কলেজে ঘুরতে এসে স্বামীকে বেধে রেখে গণধর্ষণ করলো ছাত্রলীগের কর্মীরা

ডেস্ক রিপোর্ট


সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। পরে মহানগরীর শাহপরাণ থানা পুলিশ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে কলেজ ছাত্রবাস থেকে স্বামীসহ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী ও মহিলাককে পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ওই গৃহবধূ স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজ ঘুরতে আসেন। ঘটনায় জড়িতরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকারের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার পরপর র‌্যাব-৯ ও সিলেট মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যান ওই গৃহবধূ। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে তরুণীর স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য এমসি কলেজের মূল গেটের বাইরে বের হন।

এ সময় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যেতে চায়। এতে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারপিট শুরু করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।

এক পর্যায়ে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে বেঁধে ছাত্রলীগের তিন-চারজন নেতাকর্মী গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম বলেন, রাত ৯টার দিকে স্বামীকে ধরে নিয়ে কিছু ছেলে মারপিট করে।

গৃহবধূকে ছাত্রাবাসে ভেতরে নিয়ে তিন-চারজন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জোর্তিময় সরকার বলেন, অভিযোগকারী গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায়। শুক্রবার বিকেলে তিনি স্ত্রীসহ টিলাগড় এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।

এ সময় ৪-৫ জন তরুণ তাদের জিম্মি করে ছাত্রাবাসের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রাবাসের ভেতরের একটি রাস্তায় তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

সিলেট শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এক দম্পতিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাস থেকে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। পরে তাকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের সুপার মো. জামাল উদ্দিন জানান, কয়েকজন ছাত্রাবাসে এক দম্পতিকে আটক রাখে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিচ্ছি।

এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ বলেন, তাদের কেনো আটকে রাখা হয়েছিলো এবং তাদের সঙ্গে কী আচরণ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিষয়টি তদন্ত করছে।

প্রসঙ্গত,সিলেটের প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এমসি কলেজের ১২৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের খবর সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রলীগ মুখোমুখি ; পুলিশের ধাওয়া

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

মানববন্ধন চলাকালীন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ দু’পক্ষের মাঝে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আজ (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

দেখা যায়, বেলা ১২টা থেকে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এ সময় তারা ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ আনেন। বক্তারা বলেন, ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলার কারণেই আজ নুরের বিরুদ্ধে এই জঘন্য অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর সবই পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো।

এদিকে পরিষদ নেতাদের বক্তব্য চলাকালেই প্রেসক্লাব চত্বরের উত্তর পাশে বেশকিছু ছাত্রলীগ কর্মী অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় পক্ষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সেখানেই আটকে দেন।

পরে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা দ্রুত মানববন্ধন শেষ করে প্রেসক্লাব চত্বর ত্যাগ করার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। তবে এবারো পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে ছাত্র পরিষদ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে জামালখান মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা বলেন, বাংলাদেশে একজন ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে মিছিল মানববন্ধন হতে পারে তা আমরা চিন্তাও করতে পারি না। শিক্ষার্থী হিসেবে এমন কাজ আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না।
এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তারা নিজেদের চট্টগ্রামের সাধারণ ছাত্র সমাজ হিসেবে দাবি করেন।

টাকা পাচারের ঘটনায় ফরিদপুর ছাত্রলীগ সভাপতি রিমান্ডে

ডেস্ক রিপোর্ট


দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার ও করা হয়েছে।

শনিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ তার এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

জানা যায়, এর আগে শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। এরপর শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি।

সেই মামলায় সিআইডি রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে এর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সিআইডি পুলিশ জানায়, রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে চাঁদাবাজি ও হামলার মামলা রয়েছে।

এ মামলায় আরও গ্রেফতার হয়েছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন।

প্রসঙ্গত,গত ১৬ জুন রাতে শহরের মোল্লাবাড়ী সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর জের ধরে, ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ সাতজন।এরপর ঢাকার সিআইডি পুলিশ বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়ে এই মামলা দায়ের করা করে সংস্থাটি।

দুবছর পর চার্জশিট, তিন বছরেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

ওয়াসিফ রিয়াদ, রাবি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি আরাফাত রহমানের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার মামলার দুই বছর পর চার জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। তিন বছরেও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাদী ও তাঁর সহকর্মীরা।

পুলিশ বলছে, ঘটনা তদন্তে করে চার আসামির সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের নাম উল্লেখ আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তাকে (জিআরও) অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এখন আদালতে বিচার কাজ শুরু হবে।

আদালত সূত্র বলছে, করোনা ভাইরাসের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চাইলেই তাৎক্ষনিকভাবে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দেশ ট্রাভেলসের বাস ভাঙচুরের ছবি তোলায় দ্য ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক আরাফাতের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দশজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন আরাফাত।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই চারজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান লাবন।

ওই রাতেই সাইফুল ইসলাম বিজয় ও মাহমুদুর রহমান কাননকে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের‘ কারণে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু পরে সেই বছরের নভেম্বরে কাননের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর পরের বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিজয়ের বহিষ্কারাদেশও তুলে নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে আসামি আহমেদ সজীব, সাইফুল ইসলাম বিজয়, মাহমুদুর রহমান কানন এবং হাসান লাবনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের নামে গত বছরের ১৮ অক্টোবরে অভিযোগ দাখিল করে আদালতের জিআরও’কে পাঠানো হয়েছে। এখন আদালত বিষয়টি দেখবে।

রাজশাহী আদালতের মতিহার থানার জিআরও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজ্জাক জানান, ‘এটা অনেক পুরোনো মামলা, আমাদের কাছে এখন ওই মামলার কোন খোঁজ নেই।’

মামলাটির বিষয়ে জানতে রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে খোঁজ নিতে বলেন তিনি।

রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, ‘এটা অনেক দিন আগের মামলা। খুঁজে দেখতে হবে। বর্তমান করোনাভাইরাসের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চাইলেই তাৎক্ষণিকভাবে কোন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।’ আগামী সপ্তাহে বিষয়টির খোঁজ-খবর নিবেন বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি প্রক্টর হওয়ার আগের ঘটনা। আমি আসার পর ওই লিখিত অভিযোগের কোনো অ্যাভিডেন্স আমার কাছে আসেনি। যার কারণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এর আগেও একবার এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো লিখিত অভিযোগ আমি পায়নি।

প্রক্টর বলেন, আবারও যদি এ বিষয়ে আমার কাছে ডকুমেন্ট দেয়া হয় তাহলে মতিহার থানার ওসির সাথে কথা বলে সহজেই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।

মামলার বাদী আরাফাত রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তিন বছর আগে এ ঘটনায় মামলা করেছিলাম। থানায় খোঁজ নিলে গত বছর আমাকে বলা হয়েছিল চার্জশিট হবে, কিন্তু পরবর্তীতে সাংবাদিকে মাধ্যমে জানতে পারলাম চার্জশিট হয়েছে। কিন্তু আমাকে এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা কিছু জানান নি।”

দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরাফাত আরো বলেন, “বর্তমানে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে আমার ওপর যেটা হয়েছিল আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় মামলা করেছিলাম। আমি তো বিচার পাইনি! এরই মধ্যে আরও বেশ কিছু সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে। তারাও কোন বিচার পায় নি। আমি চাই শুধু আমার নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে বা যারা এ ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে তারা যেন সবাই সুষ্ঠু বিচার পায়। তিন বছরেও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আরাফাতের সহকর্মীরা।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সালমান শাকিল বলেন, “হামলার তিনবছর পার হলো। তবে এখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে শুনতে হচ্ছে তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলেও সেটি পাওয়া যাচ্ছে না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটা বিষয়। একদিকে যেমন দেশের আইন ব্যবস্থার সঠিক প্রয়োগের অভাবে তার প্রতি ভরসা হারিয়ে ফেলছি সেই সাথে একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠছে। দ্রুতই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরাফাতের ওপর হামলা চালায়। প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিক সংগঠন একসঙ্গে হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করে থাকি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাসে বন্ধ থাকায় এবার সম্ভব হচ্ছে না। ক্যাম্পাস খুললে তিন সংগঠন মিলে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা চাই এ ঘটনার দ্রুত বিচার কাজ শুরু হোক।”

পাবনায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধে পাবনার চাটমোহরে এক ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছেন।

রবিবার (১৪ জুন) রাতে উপজেলার হান্ডিয়াল মধ্যপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫) নামে ওই নেতার প্রাণ গেছে বলে।

নিহত হাবিব সেখানকার হান্ডিয়াল নিকেরীপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানিয়েছে, হাবিব কয়েকজন কর্মী নিয়ে রবিবার রাতে হান্ডিয়াল বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন অজ্ঞাত যুবক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হাবিব।

চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন বলেন, ক্রিকেট খেলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে কারা জড়িত বা হত্যাকাণ্ডের কারণ কী, এখনই বলা যাচ্ছে না।

জন্মদিনে বান্ধবীকে উইস করায় রাবি ছাত্রলীগে তোলপাড়

রাবি প্রতিনিধি: বান্ধবীকে জন্মদিনে উইস করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে বইছে সমালোচনার ঝড়।

গতকাল সোমবার (১ জুন) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মেহরিন জাহান মিতুর জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতৃত্বস্থানীয় কয়েকজন সহপাঠী তাকে ফেসবুকে উইস করে। এর কিছুক্ষণ পর ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে সমালোচনা করে অপর গ্রুপের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা।

এ ঘটনায় মেহরিন জাহান মিতু ও তার সহপাঠীরা বিব্রতবোধ করে বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্ষেপ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই তারা সামাজিক মাধ্যমে এমন মন্তব্য করছেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘২০১৮ সালে ১৬ ডিসেম্বরে ছায়া জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শেষে ছাত্রদলের এক বন্ধুর সাথে দেখা হয় মিতুর। একই সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ব্যানারেও পুষ্পস্তবক অর্পণ কার্যক্রম চলতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় সেখানে কয়েকজন শিক্ষক মিতুকে ফুলের ডালাটি ধরতে বলে। প্রথমে শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের সংগঠন ভেবেই ডালাটি হাতে নেয়, পরবর্তীতে জানতে পারে সেটা শিক্ষক সমিতির কোন প্রোগ্রাম ছিল না। সেটা ছিল ছাত্রদলের প্রোগ্রাম। পরে ছাত্রলীগ রাবি শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সাথে কথা বলে বিষয়টির ইতি টানে। পরবর্তীতে তার সহপাঠীরা জন্মদিনে উইস করায় আবারও বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে স্টাটাস দেয়ার মাধ্যমে সমালোচনা করেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপ্ত সাহা বলেন, ‘এক সময় মিতু ছাত্রদল করতো, এখন ছাত্রলীগে আসতে চাইছে। আর এটা ঢাকার জন্যই তিনি মিথ্যা বলছেন। এ বিষয়ে যারা প্রতিবাদ করেছেন তরা কেউ চায় না ছাত্রলীগে এধরণের কর্মী প্রবেশ করুক।’

জানতে চাইলে মেহরিন জাহান মিতু বলেন, ‘২০১৮ সালে ১৬ ডিসেম্বর ছায়া জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মহান বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাই। ফুল দেয়া শেষে তারুণ্য ৬৩’র সভাপতি মাহমুদুল মিঠু নামের আমার এক বন্ধু আমার সাথে কথা বলে। আমরা পাশেই থাকায় সেখানে কয়েকজন শিক্ষক আমাদের ফুলের ডালা ধরতে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যখন একজন শিক্ষার্থীকে একটা ফুলের ডালা ধরতে বলে তখন নিশ্চই সেটা শ্রদ্ধার জায়গা থেকে ধরা আমাদের কর্তব্য। শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের সংগঠন বলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছে।

পরবর্তীতে জানতে পারি সেটা শিক্ষক সমিতির কোন প্রোগ্রাম ছিল না। সেটা ছিল ছাত্রদলের প্রোগ্রাম। বুঝতে পারার পরপরই আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ভাইকে ব্যপারটা খুলে বলেছি। তখনই মিটমাট হলেও জন্মদিনে উইস করাকে কেন্দ্র্র বেশ কিছু ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আবারও বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছেন। এতি আমি বিব্রতবোধ করছি।”

কেন তারা এমনটা করছেন এই প্রশ্নের জবাবে মিতু বলেন, “কারণ টা আমার জানা নেই, হয়তবা ব্যক্তিগত আক্ষেপের জায়গা থেকে তারা এমন করছেন।”

ছাত্রদলের সাথে মেহরিন জাহান মিতুর কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ছাত্রদল রাবি শাখার সদস্য ও তারুণ্য ৬৩’র সভাপতি মাহমুদুল মিঠু। তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরের মত শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাচ্ছিলাম। এমন সময় মিতুকে দেখে কথা বলি। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি পন্থী শিক্ষক তৎকালীন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক শহীদুল হক স্যার। মিতু কলা অনুষদের শিক্ষার্থী জানার পর তিনি ফুল ধরতে বলেন। স্যারের কথা শুনে মিতু ফুল হাতে নেয়। আর এই ঘটনাকে রং মাখিয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী সমালোচনার সৃষ্টি করে।

ফেসবুকে নেত্রী সম্বোধন করে উইস করার কারণে প্রথমত সমালোচনায় পড়ে মেহরিন জাহান মিতু, পরে তা গড়িয়ে পরে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেজবাহুল ইসলামের দিকে। জানতে চাইলে মেজবাহুল ইসলাম বলেন, ‘মিতু আমার সহপাঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই সে আমার খুব কাছের বন্ধু। অনেক ভালো সম্পর্ক থাকায় প্রথম বর্ষ থেকে আমি মিতুকে নেত্রী বলে ডাকি। সর্বশেষ তার জন্মদিনে ‘নেত্রী’ বলে উইস করার কারণে ফেসবুকে আমাকে নিয়ে স্টাটাস দেয়া হয়। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই তারা এ ধরণের কাজ করছে বলে আমি মনে করি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ছাত্রদলের সাথে মেহরিন জাহান মিতুর কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। বিজয় দিবসের দিনে শহীদ মিনারে ফুল দেবার আগে ব্যানারের দিকে লক্ষ্য না করেই তিনি ফুলের ডালাটি হাতে নিয়েছিলেন। পরে যখন লক্ষ্য করলো এটি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ব্যানার, তখন যত তারাতারি সম্ভব ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন।

পরে আমাকে এবং সভাপতি গোলাম কিবরিয়াকে বিষয়টি অবগত করে। মিতু একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাকে নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন, বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছেও খারাপ লেগেছে। হয়তবা ব্যক্তিগত আক্ষেপের জায়গা থেকে এমনটা করেছে, তারপরেও আমি কয়েকজনকে এধরণের কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে বলেছি।’

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়: অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে নাট্যকলা বিভাগ ও ছাত্রলীগ

ফজলুল হক পাভেল, জাককানইবি প্রতিনিধিঃ বিভাগ উন্নয়ন ও পরিচালনার বরাদ্দকৃত টাকা থেকে বিভাগের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের এককালীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগ।

বিভাগটির শিক্ষকরা অনলাইন সভার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানান বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান আল জাবির। শুক্রবার (২২মে) শিক্ষার্থীদের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

বিভাগ উন্নয়ন ও পরিচালনা বাবদ যে অর্থ বরাদ্দ থাকে তা মূলত বিভাগের প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয়, পরীক্ষা পরিচালনা, আপ্যায়ন, বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় ইত্যাদি বাবদ ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও বিভাগটি এই অর্থ করোনার এই সময়ে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের
সহযোগিতার কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগটি।

বিভাগীয় প্রধান আল জাবির আরো বলেন- “বিভাগ যাদের জন্যে কাজ করে তারা হলো শিক্ষার্থী। আর তাদের সমস্যায় বিভাগ না দাঁড়ালে বিভাগের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বিভাগে যাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন দুর্যোগের এই সময়ে তাদের দেয়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। আমরা বিভাগের শিক্ষকরা এক সিদ্ধান্তে পৌছে তা উপাচার্য স্যারকে অবগত করে বাস্তবায়ন করছি।”

অপরদিকে ব্যবসায় অনুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ শাখার সাবেক ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এককালীন অর্থ উপহার হিসেবে প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায় অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক এক সংগঠক বলেন- এই মহামারীর সময়ে আমরা যারা অনুষদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী ছিলাম তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় ৩৮ জন ভাই বোনের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। এই সংকট সময় আরো বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামের পরিবারের মাঝেও ঈদ উপহার প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামীকাল শনিবার (২৩ মে) এর মধ্যে বিকাশ এবং রকেট এর মাধ্যমে এককালীন এই উপহার পৌঁছে দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের ।

যবিপ্রবি ছাত্রলীগ: আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

যবিপ্রবি টুডেঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অসহায় ও হতদরিদ্র দুইশত পরিবারের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।

আজ শুক্রবার (২২ মে) সকালে খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় (ওয়াজেদনগর, ছাচিবুনিয়া, হাসনাবাদ, চড়া, রাঙ্গামাটি বটিয়াঘাটা) এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

যবিপ্রবি পেট্রোলিয়াম এ্যান্ড মাইনিং ইন্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক খন্দকার জানান, “দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী সব জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম দেশব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আর্তমানবতার সেবায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শহীদ মসিয়ূুর রহমান হল সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত দার নেতৃত্বে সকল ধরনের জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছি। করোনা সংকটে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর সংকটে পড়েছে।

এমতাবস্থায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার অসহায় ও হতদরিদ্র দুইশত পরিবারের মাঝে শহীদ মসিয়ূুর রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত দার নির্দেশমতো ঈদ উপহার বিতরণ করি,প্রতিটি প্যাকেটে চাল,ডাল,আলু, মিষ্টি কুমড়া, পিয়াজ, সেমাই ও চিনি দেওয়া হয়- যোগ করেন আশিক খন্দকার।

আশিক খন্দকার আরও জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী শহীদ মশিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বিপ্লব দে শান্ত দাদার নেতৃত্বে সচেতনতা লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণ, ধারাবাহিক কর্মসূচীর মাধ্যমে অসহায় ও হতদরিদ্র দের মাঝে বারবার খাদ্যসামগ্রী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ, শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া এবং সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ও আসন্ন ঈদ সামনে রেখে অসহায় ও সংকটাপন্ন মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করি আমরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

৫০০ দুস্থ পরিবারে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করলো রাবি ছাত্রলীগ

রাবি প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস মহামারীতে ৫০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ( রাবি) শাখা ছাত্রীগের নেতা-কর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে গত শুক্রবার রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মহীন ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে এ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষ খুব অসহায় আছে। এই মহামারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকের্মীরা নিজ এলাকায় খাদ্য সামগ্রি-ইফতার পৌছে দিচ্ছে। মানবিকতায় রাবি ছাত্রলীগ সবসময় এগিয়ে।

বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুস্ময়, মেহেদী হাসান মিশু, পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন ভুলু , জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পিংকু সাহা, নওহাটা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান , নওহাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর রহমান নওহাটা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি খেজের আলী ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা

অসহায় কৃষকের পাশে যবিপ্রবি ছাত্রলীগ

যবিপ্রবি টুডেঃকরোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থা। ফলে কৃষকেরা ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাচ্ছে না।

তাই ধান কাটা এবং ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা ,ঠিক তখনি রোজা রেখে কৃষকের ধান কেঁটে কৃষকের বাড়িতে পৌছে দিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ।

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার এক আসহায় কৃষকের হাটু পানিতে ডোবা ধান কেঁটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফিকুর রহমান অয়ন সহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর ৬ কেশবপুর আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার সংসদ সদস্য প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের এর নির্দেশনায় যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফিকুর রহমান অয়নের নেতৃত্বে যাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গরীব কৃষকের ধান কেঁটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা রুবেল, ফাহিম,আল আমিন,রেজওয়ান এবং ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিথুন চক্রবর্তী মাহী

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফিকুর রহমান অয়ন বলেন, “বোরো ধানের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এক কৃষক ভাইয়ের মানবিক ডাকে সাড়া দিয়েছি আমরা যবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উৎসাহ এবং যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সহযোগিতায় আমরা যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি।”

“আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্ষুদ্র চাষিদের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছি। তাছাড়া যেসব চাষি ধানকাটার শ্রমিক পাচ্ছেন না, তাদের সহযোগিতা করতে সকল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে ।” যোগ করেন তিনি।