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে ক্লাসে ফেরত আনতে হবে শিক্ষার্থীদের। আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।উপাচার্য আরও বলেন, করোনার টিকা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এনে আমরা যেন সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারি।

এখন আমাদের একটি কৌশল বের করতে হবে যে, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই কীভাবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। অনলাইন এডুকেশন চালু রাখতে চাইলে সরকারের নানা উদ্যোগ বাস্ত বায়নের পাশাপাশি ইন্টারনেট সরবরাহে ঘাটতির বিষয়টি সমাধান করতে হবে।

ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে সরাসরি পরীক্ষা নেওয়া হোক। আর সব শিক্ষার্থীর যদি টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব না হয় তাহলে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা রয়েছে তাদের অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন করা ‘প্রক্টরড রিমোর্ট এক্সামিনেশন সিস্টেম’-এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অফলাইনেও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। করোনার এ পরিস্থিতিতে এই সিস্টেম ট্রায়াল হিসেবে দেখার সময় এসেছে।

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত যবিপ্রবির শিক্ষার্থী

 

যবিপ্রবি টুডে


সড়ক দুর্ঘটনায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের রোকাসানা জামান ঐশী নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন ।

জানা যায়,সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ক্যাম্পাসের প্রধান গেটের সামনে বেলা দুইটার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলাথেকে শহরের দিকে আগত একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা এক নারীও।

এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায় , ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের স্যামনের সড়ক পার হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলেন।তখন একপাশে যশোর-চৌগাছা রুটের এটি বাস যাত্রী তুলছিলো ও শহর থেকে চৌগাছার দিকে একটি এম্বুলেন্স যাচ্ছিলো। এ সময় বিপরীত দিক থেকে যশোর শহরমুখী মোটারসাইকেলের চালক এম্বুলেন্স ও বাসকে সামলে ঘুরে বের হতে গিয়ে ব্রেকফেল করেন এবং গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান ও ঐশীর মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি ধাক্কায় দাঁতসহ মুখে প্রচন্ড আঘাত পান।চালকসহ মোটরসাইকেলে থাকা নারী পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে যান।

দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই উপস্থিত ঐশীর সহপাঠীরা ও গেটের সামনে থাকা দোকানদারেরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান।

মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেন এবং তাদেরকে যশোর সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে তাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঐশী দাঁতে গুরুতর ব্যথা পেয়েছেন এবং চৌগাছার মেয়েটি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদেরকে যশোর শহরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি সুচিকিৎসার জন্য।”

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে কয়েকবার এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে এই রকমই একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে নামে। পরের দিনে যশোর শহরস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে বিশাল মানববন্ধন এবং ক্যাম্পাসের সম্মুখের যশোর-চৌগাছা সড়কে গতিরোধক নির্মাণ,
কংক্রিটের ফুটপাত নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের চাপে পড়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে ক্যাম্পাসের
সম্মুখে গতিরোধক নির্মাণ করে দেয়।

কিন্তু কয়েকমাস পরে করোনাকালিন সময়ে সড়ক পুনর্নির্মাণের সময়ে সেই গতিরোধক তুলে ফেলা হয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি অতিসত্বর ক্যাম্পাসের সম্মুখে
গতিরোধক নির্মাণ সহ ফুটপাত এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

বেরোবি’র পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো একটি নতুন বাস

 

বেরোবি প্রতিনিধি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন আরো একটি বাস এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিএনসিসিও।বাসের শুভ উদ্বোধনের সময় দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম কাম খতিব রকিব উদ্দীন আহম্মেদ।

 

উদ্বোধনে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সুবিধার জন্য নতুন এই বাসটির উদ্বোধন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেই শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য উন্নতমানের আরো দুইটি বাসসহ মোট ৫টি যানবাহন ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যা অচিরেই যুক্ত হয়ে বেরোবির পরিবহন পুলকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন ।

এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্ণেল আবু হেনা মুস্তাফা কামাল, এএফডব্লিউসি, পিএসসি (অব:), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রহমতুল্লাহ্, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তফা কাইয়ুম শারাফাত, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রাম প্রসাদ বর্মণ, শাম্মী ইসলাম, ইয়াসমিন সুলতানা, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ শামীম হোসেন, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের প্রভাষক ফাহিমুল কাদের সিদ্দিকী, শরীফা আক্তার নিপা, জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ত্বহা হুসাইন, লুবনা আক্তার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক খালিদ হাসান রিয়েল, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আবুল মুঞ্জের, ইফফাত আরা বাঁধন, পরিবহন পুলের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ আতিকুর রহমান, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আরিফুল ইসলাম, বেতন, বিল ও পেনশন শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ ফরহাদ-উজ-জামান, উপাচার্য দপ্তরের সেকশন অফিসার সাকিনা আক্তার সীমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অটোমোবাইল) মোঃ সরফরাজ আলম, সহকারী নিরাপত্তা কর্মকতা মোঃ আবুল কালাম আজাদসহ পরিবহন পুলের চালকবৃন্দসহ ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত , বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও যোগদানের পর ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৪টি অত্যাধুনিক বাস, ৩টি মাইক্রোবাস ও শিক্ষক-কর্মকর্তার জন্য ২টি কোস্টারসহ মোট ৯টি যানবাহন যুক্ত হয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রে পৌনে তিন লাখ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

করোনা মহামারী কারণে বিশ্বজুড়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিশ্বের ৫২ দেশে অনলাইনে স্কুল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তবে এ মহামারীতে আক্রান্ত হতে বাদ যায়নি স্কুল শিক্ষার্থীরাও। মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ৭৭ হাজারের বেশি স্কুল শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মারা গেছে ৫১ জন। খবর এএফপির।

এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটার্স ডট ইনফো জানিয়েছে, সারাবিশে বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ১৩৯ জন। মারা গেছেন ১০ লাখ ১৬ হাজার ৮০ জন। সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৫৩ লাখ ২ হাজার ৮৬০ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ জন। যাদের মধ্যে ৬৬ হাজার ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৮৭ হাজার ৮৬১ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আর মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৮৫১ জন।

ভারতে আরও ১১৭৯ মৃত্যু ॥ করোনা মহামারীতে এশিয়ায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাষ্ট্র ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ১৭৯ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৭ হাজার ৪৯৭ জন। নতুন করে আরও ৮০ হাজার ৪৭২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এদিকে করোনা ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণ করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। তাদের প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩ ডলার (প্রায় ২৫০ টাকা)। দরিদ্র দেশের সাধারণ মানুষ যাতে সহজে ভ্যাকসিন পেতে পারে, সেজন্য অল্প মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রে পৌনে ৩ লাখ শিক্ষার্থী আক্রান্ত ॥ গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। এরপর পেরিয়ে গেছে নয় মাস। সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ করে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনলাইনে চলে ক্লাস। এখন সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ায় কোন কোন দেশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে দিচ্ছে। তবে সিডিসি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫ স্কুল শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মোট আক্রান্তের চার শতাংশ হলো স্কুল শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের তুলনায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীরা দ্বিগুণ হারে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ জনকে। শতাংশের হিসাবে এক দশমিক দুই শতাংশ। তাদের মধ্যে ৪০৪ জন ভর্তি হয়েছিল আইসিইউতে। শতাংশের হিসাবে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া করোনায় ৫১ স্কুলশিক্ষার্থী মারা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাকারিয়া বিন হক নামে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

প্রক্টর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়ার আত্মহত্যার খবর শুনেছি। সে বিজয় একাত্তর হল ডিবেটিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিল। আমরা জাকারিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, গত দুইদিনে আমরা আমাদের দুইজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শিক্ষার্থীরা কেন এ ধরনের পথ বেছে নিচ্ছে সেটি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন এমন পদক্ষেপ না নেয় আমরা তাদের সেই আহবান জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা জাতির জন্য অশনি সংকেত

মুহম্মদ সজীব প্রধান


যেকোনো দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের এগিয়ে চলায় শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

বস্তুত, শিক্ষার্থীরাই আজ ও আগামির বাংলাদেশ এবং দেশের কর্ণধার। দেশের এ গুরুত্বপূর্ণ অংশ যদি হতাশাগ্রস্ত হয়ে ভুল পথে পা বাড়ায় তাহলে সমগ্র জাতির এগিয়ে চলা নিয়ে সৃষ্টি হবে সংশয়।

বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন ভুল ও ব্যর্থতায় জর্জরিত আর এর পরিমান যখন মাত্রাতিরিক্ত হয় তখন অনেক শিক্ষার্থী নিজের জীবন জলাঞ্জলি দিতেও দ্বিধা করেন না।

বিভিন্ন গবেষকের প্রাপ্ত উপাত্ত মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যার শিকার যাদের অধিকাংশই উড্ডীয়মান তরুণ তরুণী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৭ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরী এক বা একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

কিন্তু মানুষ কেন এতোটা নির্দয় হয়ে নির্দিধায় নিজেকে মৃত্যুর কাছে সপে দেন? এর কারণ অনেক তন্মেধ্যে প্রধান কারণ হলো বিষণ্ণতা যা একটি ভয়াবহ মানসিক ব্যাধি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৫ জনের ১ জন মানুষ কোনো না কোনো ধরনের বিষণ্ণতা বা এনজাইটিতে ভুগছেন। বিষণ্ণতার সবচেয়ে ভয়াবহ দিকটি হচ্ছে আক্রান্ত রোগীরা নীরবে-নিভৃতে আত্মহত্যা করে বসেন।

বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায় শতকরা ৭০ ভাগ আত্মহত্যার কারণই বিষণ্ণতা। বিশ্বের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন। বাংলাদেশের শতকরা ১৮ থেকে ২০ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো প্রকারের বিষণ্ণতায় ভুগছেন।

বিষণ্ণতার পরে তরুণ তরুণীদের আত্মহত্যার অন্যতম কারণ প্রেমে ব্যর্থতা। যদিও প্রেম ভালবাসা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালবাসার এ বন্ধনে ফাটল দেখা দেয় তখন প্রিয়জনের শূণ্যতা মেনে নিতে না পেরে অনেকেই আত্মহত্যার পথকে বেছে নেন আর এমন উদাহরণ অহরহ।

এছাড়াও আমরা দেখতে পাই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর আত্মহত্যার হিরিক পড়ে আর এ কাতারে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী থেকে বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষার্থী সবাই অন্তর্ভুক্ত।

অন্যদিকে, গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে মোট আত্মহত্যাকারীদের দুই-তৃতীয়াংশই মেয়ে। এর উল্লেখযোগ্য কারণ হলো: নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, ধর্ষণ ইত্যাদি। সমাজে একজন মেয়ে যখন প্রতিনিয়ত ইভটিজিং ও হুমকির স্বীকার হন তখন সে মানসিক অস্থিরতা ও অসুস্থ্যতায় কাতরাতে থাকে।

তাছাড়া, বর্তমানে ধর্ষণ সামাজিক ক্যান্সারে রূপ ধারণ করেছে যার কারণে মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতাও কয়েকগুণ বেড়েছে। অধিকাংশ ধর্ষিত মেয়ে সমাজ থেকে নিজের নাম চিরতরে মুছে দিয়ে নিজেকে কলঙ্ক মুক্ত করার পন্থা হিসেবে আত্মহত্যার কথা ভাবেন। তাছাড়া তীব্র মাদকাসক্তি, অপরাধ বোধ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অশিক্ষা, দারিদ্র্য, অভাব অনটন, মা-বাবার ওপর অভিমান ইত্যাদি আত্মহত্যার বড় ধরণের কারণ।

সত্যিকার অর্থে, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয় বরং বহু সমস্যার সূত্রপাত ঘটায় আর শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা মানে সমগ্র জাতিকে গলা টিপে হত্যা করা কেননা শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ ও জাতি। অন্যদিকে, যে পরিবারের একজন সদস্য আত্মহত্যার মতো কলুষিত পথে পা বাড়ান সে পরিবারকে আজীবন অবর্ণনীয় যন্ত্রণা পোহাতে হয়। শুধু তাই নয় সমাজের হতাশাগ্রস্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্তরাও আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে অনুপ্রাণিত হয়।

একটি আত্মহত্যা পুরো সমাজে এর বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেয় অর্থাৎ আত্মহত্যা সমাজ হত্যার নামান্তর। পবিত্র ইসলাম ধর্মে আত্মহত্যার ভয়াবহ শাস্তির ব্যাপারে হুশিয়ারি রয়েছে। ইসলাম ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মেও আত্মহত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তাই আত্মহত্যাকে সমাজ থেকে দূর করা অপরিহার্য আর এজন্য প্রথমেই সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রতিটি সমাজ হতে হবে সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র যেখানে সর্ব স্তরের মানুষ চিত্তবিনোদনের সুযোগ পাবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে, প্রয়োজনে মানসিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিবারে প্রত্যেক সদস্যের প্রতি প্রত্যেক সদস্যের শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নজরদারি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পিতা মাতাকে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ সন্তানের মতিগতি বুঝার চেষ্টা করতে হবে, তাদের ওপর কোনো কাজ জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সন্তানের ব্যর্থতায় তাকে বকাঝকা না করে সাহস ও উৎসাহ জোগাতে হবে।

নারী ও মেয়ে শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলার প্রবণতা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বস্তুত, সরকারের তৎপরতা ও সামাজিক সচেতনতার সমন্বয় হলেই সৃষ্টি হবে একটি আদর্শ সমাজ যেখানে থাকবেনা আত্মহত্যার মতো সামাজিক অভিশাপ।

পরিশেষে, যারা হতাশাগ্রস্ত বিষণ্ণতায় বিভোর তাদের জন্য বিশ্বকবির কবিতার দুটি পঙক্তি, “মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে,
হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।”

লেখক: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর, আটক ১

ওয়াশিম আকরাম
যবিপ্রবি প্রতিনিধি


টিউশনি যাওয়ার পথে কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম শরীফ উদ্দিন। তিনি পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভুগী শরীফ উদ্দিন হাজারাখানা, চৌগাছার বাসিন্দা মনসুর আলীর ছেলে।

ইতিমধ্যে শওকত খাঁ নামে একজন কে আটক করছে পুলিশ। শওকাত চৌগাছার টেঙ্গরপুর গ্রামের মৃত ঈশা খাঁর ছেলে।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার শরীফ শওকত খাঁ কে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করে।

মামলা সূত্র জানা যায় , গত ২৯ জুন সোমবার শরীফ টিউশনের জন্য চৌগাছায় সাইকেলে যাচ্ছিল। পথে দামোদার বটতলা নামক স্থানে শরিফের সাইকেলের সামনে শওকত খাঁর সাইকেল আসলে দুইজনই থেমে যায়। এই নিয়ে শওকত খাঁর সাথে শরীফের কথা কাটাকাটি হয়।

পরে শরীফ সেখান থেকে চলে গেলে পরের দিন মঙ্গলবার টিউশনির জন্য চৌগাছায় যাওয়ার সময় হাজারাখানা পৌঁছালে শওকত খাঁ, তার ছেলে আর ভাইপো মিলে তাদের বাড়ির সমানে নিয়ে বাশেঁর লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

এরপরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। এরপর শরীফের বাবা মনসুর আলী এবং শরীফের ভাই শওকতের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং মারার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ জানায়, বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।

জন্মদিনে হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভালোবাসায় সিক্ত ইবি ভিসি

ইমানুল সোহান, ইবি প্রতিনিধি: ড. রাশিদ আসকারী। নামটি ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর কাছে প্রিয়ময়। একইসাথে সহকর্মীদেরও। নানান সমস্যার যখন জর্জরিত ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

ঠিক তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন ড. হারুন-উর- রশিদ আসকারী। এসেই দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিকায়ন ও সেশনজটমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি।

সেই প্রত্যাশার কথাগুলো আজ বাস্তবায়িত। দায়িত্বের তিন বছরের মধ্যে সেশনজটমুক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে। এছাড়াও ক্যাম্পাসকে সাজিয়েছেন নতুনরূপে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশামতো প্রতিবছর করেছেন বৈশাখী মেলা, বই মেলা, বিজ্ঞানমেলা সহ আন্তঃবিভাগ খেলা কিংবা বিতর্ক। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের গুনগত শিক্ষাগ্রহণে অডিটোরিয়ামে করেছেন সভা- সেমিনার।

তাইতো তিন বছরের ব্যবধানে হাজারো শিক্ষার্থীর মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন ড. রাশিদ আসকারী। আজ ০১ জুন, ভিসি ও শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক ড. রাশিদ আসকারীর জন্মদিন

তাইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভার্চুয়াল ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন ভিসি। কেউ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন আধুনিক ইবির স্বপ্নদ্রষ্টা, অনুপ্রেরণার বাতিঘরসহ নানান কথা। সবশেষে সবাই জন্মদিনে ভিসিকে জানিয়েছেন শুভ জন্মদিন স্যার। শুভ হোক আপনার আগামীর দিনগুলো।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জানতে চাইলে ইবি উপাচার্য বলেন, আমার প্রতি তাদের ভালবাসা দেখে সত্যি অভিভূত হয়েছি। শিক্ষার্থীরাই শিক্ষকের প্রাণ। তাদের সবার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল। তারা নিজ গুণে গুণান্বিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আশা করছি।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা

বেরোবি প্রতিনিধিঃ ঈদের দিন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বেরোবি) কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন।

জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর নাম আলাভী। ঈদের দিন সে পাবনায় তার নানার বাড়িতে আত্মহত্যা করে। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে। আলাভী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিল। তবে আলাভীর আত্নহত্যার কারণ এখনও জানা যায় নি।

কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব বলেন, সকালে তার মারা যাওয়ার বিয়টি শুনেছি। যতদূর শুনেছি লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।আবার কেউ কেউ বলছে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর (চলতি) আতিউর রহমান বলেন, আমি আরিফুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। তবে আমি এখনি তার বিভাগের সাথে কথা বলে এবিষয়ে নিশ্চিত হব।