বিনাসুদে কুয়েটের ১৫০ শিক্ষার্থী পেলেন স্মার্টফোন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) স্নাতক কোর্সে অধ্যয়নরত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বিনাসুদে ঋণ এবং বিনামূল্যে ইন্টারনেট ডাটাপ্যাক দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে ১০৫ শিক্ষার্থী প্রত্যেককে ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন জানান, “শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৭০তম সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ১০৫ জনের ব্যাংক হিসাবে টাকা পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল ৪৫০ শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে (জিপি-১৫ জিবি) ইন্টারনেট ডাটাপ্যাক দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে অনলাইন ক্লাস করতে পারবেন।”

স্মার্টফোন কেনার জন্য ৩ হাজার ৭৫০ জনের তালিকা ইউজিসি’র নিকট দিলো চবি

নুর নওশাদ, চবি প্রতিনিধি

সহজ শর্তে ডিভাইস কেনার জন্য শিক্ষাঋণ দিতে ৩ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের(ইউজিসি) নিকট প্রেরণ করেছে চবি কর্তৃপক্ষ ।

করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা ক্ষতি পুষিতে নিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইন ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি)।এক্ষেত্রে ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করে তা ইউজিসির নিকট জমা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।এরই প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা ইউজিসির নিকট জমা দেয়।

করোনাকালীন শিক্ষা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে চবি কতৃপক্ষ।তাই গত ২৭ আগস্ট অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় চবি কর্তৃপক্ষ ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার।প্রথমে ৪হাজার শিক্ষার্থীর তালিকা ইউজিসি’তে জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাশাসন।পরবর্তীতে মোট শিক্ষার্থীর ১৫ শতাংশের একটি তালিকা প্রেরণের জন্য ইউজিসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়।এজন্য যাচাই বাছাই শেষে পুনরায় ৩হাজার ৭৫০জন শিক্ষার্থীর তালিকা ইউজিস’র নিকট প্রেরণ করেছে চবি কর্তৃপক্ষ ।

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ১০হাজার টাকা করে ঋণ দিবে বলে জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি)।সহজ শর্তে শিক্ষার্থীরা এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বরে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির এক সভায় সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে পাঠাদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সব বিভাগে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়।

স্মার্টফোন ক্রয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। তবে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারছেন না।

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাদেরকে স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শিক্ষাঋণের এই অর্থ দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে সহজ শর্তের এই ঋণের টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করলে আটকে দেয়া হবে ওই শিক্ষার্থীর সনদপত্র।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। সম্মতি পেলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সবকিছুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। তারা তালিকা পাঠিয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে চিঠি দেয়া হবে। যেগুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি।

জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার অর্থ বা সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে ইউজিসি। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্টফোন কিনে দিতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষাঋণ অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। এই ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে না।

সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তাদেরকে মাসিক ৫শ টাকা করে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে।

স্মার্টফোন কিনতে চলতি মাসেই শিক্ষাঋণ পাবেন শিক্ষার্থীরা !

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ডিভাইস না থাকায় অসচ্ছল অনেক শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল ক্লাসে যুক্ত হতে পারছেন না।আর অনলাইন ক্লাসে সকল শিক্ষার্থীদের শতভাগ অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত করতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের চলতি মাসে ১০ হাজার টাকা শিক্ষাঋণ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে জানা গেছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে ইউজিসি। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকা লাগবে। যা নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।

তবে সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হতে পারে।

সূত্র মতে, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত লোন পরিশোধের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা করে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্মতি পেলে আশা করছি, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করতে পারব। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।’

আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা পাঠিয়েছে। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই আমরা সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, আমরা যে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করে দেব, তা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ থাকাকালীন লোন পরিশোধের সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীরা লোন পরিশোধ না করলে সার্টিফিকেট পাবেন না বলেও জানান তিনি।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্টফোন বিতরণ

মো: তারেক হাসান
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি


বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।ইতিমধ্যে বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস এর থাবাই থমকে দাঁড়িয়েছে, আমরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছি।

তখন শিক্ষা কার্যক্রমকে সচল রাখতে অনলাইনেই ক্লাস পরীক্ষা চালানোর আদেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সংস্থা ইউজিসি।

এরই ধারাবাহিকতায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও অনলাইনেই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। এবং পরবর্তীতে অনলাইন শিক্ষায় একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছিল অনেক শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন নেই। আর এই সমস্যা ঘোচাতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট অন্যন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দশটি বিভাগ রয়েছে।

প্রথম ধাপে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষার্থীর জন্য স্মার্টফোন পাঠানো হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের হাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা স্মার্টফোন গুলো তুলে দেন।

এ ধরনের উদ্যোগের জন্য বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান খান এবং সেক্রেটারী জেনারেল এ. কে. এম কামরুজ্জামান খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

পরবর্তীতে অন্য ডিপার্টমেন্টের সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝেও স্মার্টফোন দেয়া হবে বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের এমন ধরণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এবং আমরা মনেকরি এই ধরণের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দের এগিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করবে।