পরিবারে করোনার তাণ্ডব, উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে মহাপরিচালক

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। মহাপরিচালক নিজেই এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হতে তার নমুনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বর্তমানে করোনা ভাইরাসের উপসর্গনিয়ে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।

ইতিমধ্যেই তার পরিবারের একজন সদস্যের নমুনা পরীক্ষার ফলে পজিটিভ এসেছে বলেও জানিয়েছেন মহাপরিচালক।

কভিড ১৯: প্রভুর নিকট ফিরে আসার সতর্কবাণী

মাহমুদুল হাসান


মানব সৃষ্টির আদিকাল থেকেই নানা সময়ে এই পৃথিবীর নানা অঞ্চলে নানা সময়ে নানান রকমের মহামারী এসেছিল।আর এই ধারাবাহিকতা ততোদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে যতোদিন এই পৃথিবী নামক গ্রহটিতে থাকবে মানুষের বসবাস।

বর্তমান সময়ে পৃথিবী বাসী করোনা নামক একটি অদৃশ্য ভাইরাসের ভয়ে থমকে গেছে। গৃহবন্দী আজ কোটি কোটি মানুষ। অনাহারে মরছে ছিন্নমূল মানুষেরা। পৃথিবীর এত বড় বড় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো আজ অদৃশ্য একটি ভাইরাসের সামনে অসহায়।

একজন মানুষকে অসুস্থ করতে ৭০ বিলিয়ন ভাইরাসের প্রয়োজন। ৭০ বিলিয়ন ভাইরাসের ওজন ০.০০০০০০৫ গ্রাম।বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। তাহলে বিশ্বের সমস্ত আক্রান্তদের দেহে সমস্ত ভাইরাসের মোট ওজন ২ গ্রাম। অর্থাৎ দুই ফোঁটা পানির সমান। এর পরেও কিসের এতো অহংকার!

আমরা অনেকেই জানিনা, কেন এই মহামারী আসে। কখনো জানতেও চাইনা। ভাবি, মহামারী এসেছে আবার একসময় চলেও যাবে। মহামারী আসার প্রকৃত কারণ যদি মানবজাতি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারতো তাহলে এই পৃথিবীতে এতো অশান্তি, মারামারি, গণহত্যা, ধর্ষণ, যেনা-ব্যভিচার থাকতোনা।

বিপদ/ মহামারী কে ঘৃণা করার কোন সুযোগ নেই। এটা কারো জন্য পৌষ মাস আবার কারো জন্য সর্বনাশ। অনেক সময় মহামারী এবং বিপদের কারণেই মানুষ তার পাপের রাজ্য থেকে প্রভূর ছায়াতলে ফিরে আসে।আবার যখন মানুষ পাপের দিক থেকে সীমালঙ্ঘন করে ফেলে তখন তাকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে এই মহামারীর আবির্ভাব হয়।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মাঝে মাঝে তার বান্দাদের ভয়, মুসিবত ও বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। সুতরাং এই সময়ে ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, “আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার দ্বারা। আর তুমি ধৈর্য্য শীলদের সুসংবাদ দাও” ~ (সূরা বাকারা-১৫৫)।

হাদীস শরীফে মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “যখন কোন সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যভিচার ও অশ্লীলতা ছড়িয়ে পরে তখন সেখানে মহামারী দেখা দেয়। ~(ইবনে মাজাহ)।

মহান আল্লাহ মানুষের জন্য জীবনব্যবস্থা হিসেবে দিয়েছে আল কোরআন। কোরআনের বিধান মেনে চলা প্রত্যেক মানুষের জন্য আবশ্যক। এর ব্যত্যয় ঘটলে আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় নেমে আসে শাস্তি যার ফল অনেক নিরপরাধ মানুষকেও ভোগ করতে হয়।

তাই আসুন, মহামারীর এই সময় টাতে সারাবিশ্বের সামনে ইসলামের সুমহান আদর্শ তুলে ধরি। অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে ভালোবাসা দিয়ে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলতে পারি। বিপদের এই সময়টিতে আমরা সবাই দুঃস্থ ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াই এবং পাপের পথ থেকে প্রভুর দিকে ফিরে আসি।


লেখকঃ শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

করোনা দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের পাশে রাবি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ

ওয়াসিফ রিয়াদ, রাবি প্রতিনিধি


করোনাভাইরাস দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা।

বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেরাই জুটিয়ে নেয়। সম্প্রতি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় অধিকাংশই কর্মশূন্য ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।

সংকটে পড়া বিভাগের ওই সকল শিক্ষার্থীদেরপাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ।

এর আগে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভাগের ভিপি এম সাইফুর রহমান সাজুসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীএই উদ্যোগ নেন। পরে বিভাগের শিক্ষকদের জানানো হলে তাঁরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং বাস্তবায়নে সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯ জন জন শিক্ষার্থীকে দুই মাসের খাদ্যসামগ্রী বাবদ ৩৫৭০ টাকা দেয়া হয়। আসন্ন ঈদের আগেই আবারও তাদের সহযোগিতা করবে বিভাগ।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মঞ্জুর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি মহৎ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। করোনার এই দুর্যোগ কত দিন স্থায়ী হবে সেটাও বলা মুশকিল। আমরা বিভাগের পক্ষথেকে সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সহযেগিতার করবো সবসময়ই।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে একদিনের বেতন দিবেন কুবি কর্মচারীরা

ইকবাল মুনাওয়ার,কুবি প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস বির্পযয়ের ফলে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কর্মচারীরা তাদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সোমবার কর্মচারী সমিতির সভাপতি দিপক চন্দ্র মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসু মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কর্মচারী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়ে এসোসিয়েশনের ফেইসবুক অাইডিতে বলা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে কর্মচারী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও কর্মচারীদের সঙ্গে ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে তাঁদের মূল্যবান মত গ্রহণ করা । এই মহামারীতে মানবিক সহায়তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তা প্রদান করা যুক্তিযুক্ত বলে প্রায় সকলেই মনে করেন।

উল্লেখ্য, এই টাকা এপ্রিল মাসের প্রদেয় বেতন থেকে কর্তন করা হবে।

করোনাকাল: পুরো বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্কঃ চলছে করোনাকাল। স্থবির সারাবিশ্ব। করোনা ভাইরাসের কাছে অসহায় সারাবিশ্বের মানুষ। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮’র ক্ষমতাবলে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।-খবর বিবিসি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।

করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বলে জানানো হয়।

কেউ সন্ধ্যা ছটার পর থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত কেউ বাইরে যেতে পারবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতেও সন্ধ্যা ৬টার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

এছাড়াও, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও নির্দেশনাতে বলা হয়েছে।

আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ী ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশের অন্তত ৪৫টি জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

যবিপ্রবিতে কাল থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু

ওয়াশিম আকরাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি


যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে নমুনা পাওয়া সাপেক্ষে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনাসন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি, এটাই আমাদের সার্থকতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ ‘সেফটি অ্যান্ডসিকিউরিটি’ অনুসরণ করে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে। ইতোমধ্যে জিনোম সেন্টারের সকল যন্ত্রের ফিটনেস পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস শনাক্তের কিটের কার্যকারিতাপরীক্ষা করা হয়েছে। সবকিছু সঠিক থাকায় নমুনা পেলেই আমরা আগামীকাল শুক্রবার থেকেই করোনার পরীক্ষা শুরু করতে পারবো।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এর বেশিও নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা ও জনবলআমাদের আছে। তবে এটা নমুনা সরবরাহের উপর নির্ভর করবে।

ব্রিফিংয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুধু যশোর নয় ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইলের রোগীদের নমুনাও এখানে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আশা করছি, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে এখানে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো। তিনি বলেন, নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের পর, সিভিল সার্জনের কার্যালয় করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা পাঠাবেন।ফলে এখানে কোনো রোগীর আসার প্রয়োজন নেই।

জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, আমরা নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় (বিএসএল-২) সতর্কতা অবলম্বন করবো। এখানে করোনাসন্দেহভাজন কোনো রোগীও আসবে না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় বা এর আশপাশের বাসিন্দাদের কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।

আজকের এই ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন করোনা ভাইরাস পরীক্ষাকরণ দলের সদস্য ড. মো. নাজমুল হাসান, ড. শিরিন নিগার, ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. হাসান মোহাম্মদ আল-ইমরান, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, প্রভাস চন্দ্র রায়, রুবাইতুল আলম, সাজিদ হাসান, মেডিকেল অফিসার (সিভিল সার্জন) ডা. মো. রেহেনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামানপ্রমুখ।

করোনা ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত লকডাউন চলুক: জাতিসংঘ মহাসচিব

আন্তর্জাতিক টুডে: করোনা তাণ্ডবে কাঁপছে সারাবিশ্ব। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ লকডাউন অবস্থায় রয়েছে।

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত লকডাউন তোলা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, করোনার উত্তর না মেলা পর্যন্ত লকডাউন চলুক। একমাত্র কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনই পারে বিশ্বকে স্বাবাবিক জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করুক।

এই বছরের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের করে ফেলতে পারবেন বিজ্ঞানীরা বলেও জাতিসংঘের মহাসচিব আশাপ্রকাশ করেছেন।

গতকাল বুধবার (১৫ এপ্রিল) আফ্রিকান দেশগুলোর সাথে করোনা সংক্রান্ত এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই ভিডিও বৈঠকে আফ্রিকার প্রায় ৫০টি দেশ অংশ নেয়। আতঙ্ক রুখতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে পরামর্শ দেন গুতেরেস।

করোনা ভাইরাসে সিলেট মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন মারা গেছেন।

আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারাগেছেন।

তিনি সিলেটে কর্মরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত ৯ এপ্রিল তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিল।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ বলেন, ‘আজ সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিনি আইসিইউতে থাকা অবস্থায় মারা যান।’

উল্লেখ্য, স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মঈন ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায়ও মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

করোনাকাল: রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ খাচ্ছে মানুষ ও কুকুর

আন্তর্জাতিক টুডে


রাস্তার মাঝে গড়াগড়ি খাচ্ছে দুধ। আর সেই দুধ পান করতে এক সঙ্গে জড়ো হয়েছে মানুষ ও কুকুর। ঘটনাটি ভারতের, এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল, নাোটিজেনরা করেছেন কঠোর সমালোচনা করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, লকডাউনে জনশূন্য রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ পান করছে কয়েকটি কুকুর।

হঠাৎই তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এক ব্যক্তি। চেহারায় স্পষ্ট দারিদ্র্যের ছাপ। একটা ছোট্ট হাঁড়িতে রাস্তা থেকেই আঁচিয়ে তুলে নিতে শুরু করলেন দুধ। একটু দূরে তখনো দুধ খেয়ে চলেছে কুকুরগুলো।

ঘটনাটি আগ্রার রামবাগ চৌরাহা এলাকার। স্থানীয়রা জানান এদিন সকালে মোটরসাইকেলে বড় ক্যান বেঁধে দুধ নিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক দুধ ব্যবসায়ী। সেই সময়েই দুধের ক্যান ফেটে তা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে এমন ঘটনা।

গত সোমবার ভাইরাল হওয়া এই ছবি নেটিজেনদের নাড়া দেয়।নোটিজেনরা সমোলচনা করে বলেন,ভিডিওটি লকডাউনের সময়ে অসহায় মানুষের করুণ অবস্থার প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন অনেকে। আবার অনেকে লকডাউনের ঊর্ধ্বে ভারতের সামগ্রিক দারিদ্র্যের ছবিটি তুলে ধরছে এই ভিডিও তে এমন মত প্রকাশ করছেন অনেকে।

করোনা মোকাবেলায় কি করবেন আর কি করবেন না?: প্রফেসর ড. আবুল হোসেন

প্রফেসর ডঃ মোঃ আবুল হোসেন


করোনা ভাইরাস আক্রমণের মহাবিপর্যয়কর অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য নিম্নোল্লিখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করুন (দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও স্ববিবেচনা থেকে সংকলিত)।

করোনার বিস্তার, প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও মৃত ব্যক্তির দাফন বিষয়সহ বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন এবং-প্রচার করুন।

১। করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর বিস্তার লাভ যেভাবে হচ্ছেঃ-

(ক) ভাইরাসটি নিত্য নতুন জাত পরিবর্তনে সক্ষম বিধায় ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তাই উন্নত রাষ্ট্রও তাদের লাশের স্তূপে থমকে গেছে।

(খ) আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি (ছয় ফুটের মধ্যে থাকলে), নাকের পানি, সর্দি, থুতুর সংস্পর্শে আসলেই আক্রান্ত হতে পারেন।

(গ) ভাইরাসটি কাগজ ও টিসু পেপারে ত্রিশ মিনিট, কাপড়চোপড়ে চব্বিশ ঘণ্টা, স্টেইনলেস স্টিলের উপর চার দিন, সার্জিক্যাল মাস্কে সাত দিন, কোন কোন বস্তুর উপর দশ দিন পর্যন্ত এবং ফ্রিজের জিনিসে প্রায় দুই সপ্তাহ নির্জীবের মত থাকতে পারে এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে এসব স্থান থেকে মানব দেহে প্রবেশের পর কর্মক্ষম হয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে।

(ঘ) একারণেই আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, সর্দি, থুথুর মাধ্যমে ভাইরাসটি গণপরিবহন যথা- রিকসা, বাস, ট্রেন ইত্যাদির সুইচ, হাতল, দরজা, জানালা, টয়লেট, দেয়ালের সাথে লাগতে পারে এবং এসবের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারে।

(ঙ) একই কারণে এ ভাইরাস বাজারের মালামাল, শরীরের কাপড়চোপড়, মাছ মাংস, সবজি, ফলমূল, ইত্যাদিতে লাগতে পারে এবং এসবের স্পর্শে আসা হাতের মাধ্যমে আপনার নিকটজনও আক্রান্ত হতে পারে।

২। নিম্নরূপে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলুনঃ-

(ক) ভাইরাসটি ঘনঘন জাত পরিবর্তনে সক্ষম বিধায় প্রতিরোধী ভ্যাক্সিন/ঔষধ আবিষ্কার কঠিন হয়ে পড়েছে, একমাত্র আল্লাহ তাআলার রহমতেই এর বিস্তার রোধ হতে পারে
তাই সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে মুক্ত হয়ে যার যার ধর্ম মোতাবেক কায়মনোবাক্যে আল্লাহ/ সৃষ্টিকর্তাকে ডাকুন, মুসলিমগণ তওবা পড়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও সাহায্যের জন্য দোয়া করুন।

উন্নত দেশগুলো (যেমন ইতালি) এ ভাইরাস প্রতিরোধে সকল প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শেষে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য আশা করছে।

(খ) লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা মেনে চলুন, সরকারি-বেসরকারি প্রচারণা ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলুন ।

অযথা একাধিক ব্যক্তি একত্র হবেন না, কমপক্ষে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলুন, ফেস মাস্ক ব্যবহার বা পরিষ্কার কাপড়, শাড়ির আঁচল, ওড়না, রুমাল অথবা গামছা দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে চলুন।

অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাজার বা গণজমায়েতে যাবেন না, বয়স্ক লোকজনকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাড়িতেই রাখুন।

জরুরী দীর্ঘ যাত্রাকালে সময় সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হেক্সিসল ব্যবহার করুন।

(গ) বাইরে থেকে আবাসস্থলে অথবা বাড়ীতে পৌঁছার সাথে সাথে অন্য কোনো কিছু স্পর্শ করার পূর্বেই আপনার হাতদুটো সাবান বা লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ দ্বারা ভালো করে ধুয়ে নিন, তারপর নাক মুখের ভেতরসহ মুখমন্ডল পরিষ্কার করুন।

গায়ের পোশাক পরিবর্তন করে ধোয়ার ব্যবস্থা করুন, সম্ভব না হলে কড়া রৌদ্রে কয়েক-ঘন্টা ওলটপালট করে শুকিয়ে নিন ।

বাজার থেকে আনা কাঁচামাল যথা লাউ কুমড়া, শাক সবজি, শসা, কলা, শিম, বেগুন, মরিচ ইত্যাদি ব্যাগসহ কয়েকবার ধুয়ে হালকা রোদে বা বাতাসে শুকিয়ে নিন। নচেৎ এসব তরকারি কাটার সময় তা থেকে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন, মাছ মাংস দ্রুত ধুয়ে রাখুন।

বাজার থেকে আনা শুকনা দ্রব্যাদি পৃথক ঘরে বা পৃথক স্থানে কমপক্ষে ১০-১২ ঘন্টা রাখার পর ব্যবহার করুন ।

কমপক্ষে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খাদ্যদ্রব্য গরম করে খাবেন ।

বাসা/অফিস/গণপরিবহনের চাবি, সুইচ,হাতল, দরজা,সীট ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন এবং ১ঃ৪৯ অনুপাতে সাবান-পানি, ব্লিচিং সলিউশন বা ৭০ % ইথানল দ্বারা মাঝেমধ্যেই মুছে রাখুন।

বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন, বাথরুম ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে নিবেন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দ্বারা জীবাণুমুক্ত রাখুন ।

রোগীর কাপড় চোপড়, বালিশ বিছানার কভার ইত্যাদি ফুটন্ত পানিতে ধূয়ে নিন, অন্যদের গুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

(ঘ) শারীরিক ইমিউনিটি মজবুত করার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্ত থাকুন, উপরোল্লিখিত কাজগুলো করুন, না পারলে ব্যায়াম করুন। মনে রাখবেন পরিশ্রমই আপনার শরীরকে ভাইরাস প্রতিরোধী করতে পারে ।

ইমিউনিটির জন্য রোগীসহ সকলেই লেবুর তিন-চারটে পাতলা টুকরা ঘুটে নিয়ে উষ্ণ লেবু পানি পান করুন, পাশাপাশি সারাদিন ঘন ঘন প্রচুর হালকা উষ্ণ পানি বা নরমাল পানি পান করুন, প্রচুর ভিটামিন সি যুক্ত টক জাতীয় ফল খাবেন, সম্ভব হলে মাল্টিভিটামিন খাবেন।

করোনাভাইরাস গলায় তিন-চারদিন ইনকিউবেশনের থাকে, তারপর শ্বাসনালীতে ও ফুসফুসে যায়। তাই বাইরে থেকে বাড়িতে আসার পর পরই এবং বাড়িতে থেকেও সারাদিন কমপক্ষে ২-৩ বার উষ্ণ লবণ-পানি বা নরমাল পানি দ্বারা গড়গড়া করুন।

ইসলাম ধর্ম মোতাবেক মাঝেমধ্যেই মধু ও কালোজিরা খাবেন ।

(ঙ) এসময় দোকানে পান সুপারি, চা-কফি (মেশিন-মেড ছাড়া) খাবেন না। কারণ একই পাত্রের দূষিত পানিতে এসব ধৌত করা হয়। কেবল বাড়িতে পান সুপারি ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে খেতে পারেন।

অন্যজনের মুখে দেয়া বিড়ি, সিগারেট, রুমাল, গামছা, টাওয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করার প্রশ্নই ওঠে না, এ সুযোগে এসব বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।

খাদ্যদ্রব্য অযথা মজুদ করবেন না, মনে রাখবেন বেচাকেনা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে না। তাছাড়া এসব করতে যেয়ে সবাই মারা গেলে আপনার মজুদ দ্রব্যাদি কে খাবে? একইভাবে দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফাখোরেরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার অর্থই বা কে ভোগ করবে?

(চ) যারা বাইরে চাকরি বা ব্যবসার সাথে যুক্ত আছেন তারা ঘরে ফিরেই অন্য কারো দ্বারা দরজা খোলা ও বন্ধ করাবেন, হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার পর ব্যাগ পোশাক ইত্যাদি সরিয়ে রেখে পুনরায় হাত মুখ ধুয়ে নিন ।

ঘরের সংখ্যা কম থাকলে একই কক্ষে কমপক্ষে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করুন, টাকা-পয়সা মানিব্যাগ অফিস ব্যাগ ব্যবহারের সাথে সাথেই পুনরায় হাতমুখ ধুয়ে নেবেন।

বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিবর্গ একইভাবে বাড়িতে অতি সাবধানে দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করবেন (সম্ভব হলে পৃথক ঘরে), ১৪ দিনের মধ্যে অসুখের উপসর্গ দেখা না গেলে তারা আক্রান্ত নন প্রমাণিত হলেও পরবর্তীতে তারা এখানে থেকেও আক্রান্ত হতে পারেন।

৩। চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ-

(ক) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে জ্বর, মাথাব্যাথা, গলা-ব্যাথা, নাক দিয়ে পানি ঝরা, গা চাবানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যেতে পারে এবং আক্রমণের সাত দিনের মাথায় এসব কমে যেতে পারে ও সর্দি ঘন হতে পারে, যদি তা হয় তবে বুঝতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অন্য কোন সমস্যা না হলে চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে না।

প্রকৃতপক্ষে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া ভাইরাস রোগের কোনো চিকিৎসা নেই, তবে শরীর ব্যাথা, জ্বর ইত্যাদিসহ সেকেন্ডারি ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাই পূর্বে উল্লেখিত উপসর্গ দেখা গেলে এবং চিকিৎসক না পাওয়া গেলে প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে দিনে ৩/৪ টি প্যারাসিটামল খাওয়ার পর খাবেন, হাঁচি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়লে অ্যান্টিহিস্টামিন যথা- এলাট্রল বা ফেক্সো দিনে একটি করে ট্যাবলেট খাবেন।

ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলুন, উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন, ঘনঘন লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করুন, প্রচুর লেবু পানি বা নরমাল পানি পান করুন।

(খ) এসবের পরেও যদি আপনার জ্বর, শরীর ব্যাথা , মাথা ব্যাথা না কমে বা ঠান্ডা নিউমোনিয়ার মতো বা চেস্ট ইনফেকশন এর মত মনে হয় সেক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন বা নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবেন ।

যে কারণেই হোক, আক্রান্ত হলে নিজের হাঁচি-কাশি, সর্দি , থুথু ইত্যাদি যেন কোথাও না লাগে, তাই রোগীকে অবশ্যই পরিষ্কার ফেস মাস্ক বা পরিষ্কার রুমাল , গামছা , টাওয়েল , ওড়না , শাড়ির আঁচল ইত্যাদি ব্যবহার করার পর সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

এভাবে নিজে ভাল থাকুন, দেশ ও জনগণকে বাঁচতে দিন, আল্লাহ আপনার সহায় হবেন।

৪। মৃত ব্যক্তির সৎকার/ দাফন প্রক্রিয়াঃ-

আল্লাহ না করুন , করোনায় কেউ মারা গেলে তার নিকট থেকে দূরে থাকুন , দ্রুত দাফন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিন- যেমন কবর খনন , বাঁশ , পলিথিন বা চাটাই ইত্যাদির ব্যবস্থা সহ মৃতদেহকে গোসলের জন্য বিশেষ করে গ্রামের বাড়ির নির্ধারিত জায়গায় এমনভাবে বড় গর্ত করুন যেন বাতিলযোগ্য কাপড় ও ময়লা পানি তার মধ্যে পুতে ফেলা যায়। পুর্ব থেকেই বেশি পানির ব্যবস্থা রাখুন ।

পূর্ব থেকেই মৃতদেহ বহনের খাটিয়ার ভিতর পলিথিন বিছিয়ে বা অন্য কোন ব্যবস্থা এমন ভাবে করবেন যেন মৃতদেহের কোন জলীয় পদার্থ বাইরে না পড়ে ।

চার পাঁচজন যুবক ও শক্ত মধ্যবয়সী ব্যক্তিবর্গের , যারা মৃতদেহ ধোয়া , কাফন পড়ানো ও কবরে নামানোর দায়িত্ব পালন করবেন, অজু অবস্থায় তাদের শরীর পলিথিন বা পরিষ্কার কাপড় দ্বারা মুড়িয়ে নিন, চোখে চশমা ও নাক-মুখ মাস্ক বা কাপড় দ্বারা ঢেকে নিন, সম্ভব হলে হ্যান্ড গ্লাভস পড়ুন।

এ অবস্থায় তারা মৃত দেহকে গোসল করিয়ে, কাফন পড়িয়ে , নতুন কাফন না থাকলে বাড়ির পরিষ্কার কাপড়কে কাফন বানিয়ে জানাযার ব্যবস্থা করবেন , তারপর মৃতদেহ কে কবরে শুইয়ে দিয়ে খাটিয়াটি নিয়ে গোসলের স্থানে রেখে শরীরের পলিথিন , কাপড় ইত্যাদি নষ্ট করতে চাইলে গর্তে ফেলে দিন , খাটিয়াটি সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে দিন।

অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গর্তে ফেলুন , অন্যান্য দ্রব্যাদি সাবান দিয়ে ধুয়ে তারপর গর্ত ভরাট করে গোসলে যাবেন।

এ সময় অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ দাফন প্রক্রিয়া শেষ করে কোন গল্পগুজব না করে দ্রুত নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে পূর্ববর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।

মনে রাখবেন এ দুর্যোগের সময় গণজমায়েতের সুযোগ নেই, দূরের আত্মীয়-স্বজনকে না আসতে বলে দোয়া করতে বলবেন, তাদের আসার জন্য দেরি করবেন না, পাড়া-প্রতিবেশী দ্বারা দাফন সম্পন্ন করুন।

আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন। আমীন।



লেখকঃ প্রফেসর ড. মোঃ আবুল হোসেন, আহবায়ক, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন সহায়ক সংগঠন, শিবগঞ্জ, বগুড়া এবং প্রফেসর (চুক্তিভিত্তিক), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), গোপালগঞ্জ। (ভূতপূর্ব প্রফেসর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ)।