এমপি আজিমের মরদেহ উদ্ধার হয়নি: কলকাতা পুলিশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজের ৮ দিন পর কলকাতার একটি এলাকায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আনারের মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে কলকাতা পুলিশের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার যে ফ্লাটে এমপি আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে, সেখানে তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।

পুলিশের ওই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীম ব্যক্তিগত কারণে এখানে এসেছিলেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। ১৮ তারিখে বরাহনগর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন তার একজন জানাশোনা লোক গোপাল বিশ্বাস। তার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করি।

পুলিশের ধারণা, দুই দেশের দুষ্কৃতকারীরা ঘটনায় জড়িত। ওই আবাসনের ৫৬ নং রুমে তাকে হত্যার পর টুকরো করা হয়েছে এবং সেখান থেকে মরদেহের টুকরো কোথাও ‘গায়েব করে ফেলেছে’ দুষ্কৃতকারীরা। পুলিশ নিশ্চিত যে, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। #খবর সংযোগ

জাতির পিতার জন্মভূমির বিশ্ববিদ্যালয় নানান সমস্যায় জর্জরিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ জাতির পিতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষকদের পদোন্নতি, দুটি বিভাগের একীভূতকরণ ও একটি বিভাগের অনুমোদনগত সমস্যা চলছে।

আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকেরা শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অবস্থানরত শিক্ষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ১৫০ জনেরও অধিক শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে আছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেওয়া হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।

এদিকে একইদিনে ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে একীভূতকরণের বিপক্ষে মানববন্ধন করেছে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নোটিসে জানতে পেরেছি ইটিই বিভাগকে পরোক্ষভাবে ইইই বিভাগে একীভূত করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। যদি ইটিই বিভাগকে ইইই বিভাগে একীভূত করা হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।

জানা যায়, ইটিই বিভাগকে ইইই করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ইটিই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ইটিই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইটিই বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত এক সেমিস্টার এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুই সেমিস্টার পিছনে এসে ইইই বিভাগে ক্লাস করতে হবে। এই শর্তে সম্মতি জানায় ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ক্লাস-পরীক্ষা। এখন পর্যন্ত বিভাগটির অনুমোদন এবং নিজস্ব শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। একটি ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের দিয়ে বর্তমানে বিভাগটির ক্লাস চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বিভাগটির অনুমোদন না দিয়ে বিভাগটিতে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন শেষ করার অনুমতি দেয়। এরপরেই আন্দোলনে নামে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হলে তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। মুঠোফোনে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা জানান, তারা দাবি আদায়ের বিষয়ে অনড়। ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এসকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে একটি স্বপ্ন, বাঁচাতে প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মাসুদ রানা সুমন লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ারে দাড়িয়ে যুদ্ধ করে চলেছে।

সুমনের বাড়ি রাজশাহী। গত এক মাসে আগে হঠাৎ লিভারজনিত রোগের জন্য অসুস্থতা দেখা দিলে প্রথমে তার নিজ জেলা রাজশাহী ও পরে ঢাকার কয়েকটা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েও অবস্থার উন্নত হয়নি সুমনের। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন জন্য প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। যা এই নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি ডাক্তার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পরামর্শ দেন।

মাসুদ রানা সুমনের বোন জানান, আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের পক্ষে এত টাকা বহন করা সম্ভব না। আত্মীয়স্বজন যারা আছে তারা অনেকেই সাহায্য করছে। এরপরও আমাদের অনেক টাকা প্রয়োজন।

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র উপদেষ্টা ড.শারাফাত আলী বলেন, বিষয়টা নিয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারের সাথে এবং ঐ শিক্ষার্থীর বোনের সাথে কথা হয়েছে। আমরা ঐ শিক্ষার্থী থেকে এ বিষয়ে দরখাস্ত পেয়েছি। পরবর্তীতে আমারা এসিসট্যান্ট কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা করে ভিসি স্যারের সাথে কথা বলে পদক্ষেপ নিবো।

সুমনকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা

বিকাশ,রকেট-০১৭০৪৭৩০৬৬৫(সুমনের পরিবার)
নগদ-০১৭২৭২৫৮৪১১(সুমনের পরিবার)