UGC’র BdREN Platform-এ Zoom আপে অনলাইন ক্লাসের নিয়মাবলী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক

১. ইউজিসি’র উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন তথ্য যোগাযোগের প্লাটফর্ম BdREN (Bangladesh Research and Education Network) এর আওতাধীন সমস্ত বিশ্বাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা Zoom App ব্যবহার করে ফ্রি অনলাইন ক্লাস করতে পারবে।

২. সকল টেলিটক সিম থেকে উক্ত সুবিধাটি গ্রহণ করা যাবে। এজন্যে একজন শিক্ষার্থীকে ‘’নেটওয়ার্ক এ যুক্ত হবার জন্যে’’ ন্যূনতম ডাটা ব্যালেন্স থাকতে হবে। তবে BdREN প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে Zoom App এ যুক্ত হবার পর আর কোন ডাটা চার্জ করা হবে না।

৩. ক্লাসের পাশাপাশি যদি কোনো শিক্ষার্থী ঐ ডিভাইস থেকেই অন্য কোন সাইট/এপ ব্রাউজিং করে অথবা মোবাইল ইন্টারনেট হটস্পট চালু করে অন্য কোনো ডিভাইস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় তাহলে এই ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য যে ডাটা ব্যবহৃত হবে সে পরিমাণ ডাটার জন্যে চার্জ করা হবে।

৪. ফ্রি অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পেতে হলে প্রত্যেক ছাত্রকে তার সিমে প্রতি মাসে ১০০ টাকা রিচার্জ করতে হবে, যা তার মূল একাউন্ট ব্যালেন্সে যোগ হবে। প্রতি মাসে ১০০ টাকার নিচে রিচার্জ করলে ফ্রি অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাবে না।

৫. শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে প্রথম মাসে এই ১০০ টাকা রিচার্জ করার বাধ্যবাধকতা নেই। দ্বিতীয় মাস থেকে অবশ্যই প্রতি মাসে ১০০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। রিচার্জকৃত এই টাকা ভয়েস , ডাটা ও টেলিটকের যে কোনো সার্ভিস ক্রয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে। অব্যবহৃত ব্যালেন্স পরবর্তী রিচার্জের সাথে যোগ হবে।

৬. সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়েরর সম্মানিত শিক্ষকগন BdREN এর ফ্রি Zoom ক্লাসের লিংক শিক্ষার্থীদের প্রদান করবেন।

৭. শিক্ষার্থীরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টেলিটক এর বিদ্যমান বিশেষ সাশ্রয়ী ডাটা প্যাক হতে সুবিধামত ডাটা প্যাক ব্যবহার করতে পারবে।

ইউজিসির তদন্ত কমিটি বে-আইনি, খর্ব হয়েছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা: রাবি উপাচার্য

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর গণশুনানি করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।

ত্রি-পক্ষীয় গণশুনানি আহ্বানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ ইউজিসির তদন্ত কমিটি ও গণশুনানির পুরো প্রক্রিয়া ৭৩’র অধ্যাদেশ পরিপন্থী বলে অভিযোগ করছেন। তারা দাবি করছেন- তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করাটাই যুক্তিযুক্ত।

এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্লাটফরম ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমানও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তদন্ত টিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

ইউজিসির গণশুনানিকে স্বাগত জানিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারী শিক্ষকদের গ্রুপটি । বিবাদী এই পক্ষের প্রায় সব শিক্ষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মু. মিজানউদ্দিন প্রশাসনের ঘোর অনুসারী। তবে তারা ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আন্দোলন ও অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গণশুনানি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই শুনানির মাত্র এক সপ্তাহ আগে এবার ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি লিখেছেন খোদ উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। সেই চিঠিতে শুরু থেকেই তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়া, কমিটির সদস্য নির্বাচন থেকে তদন্ত কার্যক্রমের ত্রুটি ও আইন পরিপন্থী বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তিনি।

কমিটির প্রধানের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও গণমাধ্যমে শিষ্টাচার বর্হিভূত বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালে উপাচার্যকে হেনস্থা করার অভিযোগও তুলেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্তে পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃত্ববিহীন তদন্ত কমিটির সকল কর্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ জানান অধ্যাপক আব্দুস সোবহন।

গত বৃহস্পতিবার ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর রাবি উপাচার্যের ইস্যু করা ওই চিঠিতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ১৯৭৩ সালের অর্ডার এবং ১৯৯৮ সালের আইন (সংশোধিত) অনুযায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের কোন ক্ষমতা ইউজিসিকে দেওয়া হয় নাই। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে আপনার নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই কমিটিতে ইউজিসি’র একজন সিনিয়র সহকারী পরিচলক এবং উপাচার্যের সমমর্যাদা সম্পন্ন দুইজন সম্মানিত সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা আইনসিদ্ধ নয়। আইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ উপাচার্যের মর্যাদার এক ধাপ উপরে হওয়া বাঞ্চনীয়।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের বিষয়টি তুলে ধরা উপাচার্য লিখেছেন, ৭৩’র অধ্যাদেশের ১১ ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে শুধুমাত্র আচার্য দ্বারা সম্পন্ন করা আইনসিদ্ধ। অথচ আইন বর্হিভূতভাবে ইউজিসি’র একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও দুইজন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা শুধু বেআইনীই নয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকেও খর্ব করার সামিল।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১২ ধারায় ১০টি অনুচ্ছেদে উপাচার্যের ক্ষমতা ও কর্তব্য বর্ণনা করা আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক সোবহান বলেন, অ্যাক্ট-এর ৫১ এর ১ ধারা অনুযায়ী উপাচার্যের কার্যক্রমে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রতিকার চেয়ে শুধুমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য বরাবর আবেদন করতে পারেন।

এদিকে, চিঠিতে ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক দিল আফরোজার বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক সোবহান লিখেছেন, তদন্তাধীন বিষয়ে গণমাধ্যমে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের এমন বক্তব্য তদন্তের আগেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে আহ্বায়ক যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে- তদন্তের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়েছে। যা দ্বারা একজন উপাচার্যকে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপদস্থ করা হয়েছে। ফলে তদন্ত রিপোর্ট পক্ষপাতহীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।’

উপাচার্য লিখেছেন, যেকোন অভিযোগ আমলযোগ্য হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক তার তদন্ত হওয়াই বাঞ্চনীয়। আমি তাই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের হোক। এ বিষয়ে আমি শতভাগ সম্মত। তবে সেই তদন্ত কমিটি অবশ্যই যথাযথ আইনসিদ্ধভাবে গঠিত হওয়া বাঞ্চনীয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্যকে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করে অপদস্থ করা সমিচীন নয়।

একই অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় ইউজিসি কর্তৃক তদন্ত বা প্রশ্ন উত্থাপন করা আদালত অবমাননার সামিল বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক দিল আফরোজ জানান , চিঠির বিষয়ে কিছু জানা নেই। তবে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে। পক্ষপাতমূলক কোন কাজ কমিটির কোন সদস্যই করেনি। আমরা উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে আদিষ্ট হয়ে অভিযোগ তদন্ত করছি। বরং উপাচার্য মহোদয় ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বিষয়টি জটিল করে তুলেছেন।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়ার প্রত্যাশা ইউজিসির

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা ও বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়নে ২১ সদস্য বিশিষ্ট তত্ত্বাবধান কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ২০১৮-২০৩০ এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে ও বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।এসব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও স্থাপনের স্বরূপ নির্ধারণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স ও ল্যাব অ্যাক্রিডেটেড কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুলোর মান তদারকি করা হবে। তিনি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়নে গঠিত কমিটির মূল্যবান পরামর্শ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ২০১৮ বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন কমিটির সদস্য-সচিব এবং এসপিকিউএ বিভাগের উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, ১৩ বছরের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়ন করতে হলে নিবিড়ভাবে এটি তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা প্রয়োজন। এছাড়া স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান- এর আওতায় ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে জিডিপির বরাদ্দ ২ উন্নীত করা আবশ্যক। এছাড়া, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে জিডিপির বরাদ্দ ৬% করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রুযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল, ইউজিসির সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. ইউসুফ আলী মোল্লা, ইউজিসি প্রফেসর ড. ফখরুল আলম, ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা ও বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা ইউনিভার্সিটি টিচার্স টেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ২০১৮-২০৩০ এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে ও বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও স্থাপনের স্বরূপ নির্ধারণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়নে গঠিত তত্ত্বাবধান কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স ও ল্যাব অ্যাক্রিডেটেড কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুলোর মান তদারকি করা হবে। তিনি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়নে গঠিত কমিটির মূল্যবান পরামর্শ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল, ইউজিসির সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. ইউসুফ আলী মোল্লা, ইউজিসি প্রফেসর ড. ফখরুল আলম, ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসি’র এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ২০১৮ বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন কমিটির সদস্য-সচিব এবং এসপিকিউএ বিভাগের উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ১৩ বছরের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়ন করতে হলে নিবিড়ভাবে এটি তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা প্রয়োজন। এছাড়া স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন।

ইউজিসির এই সদস্য আরও বলেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান- এর আওতায় ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে জিডিপির বরাদ্দ ২ উন্নীত করা আবশ্যক। এছাড়া, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে জিডিপির বরাদ্দ ৬ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্মার্টফোন ক্রয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। তবে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারছেন না।

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাদেরকে স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শিক্ষাঋণের এই অর্থ দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে সহজ শর্তের এই ঋণের টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করলে আটকে দেয়া হবে ওই শিক্ষার্থীর সনদপত্র।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। সম্মতি পেলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সবকিছুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। তারা তালিকা পাঠিয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে চিঠি দেয়া হবে। যেগুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি।

জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার অর্থ বা সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে ইউজিসি। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্টফোন কিনে দিতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষাঋণ অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। এই ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে না।

সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তাদেরকে মাসিক ৫শ টাকা করে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে।

স্মার্টফোন কিনতে চলতি মাসেই শিক্ষাঋণ পাবেন শিক্ষার্থীরা !

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনা পরিস্থিতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ডিভাইস না থাকায় অসচ্ছল অনেক শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল ক্লাসে যুক্ত হতে পারছেন না।আর অনলাইন ক্লাসে সকল শিক্ষার্থীদের শতভাগ অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত করতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের চলতি মাসে ১০ হাজার টাকা শিক্ষাঋণ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে জানা গেছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে ইউজিসি। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকা লাগবে। যা নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।

তবে সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনে দিতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হতে পারে।

সূত্র মতে, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত লোন পরিশোধের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে মাসিক ৫০০ টাকা করে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্মতি পেলে আশা করছি, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করতে পারব। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।’

আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা পাঠিয়েছে। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই আমরা সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, আমরা যে শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করে দেব, তা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদ থাকাকালীন লোন পরিশোধের সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীরা লোন পরিশোধ না করলে সার্টিফিকেট পাবেন না বলেও জানান তিনি।

অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় বেরোবি

সাকীব খান
বেরোবি প্রতিনিধি


অনলাইন ক্লাস এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সেশনজট নামক অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে অনলাইন ক্লাসের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষাবিদ।তবে এই অনলাইন ক্লাস আদৌ আলোর মুখ দেখবে কিনা এ বিষয়ে সন্দিহান অনেকেই।

গত ২৫শে জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন(ইউজিসি) উপাচার্যদের সাথে অনলাইন সভায় অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা দেন।

এতে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানকল্পে অনলাইন ক্লাসের মতামত দেন উপাচার্চরা।এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সেদিক থেকে পিছিয়ে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে জানতে চাইলে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন আদনান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু ডিপার্টমেন্ট সেশনজট পুরোনো বিষয়। করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এটি আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।তাই এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য অনলাইন ক্লাস এখন সময়ের দাবি।

রুবেল আরও বলেন, “তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ক্লাস গুলো ফেসবুক গ্রূপ খুলে তাতে রেকর্ডের মাধ্যমে আপলোড করা ও ইউটিউবে আপলোড করার দিকে নজর দিতে হবে। কেননা দেশের অনেক প্রান্তেই নেটওয়ার্ক সমস্যা রয়েছে, আপলোড করার ফলে স্টুডেন্টরা তা পরবর্তী সময়ে দেখে নিতে পারবে।”

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সৈয়দ ফাহিম আলী বলেন, “পুরো বিশ্ব যখন মহামারী করোনার ভয়ানক থাবায় কুপোকাত, তখন এটির প্রকোপ থেকে আমরাও বেঁচে নেই। এটির ভয়াল প্রকোপ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও একটি মহাসংকটে ফেলে দিয়েছে।যার ফলশ্রুতিতে এটির প্রকোপ শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা কমাতে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেশনজট মুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত।”

ফাহিম আরও বলেন, “এই উদ্যোগটি তখনই কার্যকর হবে যখন আমরা শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ডিভাইস, সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট গ্রহণ ও ভালো একটি নেটওয়ার্ক পাবো। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার এসকল সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমাদের সকলকে সামনে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।তা নাহলে এসকল সমস্যার মধ্যেও অনলাইন ক্লাস হবে বামন হয়ে আকাশ ছোঁয়া’র মতোই হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) আতিউর রহমান দ্য ক্যাম্পাস টুডেকে বলেন, “এখনও কোন একাডেমিক মিটিং হয়নি অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’র (ইউজিসি) নির্দেশনার আগের মিটিংয়ে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।”

অনলাইন ক্লাসের জন্য পরবর্তী একাডেমিক মিটিং কবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, এ ব্যাপারে আমি বলতে পারছি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও উপাচার্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।

শিক্ষার মান: উচ্চ শিক্ষায় মানের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব আবশ্যক (পর্ব-১)

আবু জাফর আহমেদ মুকুল


বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার একটি অঙ্গীকার এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) একটি লক্ষ্য হলো-সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা। উচ্চ শিক্ষার মান নির্ধারন করতে পারে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পদ্ধতি এবং কোন দেশি বা বিদেশি সংস্থা। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকা জরুরি।

মান সম্মত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের অথনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ব্যক্তিক পর্যায়ে আয় বৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। তবে উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে গেলে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করাটাও জরুরি। তাদেরকে বাদ রেখে উচ্চ শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা কখনোই সম্ভব নয়।

আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা ও তার মান নিয়ে সবসময়ই পক্ষে ও বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা চলে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল সুন্দর একটি শিক্ষানীতির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি হবে, শিক্ষার মান বাড়বে। কিন্তু সঠিক শিক্ষানীতির অভাব ও রাজনীতির পালা বদলের মাধ্যমে বার বার নীতি পরিবর্তনের ফলে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

উচ্চ শিক্ষার নামে আমাদের দেশে প্রচলিত যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে তা আসলে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার উদ্দেশে নয়, পেশাগত কাজের উপযোগী হওয়াটাই এক্ষেত্রে মুখ্য বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন নিয়েও আমাদের ভাবনা নেই। পাসের হার বাড়ানোই এখন গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। এ কারণে ভালো শিক্ষকও তৈরি হচ্ছে না। তাই মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যে শিক্ষা দিচ্ছি সেটিকে উচ্চশিক্ষা বলা যাবে না।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাক্ষেত্রে নেতৃত্ব বড় ও প্রথম বিষয়। ভালো নেতৃত্ব থাকলে ছোট পরিসরে অনেক বড় কাজ করা সম্ভব। সত্যিই বলকে কী আমাদের নেতৃত্বের অভাব। আমরা ভালো গবেষক, ভালো শিক্ষক পাচ্ছি, তবে সবক্ষেত্রে সবাই যে ভালো নেতৃত্ব দেবে এমন নয়। আবার তারাই ভালো নেতা হতে পারেন যদি যথাযথ সমন্বয় হয়।

জবাবদিহিতার অভাব আরেকটি বিষয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এগুলোকেই আমি চ্যালেঞ্জ বলবো। যদি এগুলো কাটিয়ে ওঠা যায় তবে শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব।

উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা কোনও ভিশন বা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারিনি। ভিশন যখন নেই, তখন মিশনও থাকছে না। তাই নীতি নির্ধারণী কোনও লক্ষ্যও নেই। আমরা চাকরির মার্কেট ও বিদেশে উচ্চ শিক্ষা যাচাই করে কাউকে শিক্ষা দিই না। একই সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকদের শেখার আগ্রহ কমেছে। এটিও মানতে হবে। এসব নানাবিধ কারণে নেতৃত্বও আসেনি। যারা সত্যিকারার্থে যোগ্য তারা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। এটি ভাবার বিষয়।

ইউজিসির দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিশ্চিত করা। অসঙ্গতিগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। এই কাজে ইউজিসির যে অবকাঠামো দরকার তাতে ঘাটতি রয়েছে। মঞ্জুরি কমিশনের প্রধান জটিলতা শুরু হয় সদস্য নির্ধারণ নিয়ে। এখানে কোনও সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। আর এই কমিশনকে পারিপার্শ্বিক চাপ সামলাতে হয় অনেক বেশি।

এছাড়া আমাদের ইউজিসির লোকবলের অভাব। আবার যথাযথ লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেও চাপের সম্মুখীন হতে হয়। এই হচ্ছে সার্বিক অবস্থা। এক্ষেত্রে ইউজিসির কাজ করা খুব কঠিন।

শিক্ষার প্রতি আমাদের গণমাধ্যমের আছে উদাসীনতা। আমাদের গণমাধ্যম ব্যস্ত থাকে রাজনীতি নিয়ে, শিক্ষাক্ষেত্রের জটিলতাগুলো আড়ালেই থেকে যায়। এগুলো সামনে আসা উচিত। উচ্চশিক্ষা ও উচ্চতর শিক্ষার পার্থক্য নির্ধারণ করতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে পেশাগত দিকে সফল হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছি, যাতে করে সে কাজ করে যেতে পারে। কিন্তু ব্যক্তি বিকাশ ভিন্ন। ব্যক্তি বিকাশ কোনও যন্ত্র দিয়ে হয় না।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যার গড় করলে আমরা দুটো সমস্যা খুঁজে পাই। একটি হচ্ছে সঠিক পরিচালনা সংকট, আরেকটি হচ্ছে শিক্ষকদের মান। শিক্ষাব্যবস্থা ও মান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষায় একটি হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হয়েছে। ’৪৭-এর পর এটি আরও বেড়েছে। আলো ছড়ানো শিক্ষকদের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। উচ্চতর শিক্ষায় একজন ছাত্র নিজের জীবিকা নিয়েই ভাবছে। অন্যের জীবিকা দেওয়ার মতো প্রসারিত শিক্ষাজীবন তাকে আমরা দিতে পারছি না। উচ্চতর শিক্ষায় এই জায়গাটায় পৌঁছানোর ওপর জোর দিতে হবে।

এটিকে আমি কারিগরি শিক্ষা বলতে চাই। আমরা যে এমবিবিএস বা প্রকৌশল শিক্ষা দিচ্ছি এগুলো কারিগরি শিক্ষা। বাজার ধরার জন্য এইসব শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা পেশাগত স্থানে কাজ করে যেতে পারে। তবে এগুলো কোনওটাই উচ্চশিক্ষা নয়। কারণ উচ্চশিক্ষা হচ্ছে নির্মোহ শিক্ষা; কোনও চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে শিক্ষা দেওয়া।

সামাজিকভাবে আমরা জানি, শিক্ষা মানেই হচ্ছে অধিকার। কতটুকু অধিকার সেটি আগে আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ অধিকার, নাকি দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধিকার। কার কতটুকু অধিকার সেটি জানতে হবে। জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকারেও উচ্চশিক্ষা অধিকার হিসেবে উল্লিখিত হয়নি। এখানে সাধারণ শিক্ষাকে অধিকার হিসেবে বলা হয়েছে। সেটাও আবার দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উপর নির্ভর করবে। আমাদের সামাজিক গতিশীলতার কারণেই শিক্ষিত হচ্ছি। শিক্ষার কাজ গোটা জাতির জন্য যোগ্য লোক তৈরি করে তোলা। এখন মানুষ হিসেবে আমি দেশ ও জাতির সম্পদ। আমার পেছনে দেশ খরচ করে আর আমি বিদেশে চলে যাই।

বাংলাদেশে প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ৯-১০ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সবাইকে উচ্চশিক্ষা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই, কিন্তু আবার উচ্চশিক্ষাকে অস্বীকার করার উপায়ও আমাদের নেই।

অনেক সময় মনে হয়, যারা বের হয়েছে তাদের সবার উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আমরা সামাজিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করি, তাহলে আমাদের সবাইকে নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ এখন ডিজিটালাইজেশনের যুগ। আমরা যদি মনে করি, পঞ্চম শ্রেণি পাস করে কেউ এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে সক্ষম হবে তা কিন্তু নয়। যদি আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই, উচ্চশিক্ষার পথ ধরে হাঁটতেই হবে।

উচ্চ মাধ্যমিকে ১০ লাখ পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে যে এক লাখ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে তারাই বা কী পাচ্ছে? আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পুরোটাই তো মুখস্ত-নির্ভর। এগুলোর দিকে মনোযোগী হতে হবে আমাদের। উচ্চশিক্ষার মান যদি উচ্চতর না হয়, তবে আমরা সমাজের জন্য বোঝা তৈরি করছি বলেই মনে হয়। উচ্চশিক্ষার মান বা কোয়ালিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আশার জায়গাগুলোতে আশান্বিত হওয়ার কোনও কারণ আমি দেখি না। কেননা সবকিছুই শুধুমাত্র কাগজে-কলমে হচ্ছে। কিন্তু আসলে আমাদের যেটি প্রয়োজন, একজন ভালো শিক্ষক, সেটি কি কাগজে-কলমে মূল্যায়ন করে তৈরি করা সম্ভব? সম্ভব না। আমরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সব স্তরেই ৯৯ শতাংশ পাস করাতে গিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছি তাতে আপনি কাকে ভালো শিক্ষক হিসেবে তৈরি করবেন?

অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই, বর্তমানে উচ্চ শিক্ষায় রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিমূলক নেতৃত্ব নির্বাচনে যে পদ্ধতি চলছে তা নিয়ে উচ্চ শিক্ষা মান উন্নয়নতো দূরের কথা, দেশে কোন স্তরে মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে ও শিক্ষা বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকার ও আমাদের সকলের কাজ করতে হবে।

তথ্যের উৎসঃ বিভিন্ন শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা সভা।

লেখকঃ শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিশ্লেষক ও ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ ।

‘ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন চাই, দিতে হবে’

শাফিউল কায়েস


একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিদিষ্ট একটি বিভাগ, ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব ও ভালোবাসা। কোন শিক্ষার্থী চান না যে, নিদিষ্ট সময় পর তাদের বিভাগের অস্তিত্ব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরদিনের জন্য বিলুপ্ত বা বন্ধ হয়ে যাক। তাছাড়া একটা সময় পর বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ বন্ধের এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।

দুঃখজনক হলেও সত্যি ‘ইতিহাস বিভাগ’ নিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই তিন বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

এদিকে ০৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ইউজিসির এক সভায় বিভাগটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিহাস বিভাগে আর কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। ইতিহাস বিভাগে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে এদিন মাঝ রাতে বিক্ষোভ করছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন তাদের বিভাগকে ইউজিসি অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

একজন শিক্ষার্থী অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে, একপ্রকার মেধার যুদ্ধে জয় লাভ করার পর একটি পছন্দের বিভাগে ভর্তি হন। একটি পরিবারে সদস্য চান তার পরিবারকে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে এবং অস্তিত্ব টিকে রাখতে। একটি পরিবারের কোন সদস্য চান না, তার পরিবার বা পরিচয় বিলুপ্ত হোক। তেমনি ‘ইতিহাস বিভাগ’ -এর শিক্ষার্থীরাও চান না, তাদের ইতিহাস পরিবার বিনাকারণে বিলুপ্ত কিংবা অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলুক।

একটা কথা না বললেই নয়, ‘ইতিহাস বিভাগ’ তুচ্ছ কোন বিভাগ নয়। একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গড়ার প্লাটফর্ম এবং পরিচয় বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের মত এই বিভাগেরও সমান গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া এই বিভাগ না থাকলে দেশের গৌরবময় ইতিহাস চর্চা ও বৈশ্বিক ইতিহাস আমাদের কাছে অজানাই রয়ে যাবে; যা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না।

আমি চাই ইউজিসি ইতিহাস বিভাগের চারশতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন প্রদান করে এবং যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাবার সুযোগ করে দেবে। এটা অনুরোধ নয়, এটা তাদের প্রাপ্য। ইউজিসির এই সিদ্ধান্তকে কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব না কিংবা মেনে নেয়া যায় না।

অবশেষে বলতে চাই, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন চাই, দিতে হবে। এটা যৌক্তিক দাবি, সময়ে দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে এটা আমারও দাবি। আমার ভাই-বোনের যৌক্তিক দাবি যেকোন মূল্যে মেনে নিয়ে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দিতে হবে।


লেখকঃ শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের নির্দেশ

আরাফাত হোসেনঃ রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের তৃতীয় দিনের মধ্যেই সান্ধ্যাকালীন কোর্সের বিষয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি। দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউজিসির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের এ নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজ বেগম বলেন, এ নির্দেশনা দিয়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ সান্ধ্যাকালীন কোর্সের সমালোচনা করে বলেছেন, বাণিজ্যিক কোর্স সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে এবং এতে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে সরকারি আর রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের তৃতীয় দিনের মধ্যেই সান্ধ্যাকালীন কোর্সের বিষয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি।