নম্বর কমছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দেশে সৃষ্ট করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বিকেন্দ্রীকরণ এবং মোট নম্বর অর্ধেক কমিয়ে ১০০ নম্বরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ডিনস কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বড় কলেজগুলোতে এবারের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।

নম্বর কমানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষার মানের প্রশ্নে আপস করা হচ্ছে না বলেই, স্ব-স্ব কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

করোনায় মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধই রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাবলিক পরীক্ষাগুলো একের পর এক বাতিলের সিদ্ধান্তের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের নতুন উৎকণ্ঠা এখন উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে।

এরই মধ্যে অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়ে দেশের লাখো শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার ডিনস কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সরাসরিই নেয়া হবে। সেই বিষয়টি নিয়ে অনেকটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সময় সংবাদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য জানান, আট বিভাগীয় শহরে হবে ভর্তি পরীক্ষা। সেসব শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হবে কেন্দ্র। পরীক্ষার হলে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমাদের প্রধান প্রধান যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে বিভাগীয় শহরে সেখানে সেন্টার করা হবে। আগে ছিল ১২০ নম্বর, সেই ২০ নম্বর কমিয়ে আনা হবে।

তবে, ঢাবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ায় শিক্ষার্থীদের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই বলে জানান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শিক্ষক।

ঢাবি বিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে নিশ্চয়ই মেধার স্বাক্ষর পাওয়া গেছে। এই খবরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়ে গেলে, শিগগিরই ৫টি ইউনিটে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে।

ঢাবিতে এমফিলে ভর্তির আবেদন শুরু ১৮ অক্টোবর

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Dhaka University ) ০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করে তার অধীনে এবং মাধ্যমে এমফিল গবেষণার আবেদন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ১৮/১০/২০২০ থেকে ১৮/১১/২০২০ পর্যন্ত আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফি বাবদ জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় ৫০০ টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে আগামী ২২/১১/২০২০-এর মধ্যে জমা দিতে হবে।

আবেদনপত্রের সাথে টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার নম্বরপত্রের ১ (এক) টি করে ফটোকপি ও সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে এবং গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

প্রার্থীকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ও ১ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর অধিকারী হতে হবে অথবা ২ বছর মেয়াদি স্নাতক ও দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং স্নাতক পর্যায়ে ১ বছরের শিক্ষকতা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১ বছরের চাকরি অথবা স্বীকৃত মানের জার্নালে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ থাকতে হবে। ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী প্রার্থীরা তাদের ডিগ্রির সাথে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রার্থীদের সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে। সিজিপিএ নিয়মে মাধ্যমিক/সমমান থেকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৩.৫ অথবা সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

ঢাবি: ১০০ বছর উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনার, উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রী

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


দেশের প্রাচীনতম এবং শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০০ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছরের ১ জুলাই । শতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে নানান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আগামী ২১-২৪ জানুয়ারি ৪ দিনব্যাপী এক আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে ৫টি ওয়েবিনার সিরিজেরও আয়োজন করা হবে।

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা’ র্শীষক এই আর্ন্তজাতিক ওয়েবিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরে থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এছাড়াও, ৫টি থিম নিয়ে ওয়েবিনার সিরিজেরও আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এসব সিরিজগুলো হচ্ছে- বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং জৈব-বিজ্ঞান (ফেব্রুয়ারী ২০২১); শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি (মার্চ ২০২১); ব্যবসা (এপ্রিল ২০২১); সামাজিক বিজ্ঞান (মে ২০২১); এবং উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যত (জুন ২০২১)। এসব আয়োজনের আহবায়ক হিসেবে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

এর আগে গত অগাস্ট মাসে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সবচেয়ে বড়মাপের একটি কর্মসূচি ছিল, যেটি লন্ডন ও ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা আর সম্ভব হবে না।

উপাচার্য বলেন, তবে আপনাদের শুনে ভালো লাগেবে যে, আমরা আগামী জানুয়ারি থেকে ৬টি বড় মাপের ভার্চুয়ালি আন্তর্জাতিক ই-কনফারেন্স আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

স্বল্পমূল্যে ডাটা পাচ্ছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা, ব্যবহার করা যাবে না সোশ্যাল মিডিয়া

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের করোনাকালে চলছে অনলাইনে ক্লাস। এদিকে এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ।

অললাইন শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়েছে কলা অনুষদ। কলা অনুষদের প্রতিটি বিভাগে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ ঢাবি শিক্ষার্থী রাসেলকে কুপিয়ে জখম, অবস্থা আশঙ্কাজনক

জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দের এক সভায় গ্রামীণফোন ও কলা অনুষদের মধ্যে এক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক বিভাগে গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট ডাটা প্যাক ক্রয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তালিকা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ডিন অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রামীণফোন তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ৩০ জিবি ডাটা দেবে। যার মূল্য নির্ধারণ করেছে ২২৫ টাকা। এই ডাটা দিয়ে ফেসবুক-টুইটারের মতো কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নেটফ্লিক্স, এডাল্ট সাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

অনুষদটির ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামীণফোনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি মোটামুটি ফাইনাল স্টেজে আছে। শিক্ষার্থীরা চাইলে হবে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকেন্দ্র আছে, নেই গবেষণা !

কামরুল হাসান মামুন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪টি বিভাগ, ১১টি ইনস্টিটিউট, প্রায় ৬০টি গবেষণাকেন্দ্র। I repeat ৬০টি গবেষণা কেন্দ্র!! এই ৫৮টি গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিটি যদি বছরে ৫টি আন্তর্জাতিক মানের আর্টিকেলও প্রকাশ করত আর প্রতিটি বিভাগও যদি বছরে ৫টি করে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা পত্র প্রকাশ করত তাহলে রেঙ্কিং-এ আমরা নিঃসন্দেহে অনেক ভালো করতাম।

আমাদের একটা সোলার সেন্টার আছে? গত ২০ বছরে কি করেছে? আমাদের একটা সমিকন্ডাক্টর সেন্টার আছে কি করেছে? এই রকম নামকাওয়াস্তে সেন্টারে সয়লাব।

আমরা আসলে সংখ্যা দিয়েই সব কিছু বিচার করতে চাই। পুরো দেশেও তাই। বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে সয়লাব করে ফেলেছি। গবেষণা ইনস্টিটিউটেরও অভাব নাই।

প্রাইমারী স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজেরও অভাব নাই। ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটও বেশ আছে। কিন্তু সত্যিকারের মান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান গুনতে গেলে আমাদের কিছু নাই বললেই চলে। দেশের মানুষদের এইভাবে বোকা বানিয়ে আর কতদিন কান্ডারি?

লেখক
কামরুল হাসান মামুন
অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ১২ টাকায় পড়ে, ইটস অ্যামাজিং: ভিসি

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী আছে। শিক্ষক আছেন দুই হাজারের অধিক। বিদেশি ডেলিগেটরা এলে তারা যখন শোনেন ১২ ও ১৫ টাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে, তখন তারা অবাক হয়ে বলেন, ইটস অ্যামাজিং! এটা আমাদের রেকর্ড।’

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং নিয়ে ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন আছে। আমরা বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থাকলে এর একটি প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্য বছরব্যাপী বাজেট থাকে। টাইমস হায়ার এডুকেশন, ইউএস র‌্যাঙ্কিংও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনেক সময় আমরা সেগুলো উপেক্ষা করতাম। এ কারণে এতদিন আমরা তথ্য দিইনি। আমরা বলতাম, র‌্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করব না। তবে কয়েক বছর ধরে আমরা র‌্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করছি, একটু একটু তথ্য দিচ্ছি। বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কম থাকায় র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢাবির অবস্থান পেছনে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘টিএসসি যখন নির্মাণ হয়েছিল, তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম। এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু টিএসসি আগের মতোই আছে। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী টিএসসির পুনর্বিন্যাসের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করেছি। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরই হয়তো সেটা দেখবেন।’

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এ আমার অহংকার- এখনই সময় দায় মোচনের’। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে গেল বছর নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের দেয়া একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ঐ বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘তুমি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবে না ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গাড়া, একটি চপ এবং একটি সমুচা পাওয়া যায়। পাবে বাংলাদেশে। এটি যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, তাহলে এটি গিনেস বুকে রেকর্ড হবে। ১০ টাকায় এক কাপ চা, গরম পানিও তো রাস্তায় পাওয়া যাবে না। ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গাড়া, একটি সমুচা এবং একটি চপ- এগুলো পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। এটি আমাদের গর্ব, এটি আমাদের ঐতিহ্য।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঢাবি টুডে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাকারিয়া বিন হক নামে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

প্রক্টর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়ার আত্মহত্যার খবর শুনেছি। সে বিজয় একাত্তর হল ডিবেটিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিল। আমরা জাকারিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, গত দুইদিনে আমরা আমাদের দুইজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শিক্ষার্থীরা কেন এ ধরনের পথ বেছে নিচ্ছে সেটি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন এমন পদক্ষেপ না নেয় আমরা তাদের সেই আহবান জানাচ্ছি।

ফ্যামিলি সিন্ডিকেটে নিয়োগ বাণিজ্যে ভরপুর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

কামরুল হাসান মামুন


পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার মালেক তার মেয়েকে অফিস সহকারী পদে, ভাইকে অফিস সহায়ক পদে, ভাতিজাকে অফিস সহায়ক পদে, বড় মেয়ের স্বামীকে ক্যান্টিন ম্যানেজার হিসেবে, ভাগ্নেকে ড্রাইভার পদে, ভায়রাকে ড্রাইভার পদে ছাড়া এক নিকট আত্মীয়কে অফিস সহায়ক পদে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চাকরি দিয়েছেন।’

যেই অফিসে এতজন তার নিজস্ব লোক থাকবে সেই অফিসে তার ক্ষমতা বুঝতে পারছেন? অর্থাৎ যত বেশি আত্মীয় পরিজনকে চাকুরী দিয়েছে ততবেশি সে ক্ষমতাবান হয়েছে।

এইরকম ঘটনা কি কেবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেই ঘটেছে? ইন ফ্যাক্ট, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এরকম বউ-শালা-শালী আর মামা-ভাগ্নে-দুলাভাই দিয়ে ভরে গেছে।

খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এইরকম ঘটনায় ভরপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্কুল আছে। নাম তার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল। কেন “ল্যাবরেটরি” শব্দটি আছে? কারণ এটি ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড রিসার্চ এর একটি গবেষণাগার। সঙ্গত কারণেই এটি একটি মডেল স্কুল হওয়ার কথা। বাংলাদেশের সেরা স্কুল হওয়ার কথা। একসময় মন্দ ছিল না।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক আছে যারা এখান থেকে পাশ করেছে। কিন্তু এখন আর আগের মত নাই। এখন এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ স্কুলগুলির মধ্যে একটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের ছেলেমেয়ে এখন আর ওখানে পড়ে না। কিভাবে এত খারাপ হলো? ঠিক যখন থেকে ভিসিদের মাধ্যমে দলীয় শিক্ষকদের বৌ, শালীদের চাকুরী দেওয়া শুরু করল সেইদিন থেকেই ধস নামা শুরু করে আজকে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

অথচ এইরকম একটি জায়গায়, IER-এর মত খ্যাতিমান একটি ইনস্টিটিউটের তত্বাবধানে থাকার পরও নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের গল্পই প্রায় একই রকম। আমরা অনেক কিছুই শুরু করি ভালোভাবে তারপর নষ্ট করি একইভাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্পও একই। এটিও শুরু হয়েছিল অসম্ভব সম্ভবনা দেখিয়ে। চলছিল বেশ। কিন্তু স্বাধীন হওয়ার পর যেদিন থেকে আমরা নিজেরা এটি পরিচালনার পূর্ন অধিকার পেলাম সেদিন থেকে এটির ধস দিনকে দিন কেবল ত্বরান্বিত হয়েছে। শিক্ষকের ছেলে বা মেয়ে বলে এক্সট্রা খাতির, দলের ছাত্র বলে এক্সট্রা খাতির দিয়ে শুধু শিক্ষক নিয়োগই না কর্মকর্তা আর কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে বিরামহীনভাবে।

কিছুদিন আগে এক কর্মকর্তা যে এই করোনা কালে নকল মাস্ক সাপ্লাই দিয়ে এখন জেলে গেল সে কিভাবে চাকুরী পেল। সে চাকুরী পেয়েছে কারণ সে ছিল ছাত্রলীগ নেত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রেও আমরা কোটা সিস্টেম চালু করেছি। এইটাও এক ধরণের স্বজনপ্রীতি যার মাধ্যমে মেধাকে compromise করা হয়।

এই রেজিস্ট্রার ভবন ভরে গেছে দলের লোক আর আত্মীয়দের নিয়োগ দিয়ে। একটা প্রতিষ্ঠান কত নিতে পারে। এত অন্যায় হয়েছে এবং হচ্ছে এটি ভালো থাকবে কিভাবে? কোন এক কর্মচারী বা কর্মকর্তা মারা গেলে তার স্ত্রী বা সন্তানদের চাকুরী দেওয়া এখন একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে যদি মেধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব না দেওয়া হয় এটি ভালো থাকতে পারে না।

ক্ষমতাবান থিসিস সুপার ভাইসর হলে কেবল নিজের থিসিস ছাত্রকেই শিক্ষক বানানো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে চলছেই। এরা ছাত্রদের নীতি নৈতিকতাকেও কলুষিত করে। এই শিক্ষকদের কি আপনি শিক্ষক বলবেন? এরা রীতিমত দেশের শত্রু।

এসব করতে করতে কোয়ালিটি কম্প্রমাইজ ও নিয়োগ বাণিজ্যও হচ্ছে। তার থেকে বড় কথা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটা ফ্যামিলি সিন্ডিকেট গড়ে উঠছে। এইভাবেই আমরা আমাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে ফেলছি। বড় পর্দায় দেখলে এর ফলে আমরা আমাদের দেশটিকেই আসলে নষ্ট করে ফেলছি। সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কোন না কোন সিন্ডিকেট একটিভ।

লেখক

কামরুল হাসান মামুন,

অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ধর্ষণকারীর অধিকার দিতে হবে, এই দাবি দেশ ও জাতির জন্য লজ্জাজনক

আশরাফুল আলম খোকন


ধর্ষণকারীর অধিকার দিতে হবে…। ধর্ষকের সহযোগীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে…। এই দাবিতে আন্দোলন দেশ ও জাতির জন্য শোভন না, খুব লজ্জাজনক। আর অনেকটা এইরকম আন্দোলনই করছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের কিছু শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগেও ধর্ষণ বিরোধী একটি আন্দোলন হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজধানীর জোয়ার সাহারা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছিল। তখন এই আন্দোলনকারীরাও ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছিল।

কিন্তু আজ তারাই আবার ধর্ষণের পক্ষে আন্দোলন করছে। অভিযোগকারিণী আবার তাদের সংগঠনেরই নারী কর্মী। সে সুর্নিদিষ্টভাবে দিন তারিখ উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপিসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সত্য মিথ্যা প্রমান সাপেক্ষ বিষয়। প্রমানের আগেই আসিফ নজরুল সাহেবরা বলে দিলেন অভিযুক্তরা এই কাজ করতেই পারেন না।

তিনি নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক। আসিফ নজরুল সাহেব কি করে নিশ্চিন্ত বলেন অভিযুক্তদের ধর্ষণকারী হবার সক্ষমতা নেই? এইরকম শিক্ষক যেখানে আছে, সেখানে ধর্ষণের পক্ষে কিছু শিক্ষার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

ধর্ষণকারী সংগঠনটির নারী কর্মীটি তার মামলায় সুর্নিদিষ্ট অভিযোগে বলছেন, কোথায় কবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। অসুস্থ হবার পর কবে, কে কে, কখন, কোন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে। কবে, কোথায় তাকে ডেকে নিয়ে কে মুখ না খোলার হুমকি দিয়েছে। কোন কোন অনলাইন কর্মীকে দিয়ে মেয়েটির চরিত্র হনন করার হুমকি দেয়া হয়েছে।

ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অধিকাংশ অভিযোগেরই সত্য মিথ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব। কারণ ঢাকা মেডিকেলেও সিসি ক্যামেরা আছে। পুরান ঢাকার যে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিশ্চয়ই ওই বাসার আসে পাশেও কোথাও সিসি ক্যামেরা আছে।

আমি এখানে ধর্ষিতা কিংবা ধর্ষণকারী কারো নামই উল্লেখ করিনি। কারণ কোনোটাই প্রমাণিত নয়। কিন্তু সত্য-মিথ্যা প্রমাণের আগেই অভিযুক্ত ধর্ষণকারীদের পক্ষে আন্দোলন করা প্রমাণ করে… ‘ডাল মে কুচ কালা হে।’

লেখক: উপপ্রেস সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ৩০ জিবি ডাটা প্যাকেজ চুক্তি করলো গ্রামীণফোন

ক্যাম্পাস টুডে ডেস্ক


অনলাইন ক্লাস ফলপ্রসূ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষার্থীরা ৩০ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা পাবেন। অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে গ্রামীণ ফোনের সাথে ইতিমধ্যে ৩০ জিবি ডাটা প্যাকেজ সিমের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অফিস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের উদ্যোগ ও গ্রামীন ফোনের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের বর্তমান ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে এই ডাটা প্যাকেজ সিম প্রেরণ করা শুরু হয়েছে।